বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অফ দ্য ওয়েস্টার্ন স্টার
আগাথা ক্রিস্টি
------------------------------------------------
পোয়ারোর বসার ঘরের জানালায় দাঁড়িয়ে অলসভাবে নীচে রাস্তার দিকে তাকিয়েছিলাম।
আরে এতো অদ্ভুত ব্যাপার, নিজের মনেই হঠাৎ বলে উঠলাম।
কি হল কি? পোয়ারো চেয়ারে আরাম করে বসেছিল, আমার মন্তব্য শুনে সে প্রম করল।
যা দেখেছি বলে যাচ্ছি, আমি বললাম, মন দিয়ে শুনে যাও। এক অল্পবয়সী যুবতী ধীরপায়ে হেঁটে আসছেন, পরনে দামী ফারের পোষাক, মাথায় ফ্যাশনদুরন্ত টুপি। হাঁটতে হাঁটতে উনি দুপাশের বাড়িগুলোর দিকে বার বার মুখ তুলে তাকাচ্ছেন। এদিকে তিনজন পুরুষ ও তিনজন মাঝবয়সী মহিলা যে পেছন থেকে ছায়ার মত অনুসরণ করছে, মনে হয় তা ওঁর জানা নেই। একটা ছোঁড়া আবার এসে জুটেছে এদের সঙ্গে। আঙ্গুল তুলে বারবার যুবতীকে দেখিয়ে সে যেন ওকে কি বলছে। এ কেমন নাটক তা বুঝতে পারছিনা। যুবতীটি কি কোনও অপরাধ করে পালিয়েছে আর যারা ওঁর পিছু নিয়েছে তারা কি গোয়েন্দা, হাতেনাতে ধরার সুযোগ খুঁজছে? অথবা ওরা একদল বদমাশ, ঐ নিরীহ যুবতীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার তাল খুঁজছে? এ বিষয়ে আমাদের বিখ্যাত গোয়েন্দা মশায়ের কি অভিমত?
বিখ্যাত গোয়েন্দা মশাই ব্যাপার কি তা নিজেকে দেখার জন্য সব চাইতে সহজ পথটি নেবেন, তিনি চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়বেন, বলে পোয়ারো সত্যিই চেয়ার ছেড়ে আমার পাশে এসে দাঁড়াল।
নাঃ ক্যাপ্টেন হেস্টিংস, তোমায় নিয়ে আব পাবলাম না। পোয়ারো নিচের দিকে তাকিয়ে আপন মনে মুচকি হাসল, ইনি ত ফিষ্টার মিস মেবী মার্ভেল। আরা ওর পিছু নিয়েছে তারা বদমাশ বা গোয়েন্দা এ দুটোর একটাও নয়, আসলে এরা ওঁর স্তবক যাকে তোমাদের ভাষায় বলে ফ্যান। আর এও জেনে রেখো হেষ্টিংস, এরা যে ওঁর পিছু নিয়েছে তা কিন্তু মিস মার্ভেলের অজানা নেই।
বা, কি সহজ ব্যাখ্যা, হেসে বললাম, কিন্তু এ জন্য আমি কিন্তু একটি মার্কসও তোমায় দেবনা পোয়ারো, আসলে যুবতীর মুখ তোমার খুব চেনা তাই সমস্যার সমাধান করতে নেমেছে।
তাই নাকি? পায়োয়ো গম্ভীর হয়ে গেল। মিস মার্ভেলের কটা ছবি তুমি এ আবৎ দেখেছে বলো ত?
তা কম করে ডজন খানেক ত বটেই, একটু ভেবে জবাব দিলাম।
এক ডজন ছবি দেখার পরেও তুমি ওঁকে চিনতে পারনি, পোয়ারো বলল আর আমি এ পর্যন্ত মিস মার্ভেলের ছবি একটার বেশী দেখিনি। তবু একবার দেখেই ওকে আমি ঠিক চিনতে পেরেছি, কিন্তু তুমি পারলে না।
আসলে ওঁকে অন্যরকম দেখাচ্ছিল, আমি বললাম তাই ঠিক চিনতে পারিনি। মুখে বললেও নিজের যুক্তি আমার নিজের কানে সেই মুহুর্তে খুবই দুর্বল ঠেকল।
বাঃ, চমৎকার সাফাই গাইলে বন্ধু। পোয়ারো গলা সামান্য চড়ালো, তুমি কি আশা করেছিলে যে এই লওন শহরে ইনি হয় খালি পায়ে নয়ত মাথায় কাউবয় টুপি চাপিয়ে কেয়ারি করা চুলের বাহার দেখিয়ে ঘুরে বেড়াবেন? তোমায় নিয়ে আর পারলাম না, সেই নাচিয়ের কেসটা নিশ্চয়ই ভুলে যাওনি, সেই যে ভ্যালেরি সেইট ক্লেয়ার?
আমি মুখে কোনও জবাব দিলাম না শুধু হাবে ভাবে পোয়ারোকে বুঝিয়ে দিলাম যে তার এহেন আচরনে কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়েছি।
না না, মুখ কালো করার মতো কিছু হয়নি, পোয়ারো হঠাৎ শান্ত হয়ে বলে উঠল, সবাই ত আর এরকুল পোয়ারো নয়, হতেও পারে না এটা আমার খুব ভালই জানা আছে।
আমি যাকে চিনি সে যেই হোক তুমি যে তাকে আরও হাড়ে হাড়ে চেনো সে কথা মানছি! ভেতরে ভেতরে তখন আমি একই সঙ্গে বিরক্ত আর মজা পাচ্ছি, তবু কথাটা না বলে পারলাম না।
কি করা যায় বলো পোয়ারো বলল। সেরা লোকেরা তাদের গুণ আর যোগ্যতার কথা জানে, বাকি যারা তারাও একথা মানতে বাধ্য যেমন ধরো মিস মার্ভেল আমার কাছেই আসছেন।
কি করে টের পেলে?
খুব সোজা ব্যাপার, পোয়ারো বলল, এই রাস্তাটা মোটেই বনেদি এলাকা বা বড়লোক পাড়া নয়। কোনও পয়সাওলা নামী ডাক্তার বা ডেন্টিস্ট এখানে থাকেন না কিন্তু মাথায় প্রচুর বুদ্ধি রাখেন এমন একজন বেসরকারী গোয়েন্স এখানে থাকেন যার নাম এরকুল পোয়ারো।
তার কথা শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে একতলার দরজার কলিং বেল বেজে উঠল। পোয়ারো বলে উঠল, কেমন, দেখলে? ইনি মিস মার্ভেল না হয়েই যান না।
পোয়ারোর ধারনা ঠিক, আর কিছুক্ষনের মধ্যে ল্যাণ্ডলেডী যে যুবতীকে পথ, পিয়ে আমাদের কাছে নিয়ে এলেন তিনি সেই মিস মার্ভেল, কয়েক মিনিট আগে যার সম্পর্কে আমরা আলোচনা করছিলাম।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now