বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য অর্ডার অব দ্য ফিনক্স।
প্রথম পর্ব????
------------------
গ্রীষ্মের অসহ্য গরমের দিনগুলো প্রায় বিদায় নিতে চলেছে। প্রাইভেট ড্রাইভের স্কোয়ার হাউজের বাড়িগুলোর চারধার তন্দ্রালু নিস্তবদ্ধতায় ঘিরে রেখেছে। বাড়ির সামনে লনে রাখা গাড়িগুলো ঝকঝকে তকতকে নয়, বরং ধূলোয় মলিন হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। গাড়িগুলো শুধু নয়, বাড়ি সংলগ্ন লন, বাগানগুলো রোদের তাপে শুকিয়ে গিয়ে বিবর্ণ! পান্নার মত সবুজ দেখাচ্ছে না। অনাবৃষ্টি ও জলের অভাবের জন্য সরকার মোটা পাইপ দিয়ে গাড়ি ধোওয়া, বাগানে, লনে জল দেওয়া নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। প্রাইভেট ড্রাইভের বাসিন্দারা বাইরে জানালা খুলে মৃদু মন্দ ঠাণ্ডা হাওয়ার আশায় গৃহবন্দি হয়ে বসে আছে। সকলেই যখন বাড়িতে তখন শূধুমাত্র একটি কিশোর চার নম্বর বাড়ির জানালার কোনের বাগানে চিৎপটাং হয়ে শুয়ে রয়েছে।
ছেলেটির শীর্ণ চেহারা, মাথার চুল কালো, চোখে চশমা। বয়সের তুলনায় একটু যেন বড় দেখায় অপুষ্টিজনিত চেহারায়। ওর পরণের জীনসটা জীর্ণ আর নোংরা, টি শার্টের অবস্থাও তেমনই, ঝোলা ঝোলা বিবর্ণ। ওর জুতোর অবস্থা তেমনই, তলাটা খুলে গেছে। প্রতিবেশীরা হ্যারি পটারকে তাই পছন্দ করে না। ওরা মনে করে ছেলেটার অপরিচ্ছন্ন হয়ে থাকার জন্য আইনত শাস্তির প্রয়োজন।
কিন্তু হ্যারি পটার তো পাড়া প্রতিবেশীর সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে না, ও সকলের দৃষ্টির বাইরে বিরাট হাইড্রেঞ্জিয়ার (থোকো থেকো সাদা ফুল) ঝোঁপের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছে। সন্ধেবেলা হাঁটা চলার সময় কেউ তাকে দেখতে পাচ্ছে না। এক মাত্র আঙ্কল ভার্নন অথবা আন্টি পেটুনিয়া যদি জানালা দিয়ে মুখ বাড়ান তো ও বাগানে শুয়ে আছে দেখতে পাবেন।
সকলের দৃষ্টি এড়িয়ে ওইভাবে শুয়ে থাকাটা হ্যারি পটারের মনে হয় ভালই, ওকে তো ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। উত্তপ্ত, কঠিন মাটিতে শুয়ে থাকা খুবই অস্বস্তি কর হলেও আশপাশের সকলের কথা ও শুনতে পাচ্ছে। ওকে দেখতে পেয়ে দাঁত কিড়মিড় করে নানা বিরক্তকর প্রশ্ন করতে পারছে না তাই টেলিভিশনের খবরও শুনতে পাচ্ছে। বসবার ঘরে চুপচাপ বসে টেলিভিশনে প্রোগ্রাম দেখা, খবর শোনা ওর বিরক্তিকর মনে হয়। আঙ্কল আর আন্টি ওকে দেখলেই এমন এমন সব প্রশ্ন করে, কথা বলে–শুনলে রাগে হাড় পিত্তি জ্বলে যায়।
শুয়ে থাকতে থাকতে হ্যারির কানে এলো আঙ্কল ভার্ননের গলা, ভালই হয়েছে ছেলেটা নেই, কিন্তু কোথায় ও গেলো বলতো?
আন্টি পেটুনিয়া নিরাসক্ত কণ্ঠে বললো–কে জানে কোন চুলোয় বসে আছে, বাড়িতে তো নেই।
কথাটা শুনে আঙ্কল ভার্নন ঘোৎ ঘোৎ করে বললো–ওর কোন কিছুতেই মন নেই। কি করে কোথায় যায় ডাডলি পর্যন্ত জানে না। দেশের কে প্রধানমন্ত্রী তাও বোধহয় ও জানে না। আমাদের দেশের খবরে মন নেই, মন পড়ে আছে ওর জাদু স্কুলের খবরে।
–ভার্নন আস্তে বলল, জানালা খোলা রয়েছে।
–হ্যাঁ হ্যাঁ তাইতো।
ডার্সলে পরিবারের কথা হ্যারি শুনতে পেলো না। হ্যারি ঝোঁপের আড়াল থেকে দেখতে পেলো বেড়াল প্রেমী মিসেস ফিগ উইস্টিরিয়া ওয়াক থেকে থপ থপ করে চলেছেন। যেতে যেতে আপন মনে বিড় বিড় করছেন। ভাগ্য ভাল মিসেস ফিগ ওকে দেখতে পাননি। দেখলেই বলবেন–হ্যারি চলো আমার বাড়িতে এক কাপ চা। খাবে। একটু একটু করে মিসেস ফিগ দৃষ্টির আড়ালে চলে যেতেই হ্যারির কানে এলো ভার্ননের গলা, ডাডলি বাড়িতে নেই? রোজই দেখছি বাইরে চা খায়।
আন্টি বললো–বাড়িতে বসে থেকে করবেটা কি? পাড়ার সকলে, বন্ধু-বান্ধবরা ওকে দেখতে পেলেই ছাড়তে চায় না। সব্বাই ওকে দারুণ ভালবাসে।
কথাটা শুনে হ্যারি ওর হাসি খুব কষ্ট করে চেপে রাখে। আঙ্কল-আন্টি ওদের ছেলে ডাডলিকে নিয়ে গদগদ। বন্ধুরা ভালবাসে, চা খেতে নেমন্তন্ন করে–সব বাজে কথা। এই সময় ও পার্কে, রাস্তায় কতগুলো বদ বন্ধুদের নিয়ে ঘোরাফেরা করে ছোট নিরীহ ছেলে দেখলে তাকে ধরে মারধর করে, পেছনে লাগে। শুধু তাই নয় রাস্তার কোণায় দাঁড়িয়ে ভাল ভাল গাড়ি যেতে দেখলে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে। সমস্ত গরমের ছুটির দিন এই ভাবেই ডাডলি ইট-পাটকেল ছোঁড়ে। মারধোর করে কাটায়।
আন্টি পেটুনিয়া টেলিভিশন চালিয়ে দিতেই হ্যারির কানে এলো
স্প্যানিশ পোর্টারদের ধর্মঘট, এই নিয়ে দুসপ্তাহে পা দিল। ছুটি যাপনের হাজার হাজার লোক বিমানবন্দরে তাদের মালপত্র নিয়ে অসহায়ের মতো বসে রয়েছে।
আঙ্কল ভার্নন বললেন–চুলোয় যাক। সারাজীবন ওরা দিবানিদ্রা দিক। বাগানে শুয়ে থাকা হ্যারির সেই খবর শুনে একটুও ভাল লাগে না। হলিডে মেকার্সের বিমানবন্দরে বসে থাকার চেয়ে আরও অনেক খবর যেমন ধ্বংস, মৃত্যুর খবর যদি থাকত তাহলে প্রথমেই সেটা জানাতো।
ও বিরাট একটা নিশ্বাস ফেলে ঘন নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। গরমের ছুটির প্রতিটি দিন ওর বিরক্তিকর, একঘেয়ে লাগছে। নতুন কিছু নেই। আশ্চর্য! এখনও পর্যন্ত সব নীরব কেন? কিছু একটা ঘটছে না কেন? ব্যর্থ উত্তেজনা আশা। মাঝে মাঝে এক ঘেয়ে বন্ধ হয় আবার তারই পুনরাবৃত্তি।
–কেন, কেন এখনও কিছু ঘটছে না? ও কান পেতে রইল প্রতিক্ষা করতে লাগল।
হ্যারি চোখ বন্ধ করল। নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলো প্রতিটি দিন ওর এমনিভাবে কাটে–টেনসন, আশা, তারপর আবার টেনসন, কিছুটা স্বস্তি… আবার জমে ওঠা টেনসন বড়ো এক ঘেয়ে লাগলে ওর।
কামান দাগার মতো বিরাট এক ভয়ঙ্কর শব্দ, গাড়ির তলায় শুয়ে একটা বেড়াল ঝড়ের বেগে ছুটে গেল দৃষ্টির বাইরে; আর্তনাদ, অভিশাপের শব্দ, ডার্সলের ঘর থেকে কাঁচের বাসন ভাঙার শব্দ? দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান। হ্যারি লাফিয়ে উঠল। ঝুলে পড়া জীনসের পেছনের পকেট থেকে একটা ছোট কাঠের দণ্ড টেনে নিল খাপের মধ্য থেকে তলোয়ার টেনে নেওয়ার মত। তড়াক করে লাফিয়ে ওঠার সময় ডার্সলের খোলা জানালার কপাটে মাথা ঠকে গেল। শব্দ শুনে আন্টি পেটুনিয়া ঘর থেকে খুব জোরে চেঁচিয়ে উঠলেন।
হ্যারির মনে হল ওর মাথাটা দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। যন্ত্রণায় দু চোখ জলে ভরে গেল, ওর মাথা ঘুরতে লাগল। সেই অবস্থাতেই ও শব্দ, আর্তনাদ কোথা থেকে আসছে জানার জন্য উঠবার চেষ্টা করতেই দুটি পুরুষ্ট লোমশ হাত খোলাজানালা থেকে ওর গলা চেপে ধরল।
–ওটা ফেলে দাও, কেউ দেখতে পাবার আগে ফেলে দাও বলছি। আঙ্কল ভার্নন ঘরের ভেতর থেকে গর্জন করে উঠলেন।
হ্যারি হাঁফাতে হাঁফাতে বললো–ছেড়েদিন, খুব লাগছে।
ভার্নন হ্যারির হাত থেকে দণ্ডটা কেড়ে নেবার চেষ্টা করতেই হ্যারি দণ্ডটা ভার্ননের দিকে এগিয়ে দিতেই ভার্নন তরিতাহতের মত হ্যারিকে ছেড়ে দিলেন। কোনও এক অদৃশ্য শক্তি হ্যারিকে তরঙ্গায়িত করেছে। হ্যারির মাথার ভেতর অকথিত এক তীব্র যন্ত্রণা। ও কোনও মতে উঠে দাঁড়িয়ে চারদিকে তাকাল। কোথা থেকে সেই ভয়াল-ভয়ঙ্কর শব্দ ভেসে আসছে? আশপাশের বাড়ির লোকেরা সেই শব্দ শুনে জানালা থেকে মুখ বাড়িয়ে রয়েছে হ্যারি দেখতে পেল। তারি একটুও সময় নষ্ট না করে দণ্ডটা জীনসের পকেটে খুঁজে গো-বেচারার মত তাকিয়ে রইল।
আঙ্কল ভার্নন সামনের সাত নম্বর বাড়ির দিকে তাকিয়ে বললেন–বেশ সুন্দর লাগছে সন্ধেটা। আপনি কী একটা ভীষণ শব্দ শুনেছেন? আমরাতো বেশ ভয় পেয়ে গেছি!
আঙ্কল আপনমনে শব্দটার সম্বন্ধে নানা ব্যাখ্যা করতে লাগলেন। বুঝতেই পারেননি প্রতিবেশীরা যে যার কাজে চলে গেছে।
এই ছেলে কোথা থেকে শব্দটা এলরে? ভার্নন রাগে কাঁপতে কাঁপতে হ্যারিকে বললেন।
হ্যারি উদাসীন কণ্ঠে বললো–আমি কেমন করে বলব? আমি তো করিনি। ও ভান করে রাস্তার এধার ওধার তাকিয়ে শব্দটা কে করল জানার জন্য তাকাতে লাগল।
–আমাদের বাড়ির কাছে কেউ পিস্তলের আওয়াজ করে তোকজনদের ভয় দেখাচ্ছে?
–আমি জানি না, হ্যারি অবিচলিত হয়ে বললো। আন্টি পেটুনিয়া ভার্ননের পাশে এসে দাঁড়ালেন। ওর মুখেও ভয়ের ছাপ। মুখ শুকিয়ে গেছে।
–জানালার তলায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে করছিলেটা কি শুনি?
–হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিক বলেছ পেটুনিয়া। সত্যি করে বল তো কী করছিলে?
হ্যারি নিরাক্ত কণ্ঠে বললো–খবর শুনছিলাম।
আঙ্কল ও আন্টি পরস্পরের মুখের দিকে তাকিয়ে রাগত স্বরে বললেন–খবর শুনছিলে আবার?
–খবর তো সবসময় এক থাকে না, প্রতিদিনই নতুন নতুন খবর থাকে।
–বেশি চালাক হতে যেও না ছোকরা! আমি সত্যি কথা জানতে চাই, খবর শুনছি স্রেফ ভাঁওতা। ভাল করেই জানো কি করছিলে। আন্টি পেটুনিয়া ইশারায় আঙ্কল ভার্ননকে চুপ করতে বললেন। তবুও ভার্নন বললেন–তুমি যে খবর শুনতে চাও, তা আমাদের টিভি নিউজে থাকবে না।
আন্টি বললেন–মিথ্যুক, তাই যদি হবে তো তোমার প্যাঁচাটা কি করছে? খবর না নিয়ে এলো ওটা!
–আহ্ যা বলেছ! এই ওটাকে আমাদের বাড়ি থেকে তাড়াও বলে দিলাম। ওটাই তোমার আজেবাজে খবর নিয়ে আসে! কথাটা শুনে হ্যারি জবাব দিতে ইতস্ত ত করল। সত্যি কথা বলে লাভ নেই। সত্যি কথাটা বলতে ওর কতটা খারাপ লাগবে আঙ্কল-আন্টি জানে না।
–প্যাঁচারা আমার কোনও খবর নিয়ে আসে না, হ্যারি নীরস কণ্ঠে বললো।
–আনে না! আঙ্কল ভার্নন দৃঢ় স্বরে বললেন।
–আমরা ভাল করেই জানি তুমি নানা রকম অদ্ভুত অদ্ভুত কাণ্ড করে বেড়াচ্ছ।
–আমাদের তুমি যতোটা বোকা ভাবছ তা কিন্তু আমরা নই, আঙ্কল ভার্নন বললেন।
–বাঃ বেশ নতুন কথা শুনলাম বলে মনে হচ্ছে, হ্যারির মেজাজ চড়তে শুরু করেছে। আঙ্কল-আন্টি আর কিছু বলার আগেই হ্যারি দ্রুত পায়ে লন ছেড়ে বাগান টপকে রাস্তায় দাঁড়াল। তারপর দ্রুত পায়ে হাঁটতে লাগল।
ও বেশ বুঝতে পেরেছে নতুন এক বিপদ ওর সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। বাড়ি ফিরলে আঙ্কল-আন্টির সামনে দাঁড়িয়ে কতগুলো বিশ্রী পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে তা ভাল করেই জানে। আরও জানে এই মুহূর্তে সেই পরিস্থিতির চেয়েও আরও অনেক জরুরি জিনিস মনের মধ্যে রয়েছে।
যে পথ দিয়ে ও বরবার হাঁটে সেই পথ ধরে ও চলতে শুরু করল। হ্যারি জানে কে বা কারা যাবার বা আসার সময় সেই ভুতুরে শব্দ করেছে। অ্যাপারেটিং, ডিস অপারেটিং-এর শব্দ হাওয়াতে মিলিয়ে যাবার সময় ডব্বি ঠিক এই রকম বীভৎস শব্দ করেছিল। ডব্বি কি তাহলে প্রাইভেট ড্রাইভে এসেছিল? ঠিক এই মুহূর্তে কি ডব্বি ওর সঙ্গে থাকতে চাইছে? কথাগুলো ভাবতে ভাবতে হ্যারি প্রাইভেট ড্রাইভের দিকে এগোতে লাগল। তাহলেও ব্যাপারটা খুব মাথামুণ্ডুহীন মনে হল। হ্যারি জানে ডব্বি অদৃশ্য হবার কৌশল জানে না।
হ্যারি যন্ত্রচালিতের মত হাঁটতে হাঁটতে ওর সবচেয়ে প্রিয় জায়গায় পৌঁছল। ওর প্রতি পদক্ষেপেই মনে হল কে যেন ওর পেছনে পেছনে চলছে। ও যখন আন্টি পেটুনিয়ার বাগানে শুয়েছিল, তখন; বার বার মনে হচ্ছিল কারা যেন ছায়ার মত যাদুবলে ওর কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে। বারবার ও পেছনে তাকাতে লাগল। তাহলে তারা ওর সঙ্গে কথা বলেনি কেন? কেন যোগাযোগ করছে না? লুকিয়ে রয়েছে কেন?
এমনও হতে পারে, সেই ভয়ঙ্কর শব্দগুলো ঐন্দ্রজালিক ছিলো না। হয়ত যে জগতে ও থাকে সেখানকার সামান্য ছোট একটা সংবাদের আশায় উদগ্রীব হয়ে দিনের পর দিন কাটাচ্ছ বলেই কি সাধারণ কিছু গোলমালের শব্দে ও হানফান করছে? আবার প্রতিবেশীদের বাড়ির কিছু ভাঙাচোরার শব্দও হতে পারে।
দিনের পর দিন এক ঘেয়ে জীবনে হ্যারি শুধু আশাহত নয়, দারুণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
আগামীকাল অ্যালার্ম শুনে ভোর পাঁচটায় উঠে ডেইলি প্রফেট দেবার জন্য পেঁচাকে টাকা দিতে হবে; কিন্তু খবরের কাগজটা নেবার কি কোনও সার্থকতা আছে? ইদানীং ও কাগজটায় একবার চোখ বুলিয়ে ঠেলে সরিয়ে রাখে। যে বোকা লোকগুলো ডেইলি প্রফেট চালায়, তারা ভোল্ডেমর্টের আবার আবির্ভাব হয়েছে এই খবরটা যখন জানবে তখন নিশ্চয়ই শিরোনাম হবে খবরটি। আর অপেক্ষা সেই খবরটির জন্য পত্রিকা কেনা। যদি ও সত্যি ভাগ্যবান হয় তাহলে পেঁচারা অবশ্যই ওর প্রিয় বন্ধু রন আর হারমিওনের চিঠি নিয়ে আসবে; কিন্তু আশা করে কোনও লাভ নেই!
কিছুদিন আগে ওদের কাছ থেকে ছোট একটা চিঠি এসেছিল
তোমাকে আমরা বিশেষ কারণে সবিস্তারে কিছু জানাতে পারছি না। কেন তা তুমি বোধকরি জান। পাছে চিঠি হারিয়ে যায় সেই কারণে তোমাকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ খবর লিখতে পারি না। আমরা এখানে খুবই ব্যস্ত আছি। ব্যস্ততার কারণেও জানাতে পারছি না। অনেক কিছু এখানে ঘটছে, দেখা হলে তোমাকে বলবো।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Nishita Fahmeem
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেNishita Fahmeem
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেNishita Fahmeem
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেNikita
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেNikita
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTanjid
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTanjid
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেkiyam Ahmed Rezu
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেkiyam Ahmed Rezu
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেMujakkir Islam
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেMujakkir Islam
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেSiniya
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেSiniya
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেSiniya
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTanjika
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTanjika
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেMujakkir Islam
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেMd.SaiM ArAFaT
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেMujakkir Islam
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেMd.SaiM ArAFaT
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেMujakkir Islam
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেMujakkir Islam
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেমোহাম্মদ মফিজুল হোসেন
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেMd.SaiM ArAFaT
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেMd.SaiM ArAFaT
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে