বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
গল্পটা মজার গল্পই হবে।যেহুতু আমার জীবনের সৃতি এগুলো তাই সৃতির বিভাগেই দিলাম:::
সময় চলে যায়,মানুষগুলো হারিয়ে যায়,সৃতিগুলো রয়ে যায়,সৃতিগুলোই হাসায়,সৃতিগুলোই কাদায়।কিন্তুু আমার জীবনের সৃতিগুলো আমাকে শুধুই হাসায়।স্কুলের প্রথমদিন দেরিতে যাওয়া,বিব্রতকর হওয়া এগুলোর কোনটিই আমার জীবনে হয়নি।ধীরে ধীরে স্কুলে পরিচিতি বাড়তে লাগল। সত্যিকথা বলতে আমার স্কুল জীবনের সৃতিগুলো অন্যসবার চেয়ে আলাদাই হবে।কারন আমি মনে করি আমাদের স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষই ছিলেন প্রচুর মজার মানুষ আর আমাদের বন্ধু। ক্লাসে ছাএদের মধ্যে আমাদের দুইটি গ্রুপ ছিল।এক যারা ভালো মাইন্ডের,ভালো স্টুডেন্ট দুই যারা হাবিজাবি নেশা ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরা প্রচুর দুষ্টোমি করতাম কিন্তুু তা লিমিটে। আমাদের জীববিজ্ঞানের স্যার ছিল ফারুক স্যার।অমায়িক ছিলেন আমাদের এই স্যার।ধর্ম বিষয়ে আমাদের প্রচুর কথা বলতেন। তার একটা অভ্যাস ছিল ক্লাসে হঠাৎ করে ঘুমিয়ে পড়া আর হঠাৎ করে জেগে উঠা।জেগে উঠেই তিনি মুচকি একটা হাসি দিয়ে বলতেন এই রে কারেন্ট চলে গিয়েছিল। একদিন এই স্যার জীববিজ্ঞানের ফুল এক অধ্যায় পড়া দিয়েছিলেন। পড়া না পারলে আবার দাড়িয়ে থাকতে হয়।কিন্তুু সেদিন এওো পড়া দিয়েছিল যে আমি মুখস্ত করে যেতে পারি নি সব। আর আমি যদি একদিনও পড়া না পারি প্রচুর লজ্জা হজম করতে হতো আমাকে।তাই সেদিন আমার হার্ট ক্রমান্বয়েই বাড়ছিল।তারপর কয়েকজনের সাথে কথা বলে দেখি তাদেরও একি অবস্হা।যেহুতু আমাদের মধ্যে কেউ পড়া আজকে পারবে না তাই আমরা নিশ্চিৎ হয়েগিয়েছিলাম পুরো ক্লাসে আর কেউ পড়া পারবে না।সেদিন আমরা প্লেন করলাম স্যারকে যেভাবেই হোক বই থেকে দূরে রাখব।আগেই বলেছি এই স্যার প্রচুর ধর্ম নিয়ে কথা বলে।কেউ যদি ধর্ম নিয়ে স্যারকে একটা প্রশ্ন করত তাহলে পুরো এক ক্লাসের সময়েও শেষ হতো না স্যারের লেকচার। স্যার সেদিন ক্লাসে আসার সাথে সাথেই আমি দাড়িয়ে স্যারকে বললাম একটা প্রশ্ন ছিল স্যার।স্যার বলল হুম বলো।আমি বললাম স্যার আজকাল যে দেখা যায় অনেকেই হেয়ার স্টাইল করে এটা কী ধর্ম সমর্থন করে? স্যার বলল এই প্রশ্নর উওর দিব না আমি পড়া ধরাব আজকে।আমাদের মুখ কালো হয়ে গেল।আমি বললাম স্যার পড়া তো ধরাবেনই।যদি হেয়ার স্টাইল ধর্ম সমর্থন করে তাহলে আমরাও করব।দুই মিনিটে বুঝিয়ে দিন স্যার।আমি জানতাম দুই মিনিটের কথা বললেও পুরো ক্লাস চলে গেলেও স্যারের বলা শেষ হবে না। স্যার বললেন আচ্ছা দুই মিনিটে বুঝিয়ে দেই।স্যার বলা শুরু করলেন কিন্তুু ঐ দুই মিনিট পুরো ক্লাসেও শেষ হয়নি। একটা বিষয় আমাদের ছিল যদি কোন স্যার আমাদের কারো সাথে একবার খারাপ ব্যবহার করত তাহলে সেই স্যার আর আমাদের ক্লাসে ক্লাস নিতে পারত না।আমাদের বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ের স্যার ছিলেন সানোয়ার স্যার।ইনি একজনের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিল আর বেশি তুই-তুকারি করত।এতে আমরা সবাই প্রচুর বিরক্ত হতাম।আর এই স্যার মেয়েদের সাথে বেশি কথা বলত যা আমাদের ভালো লাগত না স্যার আবার ছিল অবিবাহিত। আর এটা নিয়েই গেলাম প্রধান শিক্ষকের কাছে কমপ্লেইন করতে।আমাদের বন্ধুদের মাঝে কে কোন বিষয় বলবে আগে থেকেই বলা থাকত।আমরা প্রধান শিক্ষকের কাছে কমপ্লেইন করলাম ঐ স্যার আমাদের পড়া কম জিজ্ঞাস করে,মেয়েদের বেশি কেয়ার করে।আমাদের স্কুলে একটা নিয়ম ছিল কোন স্যারের ক্লাস ভালো না লাগলে কমপ্লেইন করতে পারবে ছাএরা আর পরিচয় গোপন রেখেই ব্যবস্হা নেওয়া হবে। এই কমপ্লেইন করার কিছুদিন পরেই স্কুলে নিয়ম চালু হলো ক্লাস এইট থেকে দশম শ্রেনি পর্যন্ত কোন অবিবাহিত শিক্ষক ক্লাস নিতে পারবে না। এই নিয়মের ফলে ছয় মাসের জন্যে আমরা ঐ স্যারের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলাম কারন ছয় মাস পড়েই ঐ স্যার বিয়ে করে আমাদের ক্লাসে ফিরে এসেছিলেন।
ক্লাস এইটের কথা।আমাদের স্কুলে রাএেও প্রাইভেট পড়ানো শুরু হলো।আর তাতে দূরে যারা তারা থেকে পড়ত।কিন্তুু আমিসহ আমার ৫জন বন্ধু ছিল যাদের বাসা আমাদের বাসার আশেপাশেই।তাই আমরা চলে আসতাম।কিন্তুু সেদিন কয়েকজন বন্ধুর অনুরুধে থেকে গেলাম।আমাদের কারো চোখে ঘুম আসছে না।বাইরে জোৎসনা রাত।তখন একজন বলল শুধু শুধু শুয়ে থেকে লাভ নেই চলো কিছু একটা খেলি।তখন তামিম নামে একটা ছেলে বলল রাএে কি খেলব? স্যাররা দেখলে খবর আছে।তখন ঐ ছেলেটি বলল আরে স্যাররা
এখন ঘুমাচ্ছে চলো ফুটবল খেলি।আমিসহ আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ বন্ধুই ক্রিকেট ভক্ত।রাএে তো আর ক্রিকেট খেলা যাবে না।তাই স্কুলের মাঠে রাত তিনটার সময় সবাই ফুটবল খেলা শুরু করলাম।ফুটবল খেলার শব্দ পেয়ে দুজন স্যার বেত হাতে নিয়ে দিল দৌড়ানো।কিন্তুু তখন কাউকে ধরতে পারে নি।যদিও তখন আমরা ভেবেছিলাম বেচে গেছি কিন্তুু ক্লাসে আমরা যারা যারা খেলেছিলাম সবাইকেই কান ধরে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল সাথে কয়েক গা করে বেতের বাড়িও সহ্যে করতে হয়েছিল।আরেকটা কথা আপনাদের মনে প্রশ্ন হতে পারে এতো রাএে ফুটবল কোথায় পেলেন? আমাদের স্কুলে অনেক রুম খালি পড়ে থাকত। আর আমরা সকল ছাএ মিলে ফুটবল,ব্যাট,বল,স্টাম্প কিনে সেগুলোতে রেখে দিতাম।স্যারদের কাছ থেকেও টাকা নিতাম,স্কুলে স্কুলে ক্রিকেট খেলতাম স্যারদের নিয়ে।আমাদের দশম শ্রেণির ক্লাস টিচার ছিল সুনিল স্যার আমাদের বাংলা পড়াতেন।বুঝতেই পারছেন তিনি হিন্দু।এই স্যারের পরিক্ষায় আজ অবদি কেউ ৬০-৬৫ এর উপর নাম্বার পায়নি।কারন যে যতই লিখুক তার ফিক্সট করা নাম্বার। আর এই স্যারের ক্লাসে পড়া পারলেও আমাদের কেউ বলতাম না।কারন স্যার একটা পড়া জিজ্ঞাস করবেন তার উওরও তিনি মনে মনে যেটা ঠিক করে রাখতেন তার হুবুহু উওর না হলেই হয়নি বলতেন আর পুরো ক্লাসে লজ্জা দিতেন।তাকে আমরা সুনিল বাবু বলে ডাকতাম।যদি কোন উওর তার মনমত হত তাহলেই লাঠিটা হাতে নিয়ে বলতেন এটা কোথা থেকে নকল করে বলছ বলো।এই স্যারের বিরুদ্ধে শত কমপ্লেইন করলেও লাভ হত না কারন প্রধান শিক্ষকের ডান হাত উনি।কেন ডানহাত তা পরে বলছি। আমাদের আরেক ম্যাডামের নাম মমতাজ ম্যাডাম। তিনি ইসলাম শিক্ষা পড়াতেন।তিনি খুব কমই আমাদের পড়া জিজ্ঞাস করতেন।ক্লাসে এসেই তিনি বইটা হাতে নিয়ে একটানা নিজ দিকে তাকিয়ে পড়ানো শুরু করতেন। অন্যকোন দিকে তাকাতেন না। ক্লাস শেষে দেখা যেত ক্লাসের অর্ধেক ছাএই নেই মানে পিছন দিক দিয়ে চলে যেত আর যারা থাকত তাদের প্রায় সবাই ঘুমিয়ে যেত।ম্যাডামের এসবে কোন ভাবনা নেই প্রতিধিন এভাবেই চলত।আর এসবের কারনে অনেকেই তাকে মমতাজ পাগলী বলে ডাকত। আর আমাদের প্রধান শিক্ষককে নিয়ে বলি।ইনি যে চেয়ারে বসেছেন তা রাজনৈতিক পাওয়ারে।প্রধান শিক্ষক হওয়ার কোন যোগ্যতাই নেই তার।আমাদের মাননিয় এমপি মহাদয় তার ধর্মের বাবা আর এটা কোন স্যারই মেনে নেয়নি একমাএ ঐ সুনীল স্যার ছাড়া। স্যাররা মিলে ধর্মঘটও করেছিল কিন্তুু লাভ হয়নি কোন। আসলে রাজনৈতিক পাওয়ার হলো এমন একটা বিষয় হয় এটা তুমি ব্যবহার করবে নাহয় এটা তুমাকে ব্যবহার করবে।স্কুল জীবনে আমার মজার ঘটনা প্রচুর কিন্তুু আর বলতে ভালো লাগছে না আমার।সেগুলো মনে করে আমি একাই হাসবনি আপনাদের জানার দরকার নেই। আর দাড়ান শেষে একটু ট্রেজেডি দিয়ে দেই হাজার হলেও সৃতি এগুলো। সেই দিনগুলি আজ নেই তারমধ্যে থাকা অনেক বন্ধুগুলি আজ নেই কিন্তুু সেই দিনগুলির সৃতি আজও মনে ভাসে।
..................সমাপ্ত...................................
ভুল ক্রটি নাই থাকলেও আপনি নিয়ে নিবেন ঠিক আছে? আর পুরো গল্পের সবগুলো সত্যে কোন কাল্পনিক কথা যোগ করা হয়নি।আরও অনেক ঘটনা রয়ে গেল।আমি লিখতে চাচ্ছি কিন্তুু আমার হাতটা তীব্রভাবে বিরোধীতা শুরু করেছে তাই পারলাম না। আরেকটা কথা জেনে রাখুন, হাইস্কুলের শেষ ছয়মাস আমাদের সবাইকে হাই লেভেলের এন্টিবায়োটিক খেতে হয়েছিল কয়েকজন স্যারের জন্যে।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
M.H.H.RONI
Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেSusMitA
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেM.H.H.RONI
Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেThe mysterious Island
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেFarhan Hossain
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেM.H.H.RONI
Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেRubaiya Islam
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেরামিশা নূর রাওহা
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেPuspita
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেFarhan…
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেM.H.H.RONI
Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেইশিকা ইশু
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেFahMiDa SulTaNa (OboNti )
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেFahMiDa SulTaNa (OboNti )
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেFahMiDa SulTaNa (OboNti )
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেFahMiDa SulTaNa (OboNti )
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেFahMiDa SulTaNa (OboNti )
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেFahMiDa SulTaNa (OboNti )
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেমোহাম্মদ মফিজুল হোসেন
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেমোহাম্মদ মফিজুল হোসেন
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেMk mahammud
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে★★Samir★★
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেSHUVO SUTRADHAR
Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে