বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
ইংরেজ লেখক সাইলাস কে. হকিং। তাঁর অনবদ্য কালজয়ী উপন্যাস হার বেনি।এটিকে সরল বাংলায় অনুবাদ করেছেন অনুবাদক ইফতেখার অামিন। দুজন হতদরিদ্র শিশু বেনি বেটস ও নেলি বেটস। তারা দুই ভাইবোন। সংসারে সৎমায়ের নেতিবাচক দৃষ্টিভাঙ্গির কারণে তাদের বাবাও বেনি ও নেলিকে দু’চোখে দেখতে পারে না । এটুকুন বয়সে প্রচন্ড শীতে, বলা যায় বরফ পড়া রাস্তায় দিয়াশলাই বিক্রি করে তাদের খাবার জোগাতে হয়। প্রতিদিন খাবার বাবদ ৬ পেন্স তাদের বাবার হাতে তুলে দিতে হয়। তারপরও তাদের খাবার জোটে না ঠিকমতো । কারণে-অকারণে মার- ধর তো অাছেই। বাবা ও মায়ের নির্মম অত্যাচারে বাড়ি ছেড়ে পালায় দু’ভাইবোন। পৃথিবীতে সৎভাবে বেঁচে থাকার কঠিন লড়াইয়ে নেমে পড়ে তারা। বোন নেলি দিয়াশলাই বিক্রির সময় এক পাগলা কুকুরের তারা খেয়ে দিকভ্রান্ত হয়ে বড় রাস্তায় গিয়ে পড়ে। আর অমনি এক বাস তাকে চাপা দেয়। সেই যে নেলি অসুস্থ হলো, আর বিছানা থেকে উঠল পারল না সে। একদিন প্রিয় ছোট বোনকেটিকেও হারিয়ে ফেলল বেনি। এতে প্রচন্ড ভাবে ভেঙে পড়ল বেনি বেটস। পায়ের তলার মাটিটাই যেন সরে গেল তার। এই অসহায় ও নির্মম সময়ে অবলম্বন হিসেবে পরিচয় হয় লিভারপুলের নামকরা ধনী ব্যবসায়ী মি.লরেনসের মেয়ে ইভা লরেনসের সঙ্গে। সে তার বাবাকে বলে বাবার অফিসেই আর্দালির চাকরি পাইয়ে দেয় বেনির। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত চুরির অপবাদে বিনা দোষে তাকে পুলিশে দেহওয়া হয়।অবশ্য প্রমাণও হয় সে এই চুরির সঙ্গে জড়িত নয়। কিন্তু তীব্র অভিমানে বেনি তার প্রিয় শহর লিভারপুল ছেড়ে সৎ ভাবে জীবনযাপনের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় নতুন ঠিকানায়। প্রায় মরণাপন্ন অবস্থায় অাশ্রয় পেয়ে যায় বেনি। অার সেখান থেকেই তার নতুন উথান শরু হয়। অাবার ফিরে আসে নিজ শহর লিভারপুলেই।তখন সে আর বেনি নয়। অবস্থাপন্ন এক বেনি বেটস।
বুক সাইজের ১৬০ পৃষ্ঠার গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে পান্জেরী পাবলেকিশন্স লি.।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now