বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং দিকে রওনা দেওয়ার সময় থেকেই পাহাড় গুলো দেখা যাচ্ছিল। যেন পাহাড় গুলো আমাদের ডাকছে। পাহাড় গুলোর উপরেই দার্জিলিং। অনেক উপরে। নিচ থেকে যে পাহাড়টি দেখি, ঐ পাহাড়টির চূঁড়ায় উঠলে নতুন পাহাড়ের চূঁড়া দেখা যায়। তারপর ঐটার উপর ও উঠি, তারপর আরেকটা চূঁড়া।এভাবেই উপরের দিকে উঠতে থাকি। শিলিগুড়ি থেকে আঁকাবাকা পাহাড়ি রাস্তায় চলতে থাকে বাসটি।
পাহাড়ি রাস্তা গুলোর মোড় গুলো কেমন ভয়ঙ্কর। পাশে তাকালেই পাহাড়ের পাদদেশ। কোন ভাবে পড়লে নিজেকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। কেউ মনে হয় খুঁজতেও আসবে না।
শিলিগুড়ি থেকে আট ঘন্টার দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে আমরা দার্জিলিং এসে পৌঁছায়। এখন রাত সোয়া আটটার মতো। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভীড় কমেছে। তবে দার্জিলিং কে যেন এক মায়াবতী রূপসী মনে হচ্ছে। আমাদের জন্য একটি হোটেল বরাদ্দ করা হয়েছিল আগে থেকেই। এর সমস্ত কিছুই ঠিক করে রেখেছিল আমাদের সাইমন জাফরি ভাইয়া।
সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে এলাম। তাহিরা হোটেলের সব কিছুর দিক নির্দেশনা দিচ্ছে। আমরা রুমে চলে যাই সবাই। হাউস কিপিং এসে বলে গেল যে কোন সমস্যা হলে তাকে যেন আমরা ডাকি।
দার্জিলিং বিশেষত একটা ঠান্ডা জায়গা। এখানে সবাই আঁচ করতে পারল। শীতে সবাই জড়োসড়ো হয়ে আছে।
হৃদয় রুমে ডুকেই বাথরুমে চলে গেল। হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিবে সে।
হৃদয়ঃ ও আল্লাগে আমি শেষ! কি ঠান্ডা পানি গো আল্লাহ!
রনিঃ হৃদয় ভাই কি হয়েছে আপনার?
হৃদয়ঃ রনি ভাই পানি যে বরফের মতো ঠান্ডা তা জানা ছিল না।
আমিঃ Don’t worry, হৃদয়। এখানে গরম পানিরও ব্যবস্থা আছে। পাশের ঐ বাটন চেপে গরম পানির ট্যাপ অন করে দাও। ব্যাস, গরম পানি হাজির।
হৃদয়ঃ ধন্যবাদ আনিছ ভাই। না হলে তো জমেই যেতাম।
দার্জিলিং এ প্রচুর ঠান্ডা হয়। কখনো কখনো তুষারপাতও হয়। কেউ বাইরে যেতে চাইলে গরম কাপড় সাথে রাখতে হবে।
রনিঃ ভাই হোটেলে থাকতে ইচ্ছে করছে না। চলুন না একটু ঘুরে আসি কাছাকাছি কোথাও থেকে।
আমিঃ এখন না বের হওয়ায় উত্তম। আমরা দীর্ঘ একটা জার্নি করে এসেছি, আমাদের উচিত রেস্ট করা। চলো বারান্দায় বসে সময় কাটাই।
হৃদয়ঃ আনিছ ভাই যা বলছে ঠিকই। রনি চলো ফ্রি ফায়ার খেলি।
শুরু হলো আমাদের যুদ্ধ। শুধু গোলাগুলির শব্দ। প্রায় ঘন্টা তিনেক পর পরিবেশ শান্ত হলো। আসলে ফ্রি ফায়ার গেইম বের হলাম তাই!!!
হায় রে একি হলো!! যুদ্ধ জয়ের পর প্রিয়তমার মুখ ভেসে উঠল। কি আর করব? যুদ্ধ জয়ের পর প্রেমিক পুরুষ আরো উত্তাল নায়ক হয়ে গেলাম আমরা তিন। আমি, মফি ও ইমরান।
চলবে....
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now