বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
অণুর যেদিন জন্ম হয় সেদিন ওদের বাড়ির টগর ফুল গাছটা ফুলে ফুলে সাদা হয়ে গিয়েছিল।অণুর বড় বোন তণু তো পাশের বাড়ির কাকিমাদের বলল, জান তো কাকিমা অণু আসায় আমাদের গাছটা এত্ত খুশি হয়েছে যে একদম সাদা হয়ে গেছে।
তণু অণুর চেয়ে সাত বছরের বড়।একদিন তণু মাঠে খেলার সময় দেখলো মাঠের পাশে কি যেন একটা গাছ চকচক করছে।সে শিকরসহ তুলে নিয়ে এলো বাড়িতে।পুতে দিল উঠোনের পাশে।তারপর থেকে গাছটির সে কি যত্ন! সকালে-বিকেলে পানি দেওয়া, আগাছা পরিস্কার সব তণু নিজ হাতে করতো।দেখতে দেখতে গাছটিও বড় হয়ে উঠলো।গাছে ফুল ফুটলো।কত রঙের প্রজাপতি এলো!তণু তো প্রচন্ড খুশি হলো।তার বাড়ির সকলেও গাছটাকে খুব যত্ন করতো।
এখন তণু বড় হয়ে গেছে।তবে গাছটির প্রতি তার যত্ন একটুও কমে নি।এখনো সে নিয়ম করে গাছে পানি দেয়।একদিন অণু ভুল করে একটা ফুল ছিড়ল।তণুও প্রচন্ড রেগে অণুকে বকা দিল।পরে অবশ্য অণু নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইল।তণুও ক্ষমা করে দিল।
এভাবেই ওদের দিন কাটতে লাগলো।
তণু পড়ালেখার জন্য বাইরে চলে গেল।অণু গাছটার যত্ন শুরু করলো।তার কিছুদিন পরই তাদের পরিবারের জন্য সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা ঘটলো।
একদিন তণু কলেজ থেকে ফেরার পথে একটি জনমানবশূন্য স্থানে কিছু লুটেরা তণুর কাছ থেকে টাকা-পয়সা কেড়ে নিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করলো।বোনের শোকে অণুও অসুস্থ হয়ে পড়লো।তার পরিবার পুলিশের সাহায্যেও লুটেরাদের কোনো হদিস পেলো না।তারা সকলে তণুর স্মৃতিযুক্ত বাড়িতে আর থাকতে না পেরে অন্যত্র চলে গেল।টগর গাছটিও একা হয়ে পড়লো।
অনেকদিন কেটে গেল।একদিন সন্ধ্যার সময় নিনিত নামের একটি সাহসী ছেলে সেই টগর গাছটির পাশ দিয়ে যাচ্ছিল।উল্লেখ্য,তণুদের বাড়ি আর সেখানে ছিল না।বাড়ি ঘর সব ভাঙা হয়েছিল।তাই গাছের চারপাশটা ফাকা ছিল।
তো নিনিত যাওয়ার সময় শুনতে পেল কেউ যেন ওর নাম ধরে ডাকছে।ও এদিক-ওদিক তাকিয়ে কাউকে দেখতে না পেয়ে একটু ভয় পেলো।তারপর গাছটার দিকে তাকিয়ে দেখে গাছের কান্ডে একটা মুখের আকৃতি দেখা যাচ্ছে।আর তার দুইটা শাখা দুটো হাতের মতো দেখাচ্ছে। আকৃতিটার চোখটা যেন আগুনের লাভার মতো লাল।সাহসী হলেও এই দৃশ্য দেখে ভয় না পেয়ে পারলো না।ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করল, আমাকে ডাকলে কেনো?
গাছটি তখন কাঁদতে শুরু করলো এবং তণুর ঘটনা খুলে বললো।এবং গাছটি তাকে অনুরোধ করলো যাতে সে তণুর খুনিদের ধরিয়ে দিতে পারে।
নিনিত বললো,আমি কি করে পারবো।আমি তো আর পুলিশ নই।
---পুলিশ নও বলেই বলছি।পুলিশগুলো তো ঘুষ খেয়েছিল।তুমি যদি পুলিশস্টেশনের সি সিটিভির *****তারিখের ফুটেজ দেখে ওই পাচজন লোককে আমার কাছে এনে দিতে পারো তাহলেই হবে।
নিনিত রাজি হলো। তবে ফুটেজ আনবে কি করে??তখন ও ভাবলো লুকিয়ে সেখানে গেলেই তো হয়।ও সেখানে গেলো ও ফুটেজ দেখে লোকদের চিনে,, তাদের আ্যাড্রেস খুজে তাদের গুপ্তধনের লোভ দেখিয়ে গাছের কাছে নিয়ে এলো।তারপর গাছটি তাদেরকে শাখা দিয়ে পেচিয়ে গিলে ফেললো।তারপর গাছটি হঠাৎ পুড়ে ছাই হয়ে গেল।আর এই সব কিছু প্রত্যাক্ষ করলো সাহসী নিনিত।
আমাদের বাড়িতে একটি টগর গাছ আছে।তাই ভাবলাম এটা নিয়ে লিখি।চার্জ শেষ হওয়ায় শেষের টুকু তাড়াহুড়ো করে লিখে ফেললাম।ত্রুটি ক্ষমা করবেন।আর গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
রহস্য মানবী [Shikha]
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেফেমাস পোলা ঝাক্কাস [তুহিন]
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেShikha
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেSHUVO SUTRADHAR
Golpobuzz ৩ বছর, ১২ মাস পুর্বেShikha
User ৩ বছর, ১২ মাস পুর্বেMH2 (Mysterious Some one)
GJ Writer ৩ বছর, ১২ মাস পুর্বেShikha
User ৩ বছর, ১২ মাস পুর্বেMd.sAiM aRaFAt
User ৩ বছর, ১২ মাস পুর্বে