বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

"জঙ্গল রহস্য উদঘাটন" [৩য় পর্ব]

"রহস্য" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Md. Nurnobi (০ পয়েন্ট)

X সুমন, রাজিব ও আকাশ যে যার যার বাড়ি চলে গেল।----------------------- সুমন, রাজিব আকাশ তারা তাদের গ্রামের মানুষদের চেয়ে সম্পূর্ণ আলদা। রানার মৃত্যুর পরে সকলে ভাবছে জঙ্গলের অশরীরীই তাকে মেরেছে। শোনা যায় অনেকদিন আগে এই গ্রামে একজন মহিলা থাকতো, আর কিছু লোক তাকে ওই জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে মেরে ফেলে। গ্রামের সকলের ধারণা সেই এখন তার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিচ্ছে। যেই জঙ্গলে যাবে তাকেই মেরে ফেলবে, কেউ কেউ তো বলে ওঠে মাঝে মাঝে সাদা শাড়ি পড়া কোনো অবয়বকে দেখতে পায় তারা। অবয়বটার গায়ে সম্পুর্ণ সাদা শাড়ি, তার আচলটা মাটিতে গড়িয়ে গড়িয়ে যেতে থাকে। সকলে বলে সে ফিরে এসেছে, এখন সবাইকে মেরে ফেলবে। যেই ওই জঙ্গলে যাবে তাকেই আর ফিরতে দেবে না। পুরো গ্রাম জুড়ে একটা আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। আকাশরা গ্রামের মানুষের কথাগুলো শুধু শুনে যেতেই থাকে। তারা কিছু বলে না। এদিকে রানার মৃত্যুর পর কেউ আর মাঠে ক্রিকেট খেলে না। জঙ্গলের পাশে কেউ আর আর ভুল করেও যেতে চায় না। আকাশ, সুমন ও রাজিব এখন প্রতিদিন এসে খেলার মাঠটার একপাশে বসে থাকে। পুরো মাঠ এখন নির্জন, আশেপাশে কেউ নেই বা থাকে না। আকাশরা এতক্ষণ মাঠে বসে বসে ভাবছিল জঙ্গলটার রহস্য কি! রাজিব বলে উঠল, "চল এখন বাসায় যাই" আকাশ বলল চল। তারা তিনজনে হাটতে লাগল। তখন ডাক্তার বাবুর সাথে দেখা। ডাক্তার বাবু তাদেরকে দেখে বললেন, "এই সুমন এদিকে আয় তো! তোর বন্ধুদেরও নিয়ে আয়। তোদের সাথে কিছু কথা আছে।" "জ্বি বলুন কাকা" সুমন বলল। ডাক্তার বাবুর সাথে সুমনের একটা ভালো সম্পর্ক তাই সে কাকা ডাকে। ডাক্তার বাবুঃ আচ্ছা তোমরাও কি বিশ্বাস করো যে রানাকে কোনো অশরীরী মেরেছে? আকাশ বললঃ কখনো না। অশরীরী বলে কিছু হয় না। রানাকে কোনো অশরীরী মারতে পারে না। রাজিব বললঃ ডাক্তার বাবু আপনি কি কিছি জানতে পেরেছেন?" ডাক্তার বাবুঃ হুম তাই জন্যই তো তোমাদের দাড় করালাম। আকাশ বললঃ রানার মৃত্যুর কারণ কি ডাক্তার বাবু? ডাক্তার বাবুঃ রানার মৃত্যু না হয়েছে কোনো অশরীরীর কারণে, না হয়েছে কোনো জন্তু জানোয়ারের কারণে। তার মৃত্যু হয়েছে মারাত্মক ধরণের বৈদ্যুতিক শকের কারণে। আকাশঃ মানে! এটা কি বলছেন? ডাক্তার বাবুঃ হুম মানতে না পারলেও এটাই সত্যি। ভাবছো জঙ্গলে বিদ্যুৎ আসবে কোথা থেকে! জঙ্গলে বিদ্যুতের অস্তিত্ব থাকাও অসম্ভব। কিন্তু আমি শতভাগ নিশ্চিত যে রানার মৃত্যু বৈদ্যুতিক শকের করণেই হয়েছে। সুমনঃ জঙ্গলের ওপর দিয়েও তো বিদ্যুতের সংযোগ নেওয়া অসম্ভব। তাহলে বিদ্যুৎ আসবে কোথা থেকে? রাজিবঃ মাটির নিচ দিয়ে কি কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ গেছে? ডাক্তার বাবুঃ না এটাও সম্ভব না। এই গ্রামে মাটির নিচ দিয়েও বিদ্যুৎ নেওয়া হয়নি। আকাশঃ তাহলে কিভাবে কি সম্ভব? আকাশ, সুমন, রাজিব ও ডাক্তার বাবু সবাই নিস্তব্ধ হয়ে বসে আছে ওখানে। কেউ ভেবে পাচ্ছে না যে এটা কিভাবে সম্ভব। যেখানে গ্রামেই বিদ্যুৎ আসে খুব স্বল্প পরিমানে, সেখানে কিনা জঙ্গলে কারো মৃত্যু হয় অতি মাত্রায় বৈদ্যুতিক শকের কারণে। এদিকে সন্ধ্যে হয়ে এল তাদের কারোরই খবর নেই। গ্রামের মোড়ল মশায়ের চ্যালাটা এসে দেখে ডাক্তার বাবুরা এখানে জটলা হয়ে বসে আছে। দেখেই চিৎকার শুরু করলো, তোমরা এখনো এখানে বসে আছো? মোড়ল বাবু রাতে বাইরো বেরোতে মানা করেছে জানো না! ডাক্তার বাবু বললেন, "ও আচ্ছা আমরা চলে যাচ্ছি" এই বলে চরজনেই হাটা শুরু করল। সকলে নিজ বাসায় চলে গেল। গ্রামের সবাই যখন গভীর ঘুমে মগ্ন আকাশ মন তখন গভীর চিন্তায় মগ্ন। সে ভাবতে থাকে রহস্যটা কি এই জঙ্গলের? সকাল বেলা, গ্রামে আরেকটা খবর ছড়িয়ে পড়লো-------------------- (চলবে ইনশাআল্লাহ)


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৬১৭ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now