বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

বউয়ের রোমান্টিক অত্যাচার পর্ব ২

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান M A Kadir Efthe (০ পয়েন্ট)

X পর্ব-০২ সকাল বাজে প্রায় ১০টা কিন্তু রিহান লিজা এখনও ঘুমাচ্ছে সারারাত ঝগড়া করে সকাল বেলা দুজন ঘুমাচ্ছে মানে ফজরের নামাজ পড়ে! রিহানের বোন মিলি দরজায় গিয়ে নক করল, - এই ভাইয়া সকাল ১০টা বাজে এখনো ঘুমে এই দিকে বাসায় এত মেহমান তাড়াতাড়ি উঠে এসো! মিলির কথায় লিজার ঘুম ভেঙে গেল! লিজা ঘুম থেকে উঠে উঠে দেখে আরামে ঘুমাচ্ছে রিহান, হাতে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি নিয়ে রিহানের কাছে গিয়ে মুখে ঢেলে দেয়! ঠান্ডা পানির স্পর্শে ঘুমন্ত রিহান রেগে উঠে বলে, - এই কে? - কে মানে দেখছেন না কে? - এই আপনার জ্ঞান বলতে কিছু নেই! - এমন টা কেন বলেছেন? - এই শীতে গায়ে কেউ ঠান্ডা পানি দেয়? - তাহলে কি আমি আপনার গালে চুমু দিব নাকি? যাও এখনি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাও! - প্লিজ ঘুমাতে দাও রাতে ঘুম হয়নি! - বলছি কি কান দিয়ে যাচ্ছেনা! - এত চেঁচামেচি করো কেন তোমার যদি ইচ্ছে হয় ফ্রেশ হয়ে যাও গিয়ে নাস্তা করো আমি এখন ঘুমাব! - দাড়াও আমি তোমার ঘুম বের করছি! দুজনের কথার ফাঁকে রিহানের মোবাইলে রিং আসছে! লিজা ফোন হাতে নিয়ে দেখে গতকাল রাতের সেই রুহি ফোন দিয়েছে! ফোন ধরতেই রুহি বলল, - কিরে দুস্ত বাসর কেমন হল? - বাসর খুব অত্যাচারিত ভাবে হয়েছে! - এই হঠাৎ তোর কন্ঠ চেইঞ্জ হল কিভাবে? - শুধু কন্ঠ চেইঞ্জ হয়নি মানুষ ও চেইঞ্জ হইছে! - মানে? ভাবী নাকি? - হ্যাঁ আমি সেই অত্যাচারিত ভাবী বুঝলেন! - কেমন আছেন? - এসব ফোনে জিজ্ঞাসা করে লাভ নেই সরাসরি এসে জিজ্ঞাসা করেন! এই বলে ফোনের লাইন কেটে দিয়ে লিজা বলল, - আজ থেকে মেয়েদের সাথে কথা বলা বন্ধ, ফেসবুক ইউস করা বন্ধ, আর বাকিটা পরে বলব! রিহান অসহায়দের মতো করে বলল, - এই তোমার ভিতর দয়া মায়া নেই? - না নেই ! - এমন দাজ্জাল মেয়ে জীবনে দেখিনি! - কি বললে আমি দাজ্জাল ঠিক আছে দাজ্জাল কত প্রকার ও কী কী আজ থেকে বুঝবে! - সেটা গতকাল রাতেই বুঝতে পেরেছি! - গতকাল কিছুই দেখনি! দেখবা তো সেই দিন যেদিন আমাকে নিয়ে ঢাকা চলে যাবে! - তোমাকে ঢাকা নিব কেন? - না মা বলেছিলেন বিয়ের পর নাকি বউকে নিয়েই থাকবে বাসায়! অফিসের সুবিধার জন্য! - জীবনে ও না! - বললেই হলো মা যেহেতু বলেছেন সেহেতু আমাকে নিয়েই যেতে হবে! - আচ্ছা আমি ভয় পাই নাকি তোমায় নিয়ে গেলে কি হবে? - আচ্ছা এখন ফ্রেশ হয়ে নাও সবাই অপেক্ষা করতেছে! রিহান ওয়াসরুমে ডুকে মনে মনে বলতে লাগল, - যে মেয়ে বিয়ের দিন রাত থেকে আমাকে এতটা জ্বালাচ্ছে সেই মেয়ে আমাকে সারাজীবন জ্বালাবে! না কিছু একটা ব্যাবস্থা করতে হবে আমাকে! আমি আজই রিফাতের কাছে যাব রিফাত ঠিক পারবে আমাকে আইডিয়া দিতে যে কিভাবে বউকে বস করা যায়! রিহান ফ্রেশ হয়ে গেল নাস্তার টেবিলে, রিহানের মা ফাতেমা বেগম ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলেন, - এই রিহান তোর চোখ লাল কেন? - কোথায় লাল ঘুম থেকে উঠেছি তাই মনে হয় লাল! - অন্যদিন তো ঘুম থেকে উঠার পর চোখ লাল থাকেনা তাহলে আজ কেন এমন? মনে মনে বলল রিহান, লাল তো হবেই যে দাজ্জাল বউ এনে দিয়েছো আজ চোখ লাল কিছুদিন পর দেখবে আমাকে থাপ্পড় দিতে দিতে গাল লাল করে ফেলবে। - কিরে কি ভাবসিছ? - মা কিছু পরেছে হয়তো! - ওহ! রিহানের বাবা বললেন, - রিহান বিয়েতে তো কোন অনুস্টান করিনি তাই আমি ভাবছি আগামী মাসে বড় করে অনুস্টান করব! - এসবের কি প্রয়োজন বাবা? - আজকাল এর মানুষ বলবে ছেলের বিয়েতে অনুস্টান করলেন না কেন তাহলে বিভিন্ন জবাব দিতে আমায়! তাই অনুস্টান করা প্রয়োজন। ফাতেমা বেগম লিজাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, - মা আমার ছেলে যদি কোন অন্যায় করে তুমি আমাকে বলবে ! - মা কাল রাতে আমার সাথে অনেক ঝগড়া করেছে দেখেন না এখনো কোন কথা বলেনা! - তাহলে তুমি শাস্তি দিতে পারোনা যেমন আমি ওর বাবাকে শাস্তি দেই অন্যায় করলে! রিহানের বাবা জামাল হাসান বললেন, এই তুমি ছেলেকে শাস্তি দেওয়ার কথা বলছ নাকি আমাকে ইনসাল্ড করছ? এভাবে অনেক্ষন মা, ছেলে,বাবা ঝগড়া করেই যাচ্ছে সাথে ছোট মিলি। লিজা তাদের মিষ্টি ঝগড়া দেখে হাসতে শুরু করল, আর মনে মনে ভাবতে লাগল, - এত ভাল একটা পরিবার পেয়ে আজ সত্যি আমি অনেক খুশি মা, বাবা, মিলি, রিহান সবাই খুব ভাল! সকালের নাস্তার পর্ব শেষ করে দুপুরে রান্না করার সময় চলে আসল, ফাতেমা বেগম লিজাকে ডেকে বললেন, - মা তুমি কি রান্না করতে পারো? - জ্বি মা পারি! - তাহলে আজকের দুপুরের রান্না তুমি কর দেখি কতটা রান্না জানে আমার ছেলের বউ! - আচ্ছা মা। দুপুরের রান্নার কাজ করছে লিজা, রিহান রুহিকে ফোন দিয়ে বলল, - এই দুস্ত তোর ভাবী আমাকে অনেক অত্যাচার করতেছে কি করব আইডিয়া দে। - আচ্ছা শুন তোর বউ এখন কি করে? - রান্না ঘরে রান্না করছে। - তাহলে রান্না ঘরে গিয়ে বউকে জড়িয়ে ধরে বলবি বেবী তোমাকে ছাড়া আমার ভাল লাগছেনা আর শুন রোমান্টিক ভাবে বলবি! - আচ্ছা তাহলে এখন ফোন রাখ! রুহির কথামত রান্না ঘরে গিয়ে রুহিকে জড়িয়ে ধরে বলল, - বেবী তোমাকে ছাড়া ভাল লাগেনা" - আমাকে কোন দিক থেকে বেবী মনে হয় হ্যাঁ।আমি কি বাচ্চাদের মতো পিটার খাই? - আমি সেই বেবী বলিনি। - বেবী তো বাচ্চাদের বলা হয়। আর এখানে কেন? আমি এখন রান্না করব যাও এখান থেকে! রিহান একটু রাগ হয়ে বলল, - আচ্ছা যাচ্ছি। - এই যেয়ো না একটা কাজ করে দাও। - কি কাজ? - এই আলু গুলো কেটে দাও। - আমি আলু কাটব? তুমি ভাবলে কি করে" - কি বললে আবার বলো। - না কিছুনা দাও কেটে দেই। জীবনের প্রথম বউয়ের ভয়ে রিহান আলু কাটলো। ভাবতেই অবাক লাগে আজ আলু কাটছে দু'দিন পর তো রান্না করতে হবে। এই চিন্তায় রিহান অস্থির কি হবে সামনে কতটা বিপদ আছে সামনে! চলবে____ "ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন"


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৭৩৪৮ জন


এ জাতীয় গল্প

→ বউয়ের রোমান্টিক অত্যাচার
→ বউয়ের রোমান্টিক অত্যাচার
→ রোমান্টিক বউয়ের অত্যাচার

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • M A Kadir Efthe
    User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বে
    ধন্যবাদ সবাইকে পাশে থাকার জন্য

  • Faizan Samir(the better)
    User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বে
    goodgjgjgj

  • মোহাম্মদ মফিজুল হোসেন।।
    Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বে
    হুম নাইস।।। পরবর্তী অংশ এর অপেক্ষায় রইলাম gj

  • তাবাসসুম ধ্রুবা
    User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বে
    অনুষ্ঠান বানানটা ভুল হয়েছে,,,তবে ক্ষমা করে দিলাম। গল্পটা continue করেন। সুন্দর হচ্ছে