বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
হাডসন নদীর উপর দিয়ে জাহাজে করে যারা গেছে তাদের সবারই দৃষ্টি কেড়েছে ক্যাট্সকিল পাহাড়গুলো।নদীর পশ্চিম দিকে সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে এ পাহাড়শ্রেণী।
এসব রূপকথার পাহাড়ের নিচে আছে এক গ্রাম।অনেক বছর আগে সে গ্রামে বাস করত একজন লোক;নাম তার রিপভ্যান।উইংকল পরিবারের সদস্য বলে রিপভ্যান উইংকল নামেই সবার কাছে ছিল তার পরিচয়।
গ্রামের সবাই তাকে খুব ভালোবাসত।ছেলেরা তাকে পথে দেখলেই আনন্দে চিৎকার করে উঠত।খেলাধুলার ব্যাপারে ছেলেদের খুব সাহায্য করত,তাদের খেলার জিনিস বানিয়ে দিত,ঘুড়ি ওড়ানো শেখাতো,মার্বেল খেলা শেখাত।
রিপের এই আড্ডাবাজ মনোভাব গ্রামের অলস বন্ধুরা মেনে নিলেও তার সাথে
বউ কিন্তু মেনে নিত না।নিজের কোনো দোষ খুঁজে পায় না রিপ।দোষের মধ্যে শুধু সে কখনো বিশেষ কাজ করত না।পরিশ্রম বা অধ্যবসায়ের ভয়ে কিন্তু সেই অমন করত না।কারণ প্রায়ই সে এক টুকরো ভিজে পাথরের উপর বসে থাকত।হাতে থাকত ইয়া বড় এক লাঠি।শান্তশিষ্টভাবে বসে বসে সে মাছ ধরত।কিন্তু ভুলেও কোনো মাছ তার বড়শিতে ধরা পড়ত না।সে একটা ফাঁদ কাঁধে করে উঁচু পাহাড় আর বনেবাদাড়ে ঘুরে বেড়াত কাঠবিড়ালি আর বুনো কবুতর ধরার জন্য।পাড়াপড়শির সবচেয়ে কঠিন কাজটাও সে করে দিত।ঢেঁকিতে ধান ভানতে অথবা পাথরের প্রাচীর গড়তেও সে তাদের সাহায্য করত।এককথায় রিপভ্যান উইংকল অন্যের উপকার করে দেওয়ার জন্য সবসময় রাজি থাকত।
রিপভ্যান উইংকলের ছেলেগুলো খুব বজ্জাত হয়ে উঠল।বাপের ছন্নছাড়া ভাব তাদেরকে আরও অলস হবার জন্য সাহসী করে তুলল।রিপভ্যানের তবু জ্ঞান হলো না।নিজেও সরল জীবনযাপন কামনা করে।পরিশ্রম করে রোজগারের চেয়ে উপোস থাকাই যেন শ্রেয়.........................
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...