বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
#অভিমানী♥মন
.
লেখক-ইমরান খান
.
পার্ট- ৪
.
পরের দিনঃ
আমি বসে আছি একটা খুলা জায়গায়। এই সেই স্পেশাল জায়গা যেখানে আমরা ৬ বন্ধু বসে আড্ডা দিতাম। আমরা ঠিক করে ছিলাম পড়াশুনা শেষ হলো তো আগের মতো প্রতিদিন একসাথে হতে পারবো না তাই বছরের এইদিনটা এখানে এক সাথে হবো। ৭ বছরে জায়গাটা অনেক পাল্টে গেছে। আজও ওরা আসে এখানে। কিছুদুরে দেখলাম দুইজন পুরুষ দুইজন মহিলা আর সাথে তিনটা বাচ্চা বসে আসে। আমি এগিয়ে গিলাম। কাছে যেতেই শুনতে পেলাম।
.
.
- আরে কতদিন এখানে আসবো। প্রতিবছর এইদিনটাই এখানে আসি। কিন্তু যে এসব ঠিক করে ছিল সেই নেই। ৭ বছর পেরিয়ে গেছে। কোথায় আছে কেউ জানে না। (একজন পুরুষ)
.
- ঠিক বলেছিস আকাশ,, ৭ বছর ধরে সানির কোন খোজ নেই। অভিমান তো মিশুর উপর করা ঠিক আছে। কিন্তু আমাদের উপর কেন করলো। আমরা ওর কেউ না। (অন্যজন পুরুষ)
.
- মিশু তো বেস ভালোই আছে। ও এখন বলে যদি সেইদিন ওর বাবার কথা মতো বিয়ে না করতো তাহলে সব চেয়ে বড় ভুল করতো। সানি ওকে কি দিতে পারতো। এখন ওর কাছে দামি গাড়ি,, বাড়ি সব আছে যা সানি দিতে পারতো না। (ওদের মধ্য একজন মহিলা)
.
- এই মিশু এক সময় সানিকে ছাড়া কিছু বুজতো না। আজ তার উল্ট। সবাই সার্থপর। (অন্যজন মহিলা)
.
.
ওদের কথা শুনে এটা বুজতে পারলাম ওরাই আমার বন্ধু রবিন, স্নেহা, আকাশ, নিশু।
.
-রবিন,, সানি পরিবারের কাছে জানার চেষ্টা করেছিলিস সানি কোথায়। (আকাশ)
.
- সানির নাম ওর পরিবারের কেউ শুনতে পারে না। শুনেছি ৮ বছর আগেই ওকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে ছিল। আমি আর স্নেহা গিয়েছিলাম ওর পরিবারে কাছে জানতে কিন্তু যখন জানলো আমরা সানি বন্ধু আমাদের রাড়িতে ডুকে পর্যন্ত দেয় নি। (রবিন)
.
- সানির ভাগ্য দেখ,, একসাথে সব কিছু হারালো। (নিশু)
.
- সানি তো কথা দিয়েছিল ও এখানে আসবে। কিন্তু প্রতিবছর আমরা এখানে আসি কিন্তু ও আসে না। (স্নেহা)
.
.
আমি ওদের কাছে গেলাম।
- কথা দিয়েছি তাইতো ফিরে এসেছি। (আমি)
.
ওরা সবাই আমার দিকে তাকলো।
.
- কে আপনি?? (রবিন)
.
- ভালো ভাবে দেখ বুজতে পারবি কে আমি। (আমি)
.
.
রবিন ভালোবাসে দেখল আর উঠে এসে আমাকে জাড়িয় ধরলো। ওর এই আচরন দেখে বাকি সবাই অবাক।
.
- রবিন কে ইনি?? আর এনাকে দেখে এই রকম আচরন করেছিস কেন??(আকাশ)
.
- আরে ভালোবাসে দেখ এটা সানি। (রবিন)
.
- বাদে তো রবিন আমাকে ওর চিনতে পারবে না।( আমি)
.
.
বাকি সবাই আমার কাছে এল। কিছুক্ষন দেখে আকাশ আমাকে জড়িয়ে ধরে কেদে দিল। এই কান্না হারানো বন্ধুকে ফিরে পাবার। বাকি সবারও একই অবস্থা। নিশু আগে থেকে অনেক রাগি। এসে আমাকে থাপর মারলো।
.
.
- এত গুলো বছর কোথায় ছিলিস। একটা মেয়ে ছেড়ে গিয়েছে বলে দেবদাস হয়ে যাবি। দেবদাস হওয়ার খুব ইচ্ছা। (নিশু)
.
- আরো কয়েকটা দে। একজন ছেড়ে গিয়েছে বলে আমাদের ছেড়ে চলে যেতে হবে। (স্নেহা)
.
- এত মারলো মরে যাবো। (আমি)
.
- তোকে মেরে ফেলবো। (নিশু)
.
- আকাশ বাচাঁ,, মেরে ফেলতো তো। (আমি)
.
- তোকে আমরাও মারবো। (আকাশ)
.
- তোদের জন্য ফিরে এলাম আর তোরাই মেরে ফেলবি। (আমি)
.
- এতদিন কোন প্রকার যোগাযোগ করিনি কেন??( রবিন)
.
- আসলে বিদেশে যাওয়া আগে আমার মোবাইল হারিয়ে গিয়ে ছিল। তাই যোগাযোগ করতে পারিনি। (আমি)
.
- তারমানে এতদিন তুই দেশের বাইরে ছিলিস আর আমরা তোকে দেশে খুজে তনতন করেছি। (রবিন)
.
- আচ্ছা,, এখন তো ফিরে এসেছি। আচ্ছা এই বাচ্ছা গুলো কার। (আমি)
.
- ওই ছেলেটা আমার আর স্নেহা। (রবিন)
.
- আরে বাকি দুটো আমাদের। (আকাশ)
.
- তোদের ছেলে মেয়ে গুলোতো অনেক কিউট। (বাচাগুলোকে আমার কাছে ডাকলাম। (দেখে বুজলাম বাচ্চা গুলোর বয়স বেশি নয়। একজনে ৪ হবে আর বাকি দুইজনের ৩ হবে।), আকাশ ওরা জোড়য়া??
.
- হ্যা,, এখন তুই বল তোর স্ত্রী কোথায়?? ( আকাশ)
.
- আমি বিয়ে করি নি। (আমি)
.
- কেন?? (স্নেহা)
.
- মিশুর পর কাউকে ভালোবাসতে পারিনি তাই।(আমি)
.
- ও তো বিয়ে করে সুখে আছে। আর তুই দেবদাস হয়ে ঘোরে বেড়াচ্ছিস। ওর জন্য কি তুই কোন দিন বিয়ে করবি না। (নিশু)
.
- করবো তো,, যেইদিন আবার কাউকে ভালোবাসতে পারবো। (আমি)
.
- তুই আজও বদলাস নি। (রবিন)
.
- বদলানো আমার স্বভাব নয়। (আমি)
.
- তার জন্য তো সব সময় কষ্ট পেয়ে গেলি। (আকাশ)
.
- ওইসব বাদ দে। কতদিন পরে একসাথে হলাম। আড্ডা দিবো না। (আমি)
.
.
অনেক সময় আড্ডা দিলাম। ওদের বিয়ের গল্প শুনলাম। কারন বিয়ে সময় আমি থাকতে পারিনি। অনেক সময় পর দেখলাম রাফি ফোন দিয়েছে। তাই...
.
.
- আমি আসি। (আমি)
.
- কোথায় যাবি?? (রবিন)
.
- আসলে এখানে আরো কিছুকাজের জন্য এসেছি। সেটা করতে হবে। (আমি)
.
- তুই থাকসিস কোথায়?? (আকাশ)
.
- তোদের তো বললাম আমরা ছেলে বেলার বন্ধু বাড়িতে। এখন ওর সাথে আমার গ্রামে যাবো। আর তোদের কন্টাক নাম্বার দে। আমি সেইখান থেকে এসে তোদের সাথে যোগাযোগ করবো।
.
.
ওদের নাম্বার নিয়ে চলে এলাম। ওরা আসতে দিতে চাইলো না। কিন্তু সাত বছর ধরে যে মুখ গুলো দেখিনি সেগুলো দেখতে হবে। যে গ্রামের দুলোই পা পরেনি সেখানে পা ফেলতে হবে। আমি এসে দেখলাম রাফি ওর রেডি হয়ে বসে আছে। ওদের সাথে বেরিয়ে পড়লাম টাংগাইলেরর উদেশ্য।.........
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Imran khan
User ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বেNikita
User ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বে