বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

ভেসে আসা মেঘ-২

"ফ্যান্টাসি" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান ♥Imran khan♥ (০ পয়েন্ট)

X #ভেসে_আসা_মেঘ♥ #ইমরান খান# #পর্ব_৩ , >>>♥>>> -আমি এই বিয়েতে রাজি। আপনাকে স্বামী হিসেবে কতটা মানতে পারবো জানি না, তবে আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব। উপরে কথাটা বললো অধরা। রকি বলতে লাগলো, এভাবে কখনো কারো সাথে বিয়ে হতে পারে না। সরি, আপনাকে আমি বিয়ে করতে পারবো না। আমার জীবন টা নষ্ট করতে আমি ইচ্ছুক নই। কারন আপনার মন জুড়েই রয়েছে আবির। সেখানে আমাকে আপনি চাইলেও কখনো বসাতে পারবেন না। এই বিয়ে টা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। চলি ভাল থাকবেন। রকি সেখান থেকে চলে যায়। অধরা কান্না করতে ব্যস্ত হয়ে যায়। মিনি ওকে সান্তনা দিতে থাকে। তারপর অধরাকে সাথে ওর বাসায় যায়। , মিনি বলতে লাগলো, কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না। বলার মত আমার কিছুই বাকি নেই।আবির, এটা করবে কখনো ভাবিনি। এক কাজ করা যায় ওর বাসায় গিয়ে ওর পরিবারের সাথে কথা বলে তোর বিয়ে ঠিক করে ফেলি। তোর বাসা থেকে তোর পরিবার ওর পরিবারের সাথে কথা বলুক। -কথা বলে কি করবে? যেখানে আবির আমাকে ভুলে যেতে চাইছে সেখানে আমার পরিবার কি করবে? তার সাথে বিয়ে কিভাবে হবে? -একটু ভেবে দেখ, আবির তার পরিবারের কথা শুনে হলেও তোকে বিয়ে করবে। -করবে না। কারন ও একবার যেটা বলেছে সেটাই ফাইনাল। - তবুও একবার চেষ্টা তো করে দেখা যাক। তুই থাক আমি আংকেল আর আন্টিকে গিয়ে কথা টা বলি। তারপর দেখি কি হয়। , মিনি গিয়ে অধরার বাবা-মা কে বলে, আংকেল একটা কথা ভেবে দেখবেন। অধরা অন্য কারো সাথে কখনো সংসার করতে পারবে না। কারন ওর মন জুড়ে শুধুই আবির। আপনারা একবার চেষ্টা করে দেখুন আবিরের পরিবারের সাথে কথা বলে। হয়তো একটা সমাধান পাওয়া যাবে। অধরার মা বলতে লাগলো, হুম কিন্তু আবির যদি বিয়ে করতে না চায় তখন কি হবে? ও যদি ওর পরিবারের কথা না শোনে? - একবার চেষ্টা তো করে দেখুন। এভাবে চলতে থাকলে অধরাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। ও অনেকটা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। , মিনির কথা শুনে অধরার পরিবার রাজি হলো। তারপরেরদিন আবিদের বাসায় যায় আর তার মায়ের সাথে কথা বলতে থাকে। অধরার মা বলতে লাগলো, দেখুন আবির আর অধরার মাঝে কি হয়েছে জানি না যার জন্য এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আবির। আমার মেয়ে আবিরকে ছাড়া কিছুতেই থাকতে পারবে না। ও ধীরে ধীরে অনেকটা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। ওদের বিয়ে দিলে ব্যাপারটা ঠিক হয়ে যেত। আবিরের মা বলতে লাগলো, ওদের মধ্যে কি হয়েছে সেটা আমিও জানি না। কিন্তু আবির অনেক বড় অন্যায় করেছে অধার সাথে। অধরার বাবা বলতে লাগলেন, আবির কে ডাকুন। আবির কই? - আবির বাসায় নেই। - ওহহ কল করে আসতে বলেন। হবে হয়তো বন্ধুদের সাথে। -সেটা সম্ভব নয়৷ কারন ও আমেরিকা চলে গেছে অধরার সাথে সম্পর্ক নষ্ট করার পরের দিন। - মানে? এটা কেন করলো? আমেরিকা কেন গিয়েছে? ওদের বিয়ে দিলে সব ঠিক হয়ে যেত। -বিয়ে তো অনেক দূরের কথা। বিয়ে যদি করতোই তাহলে অধরার সাথে সম্পর্ক নষ্ট করতো না। যাইহোক আপনার মেয়েকে বলবেন যেন, আমার ছেলে কে ভুলে যায়। আবির আগামী ২দিন পর বিয়ে করবে আমেরিকার এক মেয়েকে। মেয়েটার জন্ম বাংলাদেশে কিন্তু সে আমেরিকায় বাস করে। - ওহহ। তাহলে আর কি করার? কেউ ভালবাসলে যে পালিয়ে যায় সেটা আজ প্রথম দেখলাম। যাইহোক ভাল থাকবেন আপনারা, আমার মেয়েকে আমি আগামী সপ্তাহের মধ্যে কোন ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দেব। আপনার ছেলের থেকে ভাল ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দেখাবো। , অধরার বাবা-মা আবিদের বাসা থেকে চলে যায়। অধরার বাবা রকি কে অনেক অনুরোধ করে তাকে বিয়ে করার জন্য৷ - প্লিজ রকি, আমার মেয়ে কে তুমি বিয়ে কর৷ ওর অবস্থা এখন অনেক খারাপ৷ এভাবে চলতে থাকলে অধরাকে বাঁচানো যাবে না। ওর সাথে একজন কে থাকাটা খুবই জরুরী। যে ওর সাথে সারাক্ষণ থাকবে। খুব একা হয়ে গেছে আমার মেয়েটা। প্লিজ বাবা, আমার মেয়েটা কে বাঁচাও। আমি তোমার পায়ে ধরছি( রকির পা ধরে) -(অধরার বাবাকে উঠিয়ে) আরে আংকেল কি করছেন। - বাবা দয়া কর আমাকে। - আচ্ছা ঠিক আছে আংকেল। শুধু আপনার কথাতেই আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছি। পরে কোন সমস্যা হলে আপনি দেখবেন। -তুমি আমাকে বাঁচালে বাবা। চিরকৃতজ্ঞ থাকবো তোমার কাছে। , , ১সপ্তাহ পর..... খুব ধুমধাম করে রকি আর অধরার বিয়ে টা হয়ে গেল। বাসর ঘরে অধরা খাটের উপর মুখ ঢেকে বসে আছে। একটুপর রকি এসে তার পাশে বসলো আর অধরার ঘোমটা টা তুলে ফেললো। কি সুন্দর দেখাচ্ছে তাকে কিন্তু চোখ দিয়ে জল ঝড়ছে। রকি বললো, জানি আপনার মনের উপর দিয়ে অনেক বড় ঝড় বোয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কিছুই করার নেই৷ নিয়তিকে মেনে নিতেই হবে। যেহেতু আবির আপনাকে ভুলে অন্য কাউকে বিয়ে করতে পেরেছে আপনারও উচিত অন্য কারো সাথে সুখি থাকা। আমার উপর বিশ্বাস রাখতে পারেন, আবিরের মত কখনো ছেড়ে যাব না। সারাজীবন ভালবেসে যাব যদি আপনি অনুমতি দেন। অধরা রকি কে জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করতে লাগলো৷ রকি কিছু বললো না, কারন সে জানে অধরার মন এখন ভাল নেই। তার এই কান্নার মাঝেই লুকিয়ে আছে কোন স্বার্থপরের জন্য ভালবাসা। বিয়েটা যেহেতু একবার হয়ে গেছে সেহেতু অধরা ধীরে ধীরে আবিরকে ভুলে যাবে। রকি অধরাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো, আমি আমার সব ভালবাসা দিয়ে সারাজীবন তোমায় আগলে রাখবো। ভুলিয়ে দেব যে, অন্য কেউ তোমার জীবনে ছিল। জানি না কত টা পারবো, তবে চেষ্টা করব। , কয়েকদিন পর..... অধরা এখন অনেকটা স্বাভাবিক। বলতে গেলে রকির সাথে এখন অনেক ভালই আছে। রকি তাকে অনেকটা ভালবাসে। কারো সাথে সম্পর্ক ছিল রকি সেটা জেনেও তাকে এতটা ভালবাসবে সেটা অধরা ভাবেনি। তাই ধীরে ধীরে রকির প্রতি নিজের মনে ভালবাসা সৃষ্টি হতে থাকে আর আবিরের প্রতি শুধুই ঘৃণা। ভুলে যেতে থাকে যে, আবির নামে কেউ তার জীবনে ছিল। অধার পরিবার এখন অনেকটা খুশি। কারন তার মেয়েটা ভাল আছে। এর ৩মাস পর.............. রকি জানতে পারে অধরার কোলে তাদের সন্তান আসতে চলেছে। রকি আর অধরা দুজনেই অনেক খুশি। তাদের ভালবাসার ফল হিসেবে তাদের এই সন্তান। অধরা বলতে লাগলো, আমি আজ অনেক খুশি জানেন, আপনার মত একজন ভালবাসার মানুষ পেয়েছি তার সাথে এখন এই বাচ্চা পাচ্ছি। সত্যিই আমি অনেক ভাগ্যবতী। -হয়তো, তুমি যে আমায় স্বামী হিসেবে মেনে নিবে সেটা তাও আবার এত সহজে ভাবিনি। যাইহোক এখন থেকে নিজের যত্ন নেবে ঠিক মত সাথে তোমার পেটে থাকা আমার বাচ্চাকেও। ওর যেন কোন ক্ষতি না হয় মনে রাখবে। -হুম। আচ্ছা এখন যান মিষ্টি নিয়ে আসেন। আত্মীদের মিষ্টি খাওয়াতে হবে। এত বড় খুশির একটা খবর। -হুম। আমি তাহলে মিষ্টি আনতে যাই, থাকো। , , চলবে..........


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৯৬৫ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now