বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
এক
আমার পরিষ্কার, পরিছন্ন গোছালো ঘরে সব কিছু সঠিক জায়গায় থাকে। অনেক সময় দেখা যায় কাজের সময় প্রয়োজনীয় জিনিস খুজে পাওয়া যায় না। অকাজের সময় ঠিকই সেটা চোখের সামনে ছিল। কিন্তু আমার ঘরে কখনো তা হয়না। সব কিছু সুন্দর করে গুছিয়ে রাখি আমি।
আমার বয়স ৩৫ হয়েছে এ বছর। বিয়ের ১০ বছর হয়ে গেল। মনে হয় এইতো সেদিন বিয়ে হয়েছে। কিন্তু ক্যালেন্ডারের পাতা জানিয়ে দেয় ১০ বছর শেষ হয়ে গেছে।
আমার মা সবসময় আমাকে বলত,“মীম, নিজের ঘরের সব জিনিস পত্র যে অগোছালো করে রাখ। বিয়ের পর বুঝবে মজা।”
হয়তো মায়েদের কাছে ভবিষ্যৎ জেনে যাওয়ার মেশিন থাকে। বিয়ের পর সত্যি মজা বুঝে গিয়েছিলাম। কিন্তু ধীরে ধীরে জীবনের মানে শিখে গিয়েছি। প্রথমে বউ হওয়া শেখেছি। তারপর মা। আস্তে আস্তে রুটি বানানো ,ভাত, তরকারি রান্না করা শিখে গেছি। মায়ের সংসারে যখন ছিলাম তখন এগুলো তৈরী কারর কথা কল্পনাও করিনি।
সবার কথা ভাবার কৌশল শিখে গিয়েছি। আগে ভাবতাম শুধু নিজের কথা। এখন স্বামী, সন্তান, সংসার আর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবি।
অপেক্ষা করা শিখে গেছি। শত কষ্টের মধ্যেও হাসতে শিখে গেছি। অভিমানী স্বামীর অভিমান ভাঙানো শিখে গেছি। তবে একটা কৌশল শিখতে পারিনি। কষ্টে ভরা অতীত ভুলে যাওয়ার বা ভুলে থাকার কৌশল।
জীবন যেন কোলাহলপূর্ণ একটা ট্রাফিক লাইট। কখনো চলতে বলে আবার কখনো থামতে বলে। কখনো বলে তৈরী থাক , যে কোন সময় থামতে হতে পরে। আমি চলা আর থামার এই খেলা খেলতে খেলতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। ক্লান্ত ভাব দূর করতেই যেন জীবনে নতুন মোড় নিয়েছে।
মা-বাবার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করেছিলাম। আমার স্বামী রাতুল একটা বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত। অনেক দায়িত্ব। প্রচণ্ড ব্যাস্ত থাকে সারাদিন। কিন্তু জানি সে আমার যত্ন নেয়।আমার খেয়াল রাখে। এরকম সম্পর্কে এগুলোকেই হয়তো ভালোবাসা বলে।
সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সে তার কাজ নিয়ে ব্যাস্ত থাকত। কিন্ত তারপরও দিনে একবার ফোন দিয়ে জানতে চায় রিয়াদ ইংরেজীতে কত পেয়েছে ? আমি আমার ঔষধ ঠিক মতো খেয়েছি কি না ?
কিন্তু কিছুদিন আগে কিছু একটা ঘটে যায়। যার ফলে আমাদের কথা না হতো রিয়াদের পরিক্ষা নিয়ে, না হতো আমার ঔষধ নিয়ে। আমার জীবনে এমন কিছু হয়ে গিয়েছে যে আপনি ভাবতেও পারবেন না আমি কি করতে যাচ্ছি এখন।
রাতুলের অফিস আর রিয়াদের স্কুলে যাওয়ার পর আমি একটা চেয়ার বসে আছি এখন। টেবিলে উপর রাখা খাতা, কলম। আর একটা বিষের শিশি!
বাকিটা আগামিকাল.............
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Md.Mofizul Hossain
Golpobuzz ৪ বছর পুর্বেরিয়েন সরকার
Author ৪ বছর পুর্বেIshika ishu
User ৪ বছর, ৫ মাস পুর্বেRehnuma Ahmed
Golpobuzz ৪ বছর, ৫ মাস পুর্বেকাব্য চৌধুরী
User ৪ বছর, ৫ মাস পুর্বেFahmida
Golpobuzz ৪ বছর, ৫ মাস পুর্বেফারহান
User ৪ বছর, ৫ মাস পুর্বেকাব্য চৌধুরী
User ৪ বছর, ৫ মাস পুর্বে