বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
পর্বঃ ১ম
..
প্রতিরাতে ঘুমের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন মিসেস শায়লা বেগম! রাতে ঘুমানোর পূর্বে ঠিকঠাক কাপড় পরেই ঘুমান, কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে নিউড আবিস্কার করেন সাথে ধর্ষণের অালামত। বড়ই অাশ্চার্য্য ও তাজ্জব বেপার! এটা কি করে সম্ভব?
মিঃ আনোয়ার (শায়লার স্বামী) অাট বছর অাগে কার accident এ মারা গেছেন। মারা যাবার পরে ওনার সমস্ত ব্যবসা দেখাশোনা করছেন শায়লা বেগম। সকাল সন্ধ্যা অফিস, ক্লায়েন্ট, মিটিং করে প্রায় দিনই রাত ৮ টার পরে বাসায় ফিরেন! তারপরে শাওয়ার সেরে সবার সাথে টেবিলে ডিনার করেন, গল্প করেন এবং টুকটাক কাজ সেরে ১২ টার পরে ঘুমাতে যান। আর ঘুমের মধ্যেই প্রতিরাতে ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন! কিন্তু কে সে??
শায়লা বেগমের একক ভিলা বাড়িটাতে অাট জন মানুষের বাস! কাজের মেয়ে বুলবুলি বয়স ১৮, ড্রাইভার নাসির ৩৩, ২ মেয়ে আনিকা ২১, অনন্যা ১৬, শায়লা বেগম ৪২, অসুস্থ শ্বশুড়, শ্বাশুড়ি ৬৭/৬১, আর ওনাদের সেবার জন্য একজন নার্স জেসিয়া ২৬!
সম্ভাবনার তীর শুধু ড্রাইভারের দিকে যায়, কিন্তু ঐতো বাড়ির বাহিরে ঘুমায়! শায়লা বেগম মেইন দরজা লক করে চাবিটাও নিজের কাছে রাখেন, তবে কি করে ড্রাইভার দ্বারা সম্ভব??
আর পুরুষ বলতে, শুধুই শ্বশুর মশাই বাকি! কথাটা ভাবতেই লজ্জায় কেমন একটা ইতস্তত বোধ করলেন শায়লা বেগম! না, সেটা কি করে সম্ভব?? ওনার বয়স ৬৭, তাছাড়া সারা শরীরে বিভিন্ন ব্যথাতে জর্জরিত, সাথে কিডনি ফেইল! এমনকি একা চলাফেরা করতেও অক্ষম, ৬ ঘন্টা পর পর ইনজেকশন পুশ করতে হয়, থেরাপি দিতে হয়! ওনার সাথেই একজন লোক সারাক্ষণ থাকতে হয়। তাই ডক্টরের পরামর্শে নার্স জেসিয়াকে রাখা হয়েছে।
জেসিয়ার এ বাড়িতে ৩ মাস অতিবাহিত হচ্ছে। মেয়েটা যেমন স্মার্ট তেমনি দক্ষ। শুধু শ্বশুড়-শ্বাশুড়ির পরিচর্যার জন্য আনা হয়েছিলো জেসিয়াকে কিন্তু গত ১ মাস থেকে শায়লা বেগমের প্রিয় পাত্রীতে পরিণত হয়েছে।
সারাদিন অফিস করে, যখন রাতে বাসায় ফিরেন শরীরটা বড্ড ক্লান্তিতে ম্যাজ ম্যাজ করে। ঘুমানোর আগে জেসিয়ার oil message না নিলে চোখই বন্ধ হতে চাইনা! মেয়েটার হাতে যাদু আছে, এত সুন্দর করে মেসেজ দেয়! OMG...শরীরে কম্পন সৃষ্টি হয়ে যায়, মনে হয় কোন পুরুষ মানুষের ছুঁয়া পড়েছে সারা অঙে! কারণ ওর ছুঁয়াতে sexual feeling চলে আসে, তাইতো সুখের আবেশে চোখ বন্ধ হয়ে যায়, যেন স্বর্গে ভেসে বেড়াচ্ছে!!
শায়লা বেগমের শরীরের গঠন খুবই সুন্দর! এখনো যেকোন বয়সের পুরুষের নজড় কাড়তে তিনি সক্ষম! স্লিম, বয়স ৪২ হলেও দিব্যি ৩০/৩২ করে চালিয়ে দেয়া যায়। তাতে কি? শায়লাতো কোন পুরুষকে ডাকে নি! তবে কে,, কি করে,, কেমন করে করছে এমনটি?? অনেকগুলো প্রশ্ন মাথাতে জটলা পাকিয়ে আছে!!
যাহোক গত ১৫ টা দিন ধরে চলছে, কোন রাতেই মিস যাচ্ছে না! শায়লা বেগম অনেক চেষ্টা করছেন চোখ খোলা রেখে অথবা ঘুমের ভান করে, কাল পিট টাকে ধরার জন্য কিন্তু সারাদিনের পরিশ্রমে হয়ে উঠছে না। আর বিশেষ করে জেসিয়ার মেসেজের পর, শরীরটা এতই অবশ ও ভালোলাগা কাজ করে যে, কোন কিছুতেই চোখ খোলা রাখা সম্ভব না!!
আজ অফিস তেমন কাজ ছিলো না, তাই অনেক প্লানিং করলেন! যে করেই হোক আজ রাতেই একটা সুরাহা করবেন! কোন মতেই ঘুমানো যাবে না! প্রয়োজনে ঘুমের ভান করে সুয়ে থাকবেন!!
যেই কথা সেই কাজ, সন্ধ্যার পরে বাসায় ফিরলেন। শাওয়ার নিলেন। সবার সাথে ডিনার করে কিছুক্ষণ টিভি দেখলেন। তারপর দুই মেয়ে ও শ্বশুড় - শ্বাশুড়ির খুঁজ নিলেন নিত্যদিনের মত। অতপর জেসিয়ার সাথে গল্প করছেন আর মেসেজ নিচ্ছেন!
রাত ১২ টা, জেসিয়া দরজাটা আস্তে করে ভিজিয়ে দিয়ে চলে গেছে! শায়লা বেগম চোখ বন্ধ করে ঘুমের ভান ধরে পড়ে আছেন। তারপর কি দিয়ে কি হলো কিচ্ছু মনে নেই, কিন্তু যখন চোখ খুললেন নিজেকে পূর্বের ন্যায় ধর্ষণ ও উলঙ্গ আবিস্কার করলেন! অবাক হয়ে ঘড়িতে সময় দেখলেন সকাল ৫ টা!!
মাথাটা কেমন যেন ঘুরছে, এটা কি করে সম্ভব? যতই ভাবছে ততই যেন পাগল পাগল মনে হচ্ছে! যাহোক শাওয়ার সেরে রেডি হয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হলেন। সারাদিন অফিসের কাজে একদম মন বসাতে পারলেন না। ক্ষণেক্ষণে অন্যমনস্ক হয়ে যাচ্ছেন।
-- স্লামালাইকুম ম্যাম!
ম্যানেজারের সালামের শব্দে, সংবিৎ ফিরে পেলেন। একটু ইতস্তত হয়েঃ
----- ওয়ালাইকুম। আসুন রকিব সাহেব ভিতরে আসুন।
-- আপনার শরীর ঠিক আছে ম্যাম??
---- কেন বলুনতো? আমিতো দিব্যি ঠিক আছি।
বলেই একটু নড়েচড়ে বসলেন শায়লা বেগম, যেন কিছুই হয়নি এমন একটি ভাব করলেন! অবশ্য ম্যানেজারের চোখে সবই ধরা পড়লো। তাছাড়া গত কয়েকদিন থেকেই ম্যাডামের চালচলন অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। তবে কি ম্যাডাম কারো প্রেমে পড়েছেন??
-- ম্যাডাম, ৯.৩০ বাজে! প্রায় সমস্ত স্টাফ ব্রেক করেছে! অাপনি যাচ্ছেন না বিধায় আমিও wait করছি, emergency আছে কিছু??
----- ৯.৩০!!(ঘড়ির দিকে তাকিয়ে) Oh my god!!
Ok, রকিব সাহেব অাপনি যান। আমার হাতে হালকা একটু কাজ বাকি অাছে, শেষ দিয়েই বের হচ্ছি!
ম্যানেজার বের হয়ে গেলো। অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে নিলেন শায়লা বেগম। যেন গলার কাছে শ্বাস আটকে আছে! আর একটু হলেই রকিব সাহেব বুঝে ফেলতেন, কতটা ধকল যাচ্ছে ম্যাডামের উপর দিয়ে! emergency ছাড়া কখনো ৮ টার পরে অফিসে থাকেন না, কিন্তু আজ...............
রাত ১১.৩০ টা, সবাইকে good night জানিয়ে বিছানায় আসলেন শায়লা বেগম। জেসিয়া কিছুক্ষণের মধ্যেই oil বাটি নিয়ে হাজির হলেঃ
---- জেসিয়া, তুমি কখন ঘুমাও??
-- (একটু বিচলিত হয়ে) কেন ম্যাম বলুন তো??
----- না, এমনিতেই! না, মানে!! (তারপরেই ভাবলেন, জেসিয়াকে বলাটা ঠিক হবে না তাই কথা ঘুরিয়ে বললেন)! তুমি ঘুনোর আগে অবশ্যই আমার শ্বশুড় শ্বাশুড়ির রুম হয়ে ঘুমাবে!
-- জ্বী ম্যাম, আমি তাই করি!
কথা বলতে বলতেই কখন যে শায়লা বেগম ঘুমিয়ে গেলেন, টেরই পেলেন না! যখন ঘুম ভাঙলো যথারীতি পূর্বের ন্যায় রেজাল্ট। যতই প্লানিং করেন কোন কাজ হচ্ছে না। কারো কাছে share করতেও পারছে না, পাছে কে কি বলে? অবশ্য স্বামীহারা ৮ বছরের জীবনে এটা একটা টার্নিং পয়েন্টও!!
অফিসে বসে একটা ফাইল দেখছেন শায়লা বেগম। হুট করেই বমির চাপ আসে, দৌড়ে বেসিনে যান কিন্তু বমি হয় না just অক অক! আরো ২/৩ বার এমন হলো, শায়লা বেগম ভাবলেন হয়তো ডিপ্রেশন!
যাহোক এই ঘটনার ৩ দিন পর, শায়লা বেগম নিজেই নিজের মাঝে একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করলো...।।।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Sharlock Holms
User ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বেSakib Hasan
User ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বেSakib Hasan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বে