বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
বটতরুর তিথি - পর্ব ৫
~~~~~~~~~~~~~
লেখাঃ সাদ আহমেদ
খুব সুন্দর আর মিস্টি একটা কন্ঠ তিথির
ভালোই লাগলো..
বললাম হ্যা দাও খাই.. ভালোভাবে দেখলাম তিথিকে.. একটা থিপিস টাইপের কিছু পরা, জানিনা এর কি নাম. খুবই সরল মেয়েটা বলল এখানে কেন এসেছেন??
এখানে তো কেউ আসেনা. বললাম.. আমার নিরিবিলি জায়গা খুব ভালো লাগে আর এখনের পরিবেশটাও খুব সুন্দর.
তবে দোকান গুলো কেমন যেন বিষন্ন!! কালো দোকান গুলোর দিকে দেখালাম.. হঠ্যাত তিথির চোখে ভয় দেখতে পেলাম কোন একটা কারনে. বললো এখান থেকে চলে যান. এখানে আর আসবেন না. বললাম - কেন?? আমি তোমাকে বিরক্ত করছি??
হ্যা বিরক্ত করছেন..
কিন্তু এই জায়গাটা তো আমার ভালো লাগে..
একটু নরম হলো তিথি..
বলল এই ভালো লাগাতেই একদিন পস্তাবেন.
বুঝলাম না এর কি মানে..
যাই হোক গাছ তলায় বসলাম দুইজনে. গ্রামের একটা মেয়ে সাধারনত একটা ছেলের সাথে এত সহজে মিশতে পারেনা. আর এমন একটা নির্জন পরিবেশে! বুঝলাম মেয়েটা অতি মাত্রায় সরল..অনেক কথা বললাম মেয়েটার সাথে.. অনেক লাজুক মেয়েটা, ভিতুও বটে.. কিন্তু একাএকা বটগাছে আসার সাহস কোথা থেকে আসে আল্লাহ জানে..
যাই হোক এর পরে প্রায় সময়ই আমরা বটতলায় দেখা করতাম কথা বলতাম. বলাযায় গ্রামের সময়টা আমার বটতলাতেই ওর সাথে কাটতো.. ও সকাল বেলা ১১ টার পরে আসতো.. দুইটার দিকে চলে যেত আবার ৪টায় আসতো.. এর পরে মাগরিবের আজান পর্যন্ত থাকতো.. কোন এক অদ্ভুত কারনে আমিও ঠিক এই সময় বটতলায় যেয়ে পৌছাতাম.. আসলে অন্য কোন কিছুই আর ভালো লাগতোনা.. মেয়েটা জীবনেও মোবাইল দেখেনি..যখন আমার মোবাইল দেখেছিলো.. অবাক হয়ে গিয়েছিলো! অনেক কথা বলতাম..
ওর নিস্পাপ হাসি, সরলস্বভাব আমাকে বটতলায় যেতে বাধ্য করতো.
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now