বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

বটতরুর তিথি - পর্ব ১

"ভৌতিক গল্প " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান সাদ আহমেদ (০ পয়েন্ট)

X বটতরুর তিথি - পর্ব ১ ~~~~~~~~~~~~~ লেখাঃ সাদ আহমেদ প্রায় সাত বছর পরে আবার গ্রামে আসলো সাদ আই মিন আমি.. কাজের ব্যাস্ততায় আসা হয়ে ঊঠেনা আসি আসি করেও.. ভালই লাগছে! সবুজের বুকে এসে.. কি মায়া এই মাটির!! প্রথময়েই খালা বাড়ি উঠলো সাদ. বড়বাড়িয়া বাজারে নেমে খাল পার হলেই খালাদের বাড়ি.. খুব পছন্দের যায়গা এটা সাদের. ছোট বেলে এখানেই বেশির ভাগ সময় মাছ ধরে কাটতো সময় যখনই গ্রামে আসতো. এখন ব্রিজ হয়ে গেছে খালে আগে এখানে বাশের চার. মানে সাকো ছিলো.. কত স্মৃতি এখানে.. যাইহোক দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পরেই হঠ্যাত দুলাভাই হাজির (খালাতো বোন) তার ভটভটি নিয়ে.. একটা কাজে এসেছিলো, এখানে একটু টু মেরে যাচ্ছিলো আরকি.. বললো তাদের বাড়ি যেতে.. অনেক দিন যাইনা.. ভাবলাম যাওয়া যায়. বেড়াতেই যখন এসেছি.. বিকেল বেলা খালাতো ভাই আশিক এর মোটর বাইকে করে রওনা দিলাম দুলাভাই এর বাড়ি.. খুব বেশি দূরে নয় অবশ্য.. আধাঘন্টা লাগে.. গ্রামটার নাম হিজলতলী.. খুব সুন্দর এলাকা.. আগে একবার এসেছিলো.. সেবার অনেক মাছ ধরেছিলাম অন্য একজনের পুকুরে... অনেক বদনাম হয়েছিলো অবশ্য সে কারনে সেবার.. বিকেল থাকতে থাকতেই পৌছালাম আমরা.. আশিকের কাজ আছে তাই দেখা করেই চলে গেলো.. আমি গেলাম বাড়ির ভিতরে.. বাড়িটার অবস্থান কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে. আরো আধুনিক হয়েছে বাড়িটা.. বুঝলাম জায়গা জমি ভাগ হয়ে গেছে.. বোন আর ভাগ্নাদের সাথে কথা বলে বের হোলাম আবার রাস্তায় বাড়ির সামনে রাস্তা রাস্তার ওপারে সরু একটা রাস্তার মত. খেতের পাশের আইল বলা চলে. নারকেল গাছের সারি এর পাশ দিয়ে রাস্তা এই রাস্তা দিয়ে হেটে সোজা পরের গ্রামে যাওয়া যায়.. মাঝে মাছের ঘের, বিল এলাকা, ছোট দুইটা খাল, জংল পারি দিতে হয়.. আগের বার এসে গিয়েছিলাম কিছু দূর.. খুব সুন্দর একটা প্লেস আছে অইখানে. সরিষার খেত.. এত সুন্দর ঝিরিঝিরি বাতাস.. ইচ্ছে হয় সারাজীবন থেকেই যাই.. যাই হোক যায়গাটা আমাকে অনেক টানে, তাই ভাবলাম যাই দেখে আসি.. তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি এখানে শুধু রাস্তার শুরুতে একটা নতুন বাড়ি হয়েছে দেখলাম.. প্রায় পাচমিনিট ঘের এর পাশ দিয়ে হাটার পরে প্রথম খালটার কাছে এসে পৌছালাম, এখান টা অনেক জংলা.. আর খালের পানি নিকষ কালো, পচা. কচুড়িপানাও অনেক বড় বড়.. বিচ্ছিরি লাগে দেখতে. খাল পার হলেই একটু ফাকা যায়গা আর পাশেই শর্ষে খেত খুব সুন্দর বাতাস এখানে.. বা দিকে বিলের মত বিশাল ফাকা যায়গা কিছু স্থানে পানি আছে কিছু যায়গায় নেই.. গতবার বিলের অই মাথায় মাছ ধরেছিলাম.. ভাবলাম আরো সামনে যাই.. আরো অনেকক্ষন হাটলাম. যায়গাটা নির্জন.. চাষের জমি এত ভিতরে নেই, কিছু ঘের আছে দেখলাম আরো কিছুদুর হাটলে আরেকটা চার পরবে এবং চারের আগেই একটা বড় বট গাছে. মনে আছে গতবারও এসেছিলাম.. বাবা কোথায় যাও?? বাবা ডাকে চিন্তাভগ্ন হলো আমার.. দেখি এক চাচা সম্ভবত ঘের দেখতে এসেছিলেন.. বললাম চাচা সামনে যাচ্ছি বটগাছের কাছে একটু বসবো.. চাচা একটু অবাক হলেন বলে মনে হলো আমার.. দেখো বাবা নতুন তুমি এই এলাকায়?? হ্যা নতুনই বলতে পারেন আগে একবার এসেছিলাম.. দেখো বাবা সামনে যেওনা. অই বটগাছের কাছে যেওয়া. যায়গাটা ভালোনা.. বলে দম নিলেন চাচা..


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৯৫১ জন


এ জাতীয় গল্প

→ বটতরুর তিথি - পর্ব ৬
→ বটতরুর তিথি - পর্ব ৫
→ বটতরুর তিথি - পর্ব ৪
→ বটতরুর তিথি - পর্ব ৩
→ বটতরুর তিথি - পর্ব ২
→ বটতরুর তিথি

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now