বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

রুপকথা(না)

"রূপকথা " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Nowshin (০ পয়েন্ট)

X রুপকথা(না) নীলিমা সুলতানা চট্টলানগরের রাজা তার একমাত্র পুত্র ডালিমকুমারের বিদ্যাশিক্ষার ব্যাপারে ছিলেন সচেতন। রাজকুমার যাতে রাজ্যে থেকে বিলাসে গা ডুবিয়ে শিক্ষা-দীক্ষায় ফাঁকি না দেয় তাই তিনি কিশোর বয়েসেই তাকে পাঠিয়ে দিলেন সাত সমুদ্দুর তের নদী পার করে সেই কোন মার্কিন রাজ্যে।সেখানে রাজকুমার পড়তে পড়তে এবং শিখতে শিখতে বেশ কয় বছর কাটিয়ে দিলো। সে রাজ্যে সোনালী চুল আর নীল চোখের কাঠকুড়ানী, ঘুঁটেকুড়ানী, রাজকুমারীদের অভাব ছিলো না মোটেও, তবু ডালিমকুমারের মন টানতে পারে নি তারা কেউ। সে মনে মনে খুঁজতো সাত সাগর পারের শ্যামলা বরণ, কাজল কালো চোখের কোন মেয়েকে, তবে এমন কেউ তো চোখে পড়ে না।হঠাৎ মুখবইয়ে একদিন চোখ পড়ে গেল চট্টলানগরের পাশের রাজ্য উত্তরানগরের এক কন্যা অবন্তীকে, কন্যা তো নয়, সে উত্তরানগরের রাজকন্যাই। এই মুখই কি এতোদিন স্বপ্নে দেখতো ডালিমকুমার! কন্যা একটু অহংকারী, তা না হলে বোধহয় মানাতো ও না। তবু দূরভাষে আলাপ হয়ে যায় দুজনের। বিদ্যাশিক্ষা, যুদ্ধ শিক্ষা ততোদিনে শেষ ডালিমকুমারের। এবারে দেশে ফেরার পালা, সরাসরি রাজ্যে না ফিরে ডালিমকুমার চলে গেলো উত্তরানগরে, রাজকন্যা অবন্তীর খোঁজে। কোটালপুত্র, মন্ত্রীপুত্ররা ছিলো না কেউ, তার জায়গা দখল করলো গুগল ম্যাপ আর স্মার্টফোন। দেখা হলো দুজনার। ডালিমকুমার অবশ্য তার পরিচয় দেয় নি, বলেছিলো সে চট্টলানগরীর এক কাঠুরের ছেলে, ভালোবাসাটা সত্যি কিনা যাচাই করার ইচ্ছে ছিলো বোধহয়। কিন্তু একি অবন্তীকে তো আচ্ছন্ন করে রেখেছে এক দৈত্য। ড্রাগ্রসের নেশায় নেশাগ্রস্থ অবন্তী হাসে না, কাঁদে না, খায় না, কিছু না। ডালিমকুমারের কাছে সোনার কাঠি, রুপোর কাঠি না থাকলেও ভালোবাসা ছিলো মনে। তাই দিয়ে ধীরে ধীরে সে রাজকন্যাকে দৈত্যের কাছ থেকে কেড়ে আনলো তো বটে, কিন্তু অবন্তীর বাবা কাঁটা হয়ে দাঁড়ালেন, রাজকন্যাকে তিনি বিয়ে দেবেন তার বন্ধু রাজ্য বনানীপুরের রাজপুত্র হালুমকুমারের সাথে, রাজকন্যাকে রাজা গৃহবন্দী করে রাখলেন, জোর করেই বিয়ে দেবেন বলে। তারপর রাজপ্রসাদের প্রহরীর চোখ এড়িয়ে ডালিমকুমার পৌছে গেলো অবন্তীর ঘরের জানালার পাশে সে গল্প আর বিস্তারিত লিখছি না, সেখানে ওড়না ঝুলিয়ে দোতলা থেকে পালিয়ে নামলো অবন্তী। এ যুগের পঙ্খীরাজ, স্পোর্টস মোটরসাইকেলে চেপে দুজনে পাড়ি জমালো চট্টলানগরে। ডালিমকুমারের বুড়ো বাপ মা এতোদিন পরে ডালিমকুমারকে পেয়ে মহা খুশী। সাথে যে একটা টুকটুকে বউও নিয়ে এসেছে ছেলে। তারপর মহা ধুমধাম করে বিয়ে, সাতদিন ধরে কাঙ্গালীভোজ হলো। রাজ্যের ভারও রাজা সঁপে দিলেন ডালিমকুমারের হাতে। উত্তরানগরের রাজা, অবন্তীর বাবাকেও খবর দেয়া হলো, তিনিও বিয়ে মেনে মনপ্রাণে আর্শীবাদ করলেন ডালিম আর অবন্তীকে। হালুমকুমারের কি হলো তা আর জানা গেলো না। তারপর? তারপর রাজকন্যা আর রাজপুত্র, অবন্তী আর আর ডালিম সুখে-শান্তিতে বাস করতে লাগলো, আর নটে গাছটিও মুড়োলো।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৭৮৭ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now