বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

অভিযান

"রূপকথা " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান ″BABU″♦ (০ পয়েন্ট)

X RS Shakil Azad (Writter) আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে একটি অনলাইন সংগঠন তৈরী করলাম । আমাদের সংগঠনে খুব কম সময়ে অনেক মেম্বারস পাই । এসব মেম্বারসদের মধ্যে অনেকেই হ্যাকার , স্প্যামার ও অনলাইনের দক্ষ ইউজার ও আমাদের সাহায্য প্রত্যাশী । আমাদের কাজ ছিল দেশীয়ভাবে অনলাইনকে ঝুঁকিমুক্ত রাখা , অনলাইনের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের একতাবদ্ধ করা , আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সবার সামনে তুলে ধরা এবং আমাদের প্রতিপক্ষ অশুভ শক্তিকে প্রচন্ড আঘাত করে আমাদের উদ্দেশ্যকে কয়েকধাপ এগিয়ে নেয়া । কিন্তু আমাদের নৈতিক কার্যকলাপগুলো সমাজ ও রাষ্ট্রে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে দমন করা হতো , যেসব বখাটে ছেলে-মেয়েরা আমাদের মাঠে বের হতেই দিত না তাদের প্রতি আমাদের প্রচন্ড ক্ষোভ ছিল । একটি কথা বলতে ভুলে গেছি তা হলোঃ আমাদের সংগঠনটি ছিল নারীবাদী সংগঠন , এবং এটি প্রথমে আমরা অনলাইনে নয় বাস্তবেই করি । আর এই সংগঠনের উদ্দেশ্যই ছিল বখাটেদের হিংস্র থাবা থেকে আমাদের মা-বোনদের রক্ষা করা । আর এই কাজে শুরু থেকেই পাকাপোক্তভাবে সংগঠিত না হয়ে কাজে নেমে পড়ার কারণে বখাটেরা আমাদের ক্ষুদ্র শক্তিকে প্রায় পঙ্গু করে দিতে সক্ষম হয়েছিল । আমরা মাঠপর্যায়ে কোনোকিছুই করতে পারতাম না । আমাদের দলের অনেক নেতা-কর্মীর মনোবল প্রায় ভেঙ্গে যায় । কিন্তু আমি তাদের নানাভাবে বুঝিয়ে কাজ করাতাম । একমাত্র মা , বোন , দেশমাতৃকা এই তিনটি শব্দের টানে কর্মীরা কাজ করতে বাধ্য হয় । এই দুঃসময়েও একসাথে সংগঠনের দুই-তিনজন কর্মী কথা বললেই আমাদের উপর অতর্কিত হামলা ও মিথ্যে মামলা দেয়া হতো! একসময় আমরা খুব অসহায় হয়ে পড়ি । ঠিক এমন সময়ে আমার শুভাকাঙ্খী , আমার বড় বোন রিহা আপু আমাদের পাশে দাড়ালেন অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে । তিনি আমাদের দলকে প্রসারিত করার জন্য অনেক পরামর্শ দিতেন । বলাবাহুল্য যে , সেসময় রিহা আপুর নির্দেশ মতোই সংগঠন চলত । রিহা আপু আমাকে একটি অনলাইন প্লাটফর্ম তৈরী করে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করতে পরামর্শ দিলেন কারণ তখন অনলাইনে কাজ করা ছাড়া আমাদের কোনো পথই ছিল না । আর হ্যা , আমাদের দলের নাম ছিল , Bangladesh Pilot Lamp Party (BPLP) । আমি রিহা আপুর নির্দেশ অনুযায়ী একটি অনলাইন প্লাটফর্ম তৈরী করলাম আর রিহা আপু আমাদের দলের সাথে মিল রেখে তার নাম দিলেন Bangladesh Pilot Lamp Virtual Party (BPLP) । আমরা একদিকে এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করে নুয়ে পড়া কর্মীদের জাগ্রত করি , সারাদেশে তাদের সংগঠিত করি আর অন্যদিকে আমার দলের হ্যাকার , স্প্যামাররা অনলাইনে বখাটেদের প্রায় সকল‌ আইডি নষ্ট করে দেয় । তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে দেয় । তাতে অনলাইনে হ্যারেজমেন্ট থেকে একটু হলেও আমার মা-বোনেরা লাভবান হচ্ছে সেটাই শুধু ভাবছিলাম । শেষ পর্যন্ত সেই প্লার্টফর্ম ছাড়াও বিভাগীয় পর্যায় , জেলা পর্যায়ে নিয়ে যায় । তাতে আমাদের দলকে খুবই শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলি । আর শেষ পর্যন্ত আমরা এতটাই শক্তিশালী ও সফল হই যে মাঠপর্যায়েও আমরা কাজ করতে সক্ষম হয়ে উঠি । আর এই সূচনালগ্নে আমি রিহা আপুর কাছে গিয়ে আবারো পরামর্শ নিয়ে কেন্দ্রীয় , বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে পুনরায় নির্বাচিত কমিটি গঠন করে দিই । আর এতে আমি দলের রংপুর বিভাগ , রিহা আপু চট্টগ্রাম বিভাগ , জেরিন আপু ঢাকা , মাহমুদ ভাই রাজশাহী , হাফসা আপু বরিশাল , বিপ্লব ভাই কুমিল্লা ও আসাদ ভাইকে সিলেট বিভাগে সভাপতি পদে নিয়োগ করি । সাথে সাথে রিহা আপুকে দলের সভাপতি ও আমি পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকি । পর্যবেক্ষকের হাতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা ন্যস্ত ছিল । এসব কমিটি গঠনের পর মাঠপর্যায়ে নেতাকর্মীদের নামায় জেলা ও বিভাগীয় সর্বোচ্চ পদের নেতারা । এই নিঃস্বার্থ সংগঠনে আমরা যেসব কাজ করতাম তা হলোঃ ০১। প্রতিটি গ্রাম-মহল্লাসহ প্রায় সবজায়গায় দলের নেতৃত্বে চেকপয়েন্ট বসিয়ে মাদক সেবনকারীদের ধরা ০২। মেয়েদের উত্তক্ত করা বখাটেদের নিজস্ব আদালতে এনে প্রথমে সাবধান ও পরবর্তীতে কঠোর শাস্তি দেয়া ০৩। মেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষায় সর্বাত্মক সহযোগিতা ০৪। মেয়েদের সকল সমস্যার সমাধানে অর্থ ও শক্তি দিয়ে সাহায্য করা ইত্যাদি ইত্যাদি । পুরোদেশে আমাদের এসব কার্যকলাপে সরকারের মাথায় ব্যথা বাড়ে । আমরা তাদের বোঝাচ্ছিলাম আমরা যা করছি ঠিকই করছি এবং আমাদের কার্যক্রমে কোনো শ্রেণীর মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে না , আমাদের কার্যক্রমে জনগণের সমর্থন আছে এবং আমরা কোনো ভুল করছি না। কিন্তু সরকার আমাদের কথা না শুনে সংবিধানের দোহাই দিয়ে আমাদের দমন করার চিন্তা করল । আর তখনই আমার মাথা গরম হয়ে যায় । আমি ভাবি , সংবিধান জনগণের , আমাদের কার্যকলাপে মত আছে সর্বস্তরের মানুষের অথচ আমাদের দমন করার চিন্তা!! সেসময়ে আমাদের দলের নিবন্ধন বাতিল করতে হাইকোর্টে সরকার একটা মামলা দেয় । কিন্তু আমরা সেই মামলায় জয়ী হই , তারা আপিল করলেও আমাদের পক্ষে রায় আসে । এতে আমাদের আরো সাহস হয় । আর আমরা আমাদের সংগঠনকে নতুনভাবে ৩টি ধাপে সাজাই । ধাপগুলো হলো , ১। ধর্মীয় সম্প্রীতি সম্পর্কিত ২। নারীবাদি ৩। ন্যায়বিচার , আলোর পথে কার্যকলাপের সমর্থন সম্পর্কিত । সংগঠনের প্রসারণ ও ধাপে ধাপে সাজানোর ফলে সরকার আমাদের উপর আরোও ক্ষীপ্ত হয় । বিভিন্নভাবে আমাদের দমন করতে চায় । কিন্তু দেশের জনগণের সমর্থনের কারণে তখন আমাদের কিছুই করতে পারে নি সরকার । তবুও সরকার যখন আমাদের উপর সহিংস হয় তখন আমরাও সহ্য করতে না পেরে রাজপথে নেমে আসি । রাজপথে আমাদের কর্মীদের অনেক রক্ত ঝড়ায় ও হত্যা করে নির্দয় সরকারের লোক ও পুলিশের কিছু সদস্য । কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে , পুলিশের বেশীরভাগ সদস্য ছিল আমাদের সংগঠনের , এবং আমাদের সমর্থক । তো সেসময় আমাদের জোর আন্দোলনের মুখে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আমাদের প্রতি সমর্থনের জন্য সরকার একপর্যায়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় । এবং আমরা কোনো সহিংসতা ছাড়াই কয়েকবছর পর ক্ষমতা লাভ করি বাংলাদেশের । বাংলাদেশের সংবিধানে কিছু কিছু ধারা সংযোজন-বিয়োজন করে দেশে আগের থেকে তুলনামুলকভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করি । এবং আমাদের নারীবাদী ধাপে ৫৫% ক্ষমতা খর্ব করি , ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করি । হাজারো শহীদের রক্তে লেখা সংবিধানে দেশ পরিচালনা করে BPLP-এর সরকার । আর সেই সময়ে ক্ষমতার সংকটের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানারকম অন্যায় কর্যকলাপ ঘটে । আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেগুলো শক্তহাতে দমন করে । দেশে তখন তেমন অন্যায় ছিল না । মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করছিল । এক দশক আগে যারা আমাদের কট্টরপন্থী-উগ্রবাদী বলে বিরোধীতা করত , যারা আমাদের সমালোচনা করত তারাও আমাদের প্রশংসা করে । সর্বস্তরের বাঙালি , রাজনৈতিক দলের দ্বন্দ মীমাংসিত হয়ে পুনরায় সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয় বাঙালিরা । (জানি করবে ওরা হামলা , হবে জেল মামলা / তবুও মোরা দাড়াব রুখে , ত্যাগেই জীবণে থাকব সুখে)


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৪০১ জন


এ জাতীয় গল্প

→ |জিজেসদের দুঃসাহসিক অভিযান| ৩য় পর্ব
→ |জিজেসদের দুঃসাহসিক ভূতুরে অভিযান| পর্ব-২
→ |জিজেসদের দুঃসাহসিক ভূতুরে অভিযান| পর্ব-১
→ খুদে বাহিনীর গুহা অভিযান (৯ এবং শেষ)
→ খুদে বাহিনীর গুহা অভিযান (৮)
→ খুদে বাহিনীর গুহা অভিযান (৭)
→ খুদে বাহিনীর গুহা অভিযান (৬)
→ খুদে বাহিনীর গুহা অভিযান (৪)
→ খুদে বাহিনীর গুহা অভিযান (৫)
→ খুদে বাহিনীর গুহা অভিযান (৩)
→ খুদে বাহিনীর গুহা অভিযান (২)
→ খুদে বাহিনীর গুহা অভিযান
→ একশৃঙ্গ অভিযান পর্ব - ২
→ একশৃঙ্গ অভিযান (প্রোফেসর শঙ্কু)
→ সেরা কিশোর গল্প » একটি ভয়ঙ্কর অভিযানের গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now