বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
দুপুরে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান
শুনিতেছি।
মিলনের একটা গান। আমার কাছে হেব্বী
ফেবারিট
একটা গান। আর তখনই আম্মু এসে ডাক দিল।
আম্মু : মিনহাজ , উঠতো এখন।
আমি : কেন?
আম্মু : আজ না তোর খালার বাসায় যাওয়ার
কথা।
আমি : যেতে পারব না। তুমি যাও।
আম্মু : তুই যাবি না তর ঘাড় যাইবো। মিমের
খবর নিছত
আর?
আমি : মিম কে?
আম্মু : হায়, আল্লাহ। আমার পোলা পাগল হইয়া
গেছে। ছোট বেলায় তুই যার সাথে পুতুল
খেলতি
এখন ওরে ভুলে গেলি।
আমি : ও হা মনে পড়ছে। একদিন ওই আমার
খেলনা
গাড়ি চুরি করছিল আর আমি কাইন্দা
দিছিলাম।
আম্মু : হা হা হা। এবার যা, রেডি হ।
.
এবার পরিচয় দেই। আমি মিনহাজ। এবার অনার্স
ফাস্ট
ইয়ার। আর মিম হলো আমার খালাত বোন। আমি
ওর
থেকে কয়েক মাসের বড়। আর আমরা আগে এক
জায়গায়ই থাকতাম। বাবা চাকরি করে বলে
সেই ছোট
থাকতেই আমরা সেখান থেকে চলে আসি।
তারপর
আর যাওয়া হয় নি। বা যাওয়ার সময় পাই নি।
.
ছোট বেলায় ওর সাথে দারুণ মজা করেই
কেটেছে। দুজনে সবসময় একসাথে থাকতাম।
ঝগড়া
দুষ্টামি এসব নিয়েই সবসময় মেতে থাকতাম।
এখন ও
কতবড় হইছে কে জানে। আর কোন ক্লাসে
পড়ে তাও জানি না।
.
এখন তো মিম অনেক বড় হইছে, আর ওরে এখন
দেখলে তো আমি চিনবই না কারণ ওকে
ছবিতে
দেখি নাই আর ছবিই বা পাব কই। আর ও কি
আমাকে
দেখলে চিনব।
৩ টার দিকে রওনা হলাম। আমি একাই, মা
বাবা আসতে
পারে নাই তাই আমাকে একাই জোর করে
পাঠিয়ে
দিছে। প্রথমে আসতে চাইছিলাম না,
জোরাজুরি করার
জন্য আসতে হলো।
.
ওদের বাসাটা চিনতে আমার ভুল হবে নিশ্চিত।
কারণ
তখন অনেক ছোট ছিলাম, তখনকার অনেক কিছুই
আমার মনে নাই। শুধু এলাকার নাম টা মনে
আছে।
মিমদের বাড়িটা অনেক দূরে হওয়ার জন্য প্রায়
রাত
পোহাবেই যেতে যেতে।
.
বাসে উঠে সারারাত ঘুম পারলাম। সকালে ঘুম
ভাঙল
হেলপারের ডাকে।
- এইযে ভাই, বাস এসে পড়ছে এবার নামেন।
- এক কাপ চা হবে মামু?
- দূর মিয়া। পাগল নাকি?
- ওহ্ ভাই সরি সরি। ঘুমের ঘোরে বলে ফেলছি।
আসি তাহলে।
.
বাস থেকে নেমে একটা হোটেলে গিয়ে
হালকা
নাস্তা করে। আবার বেরিয়ে পরলাম মিমদের
বাড়ির
উদ্দেশ্যে। এবার এখান থেকে সোজা বাড়িতে
যাব।
ওদের বাড়ির কাছে আসলাম। আম্মু যে টুকু
বলে
দিছে সেটুকু আন্দাজ করে, এ পর্যন্ত আসছি।
কিন্তু
এরপর তো আর চিনি না।
.
মাটির রাস্তা দিয়ে ধীরে ধীরে হেটে
এগিয়ে
যাচ্ছি, কিন্তু বুঝতে পারছি না, কই যাব?
কিছুদূর যেতেই দেখি এক পুকুর পাড়ে একটা
মেয়ে বসে আছে। যাক কাউকে জিগেস করার
মতো পাওয়া গেল। কিন্তু এই এলাকায় কি আর
মানুষ নাই।
গেল কই? এতকিছু জেনে আমার কাজ নাই আমি
কাছে গিয়ে ওনাকে জিগেস করি?
.
পুকুর পাড়ের সেই মেয়েটির কাছে গেলাম।
দেখি
মুখ ঘুরিয়ে বসে আছে।
আমি : এইযে শুনছেন?
- হুম ( মুখটা তুলল)
আমি : আমাকে একটু সাহায্য করবেন? ( যখন
মুখটা
তুলল তখন মনে হয়, কোনো এক পরী আমার
সামনে থেকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
কি
মায়াবী মুখটা, যদি এইটা আমার বউ হতো,)
- হুম, বলেন।
আমি : এখানে উমুকদের বাড়ি কোনটা? ( নাম
টা
আপনাদের জেনে দরকার নাই)
- কেন? তাকে দিয়ে কি করবেন?
আমি : তিনি আমার খালু। আর আমি এখন ওনার
বাড়িতেই
যাব। অনেক বছর ধরে আসি না তো, তাই কিছু
চিনি না।
- ওহ্, আপনি সোজা দু মিনিট হাটেন। তারপর
দেখবেন
একটা ইয়া বড় আমগাছ। ওই গাছের নিচে যে
পাকা বাড়ি
টা আছে ওটাই ওনাদের বাড়ি।
আমি : ধন্যবাদ। আপনার বাড়িও কি এখানে?
- জ্বী।
আমি : তাহলে আপনি মিমকে চিনেন?
- জ্বী।
আমি : আপনার নাম কি?
- বলব না।
আমি : ওহ্। ( ভাব নেওয়ার আর জায়গা পায় না,
নাম টা
বললে কি হতো?)
.
তারপর সেখান থেকে চললাম খালার বাড়ি।
খালা খালুকে
ছবিতে দেখছি তাই চিনতে সমস্যা হলো না।
কিন্তু
মিমকে কখনও দেখি নি।
মেয়েটি যা বলছে, তাই হইছে, পৌঁছে গেলাম
খালার
বাড়ি। আমার আসার কথা তারা আগেই জানত,
তাই আমি আসা
মাএই আদরের কিছু কম পড়ল না।
আমি : খালা মিম কই?
খালা : কি জানি কই থাকে সারাদিন? পাওা
পাওয়া যায় না। মনে
হয় একটু পরেই এসে পড়ব।
আমি : ওহ্।
খালা : অনেক বছর পর এলি, এখন খেয়ে নিয়ে
বিশ্রাম কর যা।
আমি : আচ্ছা।
.
আসতে আসতে দুপুর হয়ে গেছিল তাই খাওয়া
শেষ
করে শুতে গেলাম। বিছানায় বসে গভীর ঘুমে
তলিয়ে গেলাম। আর সেই পুকুর পাড়ের পরীকে
নিয়ে সপ্ন দেখতে লাগলাম।
রাত আটটার সময় ঘুম ভাঙলো খালুর ডাকে।
তিনি
আমাকে আবার খেয়ে নিয়ে শুতে বলল।
.
আমি হাত মুখ ধুয়ে, খাবার টেবিলে গিয়ে
কোনো
কিছু খেয়াল না করেই খাওয়া শুরু করলাম।
খাওয়া প্রায়
অর্ধেক হয়েছে, তখন মুখ উচুঁ করলাম। তখনই মনে
হল আমি চেয়ার ভেঙে নিচে পরে গেলাম।
আরে
আমার সামনে দেখি পুকুর পাড়ের সেই পরীটা।
আমার সামনের টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছে।
.
আমি : একি আপনি এখানে?
- আমার বাড়ি আমি থাকব না তো কে থাকবে?
আমি : আপনার বাড়ি মানে?
- দেব একটা কষিয়ে থাপ্পড়। আমাকে চিনতে
পারস
নাই? আমি মিম।
আমি : ওহ্ হ্যাঁ,,,,,, কিইইইইইই? আপনি মিম?
- তর আসার খবর আমি আগেই জানতাম। আর তুই
কখন
থেকে সেই আপনি আপনি করছিস কেন?
আমি : তাইলে কি বলব?
- থাপড় চিনস? কি বলবি এখন সেটাও শিখিয়ে
দিতে
হইবো?
আমি : না থাক। আমি তখন তর নাম জিগেস
করলাম বললি না
কেন?
মিম : তুই আমাকে চিনতে পারস কিনা সেটা
দেখতে।
আমি : আচ্ছা, এখন খা।
.
খাওয়ার পর ওকে বললাম কালকে ঘুরতে নিয়া
যাবি
তারপর সারাদিন তর সাথে কথা বলব এখন ঘুমা
যা। মিমও
চলে গেল।
তারপর বিছানায় এসে ঘুমানোর চেষ্টা
করলাম। কিন্তু
পারলাম না। ঘুম আসছে না। যে পরীটাকে
দেখার
পরই প্রেমে পরেছিলাম, সেই পরীটা এতো
তাড়াতাড়ি আমার সামনে আসব আমি ভাবতেই
পারি নাই।
এসব ভাবতেই ভাবতেই রাতে বেশী ঘুম হলো
না।
.
পর দিন, মিমের ডাকেই ঘুম ভাঙলো।
মিম : কত ঘুমাবি এবার উঠ।
আমি : শান্তি মতো ঘুমাতে দিবি না।
মিম : না। হাটতে যাব চল।
আমি : ওয়েট, ফ্রেস হয়ে আসি।
.
ফ্রেস হয়ে সকাল বেলা মিমের সাথে ঘুরতে
বের
হলাম, ভালই লাগছে ওর সাথে হাটতে। হালকা
বাতাসে
ওর চুল গুলো উড়ছে। ভাবলাম একবার হাত দিয়ে
সরিয়ে দেই, কিন্তু মনে হলো, ও যদি কিছু মনে
করে তাহলে কি হবে? তাই আমিও বললাম -
- কোন ক্লাসে পড়িস এখন?
- ইন্টার সেকেন্ড ইয়ার।
- এতো পিছে কেন?
- আমাদের এখানে কলেজ তো দেরীতে
হইছে তাই।
- তো স্কুল আগে হইছে?
- না, সেটা না। দুটোই দেরীতে হইছে।
- তাহলে আমার সাথে আপনি করে বলবি। আমি
তোর
সিনিয়র।
- শখ কত? পারুম না।
- কেন?
- জানি না। কয়েক মাসের বড় হইছে তাই আপনি
করে
বলতে হইবো, মুরগি কোথাকার।
- মাইর খাবি কিন্তু।
- তুমি করে বলতে পারি!
- আইছে রে আমার বিয়ে করা বউ। তুমি করে
বলব।
- ওই আমারে বিয়ে করলে সমস্যা কি?
- তোর মতো পেত্নীরে আমি বউ বানামু ছ্যা,
ছ্যা,
ছ্যা।
- কি কইলি? ধ্যাত তোর সাথে আর কথা নাই,
হারামি।
.
এই বলে আমার কাছ থেকে দৌড়ে চলে আসল।
পাগলীটা বুঝে না। আমি তো ওকে বউ
বানাতে
আগে থেকেই রাজি।
তখন এগুলো ফাজলামি ভেবে উড়িয়ে দিলাম।
আমি
ভাবলাম মিম আমার সাথে ফাজলামো করছে,
তাই আমিও
একটু করলাম। কিন্তু ওতো চলে গেল আগে। এখন
আমি একা একা হেটে বাড়ির দিকে আসছি।
না একা
ভালো লাগছে না।
.
বাড়িতে এসে দেখি মিম কোথাও নেই।
খালাকে
বললাম তিনিও বলতে পারল না। পরে আমি
ছাদে গিয়ে
দেখি, এককোণে বসে আছে। আমি কাছে
যেতেই উড়না দিয়ে চোখ মুছলো। দেখে
বুঝতে পারলাম কান্না করছে।
- কি রে? কি হইছে কাঁদছিস কেন?
- এমনি!
- এমনি কেউ কাদে। কি হইছে বল।
- বললাম না কিছু হয় নি, যা এখান থেকে ( ধমক
সুরে)
.
এভাবে বলার জন্য আমার কিছুটা মন খারাপ
হলো, তাই
ওখান থেকে চলে আসলাম। চলে গিয়ে সেই
পুকুর
পাড়ে গিয়ে বসলাম। যেখানে মিমকে আমি
সেদিন
প্রথম দেখেছিলাম।
ওখানে বসে বসে ভাবছি ' ওর আবার কি হলো?
এভাবে কাঁদছে কেন? তখনকার ওই বিষয়টা
নিয়ে, না
অন্য কোনো বিষয়। আমার ওই ছোট্ট বিষয়
নিয়ে
ও কাঁদবে কেন? অন্য কোনো কারণ থাকতে
পারে। নাহলে আমি শুধু বলছি তকে বউ বানাব
না, এই
কথাটার জন্য ও এতো কাঁদবে?
.
তারপর ভাবলাম : ও যদি আমাকে আবার
ভালবাসে তাহলে
ও কথার জন্য তো কাঁদবেই। কিন্তু এ দুদিনে ও
আমাকে ভালবাসব কেমনে?
.
কিছুক্ষণ মন খারাপ করে থাকার পর কেউ
আমার ঘাড়ে
হাত রাখল, দেখি মিম।
আমি : কি হইছে আবার?
মিম : মন খারাপ করছিস?
আমি : মন খারাপ করার কি আছে?
মিম : না মানে আমি তোকে তখন ওভাবে
বললাম তাই।
আমি : সত্যি করে বলবি কি হইছে?
মিম : হুম। বললে আমাকে ভুল বুঝবি না তো?
আমি : এই দ্যাখ প্রমিজ করলাম। ভুল বুঝব না।
মিম : ছোট বেলায় বুঝতাম না ভালবাসা কি।
শুধু তোর
সাথে ঝগড়া ঝাটি করে কাটিয়ে দিছি। কিন্তু
তুই যখন
চলে গেলি তখন অন্তত আমাদের দুজনেরই প্রায়
একটু বুঝার বয়স হয়েছে। তুই চলে যাওয়ার পরই
আমি
তোর অভাব বুঝতে পারলাম। তোকে ছাড়া
আমার
সময় কাটতে চাইতো না। তবুও কিভাবে যেন
চলে
যাচ্ছিল। যখন সবকিছু বুঝতে শিখলাম তখন
বুঝতে
পারলাম ভালবাসা কি? তখন তোর সেই ছোট্ট
বেলার
হ্যাফ প্যান্ট পড়া ছবিটার দিকে সবসময়
তাকিয়ে থাকতাম।
আর কোনো সময় কাদতাম। আমি তকে খুব
ভালবাসি।
কিন্তু তুই হয়তো আমাকে ভুলেই গেছিলি।
নাহলে
আমাকে দেখার জন্য এর আগে একবার হলেও
আসতি।
আর তখন কাঁদছি কেন জানিস? তুই যখন বললি
তোকে
আমারবউ করবি না তখন আমার খুব কষ্ট
হয়েছিল। জানিস
তখন আমার মনে হয়েছিল কেউ আমার মনটা কে
ছিড়ে ফেলেছে। এখন তুই কি করবি কর। যা
জানতে
চাইছিলি সব বললাম।
আমি : (ওর কথা শুনে কি বলব কিছু বুঝতে
পারলাম না,
ওতো সত্যিই বলছে "ওর ভালবাসার কাছে
আমার
ভালবাসা কিচ্ছু না, তা নাহলে আমি ওকে
কোনো দিনও
ভুলতে পারতাম না, একবার হলেও মিমের কথা
আমার
মনে পড়তো)
মিম : কি হলো? কিছু বলছিস না। ও বুঝতে
পারছি,
আমাকে ভালবাসতে পারবি না তাই না। না
বাসলি জোর
করব না আমি একাই ভালবাসব। কিন্তু আমি
হাত জোর
করছি তোর কাছে এরপর এখান থেকে চলে
যাসনা,
কয়েক দিন হলেও তকে দেখতে পারব।
আমি : ( আর কিছু বললাম না, শক্ত করে জড়িয়ে
ধরে
বললাম) যাব না রে পাগলী তোকে ছেড়ে
কোথাও যাব না। আমিও ভালবাসি তোকে।
মিম : সত্যি।
আমি : হুম।
.
এখান থেকে শুরু হলো আমাদের ভালবাসা।
আমি যে
এতো সহজে আমার পরীকে আমি পাব ভাবতেই
পারি নি। আমার সেই ছোট বেলার মিম আজ
আমার
পরী। ভাবতেই কেমন যেন সুখ অনুভূতি হয়। কিন্তু
আমার মনে একটা দাগ রয়ে গেল।
আমি কি করে ওকে ভুলে থাকতে পারলাম। ও
আমাকে এতদিন ধরে ভালবাসছে আর আমি
ওকে
একদিনও মনে করতে পারলাম না, ভাবতেই ঘৃণা
হচ্ছে।
.
আমার আর মিমের ভালবাসা, দারুণ একটা
মুহূর্ত। এখন
কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারি না। আমার
তো
চলেই না ওকে ছাড়া।
ওখানে ২৫ দিন থাকার পর বাবা ফোন দিয়ে
বলল
আমাকে চলে যেতে। কলেজ থেকে নাকি
বন্ধুরা
ফোন করছিল, পরীক্ষা এসে গেছে।
.
মিমকে ছেড়ে চলে যেতে হবে একথা ভাবতেই
এখন বুক ফেটে কান্না পাচ্ছে। মিমকে বললাম,
যে
আমার পরীক্ষা শুরু হবে আমাকে চলে যেতে
হবে। একথা বলতেই মিম কাদতেঁ কাদতেঁ চলে
গেল। আমার চোখেও পানি জমে গেল।
.
যাওয়ার দিন যখন চলে আসলাম তখন পাগলীটা
কাদতেঁ
কাদতেঁ মাটিতে গড়িয়ে পরেছিল। আমি শুধু
এটুকু
বলে আসছি, আবার যদি আসি তাহলে তকে বউ
বানিয়েই নিয়ে যাব। গাড়িতে বসে আমিও
চোখের
পানি ধরে রাখতে পারলাম না,।
.
ফিরে এলাম আমার নিজের বাসায়। এখন
আমাদের তো
আর সামনে থেকে কথা হয় না কিন্তু
মোবাইলে
সারাক্ষণ কথা হতো। আমাদের রিলেশনের
কথা সবাই
জানত তাই আমাদের মাঝে কোনো ভয় ছিলো
না।
.
পরীক্ষা শেষ হলে আবার চললাম আমার
মিমের বাড়ি।
এবার আমি আর একা যাই নি সাথে মা বাবা
আর ৩ কেজি
মিষ্টি গেছে। এবার বিয়ে ঠিক করেই আসব।
.
যখন ওনাদের নিয়ে মিমদের বাড়ি পৌছালাম
তখন মিম
আমাদের দেখা মাএই দৌড়ে ছাদে চলে গেল।
আমি
বুঝতে পারলাম লজ্জা পাইছে। তাই আমি
সেখানে এক
টেবিলে বসে পরলাম। তখন দেখি, আম্মু আব্বু
আর
খালা আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
- কি হইছে?
- কিছুই বুঝে না, উপরে একজন অপেক্ষা করছে
যাও।
- কে অপেক্ষা করছে?
- ইস বুঝে না।
- ধুর, কি যে বলো আম্মু
- হইছে হইছে এবার যা,
ধাক্কা দিয়ে উঠিয়ে দিল সেখান থেকে।
.
উফফফ কি করব আর ছাদে গিয়ে দুজনে গপ্প শুরু
করলাম। আমাদের ভবিষ্যতের গপ্প আর
পরিকল্পনা।
কেমন করে সাজাব আমাদের ঘর।
.
ব্রি : দ্র : আর করো কোনো প্রবলেম থাকলে প্লিজ
মেসেজ করুন।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...