বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
রক্তিম খেলাঘর - পর্ব ৬
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
লেখা - সাদ আহমেদ
আস্তে করে কাছে আসল সে তারপরে হাতের শাবল দিয়ে সর্ব শক্তিতে রিয়াজুল সাহেবের পায়ে বারি দিলো সিধু ! ভারি লোহার আঘাতে সাথে সাথেই হাড় ভেঙ্গে গেলো স্বশব্দে ... অস্ফুট চিৎকার দিলেন রিয়াজুল সাহেব ... কাজ ফেলে সব যুবকেরা ঘিরে ধরল তাকে ... গাছের কাছে নিয়ে আসা হল তাকে প্রায় আধা ঘন্টা ধরে তাকে প্রশ্ন করা হল বিভিন্নি ধরনের সাথে টর্চারও চলল সমান তালে ... আর সব সময় টা ভিডিও করে রেখে দিলো রকি ...
ভাই ইন্টার্ভিউ শেষ এখন সাহেবরে নাস্তা পানি করানো হোক ...
স্বশব্দে আর্তচিৎকার দিয়ে উঠলেন রিয়াজুল সাহেব , বুঝলেন সময় ফুরিয়ে আসছে ...
জমির পাশে কিছু পাট জমা করে রাখা হয়েছিলো সেই পাট দিয়ে হাত পা বাধা হল রিয়াজুল সাহেবের , তারপরে ঘেরের সব থেকে গভীর পানিতে আস্তে করে ছেড়ে দেওয় হল তাকে ...
পরিস্কার পানি আস্তে আস্তে ঘোলা হতে শুরু করলো কিছুক্ষন দাপাদাপি হল তারপরে সব ঠাণ্ডা নিস্তব্দ হয়ে গেল ... নির্বিঘ্নে কাজ সমাধা করতে পেরে হাসি ফুটে উঠলো সিধুর মুখে ...
কিন্তু এবার কপাল তাদের সাথে ছিলোনা আসলে ... রিয়াজুল সাহেবের আর্তচিৎকার কাছের একটা বাড়ির একটা ছেলের কানে গিয়েছিলো ... সে সকালে নামাজ পরে ফিরছিলো ... দ্রুত সে এলাকার কিছু মানুষের ঘুম ভাঙালো আর টহল পুলিশের একটা গাড়িও পেয়ে গেলো ভাগ্যক্রমে সবাই মিলে ছুটে আসছিলো তখন ঘেরের দিকে ... দূর থেকে একদল লোক আসতে দেখতে পেলো সিধুর দল ...
মুখ কালো হয়ে গেলো সিধুর তবে ঠোটের নিচে একটা কৌণিক হাসি দেখা গেলো ...
চল পালাই ... বলেই দ্রুত নদীর দিকে ছুটলো সিধুর দল ... নদীতে খুবই ছোট একটা নৌকা বাধা ছিলো তাতে চড়ে বসল তারা ... নৌকাটা আসলে যথেষ্ট ছিলোনা ... তারা নৌকা নিয়ে নদীর কাছেই একটা দ্বীপ মত যায়গায় যেতে চাচ্ছিলো ... আসলে দ্বীপ নয় এটা চরা বললেই চলে ... কিছু ঘাস জমি আর কিছু ছোটগাছ পালা আছে আরকি ...
ওদিকে গ্রামে জেনো মৌচাকে ঢিল পরেছিলো ... পুরো ঘুমন্ত গ্রাম জেগে উঠেছিলো ... পুলিশ দ্রত মেইন বেসে যোগাযোগ করলো ... পুলিশ অই দ্বীপে যাওয়ার চেষ্টা করছিলো কিন্তু কাছে গেলেই গুলি করা হচ্ছিলো ... এরপরে মেইন বেস থেকে তাদের ঘিরে থাকতে বলা হল এবং পুলিশ টহল হেলিকপ্টার আর লঞ্চ কে ইনফর্ম করা হলো তারাও আসছিলো দ্বীপের দিকে ...
দ্বীপে আটকা পরে গিয়েছিলো আসলে সিধুর দল ... খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পুলিস ক্রাইম সিনে পৈছে গেলো ... চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলা হল দ্বীপ টিকে !! এরই মধ্যে কেউ আকজন আবিষ্কার করল যে রিয়াজুল সাহেবের লাশ রয়েছে তার ঘেরে ... আশেপাশে প্রচুর রক্ত ছিলো ...
পুলিশের স্পেশাল টিম থেকে মাইকিং করা হল তাদের আত্বসমার্পন করার জন্য ... কিছু সময় পরে সাড়া পাওয়া গেলো ... পুলিশের স্পেসাল টিমের পাচজন সেনা একটা স্পিডবোটে করে দ্বীপের দিকে যাওয়ার চেস্টা করছিলো , অবশেষে যেতে পারলো তারা ... পুরো গ্রামবাসি নদীর তীরে অপেক্ষামান ছিলো কি ঘটে ... কিন্তু হঠ্যাৎ পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়েগেলো!! দ্বীপ থেকে হঠ্যাৎ প্রচুর গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেলো ... তারপরে অনেক ক্ষন নিরবতা কিছু পরে পুলিশ দের বের হতে দেখা গেলো তারা কিছু বলল তার পরেই একটা বড় বোট থেকে কিছু মেডিকেল টিম নামলো এবং তারা দ্বীপ থেকে স্ট্রেচারে করে কিছু দেহ তুলে নিয়ে গিয়ে বোটে রাখতে লাগলো ...
গ্রামের কারোর বুঝতে বাকি রইলোনা যে অই যুবকদের কপালে কি হয়েছে ...
আস্তে আস্তে লাশ তোলা শেষ হলে পুলিশ মেইনল্যান্ড এর দিকে চলে গেলো ... আর ততক্ষনে রিয়াজুল সাহেবের লাশ তোলা হয়ে গিয়েছিলো ...
সারাদেশে তোলপাড় হয়ে গেলো খবরটি ছয়জন যুবকের লাশ এবং গ্রামের ঘটনাটি ... যদিও কোন ডিটেলস পুলিশ বলছিলোনা ...
কয়েকদিন পুরো দেশ গরম হয়ে থাকলো এই ঘটনা নিয়েই !!
তবে এর সাথে রহিমার রহস্য চাপাই পরে গেলো !! কি সেই রহস্য ??
কি ঘটেছিলো সেদিন সেই ঘেরে ?? কি ঘটেছিলো সেই দ্বীপে ??
(আগামি পর্বে শেষ খন্ড )
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now