বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
রক্তিম খেলাঘর পর্ব - 5
~~~~~~~~~~~~~~~~~~
লেখা - সাদ আহমেদ
~~~~~~~~~~~~~~~~
পুলিশ অফিসার আফজাল সাহেব এর অন্তর্ধান এর পরে পুরো গ্রামের অবস্থা আরো সঙ্গিন হয়ে গিয়েছিলো ...
গ্রামের স্থবিরতা আরো জমাট বাধছিলো ... কিন্তু কোন সমাধান পাওয়া যাচ্ছিলো না ...
গ্রামের সেনা ক্যাম্প থেকে সেনাদের টহল হচ্ছিলো নিয়মিত ... গ্রাম জুড়ে জরুরি অবস্থা জারী করা হয়েছিলো ... কিন্তু খুনিদের টিকিটিও পাওয়া যাচ্ছিলোনা ... কেমন করেই জেনো ভোজবাজির মত খুনিরা গায়েব হয়ে গিয়েছিলো !! গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়ি তল্লাশি করা হল অবশেষে !! কিন্তু ফলাফল জিরোই হল !! দেশের নিউজ পেপার গুলো ধুয়ে দিচ্ছিলো পুলিশ ডিপার্টমেন্ট গুলো কে ...
যাই হোক সময় তো আর বসে থাকেনা আফজাল সাহেব এর অন্তর্ধানের পরে প্রায় মাস খানেক কেটে গিয়েছিলো ... গ্রাম আবার আগের রুপ ফিরে পাচ্ছিলো ... যদিও খুনিদের ধরার সর্ব চেষ্টা করার পরেও তাদের কোন খোজ পাওয়া যায়নি তবে দেশের কয়েকটি সিক্রেট পুলিশ এজেন্ট তখনো কাজ করে যাচ্ছিলো ...
এমনই এক ভোর সকালে ঘুম ভেঙে গেলো গ্রামের সব থেকে বড় বাড়ির অধিবাসী রিয়াজুল সাহেবের ... ঘড়িতে সময় দেখলেন, প্রায় সকাল হয়েই গেছে আস্তে করে উঠলেন ঘুম থেকে ।
জামা কাপড় পরে নদী সংলগ্ন তার বিশাল ঘেরের দিকে রওনা হলেন ... নদীর পাশের অনেক
যায়গা জুড়ে বিশাল ঘের তার ... প্রতিদিনই দেখভাল করতে যেতে হয় তার ... গত কাল আবার কিছু গাছ পালার ক্ষতি হয়েছে সেগুলো দেখতে যেতে হবে ভাবলেন তিনি ... আর কিছু শ্রমিক ও ভাড়া করেছেন মাটি কাটার জন্য ... নবাবের বাচ্চারা ৮টার আগে আসবেনা, মনে মনে বললেন তিনি !!
কয়েকটা নাড়ু খেয়ে হাটা ধরলেন তিনি প্রায় ২০মিনিট হাটার পরে ঘেরের পাশে পৈছালেন ...
ঘেরে কিছু শ্রমিক কাজ করছে দেখতে পেলেন তিনি ... কিছুটা অবাকই হলেন ... যাক ফোন দেওয়া লাগলোনা আর ... কাছে পৌছালেন তিনি দেখলেই ছয়জন যুবক কাজ করছে ... কিন্তু কাউকেই চিনতে পারলেন না জিজ্ঞেস করলেন এই ছেলে তোমাদের কি মজিদ পাঠিয়েছে ??
জ্বি সাহেব বলল যুবকদের একজন !!
নাম কি তর??
জ্বি সাহেব আমার নাম রকি!!
ওহ ... যাক ভালই হইছে আগে আইছস , এখন কাজ কর কাজে হাত লাগা ...
জ্বি সাহেব ...
কাজে লেগে পড়ল যুবকরা ... খুবই দক্ষতার সাথে কাজ করতে লাগলো ছেলেরা , দেখে খুশিই হলেন রিয়াজুল সাহেব ...
কয়েকটা পান নিয়ে বসে পড়লেন ঘেরের পাশে, কয়েকটা পান বের করে খেতে লাগলেন ,
আচ্ছা সাহেব এই আগামাথা ঘের পুড়াটাই আপনের ?? বলল রকি
হ্যা রে হ্যা পুড়াটাই আমার আর ওই দেখতাসছ নদীর পুর্ব পার?? অই খান থাইকা আগামাথা সবই আমার ...খুশি হয়েই বললেন রিয়াজুল সাহেব ...
সাহেব এইসব জমি কিনতে তো অনেক টাকা লাগে তাইনা ??
হ্যা তাতো লাগেই , এমনি এমনি কি আর কেউ দিবে ???
আবার কাজে লাগলো যুবকেরা , নিরিবিলি কাজ করতে লাগল নিবিড় ভাবে ...
হঠ্যাৎ নিরবতা ভাঙ্গলো এক যুবক নাম সিধু ... সাহেব এই খানে নাকি অনেক দিন আগে একটা মার্ডার হইছিলো ?? একটা মেয়ে ?? নাম কি জেনো ?? করিমা না রহিমা জেনো ?? সাথে আরেকজনের লাশ ও পাওয়া গিয়েছিলো !!
তোরা এইটা জানস কেমনে ?? আচ্ছা তোরা কোন গ্রামের ??
আমরা এইতো পাশের গ্রামের বলল সিধু
রহিমার ব্যাপারে কিছু জানেন সাহেব ??
জানিনা !!! কিছুটা রুক্ষ সূরেই বললেন !! তোদের এসব দিয়া কি কাম ?? কাজ কর!! অই মাইয়া টা একটা বাজে চরিত্রের ছিলো ! বাজে মাইয়া!!
আস্তে করে রিয়াজুল সাহেবের দিকে ফিরে তাকালো সিধু , রিয়াজুল সাহেব কিছু হয়ত বলতেন কিন্তু সিধুর চোখে তাকিয়ে থেমে গেলেন !! কোন ক্ষুধার্থ নেকড়ের চোখের মত হয়ে গেছে সিধুর চোখ !!
(আগামি পর্বে সমাপ্য)
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now