বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
গল্প : #সিনিয়র_আপুর_জুনিয়র_প্রেমিক!!!
#Writer : Pantha Shahria
এই নিয়া ৭ বার বাসা থেইকা বের হইয়া আসছি,
আজকে রাতে ও বাবার লগে কথা ঝগড়া লাইগা চলে আসছি। আমার আবার বাবা ছাড়া
কেউ নাই। হাতে সিগরেট নিয়া হাঁটতেছি কিন্তুু
কোন আগুন নাই, আবার একটু মুখে দিচ্ছি আর বের করছি।
আগুন নাই মানে হল আরে ভাই আমি
জীবনে কোনদিন সিগরেট খাই নাই ঝাল না
মিষ্টি তা ও জানি না।
সিগরেট এর ধোয়া আমার সহ্য হয় না তাই
আগুন ছাড়াই খাচ্ছি। হি হি
ও হ্যা আমার নাম সাহরিয়া, ক্যান
ঝগড়া লাগছি আব্বার সাথে পড়বেন
না, আর না পড়লে ও আমি লিখমু।
আচ্ছা আপনারাই বলেন কোন মাইয়ারে
দেখে বুক ধুকুর পুকুর করলে কী আমার
দোষ ।
আমার না হয় একটু বড় আপুরে দেইখা করে
এই আর কী।
আসেন বলি ঘটনা, আমাদের পাশের
বাসাই থাকে নীলা আপু।
দেখতে কী আর কইতাম পুরাই একটা
পরী। আসলে নারে ভাই পরী না
তেমন সুন্দর না তবে একটা মায়া আছে
সেই মায়ায় আমি আটকা পইরা গেছি।
তেমন কোন ছেলে আপুর দিকে তাকায়
না। তবে আমি সব সময় আপুর দিকে তাকাই
থাকি।
আর এইটাই আপুর সমস্যা।
আপু আমাকে বলে সাহরিয়া তুই
সব সময় আমার পিছে ঘুর ঘুর করিস
ক্যান বলতো।
আমি দেখতে খারাপ তাই করুণা করতে আসিস
তাই না।
- ঐ তুমি সব সময় এমন বল ক্যান আমি তোমাকে ভালবাসি ব্যাস।
- তুই কেন বুঝিস না আমি দেখতে তেমন
ভাল না, তুই অনেক কিউট আর অনেক ভাল
একটা বউ পাবি। (নীলা)
- আমার কাছে তুমিই সব আমি আর কাউরে
চাি না হুমমমমমমম, বলেই একটা পাপ্পি দিয়া দৌড় দিছি। আমি জানি আপু তার জীবনের
থেকে ও আমারে অনেক ভালাবাসে কিন্তুু
বলে না।
ক্যান যে বলে না সেটাই বুঝিনা,
- একদিন আমার অনেক জ্বর হইছিল,
বাসাই কেউ ছিল না, আপু কেমনে জানি
খবর পেয়ে ছুটে আসছিল।
এসেই তো বকা শুরু করে দিয়েছে
তুই আর কত জ্বালাবি আমাকে।
একবার ফোন করতে পারলি না,
আমি তো তোর কেউ না।
এই দিকে আয়, কিছু খাইছিস নাকি
গাধার মতো শুয়েই আছিস,
- না মাথা ব্যাথা করছে, একটু টিপে দিবা।
- দেখি,,,, কীরে তুই এত জ্বর মাথাই পানি দিতে
হবে। (নীলা)
- না পানি দিমু না মাথা ব্যাথা করছে টিপে দাও।
- ওই আগে পানি দিয়ে দেই তার পর টিপে দিব
আয় একটু এই দিকে, বলে পানি এনে নিজের হাতে মাথা ধুয়ে দিল।
তার পর গা মুছে দিয়ে বলর, খাইছিস
কিছু।
- না,,,,
- জানতাম খাবি না, এই জন্য তো এই অবস্থা।
সেই জন্য বাসা থেকে খাবার এনেছি।।
এখন হা কর।
- নিজ হাতে খাইয়ে দিল আমাকে, মনে হচ্ছে
বিয়ে করা বউ। হি হি হি
আপুকে শুধু দেখছি আমি আর হা করে তাকাই
আছি। কত্ত মায়াবি মুখটা তার আহা যেন চাঁন্দের কনা।
- হইছে আর খাব না, এখন মাথা টিপে দাও।
- হুমমমমমমমরে বাবা বাবা দিচ্ছি দাঁড়া, বলে
নিজের কোলে মাথা নিয়ে টিপে দিতে লাগল,
আমি জানিনা কেমনে সময় যাচ্ছিল,,
আমি ঘুমাই পড়ছিলাম, ঘুম থেকে উঠে ও দেখি
আপু আমার মাথা নিয়া টিপে দিচ্ছে।
- জ্বরটা ও অনেক কমে গেছে, আপুর দিকে
তাকাই দেখলাম, অনেক
মায়া নিয়ে আমার দিকে তাকাই আছে।
- আচ্ছা আপু আমাকে অনেক ভালবাস
তাই না।। হি হি হি
- আবার শুরু করলি, দূর থাক তুই
গেলাম আমি (নীলা)
- হি হি হাত টেনে ধরছি, আরে দাও না
আর একটু পিলিজ।
- না তুই ভালা পোলা না থাক তুই বলেই চলে
গেল।
-কেমন মেয়েরে বাবা বলেই চলে গেল যাক জ্বরটা ভাল করে দিয়ে গেলতো।
এই যা বাটিটা রেখে গেছে।
এইটাই সুযোগ ওরে দেখতে যাওয়ার,
যে ভাবা সেই কাজ।
কলিং বেল চাপতেই আন্টি দরজা খুলে দিল।
- ভাল আছেন আন্টি,
- হুমমমমমমম, সাহরিয়া তোমার জ্বর ভাল
হয়ে গেছে।
- হুমমমমমমম আন্টি অনেক বড় টাবলেট
খাইছি ভাল না হয়ে কী পারে।
আন্টি এই নেন বাটি, নীলা আপু কই।
- ওর ঘরেই আছে।
- আচ্ছা আন্টি বলেই দৌড় দিছি নীলা আপুর ঘরে।
গিয়া দেখি আপু কার একটা ছবি নিয়া উল্টো হয়ে দেখছে।
আমি ও দৌড়ে গিয়ে তার হাত থেকে ছবিটা নিলাম,,,,
ওমা গো এইটা তো আমার সেই পিচ্চি বেলার
ছবি।
আমার নানুকুলিটা ও বের হয়ে আছে।
- ওই তোমার লজ্জা নাই হবু বরের এই সব দেখছ। হি হি হি
- ওই ফাজিল ছবি দে বলছি। এখন কিন্তুু
খুব বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে, আমি কিন্তুু আংকেল
রে সব বলে দিমু।
- আরে যা যা আব্বাই আমারে দেইয়া ডরাই।
- তাই না ওকে বইলা দিমুনি যা।( নীলা)
- হুমমম হুমমম যা বলার বইল যাও, হি হি
বলেই বাসাই আসছি।
হঠাৎ আব্বা ভিলেনের মতো এসে।
-ঠাসসসসস,,,, তুই নীলারে কী বলছিস হুমমম।
খুব বড় হইছস তাই নাই। আর থাকবি না এ
বাসাই যা বেরো।।।
- হুমমমমমমম থাকমুই নাই আর খাড়াও একটু খাইয়া যাইতেছি, আসমুই না আর।
একদম পেঁট ভরে খাইছি সারারাতের জন্য
আর কোন টেনশন নাই।
এমন অনেক বের হয়ে আসছি
আব্বার বকা খেইয়া।
ওমা হায় হায় এতক্ষণ তো আপনাগো লগে
গল্প করতেছিলাম, কেবল বাস্তবে ফিরলাম।
না আর বাসাই যামু না কয়দিন একদম
লুকাই থাকমু।
ওই দুইডারে বুঝাই দিমু আমারে ছারা
কেমনে থাকে।
মে নেহি যায়েগা পাপা আর নীলা পাগলি
তোমারে ও মজা দেখামু। হি হি হি
বলেই হাঁটতে লাগছিলাম সামনে দেখিই নাই
কী আসছে, হঠাৎ একটা ট্রাক এসে
ধাক্কা মারল, সোজা বুকে আঘাত লাগল
কিছুক্ষণ এর জন্য মনে হল আমার কলিজাটারে
কেউ ছিঁড়ে নিতেছে।
বডিটা একটা পাসে ছিটকে গেল, আসে পাসে
কেউ নাই।
তারপর আর কিছু মনে নাই,
পরে দেখলাম আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছি, হালকা জ্ঞান আছে, শুনলাম
ড. বলল আমারে বাঁচানো সম্ভব না।
আব্বাই তো কেঁদে কেঁদে শেষ, একটা পোলাই
ছিল তো তাই।
নীলা আপুকে দেখলাম আমার পাশে বসে
বসে কাঁদতেছে আপুর দিকে একটু তাকাতেই
আপু আমাকে জরাই ধরল,
তুই এমন কেনরে আমাকে রেখেই চলে যাবি।
হা হা আপু অনেক ভালবাসি তোমাকে।
বলেই যেন সমস্ত দেহটা আমার স্থির হয়ে
গেল।
না এখন আর চাইলেও কিছু বলতে পারব না, আমি এখন ভিন্ন এক জগতে চলে গেছি।
চাইলে ও আর ফেরা সম্ভব না, খুব বলতে
ইচ্ছে করছে আপু তোরে অনেক ভালবাসিরে
অনেক।
আপু আমাকে জরাই ধরে কাঁদতেছে খুব
কাঁদতেছে, কিন্তুু না এখন আমি আর নেই।
আমাকে এখন অনেক দূরে রেখে আসা হয়েছে
,,হা হা হা কী হয়ে গেলাম আর কী ছিলাম।
ওই তো আপু আসছে প্রতি বছর আপু আমার
কবরের পাশে আসে,,, আর খুব করে কাঁদে।
আর কাঁদতেই থাকে অনেক কাঁদে।
একবার ফিরে আর সাহরিয়া অনেক ভালবাসি তোকে খুব ভালবাসিরে।
আমি নিরবে বলি না আপু আর যাওয়া সম্ভব না
এখন ও তোমাকে ভালবাসি অনেক।
বলেই সাহরিয়া মিলিয়ে গেল।
চলে গেল সেই না ফেরার দেশে।।।।
ভালবাসার মানুষটাকে কাছে থাকতেই
খুব ভালবাসুন পড়ে আর কোন টাইম পাবেন
না।।।।।।।। হা হা হা।।।।
>>সমাপ্তThe End
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Lutfun Nahar (Sabira)
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেJubayer Ahmed
Golpobuzz ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেggyyttt
User ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বে