বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
ছেলেধরা পর্ব ৪
"ছোট গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান বাপ্পী (০ পয়েন্ট)
X
ততক্ষণে কতকগুলি
উৎসাহী লোক
জলে নেমে
লতিফকে হিঁচড়ে
টেনে তুলেছে—
সে কাঁদতে
কাঁদতে কেবলই
জানাচ্চে, সে
লতিফ মিঞা,
তার ভাই মামুদ
মিঞা—তারা
ছেলেধরা নয়।
এমন সময় আমি
যাচ্ছিলুম সেই
পথে—হাঙ্গামা
শুনে নেমে এলুম
পুকুর-ধারে।
আমাকে দেখে
উত্তেজিত জনতা
আর একবার
উত্তেজিত হয়ে
উঠল। সবাই
সমস্বরে বলতে
লাগল, তারা
একটা ছেলেধরা
ধরেছে। লোকটার
অবস্থা দেখে
চোখে জল এলো,
তার মুখ দিয়ে
কথা বেরোবার
শক্তি নেই—গাল-
পাট্টায়,
পাগড়িতে
সিঁদুরে-রক্তে
মাখামাখি—শুধু
হাতজোড় করছে
আর কাঁদচে।
জিজ্ঞেসা
করলুম, ও কার
ছেলে চুরি
করেছে? কে
নালিশ করচে?
তারা বললে, তা
কে জানে?
ছেলে কৈ?
তাই বা কে
জানে?
তবে এমন করে
মারচো কেন?
কে একজন
বুদ্ধিমান বললে,
ছেলে বোধ হয় ও
পাঁকে পুঁতে
রেখেচে।
রাত্তিরে তুলে
নিয়ে যাবে।
বলি দিয়ে পুলের
তলায় পুঁতবে।
বললুম, মরা ছেলে
কখনো বলি
দেওয়া যায়?
তারা বলল, মরা
হবে কেন, জ্যান্ত
ছেলে।
পাঁকে পুঁতে
রাখলে ছেলে
জ্যান্ত থাকে
কখনো?
যুক্তিটা তখন
অনেকের কাছেই
সমাচীন বোধ
হলো। এতক্ষণ
উত্তেজনার মুখে
সে কথা কেউ
ভাববারই সময়
পায়নি।
বললুম, ছাড় ওকে।
লোকটাকে
জিজ্ঞেসা
করলুম—মিঞা,
ব্যাপারটা
সত্যি কি বল ত?
এখন অভয় পেয়ে
লোকটা কাঁদতে
কাঁদতে সমস্ত
ঘটনা বিবৃত
করলে, মুখুজ্যে
দম্পতির উপর
কারও সহানুভূতি
ছিল না, শুনে
অনেকের করুণাও
হলো।
বললুম, লতিফ
বাড়ি যাও, আর
কখনও এ-সব কাজে
এসো না।
সে নাক মললে,
কান মললে—
খোদার কিরে
নিয়ে বললে,
বাবুমশায়, আর এ-
সব কাজে কখনো
না। কিন্তু আমার
ভাই গেল
কোথায়?
বললুম, ভায়ের
ভাবনা বাড়ি
গিয়ে ভেবো
লতিফ, এখন
নিজের প্রাণটা
যে বাঁচল এই ঢের।
লতিফ খোঁড়াতে
খোঁড়াতে
কোনমতে বাড়ি
চলে গেল।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
♪Mumpy♪
Guest ৫ বছর, ১০ মাস পুর্বে