বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
রক্তিম খেলাঘর
লেখা- সাদ আহমেদ
প্রচন্ড আক্ষেপে চারদিকে তাকেতে লাগলেন রফিক সাহেব..সারা মুখ জুরে কস্টের ছাপ.. সাদা একটা পাঞ্জাবি পড়ে ছিলেন.. কিন্তু এখন আর সেটা সাদা নেই .. চাপ চাপ লাল রক্তে রক্তিম এখন সেটা.. একটু আশ্রয়ের জন্য বা একটু সাহায্যর জন্য চারদিকে তাকালেন কিন্তু এই মধ্য দুপুর বেলা গ্রাম্য একটি এলাকায় চারদিকে শুনশান নিরবত.. পিছনে তাকালেন.. হ্যা আসছে হায়েনার দল... প্রায় সবার হাতেই ছুড়ি.. রামদা.. চাপাতি.. পৈশাচিক ভাবে হাসতে হাসতে ধীর পায়ে হেটে আসছে.. ভাব খানা এমন যে মুরগি আর লাফিয়ে কত দূর যাবে... প্রচন্ড আক্ষেপে চোখ বেয়ে পানি নেমে আসলো রফিক সাহেবের শরিলের শেষ শক্তি টুকু এক করে পালানোর চেস্টা করলেনে আরেকবার.. এমন সময় অই দলের লিডার চলে আসল কাছে,
কিরে নাটকির পোলা আর যাইতে পারতাছ না??
দৈড়া হালা ভাগ!! বলেই সজোরে লাথি বসিয়ে দিলো লিডার সিধু... মোট ছয় জনের দল এই সিধুর.. এই এলাকায় আগে এদের দেখা যায়নি.. নতুন এখানে.. আর যে গ্রাম টার কথা বলা হচ্ছে তার নাম বাশবাড়িয়া.. খুব সুন্দর ছবির মত একটি গ্রাম... এই গ্রামে কদিন হয়েছে সিধুর পা পরেছে.. সিধু তার আসল নাম নয়.. আসল নাম সাদিক উজ্জামান.. সাদিক এর পিতা একজন ইমাম.. চেয়েছিলেন পুত্রকে একজন ন্যায়ের প্রতিমুখ বানাবেন.. কিন্তু কালের খেয়ায়...
জলিল: ভাই হালায় তো নড়ে চরে না!!
সিধু: মার হালারে লাথি!
প্রচন্ড যন্ত্রনার মুখেই সপাসপ চার পাচটা লাথি হজম করতে হলো রফিক সাহেব কে!
পিঠে চাপাতির গভীর চার পাচটা দাগ.. তারপরেও বাচার তাগিদে প্রায় পঞ্চাশ ফুট হিচড়ে হিচড়ে এসেছেন.. এই পঞ্চাশ রাস্তা পুরোটাই ছোপ ছোপ রক্তের দাগ.. আবার অতি কস্টে উঠে দাড়ালেন রফিক সাহেব.. চারপাশ থেকে বিচ্ছিরী পৈশাচিক হাসি শুনতে পাচ্ছেন... চোখ মিলে দেখলেন চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলা হয়েছে তাকে.. শুধু এক দিক ইচ্ছা করেই ফাকা রাখা হয়েছে আর সেদিকে ছোট্ট একটা পুকুর.. সেদিকেই ধীর পায়ে এগোলেন..
যাইতে দে হালার পোরে সিধু বললো!
অতি কস্টে পুকুর পারে গিয়ে পিছনে ফিরে চাইলেন রফিক সাহেব.. তাকিয়েই সাক্ষাৎ যম সিধুকে দেখতে পেলেন.. কোন প্রকার সংকেত না দিয়েই সর্ব শক্তিতে পিঠে লাথি দিলো সিধু.. আর পুকুরের পানিতে উলটে পরলেন রফিক সাহেব.. পুকুর ছোট হলেও যথেষ্ট গভীর.. আর প্রায় দুই হাতই চাপাতির আঘাতে যখম থাকায় সাতার ও কাটতে পারলেন না রফিক সাহেব.. হাবুডুডু খেতে লাগলেন.. দাপাতে লাগলেন.. জাস্ট অল্প কিছু সময়.. তারপর সব শান্ত হয়ে গেলো.. পুকুরের পানি এখন সরবতের মতই রক্তিম...
শুয়ারের বাচ্চা মরছে!! চলেন ভাই.. পাশ থেকে বলল আজাদ...
চল
এর ঠিক তিন দিন পরে পেপারে খবর পাওয়া গেলো অমুক ডোবা থেকে এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ি রফিক সাহেব এর লাশ পাওয়া গিয়েছে.. অই এলাকায় তেমন বাসাবাড়ি না থাকায় লাশ পচে যাওয়ার পরে এলাকা বাসি গন্ধ পেয়ে লাশ উদ্ধার করে... লাশের বেশি ভাগই মাছে খেয়ে ফেলছিলো কিন্তু পরবর্তিতে পচা রক্তের বিষে মাছদেরই মড়ক লাগছিলো....
নিরবে পেপার টা উলটে রাখল সিধু মুখে একটা কৌণিক হাসি.. নাটকির পোলা...
একটা ছিগারেট ধরালো সিধু... আরো কাজ বাকি.....
চলবে(আগামি পর্বে সমাপ্য)
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now