বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
প্রথমে একটা মাইক্রোবাস ভাড়া করব। আর ভাড়া করব একটা দক্ষ গুন্ডা। যার মতো দক্ষ আর কেউ নেই। যে কিনা চলন্ত গাড়িতে বসে যে কাউকে অনায়াসে কিডন্যাপ করতে পারবে। তাকে আর গাড়িটা ভাড়া করব একদিন এর জন্য। একটা পিস্তল হলে ভালো হতো। থাক। পরে ভয়ে মরে গেলে সমস্যা হবে। আর কী বাকি? ওহ বাসাটা ঠিক করতে হবে। কোন বাসা নেব? কোনটা? কোনটা? পেয়েছি! ওর বাসাতেই রাখব। তারিখ? মমমম... ৯ তারিখ হলে কেমন হয়। ওকে ঐ দিনই হবে। ওওহ ভুলেই তো গিয়েছিলাম আর লাগবে ক্লোরোফ্লোরো কার্বন। ওইটা মনে হয় কিডনাপার এর কাছেই আছে।
ওকে উপকরণ শেষ। এবার প্লান মোতাবেক কাজ হপ্পে। আজ ঘুমাবো কালকে কাজ শুরু।
রাস্তার মোরে আমি গাড়ি, ড্রাইভার ও কিডনাপারকে নিয়ে ওয়েইট করব। অবশ্য আমিই গাড়ির ড্রাইভার । স্কুল ছুটি হয়েছে ওর। আমি গাড়ি স্পিডে চালাতে থাকলাম। চলন্ত অবস্থাতেই কিডন্যাপিং এর কাজ সফল হলো।
আমি এবং গুন্ডা।
: ওই মিয়া এতো চাও কেন? আমি ৩ এর বেশি পারুম না।
: এইডা কি ২০১১ নাকি? এইডা ২০১৮। ৪ কইসি ৪ই দিতে হইব।
: বেশি চিল্লাইলে মিথ্যা মামলায় ফাসায়া দিমু। (সাথে ছুরি টাও বের করলাম) এই লও ৩ । এইবার ফট তাড়াতাড়ি।
যাক ছুরিতে কাম হইছে, বেটা ফটসে। আমার কাছে ৪ হাজার টাকা চায়। বদমাইস।
আমি আবার গাড়ি চালাতে থাকলাম। ও পিছনের সিটে শুয়ে আছে অজ্ঞান হয়ে। মনে হচ্ছে যেন আয়েশ করে ঘুমুচ্ছে। কী মায়াবী চেহারা! আমার ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারি যে, কেউ যখন অজ্ঞান হয়ে ঘুমায় তখন তাকে সবচেয়ে সুন্দর, মায়াবী এবং নিষ্পাপ মনে হয়। অবশ্য এবারের অভিজ্ঞতা টা নতুন। কারন এতোদিন অন্যের অধিনে ছিলাম। আজ নিজেই...
আমি ঢাকা-চিটাগাং হাইওয়েতে আছি। ওর বাসার প্লান টা বাতিল। নতুন প্লান হলো ওকে সেন্টমার্টিন নিয়ে রাখব। ললিপপে(সিগারেট) একটা টান দিলাম। জীবনের প্রথম টান। আহ্!! ললিপপের পিছনের গল্পটা পরে বলব। ও এখনো অজ্ঞান । শুধু পার্থক্য হলো, আগে ও ছিল মুক্ত। আর এখন ওর মুখে কচস্টেপ। হাত পিছন দিকে বাধা। এর বেশি কিছুই না।
আমি হাইওয়ের একপাশে গাড়ি থামিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছি। ঠোটে ৩ নং ললিপপ। গাড়ির বাইরে গাড়িতে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে ললিপপে টান দিচ্ছি আর ললিপপের ইতিহাস ভাবছি।
১৩ বছর বয়স থেকে আমার ভিতর একটা আগ্রহ কাজ করত যে সিগারেট খেয়ে মজা কি। আমি একদিন ঠিক করি বড় হয়ে জীবনে একটা টান দিবই। ১৪ বছরে আমার বন্ধু রাঈদ এর কাছ থেকে আমি পৈশাচিক মানব উপাধি পেয়ে মাথায় ভুত চাপে যেদিন সত্যই পিশাচের মতো কিছু করব সেদিনই ১ম টান দেব। সেদিন থেকে আমার পকেটে সিগারেট । আহ কি সুখ!
নাহ দেরি হয়ে যাচ্ছে। আমি গাড়ি স্টার্ট দিলাম।
চিটাগাং থেকে কক্সবাজার গিয়ে ওকে আবার ঔষধ দিয়েছি । আরো ১২ ঘণ্টা সময় পেলাম।
ফেরি দিয়ে পার হচ্ছি আর ললিপপে টান দিচ্ছি । অবশেষে সেন্টমার্টিন পৌছালাম।
গাড়ির স্পিড 71কিমি/ঘ. । আশা করি ১০ মিনিটে রিসোর্টে পৌছাবো।
বাহ্ ঝামেলা ছারাই ঢুকতে পেরেছি। রুম গোছানোই আছে।
ওকে চেয়ারে বসালাম। নাইলনের তার দিয়ে বাধলাম। এতো শক্ত যাতে চামড়া কেটে যায়।
লাইট বন্ধ করলাম একদম অন্ধকার । সিনামার রিমান্ডের মতো। কিছু দেখা যাচ্ছে না। ডিম লাইট জ্বালালাম। হালকা হালকা দেখা যাচ্ছে।
ওর ফেবারিট মিউসিক বাজিয়ে ঘুম ভাঙালাম। যেহেতু মুখে চোখে বাধণ নেই তাই সে আমায় দেখছে।
আমি বললাম হেপি বার্থডে। ও বলল কেন তাকে এনেছি। তার চোখে ভয়। আমি পৈশাচিক হাসি দিলাম । সে আরো ভয় পেল। আমি ছুরি বের করলাম । ও ভয়ে কাদছে। বারবার চিৎকার করে জানতে চাচ্ছে কী তার পাপ। আমি বললাম পাপ তো অনেক করেছিস, ধরে নে তার কোনো একটার জন্য।
ও চিৎকার করছে যেন তাকে টাকার বিনিময়ে ছেরে দেই। আরে ভাই সব কি টাকা দিয়ে হয়?
ছুরি দিয়ে পায়ের রশি কেটে দিলাম। এক হাতের রশি খুলার সাথে সাথে আরেক হাতের রশি ছিড়ে আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ল। পুরাই কেরাতে স্টাইল। বুঝলাম মেয়ে বলে কেরাতে শিখে রেখেছে যদি বিপদে পড়ে এই ভয়ে। আমার ছুরিটাও ওর হাতে। আমার হাতে কোনো অস্ত্রও নেই। কিন্তু আমার থেকে বাঁচার উপায় নাই। আমি এক সময় কেরাতে প্রশিক্ষক ছিলাম। হা হা হা
তলপেটে কিক, কব্জির উপরে বারি, এবার পেটে ঘুষি। ব্যস ছুরি আমার কাছে। মেয়ে মানুষ, পেটে ঘুষি সহ্য করতে পারে নাই। পড়ে গেছে । আমি সোজা হয়ে দাড়ালাম। শক্তি কমে গেছে। সারাদিন অনেক ধকল গেছে তারপর আবার কেরাতে। মেয়েটা ভালোই কেরাতে পারে। সাহস আছে! মায়াবী ।
কিন্তু আমি কারো মায়ায় পড়ি না। আমি পৈশাচিক মানব । হিমুর পিতার মতো মায়া সম্পের্কে আমি একমত।
আমি ওর পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দিলাম। ছুরি টা ঘুরাতে থাকলাম। অবস্থা কেরোসিন। এবার ছুরি বের করছি আর ঢুকাচ্ছি। এবার গলায় ছুরি ঢুকিয়ে দিলাম। ছুরি দিয়ে গাল চিড়ে দিলাম। দেখতে বিভৎস লাগসে। ওর রূপে পাগল গুলাও ওকে দেখলে ভয়ে মরে যাবে। হাহ্ রূপের অহংকার।
ঘরে রক্তের বন্যা বইছে। আমার জামা লাল। হয়ে গেছে। আমার কাছে লাল ভালোবাসা নয় মৃত্যুর প্রতিক।
আমি ঘরের কোনে বসে ললিপপে টান দিচ্ছি। ওর দিকে তাকিয়ে বললাম, "সামিয়া, টাকা দিয়ে কিচ্ছু হয়না। রূপ দিয়েও নয়। তোমার রূপকে আমি ** না।"
আমি ঐ অবস্থায় ঘর থেকে বের হচ্ছি। হঠাৎ পিছনে ফিরে বললাম, "সামিয়া, ওই ছেলেটা আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল। তুমি তোমার পাপের উত্তম শাস্তি পেয়েছ।"
গাড়ি চালিয়ে বাসায় ফিরছি।...
Writer: The Great Opodartho
(ইহা সম্পূর্ণ কাল্পনিক । এই ঘটনা প্রবাহ ও চরিত্র এবং আমার সভাব সম্পূর্ণ কাল্পনিক। এর সাথে বাস্তবের মিল নেই। কোনো ক্ষতির জন্য আমি দায়ী নই)
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...