বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

দিশেহারা

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান ☠Sajib Babu⚠ (০ পয়েন্ট)

X এই শুনুন। -জ্বি। -আপনি রফি না! -হুম। -কেমন আছো। -ভালো,কিন্তু কে আপনি? -নিধি। -কোন নিধি? -ভুলে গেছো! -আজব!ভুলে যাওয়ার কি আছে? -খুবতো বলতে আমায় কখনো ভুলতে পারবানা কিন্তু দেখো কয়েক বছরেই ভুলে গেছো। -আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে। -লেখকদের ভুল হতে পারে কিন্তু কোনো ম্যাজিস্ট্রেট কখনো ভুল করেনা। -হুম বুঝলাম,এখন কি আমি যেতে পারি? -তুমি সত্যি আমায় ভুলে গেছো! -হাহাহা। -হাসির কি হলো! -আপনায় কি করে ভুলি বলেন তো!নির্ঘুম কাটানো রাত,ভেঙে যাওয়া স্বপ্ন আর এক হ্রাস হতাসা,সবকিছু যে আপনার সাথে জড়িয়ে।আমার জিবনে বদলে যাওয়ার প্রধাণ ধাপ আপনি।নাহ্ বেঁচে থাকতে আপনায় ভুলা সম্ভব নয়। যাইহোক আপনি আমায় চিনলেন কি করে? -ভেবে নাও লুকিয়ে তোমার খোঁজ রাখতাম।কিন্তু আজ এভাবে কোর্টে তোমার সাথে দেখা হয়ে যাবে ভাবতেও পারিনি।তো কি কাজে আসছিলা এখানে? -গাড়ির কাগজ কড়ার ব্যাপারে। -ওহ্,চলো কোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে কথাবলি। -সরি.. আমায় এখন যেতে হবে। -এক প্রশ্ন করতে পারি? -হুম। -বিয়ে করনি কেনো? -কি লাভ একজনের মনে রাজত্ব করে। -তাই বলে বিয়ে করবানা! -আপনি বিয়ে করেছেন? -হয়তো আজো কারো অপেক্ষায় আছি। -মনে আছে একটা কথা। -কি? -একটা ভুল আর সারাজীবনের কান্না। -হুম। -সেদিন আমি রেগে ব্রেকআপ মেসেজ দিয়েছিলাম সেটা ছিলো আমার ভুল।পরে অনেকবার সরি বলা সত্তেও আপনি ক্ষমা করেননি সেটা ছিলো আপনার ভুল।দেখুন মাসুল হিসাবে মনে কান্না মুখে হাসি নিয়ে পথ চলতে হচ্ছে। -সবকিছু নতুন করে শুরু করা যায়না? -আদৌ কি সেটা সম্ভব! -চলোনা দুজন দুজনকে আর একটা সুযোগ দিয়ে দেখি। -হুম। -কি? -চলো। তারপর দুজন দুজনের হাত ধরে কাজী অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। . মাঝ পথে স্মৃতী গুলো এক এক করে মনে পরতে লাগলো। শত মাইল দূরত্ব দুটি মনের সম্পর্ক ফেসবুকে।তবে সেটা আর পাঁচটা প্রেমের মতন টাইম পাস নয়। পথের দূরত্বের মতন প্রেমের গভীরতাও ছিলো অনেক। কিন্তু দেখার বিষয় সেই গভীরতা কতটা ক্ষণস্থায়ী। . ভালোই চলছিলো দুজনের মাঝে তবে কথায় আছে বেশী ভালো ভালো না। সকালে মেয়েটার "গুড মর্নিং" মেসেজ পেয়েই সাথে সাথে রিপ্লে "কি করো!" তারপর এক এক করে আরো তিনটা মেসেজ দেওয়ার পরেও মেয়েটার কোনো সাড়া নেই। মেসেজে উত্তর না পেয়ে কল দিতে বাধ্য হলাম,ভাগ্য ক্রমে নো রেসপন্স। এভাবে কেটে গেলো সারাটা দিন। সন্ধ্যা হতে বালিকার ওপর মনের রাগ চরম সিমা অতিক্রম করে গেলো। তখন রাগ সামলাতে না পেরে ছোট্ট একটা মেসেজ পাঠিয়ে দিলাম "Breakup." মেসেজ সেন্ড হওয়ার পাঁচ মিনিট পর নিজের প্রতি রাগ হতে লাগলো,এটা আমি কি করলাম।ঘটনা বিগড়ে যেতে পারে ভেবে সাথে কল দিলাম,কিছুক্ষণ বাদে রিসিভ.... -হ্যালো। -ব্রেকআপ তো দিয়েই দিছো তো কল দিলা কেনো। -আগে বলো,কোথায় ছিলে সারাদিন! -বলার প্রয়োজন মনে করিনা। -ওকে মেসেজের জন্য সরি,এবার বলো। -তোমার কি মনে হয়,এই রিলেশন আর টিকবে! -ওহ্ গড,বললাম তো সরি।আর ব্রেকআপ বললেই কি ব্রেকআপ হয় নাকি। -আমি আর তোমার সাথে কথা বলতে চাইছিনা। -ওকে ওকে,আর ডিস্টার্ব করবোনা।বাট..সারাদিন কোথায় ছিলে এইটুকু বলো। -হুম। -কি হলো! -মাথা প্রচুর ব্যথা করছিলো তাই ডাক্তারের কাছে গেছিলাম।সেখান থেকে সোজা শপিংএ চলে গেলাম।শপিং থেকে এখন মাত্র বাসায় আসলাম। -তো এর মাঝে আমায় একবার বলে যেতে তো পারতা! -ফোন নিয়ে যাইনি। -ওহ্,এখন মাথা ব্যথা কমছে তো! -হুম। -I love you. -দেরী হয়ে গেলোনা। -সরি,আর হবে না। -নাহ্ এবার আর সুযোগ দিয়ে দ্বিতীয় ভুল করবোনা। কথাটা শুনে মনের মাঝে এক চাপা অভিমান সৃষ্টি হলো।আমিও আর জোড় করলাম না।কিছুক্ষণ কথা বলে ফোনটা রেখে দিলাম। চিরচেনা নাম্বারটা আর কখনো ডায়াল করা হয়নি। একবছরের রিলেশন এক মুহূর্তে শেষ হয়ে গেলো। জেদের জয় হয়,হেরে যায় ভালবাসা। . কিছুক্ষণবাদে নিধি আস্তে করে ধাক্কা দিয়ে বললো "কি ভাবছো।?" -না কিছুনা। -তো কিছু বলো। -সময়টা কি নিষ্ঠুর তাইনা। -কেনো! -কখন কিভাবে কার জিবনের রঙ বদলে দেয় বোঝা মুশকিল। -হুম। . কাজি অফিসের সামনে এসে দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিলাম। তারপর কিছু লোক কে টাকার বিনিময়ে আন্তিয় বানিয়ে বিয়েটা সেরে ফেললাম। বিয়ে শেষে.... -চলুন এবার বাসায় যাওয়া যাক। -নাহ্। -কেনো? -আগে তুমি করে বলো। -ওকে। -তোমার তো নদীর পাড় খুব ভালোলাগে। -হুম। -চলো তবে সেখানেই যাই। -চলো। তারপর একটা রিক্সায় করে ভরদুপুরে নদীর পাড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।যাওয়ার পথে অল্প কিছু খাবার কিনে নিলাম। নদীর পাড়ে পৌছে নির্জন খোলামেলা একপাশে গিয়ে বসলাম। আমাদের উপস্থিতি তে সূর্য যেন তার তেজ দ্বিগুণ করে দিলো। নিধিও কম নয়,সূর্যকে হার মানিয়ে নিধি তখন ওর শাড়ির আচল দুজনের মাথার ওপর দিয়ে রোদের আড়াল করলো। কিছুক্ষণ নীরবতা,তারপর নিধি কান্না শুরু করে দিলো। অসহ্য রকমে বালিকার কান্না সহ্য করতে না পেরে আমি তখন হাত দিয়ে বালিকার চোখের পানি মুছে দিয়ে জড়িয়ে ধরলাম। নাহ্,এবার আমার চোখ জোড়াও ঝাপসা হতে লাগলো।চোখ বেয়ে নেমে আসতে লাগলো লোনা জল।সেটা কোনোভাবে মুছে নিধির মাথায় আলতো ঠোঁটের ছোয়া দিয়ে বললাম "I love you." নিধি তখন অভিমান জড়িয়ে কণ্ঠে বললো "I love you too." * অতঃপর,ভেঙে যাওয়া দুটি মন আবার জোড়া লেগে গেলো। নিরাশার সময় কেটে গিয়ে ভালবাসার আবির্ভাব ঘটলো। ..........................


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৪৬৩ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • ♣Blue Butterfly ♣
    User ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    gjgj

  • ☠Sajib Babu⚠
    Golpobuzz ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    gj

  • ♣Blue Butterfly ♣
    User ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    Mmm.....2

  • ☠Sajib Babu⚠
    Golpobuzz ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    Mmm

  • ♣Blue Butterfly ♣
    User ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    Nice story......

  • Sajib babu
    Golpobuzz ৬ বছর, ১ মাস পুর্বে
    most welcome aapu

  • Fariya Tasnova
    User ৬ বছর, ১ মাস পুর্বে
    wellcyou....bhaia

  • Sajib babu
    Golpobuzz ৬ বছর, ১ মাস পুর্বে
    thanks #Fariya Api

  • Fariya Tasnova
    User ৬ বছর, ১ মাস পুর্বে
    Amazing