বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
অপূর্ব:- এই যে শুনুন..
তিহা:-জ্বি বলোন?
অপূর্ব:-বিএফ আছে?
তিহা:-মানে?
অপূর্ব:-মানে মানে করার দরকার নেই, আমি আরবি কিংবা উর্দূতে বলছি না, যে ভাষার জন্য বাঙ্গালী জীবন দিয়েছে সেই বাংলা ভাষাতেই বলছি।
তিহা:-না কেন?
অপূর্ব:-হুমমমম না থাকলেই ভালো যদি থাকেও তাকে মন থেকে ডিলিট করে দেন।
তিহা:-কেন?
অপূর্ব:-কেন মানে আমি কি আপনার সাথে এমনি এমনি কথা বলছি?
তিহা:- তো?
অপূর্ব:-প্রেম করবো।
তিহা:- কার সাথে?
অপূর্ব:-আমার সামনে কি অন্য কেউ আছে?
তিহা:-না তো..
অপূর-তাইলে আপনার সাথেই।
তিহা:-নো লাভ নো টেনশন।
অপূর্ব:-টেনশন না থাকলে জীবন চলে না তাই প্রেমটা করতেই হবে।
তিহা:-না লাগবে না টেনশন।
অপূর্ব:- টেনশন না লাগলেও প্রেমটা করতেই হবে।
আজ থেকেই রিলেশন শুরু।
তিহা:-বললেই হলো নাকি?
অপূর্ব:-বললেই তো হবে, না বললে কি হতো?
তিহা:-আপনার কথা শুনে আমার ঘুম ধরে গেছে।
অপূর্ব:-ঘুম মহামূল্যবান জিনিস, আর সেটা যেহুতু আমি দিতে পেরেছি তার মানে প্রেম শুরু..
তিহা:-আপনার কথায় যাদু আছে তো আমি কি করবো?
অপূর্ব:-বেশি কিছু না প্রেম করলেই হবে।
তিহা:-ইশ রে ভালো লাগে না প্রেম করতে।
অপূর্ব:-আপনার ভালো লাগতে হবে না আমার ভালো লাগলেই হবে।
তিহা:-না..
অপূর্ব:-চুপ বেশি কথা বলবেন না আমি যা বলছি তাই।
তিহা:-এই আমাকে ধোমকান কেন?
অপূর্ব:-প্রেমিকারে ধমকাবো না তো কারে ধমকাবো?
তিহা:-আপনার মাথা প্রেম করবো।
অপূর্ব:-সমস্যা নেই যা ইচ্চা করতে পারেন তবে প্রেম করতেই হবে।
তিহা:-সব করবো তবে প্রেম করবো না!
অপূর্ব:-প্রেম না করলে সব করবেন কি ভাবে?
তিহা:-ইইইই সাহস কত!
অপূর্ব:-সাহস না থাকলে কি প্রেম করা যায়? আমার সাহস আছে মানে প্রেম করতেই হবে।
তিহা:-না না না মানি না মানবো না।
অপূর্ব:-এটা ভাষা আন্দোলন না যে স্লোগান দিবেন।
তিহা:-আপনি একটা ছাগল।
অপূর্ব:-সমস্যা নেই আপনি আমার ছাগি।
তিহা:-ওকে বাই।
অপূর্ব:-তারমানে প্রেম শুরু?
তিহা:- এই না আমি চলে যাবো তাই বললাম।
অপূর্ব:-ওকে বললেন মানে প্রেমটা শুরু।
তিহা:-ইট দেখছেন?
অপূর্ব:-হুমমমম মাটি দিয়ে তৈরি হয়।
তিহা:-এই ইট আপনার মাথা ফাটাবো কিন্তু।
অপূর্ব:-সমস্যা নেই হাসপাতালের নার্সের দ্বায়িত্ব নিতে চান তো, আগে বলবেন না নিজেই ফাটাচ্ছি..
তিহা:-মামার বাড়ির আবদার নাকি? চাইলেই বুঝি পাওয়া যায়?
অপূর্ব:-না চাইলে পাবো কি করে? আপনি কি আমার বাসার সামনে গিয়ে বলতেন অপূর্ব বাইরে এসো প্রেম করবো? বলতেন না তো? তাই নিজেই চাইলাম।
তিহা:-না চাইলেই পাওয়া যায় না
অপূর্ব:-না চাইলে কেউ দেয় বুঝি?
তিহা:-আপনার সাথে কথা বলে আর পারবো না।
অপূর্ব:-তারমানে ধরে নিবো প্রেম করবেন?
তিহা:-না শেষ।
অপূর্ব:-শুরু না হতেই শেষ হয় কিভাবে?
তিহা:-কচু শুরু।
অপূর্ব:-সমস্যা নেই কচু খুব ভালো লাগে।
তিহা:-তাইলে বসে বসে সেটাই খান।
অপূর্ব:-আজকেই খেয়েছি।
তিহা:-আপনি যাবেন?
অপূর্ব:-কোথায়, রিকশা আনবো একসাথে ঘুরবেন?
তিহা:-জ্বি না মায়ের কোলে!
অপূর্ব:-এখন প্রেম করছি রাতে যাবো।
তিহা:-কার সাথে প্রেম করছেন?
অপূর্ব:-কেন আপনার সাথে।
তিহা:-যা ইচ্ছা ভাবেন তবে আমি গেলাম ঘুমাবো!
অপূর্ব:-একা ভাবা যায় না তাই আপনাকে নিয়েই ভাবছি।
তিহা:-আপনার সাথে কথা বলে পারবো না।
অপূর্ব:-এটাই প্রেমের শুরু?
তিহা:-আগে তো জানতাম প্রতিদিন এই রাম্তায় বসে থাকা ছাড়া কাজ ছিলো না।
কথা বলার সাহস ছিলো না আজকে এতো কথা বের হচ্ছে কোন দিক দিয়ে?
অপূর্ব:-কেন আপনার কি অন্য দিক দিয়ে কথা বের হয় নাকি?
তিহা:-না তো!
অপূর্ব:-তাইলে আমারও মুখ দিয়েই বের হচ্ছে।
আর এতো দিন ভাবতাম আপনিই আগে বলবেন কিন্তু বললেন না তাই নিজেই বলে দিলাম।
তিহা:-এতো কিছু ভাবেন?
অপূর্ব:-না না আগে ভাবতাম আর ভাবি না।
তিহা:-ভালো।
অপূর্ব:-হুমমম হুমমম এই তো হচ্ছে এখন বাসি শব্দটা এড করেন তাইলেই হবে।
তিহা:-বাসি না।
অপূর্ব:-ইশ রে হলো না এবার না শব্দটা বাদ দে।
তিহা:-না
অপূর্ব:-এইতো হয়ছে দুইটা মিলিয়ে ভালোবাসি।
তিহা:-জ্বি না ভালোবাসি না।
অপূর্ব:-তাইলে আড় চোখে তাকান কেন হুমমমম প্রতিদিন?
তিহা:-আরে তাকালেই কি প্রেম হয় নাকি?
আর কাধেন গিটারটা খুব ভালো।
অপূর্ব:-আর আমি?
তিহা:-সেটা তো জানি না।
অপূর্ব:-প্রেম করেন জানতে পারবেন।
তিহা:-মাথায় এই কথা ছাড়া আর কথা নেই?
অপূর্ব:-আছে তো...
তিহা:-সেটাই বলেন।
অপূর্ব:-love u
তিহা:-এটা কি হলো?
অপূর্ব:-কেন অন্য কথা বললাম।
তিহা:-ঘুরে তো একিই হলো।
অপূর্ব:-এই তো বুঝছেন।
তিহা:-হুমমমম
অপূর্ব:-এটা কি love u এর উওর?
তিহা:-আরে না না বুঝতে পারছি সেটার উওর।
অপূর্ব:-যাক অবশেষে প্রেমটা তো হলো।
তিহা:-কেমনে?
অপূর্ব:-আমার কথা বুঝতে পারছেন তাই তো।
তিহা:-আপনার কথা শুনে আমি শেষ।
অপূর্ব:-আমি জানি।
তিহা:-কি জানেন?
অপূর্ব:-প্রেমে পড়ে গেছেন এটা?
তিহা:-আম্মুকে ডাক দিবো বলে দিলাম।
অপূর্ব:-কেন সরাসরি বিয়ে কথা বলতে? সমস্যা নেই ডাক দেন ।
তিহা:-আপনি একটা পাগল
অপূর্ব:-প্রেম করলে একটু পাগল হতেই হয়।
তিহা:-ওকে বাই
অপূর্ব:-তার মানে প্রেম শুরু?
তিহা:-ইইইই নাক ফাটিয়ে দিবো কিন্তু.....
অপূর্ব:-সমস্যা নেই স্বামীর নাক ফাটাতেই পারেন, বাইরের লোকের নাক ফাটিয়ে মার খাবেন নাকি?
তিহা:-স্বামী আসলো কোথা থেকে?
অপূর্ব:-মানে কি প্রেম কি এমনি এমনি করছি নাকি? বিয়ে করবো না?
তিহা:-আজব তো।
অপূর্ব:-জানি আমি আজব সবাই বলে।
এই যে দেখেন সারাদিন আপনার জন্য বসে থাকি পাগল ছাড়া আর কি?
তিহা:-গিটারটার যত্ন নেন না? ময়লা পড়ে গেছে?
অপূর্ব:-গিটার আপনাকে ভাত কাপড় দিবে না আমি দিবো।
তাই গিটারের কথা না ভেবে আমার কথা
ভাবেন।
তিহা:- ভাবলাম
অপূর্ব:-কি ভাবলেন?
তিহা:-আপনি বদ্দ উম্মাদ...
অপূর্ব:-জানি।
তিহা:-আর কি কি জানেন নিজের সম্পর্কে?
অপূর্ব:-প্রেমটা শুরু হোক সব বললো আস্তে আস্তে।
তিহা:-আস্তে না জোরে বলেন।
অপূর্ব:-love u(জোরে চৎকার দিয়ে বললাম) সাথে সাথে আমার মুখটা চেপে ধরে বললো....
তিহা:-আরে আরে করছেন কি।
অপূর্ব:-আপনিই তো বললেন জোরে বলতে।
তিহা:-এটা না। আর আমার বাসার সামনে এটা বললে প্রেম করা হবে না বলে দিলাম।
অপূর্ব:-তারমানে?
তিহা:-আপনি তো সব জানেন এটাও জেনে নেন।
বলেই চলে যাচ্ছে!
পিছন থেকে বললাম,,
অপূর্ব:-প্রেমের কি হলো?
তিহা:-রাতে ফোন দিয়েন সব বলবো।
অপূর্ব:-নাম্বারটা?
তিহা:-কেন সেইদিন আপনাকে দেখে পাশের ফ্ল্যাক্সির দোকানে টাকা তুললাম না মোবাইলে চোরের মত তো নাম্বারটা নিলেন।
একটা ফোনও তো দিলেন না।
অপূর্ব:-আমাকে দেখে কেন দিলেন?
তিহা:-কি আর করার সারাজীবন কি এখানে বসে থাকবেন?
বিয়ের বয়স তো পার হয়ে যাচ্ছে।
তাই ভাবলাম আর কি,
আর আপনি একটা গরু সাহস নেই ফোন দেওয়ার।
অপূর্ব:-অপেক্ষা ছিলেন নাকি?
তিহা:-আপনি তো সব জানেন এটাও জেনে নেন।
আর এই ভাবে আগোছালো হয়ে থাকলে
দুইদিনেই ডিবোর্স দিয়ে দিবো বলে দিলাম।
হঠাৎ তিহার ফোনটা বেজে উঠলো।
অপূর্ব:-এটা আমার নাম্বার..
তিহা:-বলতে হবে না সেভ করাই আছে।
অপূর্ব:-তাইলে কি প্রেমটা শুরু?
তিহা:-গরুর আবার প্রেম কিসের?
বলেই চলে যাচ্ছে বাসার দিকে।
তাকিয়ে আছি ওর চলে যাওয়ার দিকে।
মন বলছে তাকাবে।
কিন্তু না তাকিয়েই বাসার ভিতর ডুকে গেলো।
মনটাই খারাপ একবার তাকালে কি এমন হতো?
এমন সময় দেখলাম,
গেটের ফাক দিয়ে তাকিয়ে আছে।
দেখেই উপর দিকে ইয়াহু বলেই লাফ।
হাসতে হাসতে চলে গেলো।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
মিনারুল ইসলাম
User ৪ বছর, ৫ মাস পুর্বেZobayer
Guest ৫ বছর, ৫ মাস পুর্বেজানুয়ারি
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেHi জানুয়ারি কেমন আছ
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেজানুয়ারি
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেTanjib Sisir
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেKing Jibon
Golpobuzz ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বেMd.Motiur Rahman
Guest ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বেAjharul Islam Kousik
User ৫ বছর, ১০ মাস পুর্বেMd Sagor
Guest ৬ বছর, ১ মাস পুর্বেMd Nishan Ahamed
User ৬ বছর, ১ মাস পুর্বেশাকিম ঊদ্দীন
User ৬ বছর, ২ মাস পুর্বেRajon
Guest ৬ বছর, ২ মাস পুর্বেDristi Afroz
User ৬ বছর, ২ মাস পুর্বেRana
User ৬ বছর, ২ মাস পুর্বেRana
User ৬ বছর, ২ মাস পুর্বে