বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
↓↓↓
মান্না তার অত্যন্ত প্রিয় স্থান গণগ্রন্থাগারের চেয়ারে টেবিলে
বসে আনমনে কি যেন চিন্তা করতেছিলো। চিন্তা করাটাই
স্বাভাবিক কারণ হাতে যে একটা বিয়ের কার্ড। পাত্রপাত্রী আর
কেউই না। পাত্র তার খুবই কাছের মানুষ রিসাদ। আর পাত্রী
সেতো কত আপনজন ছিলো এক সময়ের। অনেকদিন পরে
তাসনীয়ার কথা মনে পড়লো তার। এই গণগ্রন্থাগারেই প্রথম
তাসনীয়াকে সে দেখেছিলো। আজকে যে চেয়ারে সে
বসে আছে ঐদিনোও সে এই চেয়ারেই বসে ছিলো।
বিয়ের কার্ডটা হাতে নিয়ে সে চলে যায় সাতবছর আগে।
.
বাসায় সারাদিন শুয়ে বসে থেকে তার আর ভালো লাগছিলো না।
ভালো লাগানোর জন্য তখন সে প্রতিদিনই গণগ্রন্থাগারে
আসবে বলে ঠিক করে। কারণ গণ গ্রন্থাগারে কারো কথা
শুনতেও হয় না আবার কারো সাথে কথাও বলতে হয় না। প্রতিদিন
অধীর আগ্রহ নিয়ে ঘুম থেকে উঠে কখন গণ গ্রন্থাগারে
যাবে। নদীর পানি সারাজীবন একইভাবে প্রবাহিত হয় না। কখনো
প্রবাহ বাড়ে আবার কখনো নদীই হয়ে উঠে গোবি মরুভূমির
একটা ছোট সংস্করণ। গণ গ্রন্থাগারে যাওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্যই
ছিলো মানুষের সংস্রব ত্যাগ করা। কিন্তু বেশি প্রত্যাশা করলে
মাথায় গাছ ভেঙ্গে পড়বেই। একসময় এই গণগ্রন্থাগারও হয়ে
উঠে তারকাছে নতুন কিছু শোনার জায়গা। কিছু শোনতে গেলে
প্রথমেই অন্যের বলতে হয়। অতএব সে তার সাথে কথা বলার
লোক পেয়ে যায়। কথা বলার লোক বল্লে ভুল হবে হয়তো
একটা জীবন্ত টেপরেকর্ডার!!
.
প্রতিদিনের মতোই মান্না টেবিলে বই নিয়ে শুধু বইয়ের পাতা
উল্টাইতাছে। তখনিই হঠাৎ তার দৃষ্টি একটা মেয়ের উপরে নিপতিত
হয়। সে তাজ্জব হয়ে যায় কারণ মেয়েটির দৃষ্টিও তার দিকেই।
সে লজ্জায় মুখ ঘুরিয়ে নেয়। কিছুক্ষণ পর আবারো
মেয়েটিকে দেখার চেস্টা করার সময় সে পুরাই টাস্কি
খেলো। কারণ তখনও দেখে মেয়েটি তাকে দেখতেছে।
তাদের এই চোখাচোখি প্রায় প্রতিদিনই হতো। তবে বরাবরই
মান্না ফেইল করতো কারণ তার দৃষ্টি মেয়েটির দিকে যাওয়ার
আগেই মেয়েটির দৃষ্টি তারদিকে নিবদ্ধ হতো। এভাবেই
চলছিলো মান্নার প্রতিদিনের গণগ্রন্থাগার ভ্রমণ। আগে সে
গণগ্রন্থাগারে যেতো এমনিই কিন্তু এখন ঐ এমনিটার সাথে
মেয়েটিকে দেখাও যোগ হইছে। যদিও এখনপর্যন্ত খুবই
ভালো করে দেখতে পারে নাই মেয়েটিকে সে। কারণ
মেয়েটিকে দেখলেই তার প্রচন্ড লজ্জা পায়।
.
মান্না প্রতিদিনই চিন্তা করে ঐদিন সে কথা বলবেই কিন্তু কিভাবে
বলবে তা ভেবে পায় না। কারণ গণগ্রন্থাগারের ভিতরে একজন
অপরিচিত মেয়ের সাথে কথা বলার সাহস সে পায় না। এখন সে
স্রেফ মেয়েটিকে দেখার জন্যই গণগ্রন্থাগারে যায়।
মেয়েটিকে দেখে সে একধরনের প্রশান্তি অনুভব করে।
এভাবে কিছুদিন চলার পরে সে মেয়েটির সাথে কথা বলবে
বলে মনস্থির করেই ফেল্লো। যাইহোক একদিন মেয়েটি
গ্রন্থাগার থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই সেও বের হয়ে
আসলো। বের হয়ে দেখে মেয়েটি আরেক মেয়ের
সাথে বসে কথা বলতেছে। সে মেয়েটির সাথে কথা বলার
জন্য এগিয়ে যায়। তার রক্তচলাচল ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। মাথার
ভিতরে থাকা স্নায়ুগুলো হয়তো গ্লুকোজের অভাবে
নেতিয়ে পড়তে শুরু করে। কিন্তু সে সবকিছু উপেক্ষা করে
মেয়ে দুইটার সামনে দাঁড়ায়।
.
তার মধ্যে বিদ্যমান হাজারো এমনকি লাখো বছরের সমস্ত
লজ্জাশরম বিসর্জন দিয়ে মেয়েটির নাম জিজ্ঞাসা করে।
মেয়েটি কিছুটা বিব্রতবোধ করে কিন্তু তার সাথে থাকা অন্য
মেয়েটি একদম স্বাভাবিক ছিলো। যাইহোক তাদের মধ্যে মাত্র
কয়েকটা কথা হয়।
-এই মেয়ে তোমার নাম কি?
-কেন?
-দরকার আছে। আগে নাম বলো।
-তাসনীয়া।
-কিসে পড়ো?
-ইন্টার সেকেন্ড ইয়ার।
-সরকারি কলেজ? বাসা কোথায়?
-হুম্ম, নাগড়া।
-আচ্ছা।
এইপর্যন্ত বলার পরেই মান্নার হৃৎপিন্ড রক্তকম্প হওয়ার আভাস
দিতে থাকে। ফুসফুসটা জানি কেমন করা শুরু করে দেয়। মাথাটা
অনেক হালকা মনে হয়। তাই সে অতিদ্রুত ঐ জায়গা থেকে চলে
আসে। সে বলতে ব্যর্থ হয় যে তোমার আমাকে অনেক
ভালোলাগে। তোমার হাতে ঐদিন সঞ্জিত গুহের রসায়ন প্রথম
পত্র বইটা দেখার পর থেকে। আমার শরীরে বিদ্যমান
ইলেকট্রনগুলো আমাকে ত্যাগ করে তোমার কাছে যাইতে
চায়। তারা আয়নিক সমযোজী বন্ধন তৈরি করতে চায়। তোমার
ইলেকট্রনগুলোও কি আমারগুলোর মতো বন্ধন তৈরি করতে
চায়??
.
একটা বিষয় লক্ষ্য করে মান্না তাজ্জব হয়ে যায় কারণ ঐদিনের পর
থেকে আর তাসনীয়ার প্রতি তার তেমন কোন আগ্রহই নাই।
কিন্তু দুইদিন ধরে যখন গ্রন্থাগারে তাসনীয়াকে সে দেখে
তখন আবারো তার হাটু কাপা শুরু হয়। কিন্তু এইবার সে যতই
তাসনীয়ার দিকে তাকায় না কেন ঐ মাইয়া তাকাবে দূরের কথা মাথাটা
পর্যন্ত উপরে তুলে না। একদৃষ্টিতে শুধু বইয়ের দিকেই তাকিয়া
থাকে। বিষয়টা মান্নার কাছে অসহ্য মনে হয়। কিন্তু পুনরায় কথা বলার
মতো সাহস অর্জন করতে সে ব্যর্থ হয়। কিন্তু তখনই আবির্ভূত
হয় নিটার ফেরত একজন ইঞ্জিনিয়ার। যে এইসব বিষয়ে খুবই
এক্সপার্ট। তাকে এইবিষয়টা বলার সাথে সাথেই সে কি যেন চিন্তা
করে বল্লো মেয়ে তোর সাথে কথা বলবে। পরদিন মান্না
আর ইঞ্জিনিয়ার তাদের মিশনে নেমে পড়লো। ইঞ্জিনিয়ার
মেয়েটির সাথে বেশকিছুক্ষণ কথা বল্লো। মান্নার অবস্থা তখন
খুবই খারাপ। ইঞ্জিনিয়ার কি নিজের জন্য কিছু করতেছে কিনা তা সে
আর আল্লাহ্ই ভালো জানে। অনেক পীড়াপীড়ি করার পরেও
ইঞ্জিনিয়ার তাকে কিছুই বল্লো না। বল্লো শুধু, কাল থেকে
মেয়ে নিজ থেকেই তোর সাথে কথা বলবে।
.
পরদিন অধীর আগ্রহ নিয়ে মান্না অপেক্ষা করতেছে
তাসনীয়ার জন্য। যথারীতি তাসনীয়া এসেই বই পড়া শুরু করে
দেয়। কিছুক্ষণ পর মান্নার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বলে, আমি
বাইরে অপেক্ষা করতেছি তাড়াতাড়ি আসেন। তাসনীয়া বের
হওয়ার দুই মিনিট পরে মান্নাও বের হয়। মান্না চিন্তা করতে থাকে
তাসনীয়া তাকে কি বলবে? মেয়েটি কি তাকে খারাপ ভাবলো
নাকি? ইত্যাদি চিন্তা করতে করতেই সে তাসনীয়ার সামনে গিয়া
দাঁড়ালো। তাসনীয়াই প্রথম কথা বলা শুরু করলো,
-ঐদিন নামটা জিজ্ঞেস করেই চম্পট মারলেন কেন? নিজের
নামটাও তো বলতে হয় নাকি!!
-কাঁচুমাচু হয়ে আসলে বুঝতে পারতেছিলাম না কি বলবো তাই
প্রস্থান করেছিলাম।
-যাইহোক, রিসাদ ভাইয়া আপনার সম্বন্ধে মোটামুটি ভালোই ধারণা
দিছেন আমাকে।
-কি বলছে আমার সম্বন্ধে? উল্টাপাল্টা কিছু বলে নাই তো
চৌধুরী? উল্টাপাল্টা কিছু কইলে ওর খবর আছে।
-হইছে থাক আর সাহস দেখাইতে হবে না। এখানে দাঁড়াইয়া
থাকবো নাকি কোথাও বসবো??
-অবশ্যই চলো ঐদিকে বসি।
-হুম্ম,আসেন।
-আচ্ছা পড়ালেখার খবর কি?
-ভালো না খুবই খারাপ।
-কেন?
-কেউ বলে মেডিকেলে পড়তে হবে, কেউ বুয়েটে
আবার কেউ ঢাবি, কেউ কৃষিতে। আমি কোথায় পড়তে চাই। তা
কেউই জানতে চায় না।
-এইটা অবশ্য একটা সমস্য। কিন্তু তুমি তো আমার
হাইপোথ্যালামাসে অধ্যয়ন করতে চাও এইটা অন্যরা কিভাবে
বুঝবে। তারা তো আর আমার হাইপোথ্যালামাস দেখে নাই।
-এখন কিন্তু অতিরিক্ত বলতেছেন। আচ্ছা আমার পিছনে এমনে
ঘুরঘুর করতেন কেন?
-কোথায় ঘুরঘুর করলাম? আমি তো সামান্য তোমাকে শুধু দেখার
চেস্টা করতাম মাত্র।
-ওহ,দুনিয়াতে এত মেয়ে থাকতে আমারে দেখতে চেস্টা করা
লাগে কেন?
-দেখো, তোমারে ভালোলাগছে সো তোমারেই দেখার
চেস্টা করছি। দ্যাটস ফাইনাল। এখন পড়াশোনার কথা বলো।
-ভালো কি আজীবন লাগবে?
-আজীবন লাগবে দেইখাই তো কথা বলতাছি। সারাদিন এখানে
থাকো তাইলে নিজের পড়া কখন পড়ো?
-নিজের পড়া ভালো লাগে না। সায়েন্স ভালো লাগে না।
-সমস্যা নাই। ভালো লাগানোর দায়িত্ব আমার। আমি যেভাবে বলি
সেভাবে শুধু পড়বে। আমার ইচ্ছা তুমি মেডিকেলে পড়বে।
-আচ্ছা দেখা যাবে সময় হলে। এখন কি আমার নাম্বারটা নিবেন?
-তুমি দিলে তো নিবোই। কালকে আসার সময় একটা কল দিবে।
নাম্বার বিনিময় করে তারা প্রস্থান করে।
.
তাদের প্রতিদিনই গণগ্রন্থাগারে দেখা হয়। শুধু প্রেম ভালোবাসার
মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে তাদের সম্পর্ক টা পড়ালেখাতেই
বেশি বিদ্যমান। মান্না নিজের পড়া রাইখা ইন্টারমিডিয়েট এর বইগুলো
সারারাত পড়ে। এবং দিনে এসে তাসনীয়ার সাথে গ্রুপ স্টাডি করে।
মান্না মনে মনে চিন্তা করে এভাবে যদি সে নিজে পড়াশোনা
করতো তাহলে সে নিজেও এখন মেডিকেলে ইনশাআল্লাহ্
পড়তো। যাইহোক, তাসনীয়ার পড়ালেখার অবস্থা এখন আগের
থেকে অনেক ভালো। টেস্টে অল্পের জন্য প্লাস মিস
হইছে। তবে ফাইনালে প্লাস পাবে এতটুকু আত্নবিশ্বাস সে
অর্জন করতে পারছে। এইচএসসি এক্সাম এসে যায় এবং তাসনীয়া
খুবই ভালোভাবে পরীক্ষা দেয়। মেডিকেলের প্রস্তুতি
কোচিং করা শুরু করে। অন্যদিকে মান্না এখন আগের থেকে
তাসনীয়াকে সময় বেশি দেয়।
.
তাসনীয়াকে মান্না বেশকিছু কাপড় গিফট করছে। সবগুলোই
আবার রিসাদের ডিজাইন করা। এইচএসসি তে তাসনীয়া যথারীতি
গোল্ডেন প্লাস। সে উপলক্ষ্যে আবারো কাপড় গিফট
দেওয়ার জন্য রিসাদের দ্বারস্থ হতে হয় মান্নার। তাদের
দুইজনের মধ্যে আয়ন আদানপ্রদান ভালোই চলছিলো।
তাসনীয়া মেডিকেলেও চান্স পায় এবং ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি
হয়। চান্স উপলক্ষ্যে তাসনীয়াকে মান্না তার প্রিয় কালারের একটা
জামা উপহার দেয়। এইটারও ডিজাইনার রিসাদ। তাসনীয়া এই প্রথম
মান্নাকে সবুজ রঙের একটা পাঞ্জাবী দেয়। এইটার ডিজাইনারও
ছিলো রিসাদ যদিও মান্না এইটা জানতো না। তাসনীয়া মেডিকেলে
ভর্তি হয় এবং ঢাকায় চলে আসে। কিন্তু তাদের মধ্যে সম্পর্ক
আগের মতোই ছিলো। ডিপ্রেশনে জর্জরিত একটা
মেয়েকে মেডিকেলে ভর্তি করতে সহায়তা করতে পারায়
মান্নায় অনেক খুশি। কিন্তু তার পড়ালেখার অবস্থা তখন খুবই করুণ।
ফেইল করতে করতে সে নিজেই এখন ইতিহাস হয়ে গেছে।
.
এইসব নিয়ে তাদের মধ্যে মাঝেমাঝেই তর্কবিতর্ক হইতো।
তর্ক হবেই না কেন তাসনীয়া যে এখন মেডিকেলে পড়ে।
অন্যদিকে মান্না কিছুই না। তাসনীয়া আবার মাঝেমধ্যে রিসাদের
সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলতো। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার
হওয়ার সুবাধে রিসাদের ভাবমূর্তি ভালোই ছিলো তাসনীয়ার
কাছে। অন্যদিকে মান্নার অবস্থাও খারাপ। এইসুযোগে তাসনীয়া
ধীরে ধীরে রিসাদের সাথে ঘনিষ্ঠ হইতে শুরু করে।
রিসাদেরও খুবই ইচ্ছা মেডিকেলের মেয়ের সাথে প্রেম
করার। সবনিয়ে রিসাদ ও তাসনীয়ার সম্পর্কটা অনেক গভীর হয়ে
উঠে তাদের অজান্তেই। মান্নার সাথে তাসনীয়ার ঝগড়া
প্রতিনিয়তই হতে থাকে। আস্তে আস্তে তাদের মধ্যে বিদ্যমান
বন্ধন ভেঙ্গে যায়। মান্নার ইলেকট্রনগুলো তখন মুক্ত হয়ে
ছুটাছুটি করা শুরু করে দেয়। এভাবেই তাদের মধ্যে বিদ্যমান
সমস্ত সম্পর্ক শেষ হয়ে পড়ে। মান্নার এইসব বিষয় নিয়ে
বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই। কারণ সে আগেও যেভাবে এসে
গণগ্রন্থাগারে বসে থাকতো এখনো এভাবেই বসে থাকে।
পার্থক্যটা হলো তাসনীয়ার কোন অস্তিত্বই তারকাছে নাই।
.
রিসাদ কয়েকদিন পরে মান্নারে কল দিয়ে বলে তাসনীয়ার প্রতি
তার ভালোলাগার কথা। মান্না স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টা গ্রহণ করে। এবং
সে বলে এইনিয়ে তাসনীয়ার সাথে কথা বলবে। মান্না তাসনীয়ার
সাথে কথা বলে সব ঠিক করে। তাসনীয়াও বলে যে রিসাদকে
তার ভালো লাগে। যাইহোক মান্না তাদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী
হিসাবে কাজ করে। বাংলাদেশে যেমন কিছুদিন পরপর ঘূর্ণিঝড়
আসে তেমনি মান্নার জীবনেও ঘূর্ণিঝড় হিসাবে এসেছিলো
তাসনীয়া। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাংলাদেশের অনেক ক্ষতি
হয় এবং এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে বাংলাদেশ প্রায় অক্ষমতা দেখায়।
সে জায়গায় মান্না,তাসনীয়ার নিয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়কে কি সুন্দরভাবে
না অতিক্রম করে আগের অবস্থানে ফিরে আসলো।
.
এইসব চিন্তা করতে করতেই সন্ধ্যা ৬ টা বেজে যায়।
গ্রন্থাগারের দায়িত্বে থাকা ছেলেটার ডাকে সে বাস্তব জগতে
ফিরে আসে। সে আনমনে হাসতে হাসতে গ্রন্থাগার থেকে
বের হয়ে আসে। সামান্য কয়েক মিনিটের মধ্যেই সে তার
জীবনে গত হওয়া সাতটা বছর নিয়ে চিন্তা গবেষণা করে
ফেলে। সে নিজেকে অনেকবড় চিন্তাবিদ ভাবতে শুরু করে
দেয় কারণ সাতবছরের এনসাইক্লোপিডিয়া কয়েক মিনিটের
মধ্যেই শেষ করে দেয়। সামনের সপ্তাহে রিসাদ ও তাসনীয়ার
বিয়ে। সে বিয়েতে কি করবে না করবে এইসব চিন্তা
করতেছিলো আর রাস্তা দিয়ে হাটতেছিলো।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now