বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
মহানবী (সা)-এর কথা শুনে কেঁদে আকুল হলেন আবু বকর (রা): -----------------------------------------------------------------
X
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চিরবিদায়ের ৫ দিন
আগের কথা।
সেদিন মহানবী (সা) এর পীড়ার তীব্রতা খুবই বৃদ্ধি পেল।
রোগ যন্ত্রণায় তিনি অস্থির।
কিন্তু এর মধ্যেও তাঁর কথাগুলো মানুষকে জানাবার জন্য ব্যস্ত।
তিনি সেখানে উপস্থিত নর-নারীদের উদ্দেশ্য করে বললেন,
“তোমাদের আগের জাতিগুলো তাদের পরলোকগত নবী ও
বুজুর্গদের কবরগুলো উপাসনালয়ে পরিণত করেছে। সাবধান!
তোমরা যেন এই মহাপাপে নিজেদের লিপ্ত করো না। খৃষ্টান ও
ইহুদীরা এই পাপে অভিশপ্ত হয়েছে। দেখ, আমি নিষেধ করছি
আমি আমার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। আমি তোমাদেরকে
সুস্পষ্টভাবে নিষেধ করে যাচ্ছি, সাবধান আমার কবরকে সিজদাগাহ
বানাবে না। আমার এই চরম অনুরোধ অমান্য করলে তজ্জন্যে
তোমরাই আল্লাহর নিকট দায়ী হবে। হে আল্লাহ, আমার
কবরকে ‘পূজাস্থলে’ পরিণত করতে দিয়ো না।”
আর একদিনের কথা।
অসুস্থ মহানবী (সা) মসজিদের মিম্বরে আরোহণ করলেন।
সকলের উদ্দেশ্যে বললেন, “আল্লাহ তাঁর একজন দাসকে
দুনিয়ার সমস্ত সম্পদ দান করলেন। কিন্তু সে দাস তা গ্রহণ না করে
আল্লাহকে গ্রহণ করলো।”
এই কথা শুনে আবুবকর (রা) কাঁদতে শুরু করলেন।
আবুবকর (রা) এর কান্না দেখে অনেকে বলাবলি করতে
লাগলো, বৃদ্ধের হঠাৎ আজ কী হলো! আল্লাহর নবী একজন
লোকের গল্প বলছেন, আর উনি কেঁদে আকুল হচ্ছেন।
এ যে ছিল মহানবী (সা)-এর আশু বিদায়ের ইঙ্গিত, তা অনেকেই
বুঝতে পারেননি।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...