বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
বাজান এমন একটা খুশির দিন তুমি খাইছো
কিনা না যাইনা আমি কেমনে খাই মা হইয়া
বাজান তুমি মোবাইলটা মুখের সামনে রাইখা
খাইতে থাকো মায় তোমার খাওয়ার আওয়াজ
শুইনা তারপর নিজে খামু।
ছেলে ( আজ ঈদ হলে কি হবে প্রবাস জিবনে ঈদ
চাদেঁর কোন ছুটি নাই প্রতিদিন ডিউটি বাধ্য
কিন্তু মাকে তো আর সেই কথা বলতে পারবে
না।
তাই মায়ের মন রক্ষা করতে গিয়ে শেষে
কাষ্টমারের ঝুঠা প্লেট থেকে কিছু খাবার মুখে
দিয়ে চিবুচ্ছে আর দুই চোখ বেয়ে অঝড়ে
অশ্রু বেয়ে পরছে কান্না জড়িত কন্ঠে মাকে
বলতেছে)
এই যে মা আমি খাইতাছি তুমি
আমার খাওয়ার শব্দ পাইতাছো না মা।
দারুন স্বাদ হইছে মা আইজগার রান্নাডা ঠিক
যেন তোমার হাতের রান্না মা।
মা হ বাজান তোমার খাওয়া শব্দ পাইতাছি
( গর্বধারীনী তাই বেশ বুঝতে পেরেছে যে ছেলে
তার কাদঁছে) বাজান তুমি কি কানতাছো।
ছেলে না মা আমি কান্দিনা মজার খাবারটায় ঝাল
একটু বেশি দিছি তো তাই গলায় একটু ঠেকছে
এমন খুশির দিনে আমি কি কানতে পারি মা।
তুমি শুধু শুধু টেনশন কইরো না মা।
( ছেলে কিছুতেই আর কান্না চেপে রাখতে
পারবে না যেনে শেষে মা কে বলছে)
মা গো খাওয়া শেষ কইরা তোমারে কল দিমু
এই ফাকে তুমিও খাইয়া লও।
এই বলে ছেলে আর একটা কথাও না বাড়িয়ে ফোনটা কেটে দিয়ে শিশুর মতো হাউমাউ করে কাদঁতে থাকে।
হায়রে প্রবাসী পরিবারের দশজনের মুখের হাসির জন্য ঝুঠা প্লেটের খাবার খেয়ে বলে ঠিক যেন তার মায়ের হাতের রান্না খাচ্ছে।
কত্তোবড় মিথ্যাবাদী এই প্রবাসীরা আর আমরাও কতো বোকা তাদের এই কথা অবলিলায় বিশ্বাস করে যাচ্ছি।
ভাবছি বিদেশ মানেই রাজকীয় জিবন ধারা।
সত্যিই কি প্রবাস জিবনটা রাজকীয় না মনকে মিথ্যের আবরণে ডেকে সবার মুখে হাসি দেয়ার অক্লান্ত চেস্টা।
যাদের মনে এ রকম কষ্ট তাঁরা অবশ্যই লাইক কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now