বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়ের অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনের গল্প

"শিক্ষণীয় গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান মোঃ মাসুদ রানা(guest) (০ পয়েন্ট)

X সাদিয়া গ্রামের একটি সহজ সরল রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে। সবেমাত্র এস এস সি পরীক্ষা দিয়েছে।বাবা মা নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে উপজেলা শহরের একটি কলেজে ভর্তি করিয়ে দিল। স্রোতের মত সময় ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে, এইচ এস সি পরীক্ষাও কাছে চলে আসতেছে। যথাসময়ে পরীক্ষা হল, রেজাল্ট বের হল। সাদিয়া এ প্লাস পেল। উচ্চ শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে নিজেকে ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে থাকল। বেশ কয়েকটি ভার্সিটিতে পরীক্ষা দেওয়ার পর একটা ভার্সিটিতে চান্স পেয়ে ভর্তি হয়ে গেল। নতুন পরিবেশ, নতুন ফ্রেন্ড সব কিছুই নতুন,ভালই লাগছে সাদিয়াকে। ক্লাস শেষে বন্ধুদের সাথে সন্ধ্যা পর্যন্ত আড্ডা,ফেসবুকিং,হ্যাং আউট, চ্যাটিং এক কথায় অসাধারণ দিন যাপন।হঠাৎ পাওয়া স্বাধীনতা তাকে কিছুটা উন্মাদ করে তুলেছে । জীবনে চলতে গিয়ে ইচ্ছা অনিচ্ছায় অনেক লোকের সাথে পরিচয় হতে হয়,তেমনি সাদিয়ার জীবনে রাহুল আসল। প্রথমে ফেবু আইডি, পরে ফোন নম্বর, অতঃপর দুই মাস পর প্রেম। ইতোমধ্যে, সাদিয়া তার পরিবারের মূল্যবোধ হারিয়ে বোরখা পড়া ছেড়েছে, স্টাইলিশ ড্রেস এখন তার প্রিয়।প্রথম দুই মাস ভালই যাচ্ছিল সাদিয়া-রাহুলের রিলেশনশিপ।এরপর থেকে রাহুল সেক্সুয়াল কথাবার্তা ফোনে বলতে শুরু করল, সাদিয়াও তাতে সায় দিয়ে গেল(আমার মনে হয় পৃথিবীতে প্রায় ৮০ ভাগ রিলেশনশিপে প্রথমে এরকম ফোনালাপ হয়: জানু কি করছ? এইতো বাবু পড়তেছি, তুমি? আমিও।খাইছ?? হুম, তুমি? হুম খাইছি। কিন্তু দুই তিনমাস পর ফোনালাপ শুধু খাইছ, কি কর এসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনা, সেক্সুয়াল কনভার্সেশনের দিকে চলে যায়) এভাবে কথা বলতে কোন এক সময় তারা সবচেয়ে জঘণ্যতম কাজটি করে ফেলে। পরবর্তিতে রিলেশনের খারাপ সময়গুলোতে রাহুল হুমকি দেখায় এসব নেটে ছেড়ে দেওয়ার। রাহুল রিলেশনশিপটা ব্রেক আপ করে এবং কোন একদিন এসব ভিডিও নেটে ছেড়ে দেয়। ফলস্বরুপ, সাদিয়া আগের মত আর বন্ধুদের সাথে মিশতে পারেনা, মিশতে চাইলেও পারবেনা, কারন এ সমাজ, সমাজের বেশির ভাগ মানুষ কোনদিন অপরাধ কে ঘৃণা করতে শেখেনি,অপরাধীদের ঘৃণা করতে শিখেছে। সাদিয়া এখন সোমালিয়ান / সৌদি আরবের মেয়েদের মত ঢিলেঢালা বোরখা ব্যবহার করে। ক্লাসে চুপচাপ বসে থাকে, ফেবুতে আর চ্যাটিং হয়না কারো সাথে। সময়ের পরিক্রমায় সে কোন একদিন ভার্সিটির পাঠ চুকিয়ে সংসার জীবনে যাত্রা করে। কোন একদিন সুখিও হয়ে যায়। কিন্তু এখনো মাঝে মাঝে তার ঐ দুঃসহ, বিষাদময় অতীত নিজেকে তাড়িয়ে বেড়ায় যা সর্বদাই নিজেকে আসামীর কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে দেয়।সে খুবই উদ্বিগ্ন থাকে কারন তার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যদি তার এসব খারাপ কিছু দেখে ফেলে তখন তার মান সম্মানের কি হবে? এভাবেই শেষ হল একটি সুন্দর রিলেশনশিপ যেখানে কোন একজন ভালবাসার মানুষটিকে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিল, দেখেছিল একসাথে বয়স্ক মানুষে রুপান্তরিত হওয়ার স্বপ্ন কিন্তু সে স্বপ্ন গুলো যে দুঃস্বপ্ন ছিল তা কে জানত? এটা একটা স্রেফ বানানো গল্প হলেও আমাদের জীবনে এরকম গল্প অহরহ ঘটতেছে।আমরা অনেক সময় ভুল সময়ে ভুল নম্বরে ডায়াল করে ফেলি। আর এই ভুল সময়ে ডায়ালকৃত ভুল নম্বরটাই মানুষের জীবনে কাল হয়ে দাড়ায়। তাই আমাদের সঠিক সময়ে সঠিক নম্বরে ডায়াল করা উচিত। আমার মনে হয় প্রেম করার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি জরুরী- এক.যার সাথে প্রেম করবেন তার গুণ গুলো আগে দেখবেন, তারপর রুপ দেখবেন। তাহলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। দুই. রিলেশনশিপ যদি বিয়ে করার উদ্দেশ্য করতে চান তবে অনার্স থার্ড ইয়ারে রিলেশনশিপ শুরু করতে পারেন।কারন খুব আরলি রিলেশনশিপে জড়িয়ে পড়লে সেগুলো বিয়ে পর্যন্ত খুব কমই গড়ায়। তিন. ভার্সিটিতে যারা নতুন ভর্তি হয় তাদের মাঝে প্রেম ভালবাসার হিড়িক পড়ে যায়। এটা না করে রিলেশনশিপ করুন সময় নিয়ে। কোন একজনকে দুই তিন মাসে চেনা যায়না। কমপক্ষে এক থেকে দেড় বছর তার সম্পর্কে জানুন ভাল করে।তারপর রিলেশনশিপে জড়িয়ে পড়ুন চার. ভার্সিটিতে আগত নবীনরা হঠাৎ স্বাধীন জীবন পেয়ে উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। এসব পরিহার করতে হবে।যেখানেই যান না কেন পরিবার, সমাজ থেকে পাওয়া মূল্যবোধকে মেনে চলতে হবে। পাঁচ.বিয়ের আগে পর্যন্ত প্রিয় মানুষটির সাথে আপনার শুধুমাত্র আত্নার সম্পর্ক থাকুক। বিয়ের পর না হয় বাকিটা...???????? সবচেয়ে ভাল হয় এরকম কাজে নিজেকে না জড়ানো। কারন ভালবাসা যা দেয় তার চেয়ে আমাদের কাছ থেকে বেশি কিছু কেড়ে নেয়।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৬৪১ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • এস.এম.আসফাত
    Guest ৭ বছর, ৪ মাস পুর্বে
    অনেক কিছু জানার আছে