বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

গুলাগ অভিযান চ্যাপ্টার- ৩ বাকি অংশ

"সাইমুম সিরিজ" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান রিয়েন সরকার (০ পয়েন্ট)

X চিঠিটা আহমদ মুসা পড়ে হাসান তারিকের হাতে তুলে দিল পড়ার জন্যে। তারপর তাকাল যুটোর দিকে। বলল, ‘উপত্যকার মুখে ওরা কখন এসেছে?’ ‘এক ঘন্টা আগে।’ বলল যুটো। ‘কিন্তু ওরা বাইরে অপেক্ষায় কেন? ঢুকছে না কেন ভেতরে?’ বলল আহমদ মুসা। আড়াল থেকে ওদের কথা যতটুকু শুনেছি তাতে ধারণা হয়েছে ওরা লোক পাঠিয়েছে ওদের পরিচিত কয়েকজন কাবিলা প্রধানের কাছে উপত্যকায় ঢোকার অনুমতির জন্যে। অনুমতি পেলে মনে হয় ওরা ঢুকবে। ‘কাবিলা প্রধানরা অনুমতি দেবে?’ আহমদ মুসা জিজ্ঞেস করল। ‘সরাসরি দেবে না। আমাদের স্যার উপত্যকা কমিটির প্রধান। তাঁর কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। সে অনুমতি ওরা পাচ্ছে না। কারণ আমাদের স্যার ইতিমধ্যেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছেন।’ বলল যুটো। ‘তাহলে অনুমতি ওরা পাচ্ছে না। অনুমতি না নিয়ে কি ওরা ঢুকবে?’ বলল আহমদ মুসা। ‘উপত্যকাবাসীদের সাথে লড়াই-এ ওরা নামতে চাইবে না। গাড়ি বোঝাই হয়ে না ঢুকে এমনি দু’চারজন ঢুকতে পারে।’ চিঠি পড়া হয়ে গিয়েছিল হাসান তারিকের। বলল, ‘ভাইয়া কি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন?’ ‘সার্গিও ঠিকই বলেছে। চল আমরা বের হই।’ আহমদ মুসা বলল। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ওরা তৈরী হয়ে দুতলার সিঁড়ির মুখে এসে মিলিত হলো। তাকাল আহমদ মুসা হাসান তারিকের দিকে। বলল, ‘তোমার মেশিন রিভলবারটা কোথায়?’ ‘আমার ব্যাগে।’ বলল হাসান তারিক। ‘না, ওটা শোল্ডার হোলষ্টারে নাও। কোটের বোতাম খুলে রাখ।’ আহমদ মুসা বলল। ‘ঠিক আছে ভাইয়া।’ বলে হাসান তারিক ব্যাগ থেকে রিভলবার শোল্ডার হোলষ্টারে পুরল। সিঁড়ি দিয়ে নামল আহমদ মুসারা। হোটেলের কাউন্টারের সামনে আসতেই বিভিন্ন দিক থেকে বেরিয়ে এসে জনাছয়েক লোক আহমদ মুসাদের ঘিরে ধরল। কাপড়ের ভেতর থেকে তারা বের করল রিভলবার। এক সাথে ছয়টা রিভলবার তাক করা আহমদ মুসাদের দিকে। ছয় দিক থেকে ছয়টা রিভলবারকে হা করে উঠতে দেখে আর্তনাদ করে উঠল যুটো। আহমদ মুসা তাকাল হাসান তারিকের দিকে। বলল, ‘তুমি যুটোর মত চিৎকার করো না। না জেনে-শুনে এরা নিশ্চয় গুলী করবে না। নিশ্চয় কোথাও ভুল হয়েছে এদের।’ বলে আহমদ মুসা রিভলবারধারী ছয়জনের দিকেই একবার করে তাকাল। তারপর এক জনের দিকে চোখ স্থির করে বলল, ‘আপনিই নিশ্চয় এদের চীফ। এখন বলুন ঘটনা কি?’ ‘ঘটনা কিছুই নয়, আমাদের সাথে চলুন। একটু জিজ্ঞাসাবাদ আছে।’ বলল লোকটি। ‘কোথায় যেতে হবে?’ জিজ্ঞেস করল আহমদ মুসা। ‘এই একটু সামনে।’ বলল লোকটি। ‘জিজ্ঞাসা কেন বলুন তো? কোন কেস-টেস আছে নাকি আমাদের বিরুদ্ধে।’ জিজ্ঞাসা আহমদ মুসার। ‘সবই জানতে পারবেন।’ বলল লোকটি। ‘না জেনে যেতে যদি না চাই?’ আহমদ মুসা বলল। ‘আমার নাম ফিগো। আমি পাখির মত মানুষ মারতে পারি। দ্বিতীয়বার আমি আর আদেশ করব না। এই মুহূর্তে যাবার জন্যে পা না তুললে গুলী করবে আমার লোকরা।’ বলল ফিগো লোকটা। কৃত্রিম ভয় ফুটিয়ে তুলল আহমদ মুসা তার চোখে-মুখে। বলল, ‘গুলীর দরকার নেই। আমরা যাব, এবং আপনাদের কি জিজ্ঞাসাবাদ আছে শুনব।’ একটু থামল। থেমেই আবার বলে উঠল, ‘মি. ফিগো, হোটেলের বিল মিটিয়ে দিয়ে কি আমরা বেরোবো?’ বিস্ময় ফুটে উঠল ফিগোর চোখে-মুখে। বলল, ‘বিল নিয়ে এখন আপনি ভাবছেন? ঠিক আছে বিল মিটিয়ে দিন।’ আহমদ মুসা হোটেলের কাউন্টারের দিকে এগুলো। কাউন্টারে একজন অল্প বয়সি বয় কাঠ হয়ে বসেছিল, যেন ফাঁসির আসামী। আহমদ মুসা তার সামনে একটা পাঁচশ ডলারে নোট রেখে বলল, ‘বিল কত হয়েছে তুমি তো বলতে পারবে না। মি. কাপুচোকে এই টাকাটা দিয়ে দিয়ো। যদি কিছু বাকি থাকে পরে শোধ করব।’ আহমদ মুসা কাউন্টার থেকে সরে এল। তাকাল হাসান তারিকের দিকে। বলল, ‘চল, না গিয়ে তো বাঁচা যাচ্ছে না।’ বলে আগে আগে হাঁটতে লাগল আহমদ মুসা। তার পেছনে হাসান তারিক শুরু করল হাঁটা। তাদের পেছনে ঐ ছয়জন। তাদের রিভলবারগুলো এখন আগের মত আহমদ মুসাদের দিকে তাক করা নয় এবং ট্রিগার পয়েন্টেও নয়। রাস্তায় নামার পরেই শুরু হলো অন্ধকারে পথ চলা। হোটেল থেকে পুবে দুশ’গজ পরে পাহাড় ও নদীর মাঝের প্যাসেজটা সবচেয়ে সংকীর্ণ। কোন রকমে দুটি গাড়ি এই প্যাসেজ দিয়ে পাশাপাশি চলতে পারে। এটাই সিলভার উপত্যকায় প্রবেশের গেট। কিন্তু গেটে কোন দরজা নেই। গেট পার হয়ে ওপারে পৌছে গেল সবাই। ওপারে পৌছতেই পেছন থেকে ফিগোর কণ্ঠ শোনা গেল। বলে উঠছে সে, ‘যে যেভাবে আছ সেভাবে দাঁড়াও।’ ফিগোর কণ্ঠ চাপা বজ্রের মত শোনাল। সবাই দাঁড়িয়ে গেল। আবার ধ্বনিত হলো ফিগোর কণ্ঠ। বলল তার দুজন সাথীকে লক্ষ্য করে, ‘জেভি ও কষ্টা, তোমরা শয়তান দুটোকে বেঁধে ফেল।’ আহমদ মুসা দাঁড়াবার আদেশ পেতেই হাসান তারিকও তার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। হাসান তারিক পাশে দাঁড়াতেই আহমদ মুসা ফিসফিস কণ্ঠে বলে উঠল, ‘ওরা দ্রুত কিছু ঘটাতে পারে। প্রস্তুত।’ ফিগোর নির্দেশ পাবার পর জেভি ও কষ্টা নামের দুই ব্যক্তি এগুলো আহমদ মুসাদের দিকে। আহমদ মুসা ও হাসান তারিক পুবমুখো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। জেভি ও কষ্টা পেছন থেকে এগুচ্ছে ওদের দিকে। চারদিকের নিশ্ছিদ্র নিরবতার মাঝে তাদের পায়ের কেডস পাথুরে রাস্তার বুকে শব্দ তুলছে। আহমদ মুসার কান দুটি উৎকর্ণ সেই শব্দের দিকে। প্রতিটি পদক্ষিপ যেন গুণছে। পায়ের শব্দটি আহমদ মুসার পেছনে এসে দাঁড়াবার সাথে সাথে আহমদ মুসা একদিকে তার ডান হাতকে এগিয়ে দিল শোল্ডার হোলষ্টারে রাখা তার এম-১০ মেশিন রিভলবারের দিকে। অন্যদিকে বোঁ করে এবাউট টার্ণে তার বাঁ হাতকে ছুঁড়ে দিল পেছনে দাঁড়ানো লোকটির গলার দিকে। হাতটি অক্টোপাশের মত লোকটির গলা পেঁচিয়ে তাকে যখন টেনে নিয়ে আসছিল আহমদ মুসার দিকে, তখন আহমদ মুসার ডান হাতে উঠে আসা এম-১০ বুলেট বৃষ্টি শুরু করেছিল সামনে দাঁড়ানো লোকদের দিকে। ভোজবাজীর মত এ ঘটনা বুঝে ওঠার আগে তাদের রিভলবারের ট্রিগার টেপার সময় পেছনের লোকরা পেল না। শুধু রিভলবারের ট্রিগার টেপার সময় পেয়েছিল ফিগো। দুটো গুলীও ছুঁড়েছিল আহমদ মুসাকে লক্ষ্য করে। কিন্তু গুলী দুটো আহমদ মুসার বক্ষ ভেদ না করে তার বুকে চেপে ধরা ফিগোর সাথীরই পিঠ ফুটো করে দিল। তৃতীয় গুলী ছোঁড়ার সুযোগ ফিগো আর পায়নি। আহমদ মুসা ও হাসান তারিকের গুলীবৃষ্টি তাকেও ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল। আহমদ মুসা গুলী বর্ষণ শুরু করার সাথে সাথে হাসান তারিক হাঁটু গেড়ে বসে পড়েছিল। সেই সাথে তার হাতে আসা মেশিন রিভলবার প্রথমেই গুলী করেছিল তাকে বাঁধতে আসা লোকটিকে এবং তারপর সামনের দিকে ব্রাশ-ফায়ার করেছিল অনির্দিষ্ট লক্ষ্যে। আহমদ মুসা ও হাসান তারিকের রিভলবার যখন নিরব হলো, তখন অন্ধকারেই দেখা গেল সামনে কেউ দাড়িয়ে নেই। তবে অন্ধকারের কারণে বুঝার উপায় নেই কার কি অবস্থা। ‘নিশ্চয় কেউ বেঁচে নেই।’ প্রথম কথা বলল হাসান তারিক। ‘হ্যাঁ তাই। বেঁচে থাকলে গুলী করার এই সুযোগ তারা নিত।’ বলল আহমদ মুসা। আহমদ মুসার কথা শেষ হতেই তারা শুনতে পেল তাদের পেছনে ইঞ্জিনের গর্জন। আহমদ মুসা ও হাসান তারিক দুজনেই পেছন ফিরে পুব দিকে তাকাল। দেখতে পেল অল্প সামনে তিনটি গাড়ির ছয়টি হেডলাইট জ্বলে উঠেছে। এগিয়ে আসছে গাড়িগুলো। ‘গুলীর শব্দ শুনে কি ঘটেছে তা দেখার জন্যই নিশ্চয় ওরা আসছে।’ বলল হাসান তারিক। ‘এবং তারা মনে করছে, যে গুলীর শব্দ তারা শুনেছে তা তাদের লোকদেরই।’ হাসান তারিক থামতেই বলে উঠল আহমদ মুসা। ‘তাহলে এখন আমরা কি করব?’ হাসান তারিক বলল। ‘আমরা কিছু করব না, ওরা কি করে সেটা দেখতে চাই।’ কথাটা বলে একটু থেমেই আবার বলে উঠল, ‘চল, আমরা সিলভার ভ্যালির দিকে হেঁটে গিয়ে ভ্যালির মুখের ওপাশে দাঁড়াই। ওরা এস সাথীদের লাশ দেখুক। তারপর কি করে দেখা যাক।’ বলে আহমদ মুসা সিলভার ভ্যালির দিকে হাঁটা শুরু করল। হাঁটতে লাগল হাসান তারিক আহমদ মুসার পেছনে। তিন গাড়ির বহরটি লাশগুলোর সামনে এসে দাঁড়িয়ে গেল। সামনের গাড়ির হেডলাইটের আলো ছড়িয়ে পড়ল লাশগুলোর উপর। তিনটি গাড়ির হেডলাইটই জ্বলছে। হেডলাইটের আলোতে গাড়িগুলোও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সবার সামনে মাইক্রো। মাইক্রোর ছাদে বিশাল সাইজের একটা মেশিনগান ফিট করা। গাড়ি তিনটি লাশের সামনে থামার সাথে সাথে মাইক্রোর পেছনের জীপ থেকে দুজন দ্রুত নেমে এল। তারা মাইক্রোর আড়াল থেকে লাশগুলো দেখে আবার দ্রুত ফিরে গেল জীপে। তারা জীপে ফিরে যেতেই মাইক্রোর ছাদে ফিট করা মেশিনগান গর্জন করে উঠল। গুলীর বৃষ্টি প্রবেশ করল সংকীর্ণ পথ দিয়ে উপত্যকরা ভেতরে। আহমদ মুসা ও হাসান তারিক পাহাড়ের আড়ালে না থাকলে তাদের দেহ ঝাঁঝরা হয়ে যেত। গুলীবৃষ্টির মধ্যে মাইক্রো থেকে মানুষ নামল। তারা এক এক করে লাশগুলো নিয়ে গাড়িতে তুলতে লাগল। আহমদ মুসা ফিসফিস করে বলল, ‘তারিক, ওরা আক্রমণে আসছে না। ওদের মেশিনগানের গুলী ওদের লাশ সরিয়ে নেবার ঢাল মাত্র।’ ‘কিন্তু এত তাড়াতাড়ি ওরা রণে ভংগ দেবে?’ বলল হাসান তারিক। তার চোখে বিস্ময়। ‘একটি কারণে হতে পারে। সেটা হলো যারা মারা গেছে তাদের মধ্যে তাদের সর্দার রয়েছে।’ আহমদ মুসা বলল। ‘হ্যাঁ ভাইয়া, ঠিক বলেছেন। ওদের লিডার যে ছিল সে কোন বড় নেতাই হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তাদের লাশ নিয়ে যাবার এই গরজ কেন?’ বলল হাসান তারিক। ‘লাশ পড়ে থাকলে লাশের মাধ্যমে তাদের পরিচয় প্রকাশ হয়ে পড়বে, হয়তো এটা ওরা চায় না।’ আহমদ মুসা বলল। অব্যাহত গুলীর আড়ালে তারা সবগুলো লাশ তুলে নিল গাড়িতে। গুলী তাদের বন্ধ হয়ে গেল। কিন্তু গাড়িগুলো নড়ল না। নিজেদের জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়ে রইল। আহমদ মুসা ও হাসান তারিক পাহাড়ের আড়াল থেকে বেরিয়ে উপত্যকার সংকীর্ণ মুখটায় এসে দাঁড়াল। ‘ওরা দাঁড়িয়ে কেন। সামনেও এগুচ্ছে না, পেছনেও সরছে না। কারণ কি?’ ভ্রু-কুঞ্চিত হয়ে উঠল আহমদ মুসার। বোঁ করে আহমদ মুসা ঘুরে দাঁড়াল। ঘুরা অবস্থায় আহমদ মুসা তার এম-১০ এর ব্যারেল তুলে নিচ্ছিল। কিন্তু আহমদ মুসা ঘুরে দাঁড়িয়ে স্থির হবার আগেই একই সাথে দুটি গুলী এসে আঘাত করল তার এম-১০ মেশিন রিভলবারটিকে। আঘাতে তার তর্জনীও আহত হলো। রিভলবার পড়ে গেল তার হাত থেকে। আহমদ মুসার চেয়েও অবস্থা খারাপ হাসান তারিকের। তার দিকে গুলী এসেছিল সেকেন্ড খানেক পরে। হাসান তারিক রিভলবার তুলেছিল গুলী করার জন্যে। কিন্তু তার ট্রিগার টেপার আগেই গুলী এসে বিদ্ধ করেছে তার ডান বাহুকে। ছিটকে পড়ে গেছে তার হাত থেকে রিভলবার। সামনে থেকে অট্টহাসি ভেসে এল। আহমদ মুসা তাদের সামনে তিনজন লোককে দেখতে পেয়েছিল। কিন্তু অন্ধকারে তাদের অবয়ব পরিষ্কার ছিল না। আহমদ মুসা বুঝতে পারছিল না ওরা কারা? উপত্যকার ভেতরের লোক ওরা, না ওদের সাথে আসা একটা অংশ। লাশ তুলে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ওদের সময় ক্ষেপণের কৌশল এবং লাশ তুলে নেয়ার পরও দাঁড়িয়ে থাকা দেখেই আহমদ মুসার শেষ মুহূর্তে মনে হয়েছিল, লাশ তোলা নাটকের দৃশ্যের দিকে তাদের মনোযোগ সরিয়ে নিয়ে আক্রমণের ভিন্ন কৌশল তারা গ্রহণ করেছে এবং সেটা তাদের পেছন দিক থেকেই হওয়া স্বাভাবিক। এ ভাবনার সাথে সাথেই আহমদ মুসা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, কিন্তু তখন দেরি হয়ে গেছে। অট্টহাসিটা শুনেই কিন্তু আহমদ মুসা চিনতে পারল ওটা আজর ওয়াইজম্যানের গলা। অট্টহাসি থামল এবং সেই সাথে ভেসে এলো আজর ওয়াইজম্যানের কন্ঠ। বলল আহমদ মুসা, এবার আমরা ভুল করিনি। অধ্যাপক দানিয়েলের বাড়িতে যে ভুল আমরা করেছিলাম, সেটা আর হবেনা। তোমাকে কাউন্টার আক্রমনের আর সুযোগ আমরা দেবনা। আজর ওয়াইজম্যানের কথা শেষ হতেই তার পাশের ছায়ামূর্তিটির লম্বা ও মোটা ব্যারেলের বন্দুক চোখের পলকে উপরে উঠল। গর্জন করে উঠল ক্ষিপণাস্ত্রের মত। পর মুহূর্তেই দেখা গেল একটা জাল গিয়ে জড়িয়ে ফেলেছে আহমদ মুসা ও হাসান তারিককে। জালটা অদ্ভুত ইলাষ্টিক ধরনের। বেশ প্রশস্ত জালটি আহমদ মুসাদের জড়িয়ে ফেলার পর সংকুচিত হয়ে একেবারে লাগেজ ব্যাগে পরিণত হয়েছে। হাত-পা নড়ানো ও মুখ এদিক-ওদিক করার সামান্যতম সুযোগও নেই। আজর ওয়াইজম্যান আবার হেসে উঠল হো হো করে। হাসির পর বলে উঠল আবার, ‘আহমদ মুসা, আমি তোমাকে হত্যা করতে পারতাম। হত্যা করতে চেয়েছিলামও। কিন্তু হত্যা করিনি। তুমি মৌলবাদী ও মিলিট্যান্টদের ব্যাপারে যা জান, দুনিয়ার কেউ তা জানে না। আজকের মুসলিম রেনেসাপন্থীদের তুমি এক অনন্য অভিধান। তোমাকে হত্যা করলে এই অমূল্য অভিধান চিরতরে হারিয়ে যাবে। আমরা তোমাকে এক্সরে করে ধীরে ধীরে সব তথ্য বের করে নিতে চাই। তবে তুমি বেয়াড়া হলে হত্যা করতে এক সেকেন্ডও দেরি করা হবে না।’ কথা শেষ করেই পকেট থেকে মোবাইল বের করল। টেলিফোন করল কাউকে। মোবাইলটা কানে ধরে ওপার থেকে সাড়া পেয়েই বলে উঠল, ‘সুসংবাদ নাও, দুজনকেই জালে আটকেছি। ওদিকের খবর কি?’ ওপারের কথা শুনে আবার বলে উঠল, ‘আহ বেচারা আলফ্রেড ফিগো! আমি এটাইতো আশংকা করেছিলাম। বিরাট ক্ষতি হলো আমাদের। তোমরা চিন্তা করো না। ফিগোর কাছে কমিট করা পুরো অংকই তোমরা পেয়ে যাবে। আবার চাইলে তোমরা আমার সাথেও কাজ করতে পারবে। যাক, এখন জলদি গাড়ি নিয়ে এস।’ কথা শেষ করেই মোবাইল বন্ধ করল আজর ওয়াইজম্যান। সংগে সংগেই সে তার বাম পাশের দুই সাথীসহ অস্বাভাবিক দ্রুত গতিতে পেছনে ফিরছে। বিস্মিত হয়ে আজর ওয়াইজম্যান পেছন ফিরল। ফিরেই গুলীর মুখোমুখি হলো সে। তার চোখে পড়ল অল্প দূরে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে দুটি ছায়ামূর্তি। তাদের হাতে উদ্যত রিভলবার। আরও চোখে পড়ল, তার পাশের দুই সাথী গুলী বিদ্ধ হয়ে ভূমিশয্যা নিল। উরুতে গুলীবিদ্ধ হয়েছে আজর ওয়াইজম্যান। সে দাড়িয়েছিল নদীর তীর ঘেষেই। তার জামা-কাপড় দিয়ে তখনও পানি ঝরছে। পরিকল্পনা করে নদীর উজান বেয়ে সামনে এসেই তারা পেছন থেকে আক্রমণ করেছিল আহমদ মুসাদেরকে। পাল্টা আক্রমণের সুযোগ দেখল না আজর ওয়াইজম্যান। ডান হাতের রিভলবার তুলতে গেলেই ওদের গুলীতে ঝাঁঝরা হতে হবে। মুহূর্তেই তার সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছিল। তার দেহটা ছিটকে দক্ষিণ দিকে পড়ে গেল। তারপর আরেকটা গড়া দিয়েই নদীতে গিয়ে পড়ল। ছায়ামূর্তি দুটি এবার দ্রুত এগিয়ে এল জালে জড়ানো লাগেজে পরিণত হওয়া আহমদ মুসাদের কাছে। দুটি ছায়ামূর্তির একজন সার্গিও গনজালো, অন্যজন ভ্যানিসা। সার্গিও গনজালো তাড়াতাড়ি তার মোজার মধ্যে গুজে রাখা একটা চাকু বের করে জালটা কেটে ফেলল। আহমদ মুসা ও হাসান তারিক উঠে দাঁড়াল। ‘ধন্যবাদ মি. সার্গিও, আপনি ঠিক সময়ে এসে পড়েছিলেন।’ ‘ভাই সাহেব, ধন্যবাদটা জুটোর প্রাপ্য। আপনি ও মি. হাসান তারিক আকস্মিকভাবে বন্দী হলে সে ওদের চোখ এড়িয়ে পালায় এবং ছুটে যায় আমাদের কাছে। তা না হলে ওখানে আমরা আপনাদের জন্যে কতক্ষণ দাঁড়াতাম কে জানে!’ বলল সার্গিও। ‘আল্লাহর শুকরিয়া যে, জুটোকে তারা আমাদের সাথে ধরেনি।’ আহমদ মুসা বলল। ‘ভাইয়া, আপনার কৌশল কাজে লেগেছে। উপত্যকার কেউ আপনার সাথে নেই, আপনারা পালিয়ে এসে উপত্যকার হোটেলে উঠেছেন, এটাই তারা সম্ভবত মনে করেছে।’ বলল ভ্যানিসা। ‘কিন্তু আপনারা ওদের মেরে আমাদের উদ্ধার করেছেন, এ থেকে ওরা কি ভাববে সেটা এখন চিন্তার বিষয়।’ হাসান তারিক বলল। হাসান তারিকের কথা শেষ হতেই আহমদ মুসা দ্রুত লাশ দুটির দিকে এগুলো। ওদের একবার দেখে বলে উঠল আহমদ মুসা, ‘হ্যাঁ মি. সার্গিও, তৃতীয়জন মানে আজর ওয়াইজম্যান কোথায়?’ ‘আহত হবার পর যিনি নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। উনি কি আজর ওয়াইজম্যান ছিলেন? ও গড! উনিই তো প্রথম শিকার হওয়া উচিত ছিল।’ বলল সার্গিও গনজালো। আপনি কি করবেন মি. সার্গিও, আল্লাহ ওকে আরেকটু সময় দিয়েছেন তার পাপের ভারটা পূর্ণ করার।’ আহমদ মুসা বলল। ‘তাই হবে ভাই সাহেব।’ বলে একটু থামল সার্গিও। পরক্ষণেই আবার বলে উঠল, ‘আমরা আসার পথে প্রচন্ড গুলী-গোলার শব্দ শুনেছিলাম। আর আজর ওয়াইজম্যানের টেলিফোন টকে বুঝলাম, আলফ্রেড ফিগো নামে নেতা গোছের কেউ মারা গেছে। ঘটনা কি ভাই সাহেব?’ আহমদ মুসা সংক্ষেপে তাদের বন্দী করে নিয়ে আসা, ওদের ছয়জনকে হত্যা করে তাদের মুক্ত হওয়া, মেশিনগানের অব্যাহতগুলীর আড়ালে ওদের লাশ তুলে নিয়ে যাওয়া এবং পেছন থেকে আকস্মিক আক্রমণের মাধ্যমে তাদের বন্দী হওয়ার কাহিনী বলল। ‘তাহলে ঐ ছয়জনের একজনই ফিগো হবে। তাকেই আজর ওয়াইজম্যান ভাড়া করেছিল আপনাদের হত্যা অথবা বন্দী................।’ সার্গিও’র কথা শেষ হলো না। পেছন থেকে তিনটি ইঞ্জিন প্রচন্ড গর্জন করে উঠলে আহমদ মুসা ও সার্গিওসহ সকলে পুব দিকে ফিরে তাকাল। দেখল, তিনটি গাড়ি উপত্যকার দিকে আসছে। সার্গিও দ্রুতকণ্ঠে বলে উঠল, ‘ভাই সাহেব, বন্দী হিসেবে আপনাকে নিয়ে যেতে আসছে। আজর ওয়াইজম্যান ওদের আসার নির্দেশ দিয়েছিল।’ ‘আজর ওয়াইজম্যানের এই ইচ্ছাও পূরণ হলো না। কিন্তু আমরা রক্তপাত এড়াতে চাই।’ বলল আহমদ মুসা। সবাই ছুটে আসা গাড়ির দিকে মুখ করেই দাঁড়িয়েছিল। কিছু বলতে যাচ্ছিল হাসান তারিক। কিন্তু থেমে গেল। সবাই দেখল, উপত্যকার মুখে পৌছার আগেই থেমে গেল গাড়িগুলো। ‘থেমে গেল কেন গাড়িগুলো? আজর ওয়াইজম্যানের নির্দেশ মোতাবেক গাড়িগুলো দ্রুত এখানে চলে আসার কথা।’ বলল সার্গিও বিস্মিতকণ্ঠে। ভাবছিল আহমদ মুসা। হঠাৎ তার মুখে নেমে এল প্রসন্নতা। বলল, ‘যিনি ওদের আসার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তিনিই ওদের থামিয়ে দিয়েছেন মি. সার্গিও।’ ‘তার মানে আহত আজর ওয়াইজম্যান নদী থেকে কাজ শুরু করে দিয়েছেন।’ হাসান তারিক বলল। ‘হ্যাঁ তাই হাসান তারিক। এ ছাড়া গাড়িগুলো থেমে যাবার আর কোন যুক্তি নেই।’ বলল আহমদ মুসা। হঠাৎ ভ্যানিসা চাপাকণ্ঠে আর্তচিৎকার করে উঠল, ‘সার্গিও ভাইয়া, ওরা তো আহত। দেখ, আহমদ মুসা ভাইয়ার ডান হাতে এবং হাসান তারিক ভাইয়ার ডান বাহুতে রক্ত।’ আহমদ মুসা তৎক্ষণাৎ বলে উঠল, ‘চিন্তার কারণ নেই ভ্যানিসা, বুড়ো আঙুলের গোড়াটা গুলীর ধাক্কায় একটু ছিঁড়ে গেছে। আজর ওয়াইজম্যানের গুলী আমার পিস্তলকে আঘাত করেছিল।’ হাসান তারিকও বলে উঠল, ‘আমার বাহুটাও ছিঁড়ে গেছে। গুলী অল্প একটু জায়গা ছিঁড়ে নিয়ে বেরিয়ে গেছে, এখন রক্ত খুব অল্পই বের হচ্ছে।’ ভ্যানিসা তাড়াতাড়ি তার ব্যাগের চেইনটা খুলে গলায় বাঁধা একটা স্কার্ফ বের করল। তাড়াতাড়ি তা ছিঁড়ে একটা অংশ দিয়ে হাসান তারিকের বাহু ও আহমদ মুসার আঙুল বেঁধে দিল। তার বাঁধার ষ্টাইল দেখে হাসান তারিক বলল, ‘আপনি ডাক্তার নাকি?’ ‘ডাক্তার নয়, নার্স বলতে পারেন। আমাদের গনজালো পরিবার এবং আমাদের পাহাড়ী ও যাযাবর সব উপজাতির মহিলাদেরই এই ট্রেনিং আছে। আমরা দীর্ঘ এক যুদ্ধে জড়িত। আমাদের মহিলাদেরকেই ডাক্তার ও নার্সের কাজ বেশি করতে হয়।’ বলল ভ্যানিসা। ‘ধন্যবাদ বোন।’ আহমদ মুসা বলল। ভ্যানিসা কিছু বলার জন্যে মুখ খুলেছিল। কিন্তু থেমে গেল। ইঞ্জিনের শব্দে তারা সামনে ফিরে তাকাল। দেখতে পেল সামনের গাড়িটা আবার এগিয়ে আসতে শুরু করেছে। ওদিকে চোখ রেখে আহমদ মুসা ধীরে ধীরে বলল, ‘আজর ওয়াইজম্যান কি আবার নতুন করে আক্রমণে আসতে চায়? কিন্তু এই রক্তপাত আমাদের জন্যে অপ্রয়োজনীয় এবং সিলভার ভ্যালির জন্যে ক্ষতিকর। এই অবস্থায় আমাদের কি করণীয়।’ আহমদ মুসা থামল। আহমদ মুসা থামার সাথে সাথে গাড়ির ইঞ্জিনের শব্দও থেমে গেল। গাড়িটা উপত্যকার প্রবেশ পথের মুখে থেমে গেছ। দাঁড়িয়েছে পাহাড়ের দেয়ালের ঠিক গা ঘেঁষে। পর মুহূর্তে পেছনের গাড়িটাও এসে তার পাশে দাঁড়াল। উপত্যকার প্রবেশ মুখে গাড়ি দুটি এমনভাবে দাঁড়াল যে, তৃতীয় কোন গাড়ি যাওয়া আসার পথ বন্ধ হয়ে গেল। এখন গাড়ি দুটির দুপাশ দিয়ে শুধু পায়ে হাঁটা লোকই চলাচল করতে পারবে। গাড়ি দুটির হেডলাইট উপত্যকার মুখসহ অনেকখানি এলাকা আলোকজ্জ্বল করে তুলেছে। এখন উপত্যকার বাইরে যেই যেতে চাইবে, গাড়ির পড়ে যাবে। দুটি গাড়ির ছাদের উপর মেশিনগান সাজানো। মেশিনগানের ব্যারেল হা করে আছে উপত্যকার দিকে। আহমদ মুসার কপাল কুঞ্চিত। ভাবছিল সে। বলল একটু পর, ‘মি. সার্গিও ওরা উপত্যকা অবরোধ করে বসল।’ ‘অবরোধ? অবরোধ করে কি করবে?’ বলল সার্গিও। ‘আমাকে ও হাসান তারিককে ধরবে।’ আহমদ মুসা বলল। ‘কিভাবে? অবরোধ করে বসে থাকলেই কি ধরা যাবে? কয়দিন ওভাবে বসে থাকবে তারা?’ বলল সার্গিও। ‘উপত্যকার মুখে ওরা এভাবে বেশি সময় বসে থাকবে না। আমার ধারণা তারা তাদের শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করবে এবং পুলিশেরও সাহায্য চাইবে বিশ্বাসযোগ্য কোন কাহিনী ফেঁদে। উপত্যকার ভেতরের কারও সাথে যোগাযোগ করবে। সবশেষে প্রবেশ করবে উপত্যকায়।’ আহমদ মুসা বলল। ‘আর আমরা এ সময় উপত্যকায় বসে হাওয়া খাব তাই না? আপনারা যে পথে এসেছেন, সেই পথেই আবার বেরিয়ে যেতে পারেন, এটা কি তারা জানে না?’ সার্গিও বলল। আহমদ মুসা হাসল। বলল, ‘সে দিকের ব্যবস্থাও তারা নিশ্চয় করছে।’ ‘তার মানে তারা ঐ পথ অবরোধেরও ব্যবস্থা নেবে?’ বলল সার্গিও। ‘শুধু অবরোধ নয়, ঐ পথে এ উপত্যকায় তারা অভিযানেরও ব্যবস্থা করতে পারে। তাদের ক্ষতি কম হয়নি। তারা নিশ্চয় মনে করছে এ সব আহমদ মুসার কাজ। আহমদ মুসাকে ধরার এটুকু ব্যবস্থা তারা করবেই।’ আহমদ মুসা বলল। ‘তাহলে আমাদের এখন কি করণীয় ভাই সাহেব?’ বলল সার্গিও। ‘আমরা যেভাবে নিরবে উপত্যকায় এসেছিলাম, সেভাবেই বেরিয়ে যাব অর্থাৎ যে পথে এসেছিলাম সে পথেই।’ আহমদ মুসা বলল। ‘কিন্তু আপনি যে বললেন ঐ পথেও ওরা অবরোধ বসাচ্ছে বা অভিযানে আসছে?’ বলল সার্গিও। ‘পাহাড়ে ওদের চোখ এড়ানো সম্ভব হবে। সাউন্ড মনিটরিং আমাদের সাহায্য করতে পারে ওদের আগমন চিহ্নিত করার কাজে।’ আহমদ মুসা বলল। ‘কিন্তু এরপরও সংঘাত বাধতে পারে। কিন্তু আপনি চাচ্ছেন সংঘাত এড়াতে।’ বলল সার্গিও। ‘সংঘাত সব সময় এড়ানোর চেষ্টা করা উচিত। তবে কেউ ঘাড়ে এসে পড়লে জবাব দিতেই হয়। সে যাক। আমাদের এখন যাত্রা করা উচিত মি. সার্গিও।’ আহমদ মুসা বলল। ‘কিন্তু তার আগে আমাদের বাসায় যেতে হবে, এটা আপনার ওয়াদা ছিল।’ বলল ভ্যানিসা। একটু থামল আহমদ মুসা। বলল, ‘এই উপত্যকার প্রতি একটা মমতার সৃষ্টি হয়েছে। এই মমতা আর বাড়াতে চাই না। আর সময়ও নেই তোমাদের বাড়িতে যাবার।’ ‘আপনার কোন কথা শুনব না। যেতে হবে আমাদের বাড়িতে।’ বলে ভ্যানিসা তাকাল সার্গিও গনজালোর দিকে। বলল, ‘ভাইয়া’ এস ওদের নিয়ে।’ কথা শেষ করে হাঁটতে লাগল ভ্যানিসা। সার্গিও আহমদ মুসার দিকে চেয়ে বলল, ‘চলুন, উপায় নেই।’


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২৬২ জন


এ জাতীয় গল্প

→ গুলাগ অভিযান চ্যাপ্টার- ১ বাকি অংশ
→ গুলাগ অভিযান চ্যাপ্টার- ২ বাকি অংশ
→ গুলাগ অভিযান চ্যাপ্টার- ৪ বাকি অংশ

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now