বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
কিন্তুু তখন আমার পেছনে তাকাবার সময় নেই। আমি লাঠি দিয়ে খুব জোরে মারলাম সেই হাতটার ওপর। ঠিক লাগল কিনা বুঝতে পারলাম না,হাতটা জলের মধ্যে ডুবে গেল।
আবার কেউ আমার নাম ধরে ডাকলো,বাবলু!বাবলু!
পেছন দিকে তাকিয়ে দেখলাম কেউ নেই। সামনে জলের ওপর সেই হাতটা আবার উঁচু হয়ে উঠেছে।
আমি লাঠি দিয়ে যেই আবার মারতে গেলাম অমনি সেই হাতটা লাঠিখানা চেপে ধরে একটা হ্যাঁচকা টান দিল। আমি ঝপাং করে জলের মধ্যে পড়ে গেলাম।
জলে পড়েই মনে হলো,আমি আর বাঁচবো না। আমি যে সাঁতার জানি না! পানিমুড়া আমার পা ধরে টেনে নিয়ে যাবে। আমি একবার চেঁচিয়ে উঠলাম ওমা-!মা!
জলের মধ্যে আমি হাবুডুবু খেতে লাগলাম। দম আটকে আসছে। পানিমুড়া এখনো আমার পা ধরেনি। আমি ছটফট করছি বলে খুঁজে পাচ্ছে না বোধ হয়।
এরই মধ্যে একবার কোনো রকমে জল থেকে একটু মাথা উঁচু করে দেখলাম,মাঠ দিয়ে ছুটে আসছেন আমার মা। আমি চিৎকার করতে চাইলাম,মা-কিন্তুু গলা দিয়ে শব্দ বেরুলো না। আমি তলিয়ে যেতে লাগলাম। মা পাড় থেকেই একলাফ দিয়ে জলে পড়লেন।
চোখ মেলে দেখলাম,আমি আমাদের বাড়ির বাইরের ঘরে শুয়ে আছি। মা আর আমাদের রাধুনি আমার গায়ে গরম জলের সেঁক দিচছে। আমি চোখ মেলতেই মা বললেন, আমি বলছিলাম না,ওর পেটে বেশি জল ঢোকেনি। এই তো সব ঠিক হয়ে গেছে!
মা ঠিক সময় না গিয়ে পড়লে কী যে হতো,ভাবতেও আমার আজও গা কাঁপে। মা ওখানে গেছে কী করে সেটাও একটা ব্যাপার। পরে শুনেছি সে কথা। মা ঘুমিয়ে ছিলেন,এমন সময় তার কানের কাছে কে যেন ডাকলো,মা!মা!ঠিক আমার গলা। মা চোখ মেলে দেখলেন, কেউ নেই। তিনি বিছানায় উঠে বসলেন। তকন বাইরে থেকে আবার সেই মা মা ডাক শুনা গেল। তারপর পুকুরঘাট থেকে।
আমি জলে পড়ার সময় মা মা ডেকেছিলাম ঠিকই। কিন্তুু এতদূর থেকে মায়ের সেটা শুনতে পাওয়ার কথা নয়। তবুও মা শুনতে পেয়েছিলেন।
মা আমার মুখের উপর ঝুকে পড়ে বললেন, বাবৃু,তোকে আমি একা একা পুকুরঘাটে যেতে বারণ করেছিলাম,তবুও গেলি কেন?কেন জলে নেমেছিলি?
আমি বললাম, মা,আমাকে পানিমুড়া টেনে নিয়ে যাচ্ছিল।
মা বললেন, বাজে কথা।
আমি বললাম, না সত্যি।
মা বললেন, মোটেই না। তুই পা পিছলে জলে পড়ে গিয়েছিলি!
মা কিছুতেই পানিমুড়ার কথা মানতে চান না। আমাদের রাঁধুনি বললো,হ্যাঁ গো দিদি,এসব পুরোনো পুকুরে অনেক ভয়ের জিনিস থাকে।
মা বললেন,সাঁতার না জানলে লোকে ওরকম অনেক ভয়ের জিনিস বানায়।আমি কাল থেকে বাবলু কে সাঁতার শেখাব।
এরপর সাতদিনের মধ্যে আমি সাঁতার শিখে গেলাম। পানিমুড়াকে আর কখনো দেখেনি। তবে আমি সাতার কাটতে যেতাম নদীতে,ঐ পুকুরে আর নয়।
বি:দ্র:আমার ফেসবুক আইডিতে কেও ফ্রেন্ড হতে চায়লে Akmol Hossin এই নামে রিকোয়েস্ট পাঠাও।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Akmol Hossin Sakib
Guest ৭ বছর, ৩ মাস পুর্বে