বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
ইমন, মানুষ হয়ে জন্ম নেয়াটা খুব কষ্টের কেন তুমি কি জানো? তোমার অবশ্য জানার কথা না। তুমি জন্ম নিয়েছ অনুভূতি শূন্য হয়ে। কিংবা কে জানে হয়তো তোমার মন পাথরের গড়া।
সবার কাছে মানুষ হয়ে জন্ম নেয়াটা হয়তো কষ্টের না। কারো কারো জন্য এ সুখের অনুভূতি। এতোই সুখের যে তারা অমর হতে চায়। সাত বার জন্ম নিতে চায়। তবে আমার মতো হতাশায় ভোগা মানুষ গুলো চাইলে আজ, এখন এই মুর্তেই মরে যেতে চায়। আত্মহত্যা করতে চায়। কিন্তু কতজনই আর সাহসী বলো? আত্মহত্যা করার মতো সাহস আমার হয়ে উঠেনি ইমন।
ইমন, আমার মতে মানুষ হয়ে জন্ম নেয়ার সবচেয়ে কষ্টের কারণ আমরা ইচ্ছেশক্তি নামের এক অনুভূতি নিয়ে জন্মাই। তারা অনেক কিছু হওয়ার স্বপ্ন দেখে, অনেক কিছু করার ইচ্ছে প্রকাশ করে। কিন্তু বেলা শেষে আর পূরণ হয়না। তখন জীবনে চলে আসে হতাশা। তারা বেঁচে থেকে আর আনন্দ পায় না।
অমর হওয়ার ইচ্ছে, সাত জনম পাওয়ার ইচ্ছে একসময় আমার মধ্যে খুব ছিল। খুব ইচ্ছে করতো একটা ছোট সুন্দর সংসার করার তোমার সাথে। এক সাথে দুজন বুড়া-বুড়ি হবো। তোমার পাকা চুলে হাত ভুলিয়ে দিব। কাধে মাথা রেখে সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে আমাদের জীবনের সময় অস্ত যাওয়ার অপেক্ষা করবো। তারপর আবার জন্ম নিব তোমার হয়ে আর তুমি আমার হয়ে। একবার নয় বার বার।
তুমি আমার ইচ্ছেটাকে গলা টিপে হত্যা করেছিলে ইমন। এখন কেমন আছো? খুব সুখে নিশ্চয়ই। নতুন মানুষ আমার থেকেও বেশি কি আগলে রাখে? আমি আগলে রাখতে পারতাম ইমন। আমিও পারতাম তোমাকে আগলে রাখতে।
কালো মেয়েদের মন কতটা ভালো হয় সেটা তুমি বুঝতেই পারলে না! নিজের প্রসংশাই করে দিলাম। কালো মেয়েরা বউ হিসেবে কেন ভালো হয় জানো? কারণ তারা জানে রুপ দিয়ে বরকে আটকে রাখা যাবে না। তারা চায় ভালোবাসা দিয়ে বরকে আগলে রাখতে। তুমি আমাকে ভালোবাসার সুযোগটাই দিলে না। একবারটি দিয়েই দেখতে পারতে। এখন আর কি লাভ এ কথা লিখে। আর লিখলেই কি! তোমার হাতে তো লেখা গুলো পৌঁছবে না।
আমার প্রিয় বান্ধুবী যখন আমারই ক্লাসের এক ছেলের প্রেমে পরল। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সে তার প্রেমে পরার গল্প আমাকে বলছিল তখন জানি না কেন আমার খুব লজ্জা করছিল। প্রেমে পরাটা আমার জন্য লজ্জার ছিল। আমার বান্ধুবীর মতো নির্লজ্জ কাউকে এজীবনে কখনো মনে হয়নি তখন।
একটা ছেলের প্রেমে পরে সে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছে। বাচ্চাদের কি নাম হবে, বড় হয়ে তারা কে কি করবে সে সব পরিকল্পনা পর্যন্ত করে ফেলেছে তারা। অথচ বিয়ের কথা শুনলে আমার লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছে করত। জীবনে বিয়ে না করে থাকার উপায় খুজে ফিরতাম আমি।
স্কুলে আমি ছাত্রী হিসেবে বেশ ভালো ছিলাম। সেই সুবাধে আমি সারাদিন বইতে ডুবে থাকতাম। এর বাইরে যেটুকু সময় পেতাম গল্প উপন্যাস পড়ে পার করে দিতাম। এই গল্প উপন্যাসের জন্যই তোমার সাথে পরিচয়। যদি এগুলো না পড়তাম তবে কি আমার জীবন অন্য রকম হতে পারতো না, ইমন?
আমি প্রেম করতাম উপন্যাসের চরিত্রের সাথে। অনুপমের গানের সাথে। জীবনটা সুখেই পার করছিলাম। জীবনে কিছু একটা হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মন প্রাণ দিয়ে পড়ালেখা করে যাচ্ছিলাম। সাতে-পাঁচে নেই। মাঝেমধ্যে শুধু মাইগ্রেণের ব্যথা খুব কষ্ট দিত। এছাড়া সুখেই ছিলাম।
মানুষ কখন প্রেমে পড়ে জানো,ইমন ? যখন তারা খুব সুখে থাকে। সুখে থেকে যখন ক্লান্ত হয়ে পরে তখনই তারা প্রেমে পড়ে। প্রেম ব্যপারটায় যতটা না সুখ অনুভূতি হয় তারচেয়ে ঢের বেশি কষ্ট হয়। আমি যে সুখে আছি সেটা হয়তো প্রকৃতির পছন্দ হয়নি। তাই সে তোমাকে পাঠিয়ে দেয় আমার জীবনে।
বাবা যখন কাজ শেষে বাড়ি ফিরত তখন ঘন্টাখানের জন্য ফোনটা আমি পেয়ে যেতাম। সে সময়টুকু ফেসবুকে ডুবে যেতাম। যে সব বই পড়তাম সে সব নিয়ে সেখানে রিভিউ লিখতাম। অন্যের গুলোও পড়তাম। সেগুলো পড়তে গিয়ে আমার প্রিয় উপন্যাস মেম সাহেবের রিভিউ চোখে পরে। মনে আছে নিশ্চয়ই ইমন এটা করা লেখা।
ছেলেদের খুব কমই দেখা যায় এই বইটি পছন্দ হয়েছে। বেশিরভাগ ছেলেই বলেছে লুতুপুতু মার্ক জঘণ্য বই।
অথচ তোমার পছন্দ হয়েছিল। তোমার রিভিউ এতোটাই চমৎকার হয়েছিল যে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট না দিয়ে পারিনি। তারপর অনেক দিন কেটে যায়। আমাদের আর কথা হয়না মেসেজে। কয়েকবার ভেবেছি মেসেজ করবো তোমাকে কিন্তু শেষ মুহুর্তে আর করা হয়ে উঠেনি। একদিন মেসেজটা এলো তোমার থেকেই। কোন হাই, হ্যালো না। প্রথম মেসেজেই তোমাকে আমার ভালো লেগে যায়। তুমি লিখেছিলে,“আমাদের মনে হয় কথা বলা উচিত। অনেকদিন ফেসবুকে আছি দুজন দুজনার।”
এরপরের গল্প তুমি জানোই। নতুন করে কিছু লেখার নেই। সে মুহুর্তে তোমাকে খুব প্রেমিক পুরুষ মনে হতো। উপন্যাস থেকে উঠে আসা কোন স্বপ্নের নায়ক মনে হতো তোমাকে। তুমি আমাকে আদর করে ডাকতে মেম সাহেব। নিমাইয়ের মেম সাহেব না, আমি ছিলাম ইমনের।এ কথায় প্রথম প্রথম বিরক্ত হলেও পরে ভালো লাগা শুরু করে। আর ভালো লাগার কথাই কারণ ততদিনে জীবনের সবচেয়ে খারাপ ঘটনা ঘটে যায়। আমি প্রেমে পরে যাই তোমার। যার উপহার হিসেবে আমার হাতে কিছু কাটা দাগ রয়ে গেছে তোমার স্মৃতি চিহ্ন হয়ে।
তোমার সাথে ফোনে কথা বলার দিনের কথা মনে পরে? কেমন ছিল তোমার সে অনুভূতি। হাস্যকর নিশ্চয়ই। হাস্যকর বলছি কারণ তুমি আমাকে কখনো ভালোবাসো নি। তাই আমার কিছু তোমার কাছে হাস্যকরই মনে হতো। অথচ সে সময় আমি এক বিন্দুও বুঝতে পারিনি সেটা। আমি ভাবতাম আমার অনূভূতি গুলোর মৃল্য তোমার কাছে অনেক, অনেক বেশি।
বাবা মা বাড়িতে থাকে। ফোন চাপাচাপি করি সেটাই তাদের পছন্দ হয়না। আর যদি ফোনে কারো সাথে কথা বলি এবং সে যদি হয় ছেলে তাহলে খবরই আছে। তাই দরজা লাগিয়ে ফিস ফিস করে তোমার সাথে প্রথম ফোনালাপ। সিনেমায় এমন দেখে এসেছিলাম। আমার জীবনেও যে এমন কিছু ঘটবে কখনো ভাবিনি।
আমার খুব ভয় করছিল কথা বলার সময়। এই বুঝি শুনে ফেলে মা। কিন্তু ভাগ্য সাথে থাকায় সেদিন কিছু হয়নি। আমি কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললাম,“আসসালামু আলাইকুম”
অপর পাশ থেকে তুমি বলেছিলে,“কেমন আছে আমার মেম সাহেব?”
আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো হয়ে গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ কথা খুজে পাচ্ছিলাম না। একটা মানুষ এতো সুন্দর করে কথা বলতে পারে কি করে! তোমার সাত জন্মের বউ হওয়ার ইচ্ছেটা তখনই হলো। যদিও সাত জন্ম নেই জানি তবুও ভাবতে ভালো লাগতো।
এর তিন মাস পর একদিন তুমি ফোন দিলে। আমি দরজা জানালা লাগিয়ে কথা বলছিলাম। তুমি বললে,“আমার কিছু কথা বলার আছে। তুমি শুধু শুনে যাবে।”
আমি এইপাশ থেকে হু বললাম। সে বলা শুরু করলো,“তোমার আগে আমি অন্য মেয়েকে ভালোবাসতাম। প্রচন্ড ভালোবাসতাম। কিন্তু সে অন্য কারো সংসারে। আমি সবসময়ই তোমার মাঝে তার ছাঁয়া খুজে ফিরতাম। মেসেজে যখন কথা হতো তোমার সাথে তখন মনে হতো তার সাথেই কথা বলছি। ফোনেও তাই। কিন্তু তোমার সাথে দেখা হওয়ার পর হতাশ হই। তুমি যে কালো সেটা আমাকে জানানো উচিত ছিল। তাহলে তোমাকে নিয়ে আমার কল্পনা অন্য রকম হতো।
তোমাকে আমি সবসময় আমার প্রাক্তনের মতো কল্পনা করতাম। যখন দেখা হলো তখন বুঝতে পারলাম কেউ কখনো কারো জায়গা পূরণ করতে পারে না। তারপরও আমি তোমাকে ভালোবাসার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আমি ব্যর্থ হয়েছি। তোমাকে ভালোবাসা আমার পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না। আমি এখন নারীদের থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জীবনে আর কখনো প্রেমে পরবো না বলে ঠিক করেছি। আমার কথা কি তুমি শুনতে পাচ্ছো?”
আমি শুধু,“হু” বলে ফোনটা কেটে দিলাম। সম্পর্কের তিন মাস পর সব শেষ হয়ে যায়। তার সাথে বৃদ্ধ হওয়ার এবং সাত জন্মের হওয়ার ইচ্ছেটা তিন মাসেই শেষ হয়ে গেল! এতোই সহজ সবকিছু! তোমাকে বলার ছিল অনেক অনেক কথা।কিন্তু কিছু বলা হয়ে উঠেনি। আমি চাচ্ছিলাম না কান্না কাটি করে ফিরিয়ে আনার। যার যাওয়ার সে এমনিতেই যাবে।
সে রাত ছিল আমার জীবনের ভয়ঙ্কর এক রাত। আমি আত্মহত্যার পরিকল্পনা শুরু করে দেই। ইমন, তোমাকে ছাড়া আমি একা বৃদ্ধ হতে চাইনা। তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকাটা আমার পক্ষে সম্ভব না। কি করে থাকবো তোমাকে ছাড়া। ভেবে অবাক লাগে তিন মাসে তোমাকে এতোটা ভালো কখন বেসে ফেললাম!
হাতে ব্লেড নিয়ে বসে ছিলাম। কেটে ফেলবো হাত। তারপর আস্তে আস্তে মৃত্যু কোলে ঘুমিয়ে পরবো। শুনেছি এভাবে মৃত্যু হয় অনেক সময় নিয়ে। আমিও চাই অনেক সময় নিয়ে মরে যেতে। যখন সব ঠিকঠাক করেছি। তখন ভাইয়া ফোন দিল। অনেক দিন পর তার ফোন। ভাবলাম কথা বলে যাই মরার আগে।
কিন্তু ভাইয়ার সাথে কথা বলতে পারিনি। ভাইয়া হ্যালো বলার সাথে সাথে আমি কান্না শুরু করে দিলাম। আমি কখনো এভাবে কান্না করিনি। শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছিল। হেঁচকি উঠে যাচ্ছিল। চিৎকার করে কান্না করার ইচ্ছে করছিল। কিন্তু মা যদি শুনে ফেলে সে ভয়ে চিৎকার করে কান্না করতে পারছিলাম না। এভাবে কেন ফেলে চলে গেলে ইমন। একটু সুযোগ দিয়ে দেখতেই পারতে। তোমার প্রক্তন থেকেও বেশি ভালো আমি তোমাকে রাখতে পারতাম।
আত্মহত্যা করার সাহস পরে আর হয়ে উঠেনি। আমি খুব সাহসী মেয়ে ছিলাম না। রক্তে আমার খুব ভয়। রক্তে স্বল্পতায় মরার আগে রক্ত দেখেই মরে যেতে পারি। শেষ পর্যন্ত ব্লেড দিয়ে হাতে কিছু আঁচড় বসিয়ে দিলাম অন্য দিকে তাকিয়ে। রক্ত দেখার সাহস আমার হচ্ছিল না। সে আঁচড় গুলো এখন আমার জীবনে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যতই তোমাকে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করি না কেন, দাগ গুলো তোমার কথা মনে করিয়েই দেয়।
উপন্যাসের গল্প গুলো আসলে রুপকথা নয়। অকল্পনীয় কিছু নয়। কখনো কখনো আমাদের জীবনে উপন্যাসের মতো ঘটনা ঘটে যায়। তোমার সাথে দেখা হওয়ার সে মুহুর্ত আমার জীবনে উপন্যাসের মতোই ছিল। পরিচয়ের দুই মাস পরই তোমার সাথে দেখা হওয়াটা অকল্পনীয় ছিল।
একটা গাছের নিচে দুজন বসে ছিলাম। তুমি আমাকে দেখে চমকে উঠেছিলে। চমকে উঠার কারণ তখন বুঝতে না পারলেও এখন বুঝতে পারি। আমার গায়ের রং পছন্দ হয়নি তোমার।
আমি তোমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। বুকের ভেতর ঝড় বয়ে চলছিল। আমার ভালোবাসার মানুষটি আমার সামনে বসা। যার সাথে আমার ছোট্ট সুন্দর সংসার হবে। তুমি দেখো আমরা খুব সুখি হবো ইমন। আরো কত কতো ভাবনা চলছিল আমার মনে। সে সব লিখে আর কি হবে? আমার অনুভূতির কোন মূল্য কি আছে তোমার কাছে? কখনো কি ছিল?
তুমি আমাকে তোমার পাশে বসার ইশারা করলে। আমি দুজনের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব রেখে তোমার পাশে বসে ছিলাম। তুমি বললে,“হাতটা ধরতে পারি?”
আমি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পরেছিলাম। এমন কিছু ঘটতে পারে আগে ভাবিনি। তবে ভালো লাগছিল খুব। আমি কাঁপা কাঁপা বুকে তোমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। শক্ত করে চেপে ধরেছিলে সে হাত। এমন ভাবে ধরেছিলে মনে হচ্ছিল জীবনে কখনো ছেড়ে যাবে না। অথচ কি থেকে কি হয়ে গেল।
এমন কেন হয় ইমন? কেন পূরণ হয়না ইচ্ছে গুলো। আজকাল প্রচন্ড হতাশা কাজ করে নিজের উপর। আশেপাশের মানুষ গুলো কতো অনন্দ থাকে। প্রাণ খুলে হাসে। আমি হাসতে পারি না। হিংসে হয় তাদের উপর। ইচ্ছে করে গলা টিপে ধরি।
খুব কান্না আসে। কিন্তু কান্না বের হতে দেইনা। তোমার জন্য চোখের পানি ফেলার কোন মানে হয়? তুমি তো সুখেই আছো।আমার ভাগ্যই এমন ছিল। কান্না করে কি হবে। উপর থেকে জোড়া ঠিক করাই থাকে। তুমি সে জন ছিলে না। নিশ্চয়ই আমার জন্য কেউ অপেক্ষা করছে। এসব সান্তনা দেই নিজেকে। কান্না আটকে যায়। কিন্তু বুকের মধ্যে পাহাড় সমান চাপা কষ্ট জমা হয়। একসময় বুকে ব্যথা শুরু করে। দলাপাকিয়ে বমি আসতে চায়। মাকে বলি। তিনি গ্যাসটিকের ঔষধ ধরিয়ে দেন। বুকে ব্যথা আর বমি ভাব যায় না। একসময় ঘুমিয়ে যাই। ঘুমিয়েও শান্তি হয়না। স্বপ্নেও তুমি আসো। স্বপ্নও আমার শত্রু হয়ে গেছে। সেখানেও তুমি আমাকে ফেলে চলে যাও।
ইমন, আমার সেদিন আত্মহত্যাটা করে ফেলা উচিত ছিল। এই অসহ্য কষ্ট আমি আর নিতে পারছি না। রোজ মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করার চেয়ে একদিন ভোগ করা ভালো তাই না?
লেখাগুলো আগেও লিখেছি অনেক বার। তারপর কুচিকুচি করে ছিঁড়ে ফেলেছি। এখন জীবনে ভালো লাগা বলতে এটুকুই। ছেঁড়ার শব্দে মন ভালো হয়ে যায়। ঠোঁটের কোণে তৃপ্তির হাসি ফোঁটে। চিঠি ছিঁড়তে ছিঁড়তে এখন অপেক্ষায় আছি উপর থেকে ঠিক করে রাখা আমার জোড়ার জন্য। দেখা যাক ভাগ্য শেষ পর্যন্ত আমাকে কি উপহার দেয়।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
❁শাহারিয়ার❁
User ২ বছর, ৭ মাস পুর্বেFar**n
User ২ বছর, ৭ মাস পুর্বেN.O.V.A Legacy (Game)
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেN.O.V.A Legacy (Game)
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেSHUVO SUTRADHAR
Golpobuzz ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেসিয়াম
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেরিয়েন সরকার
Author ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেরিয়েন সরকার
Author ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেমফিজুল.....
Golpobuzz ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেরিয়েন সরকার
Author ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেরিয়েন সরকার
Author ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেARFA
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেমফিজুল.....
Golpobuzz ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেরিয়েন সরকার
Author ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেরিয়েন সরকার
Author ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেমফিজুল.....
Golpobuzz ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেরিয়েন সরকার
Author ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেমাহিন
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেরিয়েন সরকার
Author ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেরিয়েন সরকার
Author ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেতুহিন
Golpobuzz ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেশিখা
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেরিয়েন সরকার
Author ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেSushmita
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেরিয়েন সরকার
Author ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেMehedi Hasan Prova
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেMehedi Hasan Prova
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেসাইম আরাফাত
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেN.O.V.A Legacy
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেতানিম
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেRehnuma Ahmed
Golpobuzz ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেসিয়াম
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে