বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

তুমি চাঁঁদের থেকেও সুন্দরী

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান সাফায়েত হোসেন (০ পয়েন্ট)

X কোনো এক পূর্ণিমার রাতে রতন ও তার বউ রিমা বাড়ির ছাদে বসে চাঁদ দেখছে।তার একটু আগে অফিস থেকে ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাসায় আসছে রতন।তাই তার রাতে না ঘুমিয়ে ছাদে যাওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই।কিন্তু রিমা বলছে শুনতেই যে হবে তাকে।মেয়েটি তাকে অনেক ভালোবাসে এখন যদি রতন তার কথা না শুনে তাইলে খুব অভিমান করবে মেয়েটি।তাছাড়া রিমাও তো সারাদিন অনেক পরিশ্রম করে বাসায়।তারও তো শরীর ক্লান্ত কিন্তু সেও তো ছাদে যেতে চাচ্ছে।তাই রাতের খাওয়া শেষে রতন আর রিমা ছাদে গেল চাঁদ দেখতে।ওরা মাঝেমধ্যেই ছাদে যায় এবং ওই রাতটা ছাদেই কাটিয়ে দেয়।জোছনা রাত চাঁদের আলোয় চারিদিক আলোকিত হয়ে আছে তার মাঝে একে অপরের হাত ধরে বসে আছে রতন আর রিমা।রতন চাঁদের দিকে বেশি না তাকিয়ে রিমার দিকে তাকিয়ে আছে।এটা দেখে......... রিমা:-তুমি দেখি চাঁদের দিকে না তাকিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছো একভাবে।এর কারণ কি শুনি? রতন:-একটা চাঁদ আমার পাশে বসে আছে আর আরেকটা চাঁদ দূরে আছে তাই পাশের টাকেই দেখছি। একটু লজ্জা পেলো রিমা। রিমা:-কি যে বলো না তুমি।কোথায় আমি আর কোথায় চাঁদ।চাঁদের মতো সুন্দর আমি হতে পারি নাকি। রতন:-তুমি যে চাঁদের থেকেও সুন্দরি প্রিয়তমা।চাঁদের নিজের আলো নেই সে সূর্যের আলোয় আলোকিত হয়।কিন্তু তোমাকে সৃষ্টিকর্তা একটা সুন্দর্য দিয়েই সৃষ্টি করেছেন।যাই হোক আকাশের চাঁদও সুন্দর তুমিও সুন্দর।কিন্তু তুমি আমার কাছে চাঁদের থেকেও সুন্দর।আমি কোনো প্যাচ বুঝি না। রিমা:-বাব্বাহ আমার বরটা দেখি আজকাল খুব রোমান্টিক হয়েছে। রতন:-কেন আগে বুঝি ছিলাম না? রিমা:-ইইই সারাদিন অফিস করে এসে খেয়েই তো শুয়ে পড়।আমি কেমন আছি কখনো জিজ্ঞেস করো।আমাকেও অনেক কাজ করতে হয় বাসায় বুঝলা।কিন্তু তুমি বাসায় এসে আমার দিকে দেখই না।আমায় যেন একটু অবহেলা কর তুমি। রিমার মনে একটু অভিমান আসলো।যেনো চাঁদকে হালকা কালো মেঘ ঘিরে ধরেছে।রতন এবার রিমাকে টেনে ওর বুকের কাছে আনলো।রতনের হার্টবিট যেন এখন শুনতে পাচ্ছে রিমা।একটু যেন দমকা হাওয়া শুরূ হলো এবার।হালকা করে বাতাস বইছে তাতে রিমার চুলগুলো গিয়ে রতনের মুখে পড়ছে।রিমা চুলগুলো সড়িয়ে নিচ্ছে।রতনের অসুবিধা হবে ভেবে রিমা এবার চুল বাধতে যাবে কিন্তু রতন চুল বাধতে দিল না রিমাকে। রতন:-চুল বেধো না।চুলগুলো মুখের উপর এসেই পড়ুক। রিমা:-তোমার সমস্যা হচ্ছে না তো? রতন:-কই না তো।তোমার চুলের ঘ্রাণের আমার হ্নদয় যেন জুড়িয়ে যাচ্ছে।সারাদিনের সকল ক্লান্তি যেন আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাচ্ছে। এবার রিমা আরো একটু লজ্জা পেল।রিমা ওর মাথা রতন এর কাধে রাখল এবং হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরলো রতন কে।এভাবেই কিছুক্ষণ বসে থাকার পর গভির ঘুমে হারিয়ে গেলো রিমা।রাত গভির হচ্ছে।চারিদিকে নিঃস্তবদ্ধতা নিরবতা বিরাজ করছে।ঘন কালো অন্ধকার যেন গ্রাস করছে পৃথিবীটা কে।আর তারই মাঝে রতন কে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে রিমা।রতন এক দৃষ্টিতে রিমার দিকে তাকিয়ে আছে।রতন এর কাছে ঘুমন্ত চেহারায় রিমাকে যেন আরো বেশি সুন্দরি লাগছে।রতন এবার রিমার কপালে ভালোবাসার একটা পড়শ একে দিল।সে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিল যে রিমাকে আরো ভালোবাসবে।মেয়েটাকে বেশি বেশি সময় দিবে।রতনের খারাপ লাগে এটা ভেবে যে মেয়েটা তার কাছে একটু সময় চায় কিন্তু সেটাই দিতে পারে না সে রিমাকে।মেয়েটার চাওয়া খুব সীমিত কিন্তু সময়ের অভাবে সেই সীমিত চাওয়াটাই সে পূরণ করতে পারে না।কিন্তু তাই বলে মেয়েটি তার কাছে কখনো অভিযোগ করে না।মাঝেমধ্যে একটু অভিমান করে কিন্তু একটু পর সেই অভিমান ভেঙ্গেও যায় রিমার।রতন এবার মনে মনে অঙ্গিকার করছে যে রিমার এই হাত কখনো ছাড়বো না আমি।যতদিন বাচবো একসাথে বাচবো।সুখে দুঃখে কখনো ভালোবাসার মানুষটিকে ছেড়ে যাবো না।জানি রিমাও তাই চায়।এরকমই অনেক কিছু ভাবতে ভাবতে এবার রতন ও ঘুমিয়ে গেলো। চারিদিকে জোছনার আলোয় আলোকিত।কিন্তু আজ যেন সকল আলো গিয়ে পড়েছে ঘুমিয়ে থাকা রতন ও রিমার মাঝে।ধন্য হোক তাদের পথচলা, ধন্য হোক রতন রিমার মতো হাজারো ভালোবাসা।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৮২৬ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • safaet hossen
    User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    ধন্যবাদ

  • SHUVO SUTRADHAR
    Golpobuzz ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    ভাল লাগল।