বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

যৌন ক্ষুধার ব্যাপারে ইসলাম কি বলে?

"ইসলামিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান চিন্তার চুম্বক (০ পয়েন্ট)

X বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম আল্লাহুম্মা সল্লি আ'লা মুহাম্মাদিন আফদ্বলা সলাতিকা যৌন ক্ষুধা কি সাধারণ ক্ষুধার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ? ক্ষুধা লাগলে খেতে হয়। খাবার না পেলে চুরি করে হলেও মানুষ খাবার সংগ্রহ করে। তাহলে, যৌন ক্ষুধা নিবারণ করার সুযোগ করে না দিলে তো মানুষ স্বাভাবিকভাবেই হারামের দিকে পা বাড়াবে। দেখুন! বিয়ে কত সহজ ছিলো সাহাবাদের সময়ে! . সাহল বিন সা’দ (রা.) হতে বর্ণিত আছে যে, একবার এক নারী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বললো, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার নিজেকে আপনার জন্য উপহার দিতে এসেছি (পরোক্ষ ভাষায় বিয়ের প্রস্তাব)।’ তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে তাকিয়ে তার আপাদমস্তক লক্ষ্য করে মাথা নিচু করলেন। সেই নারী যখন দেখলো যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন ফায়সালা দিচ্ছেন না, তখন সে বসে পড়লো। এমন সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের একজন বললো, ‘যদি আপনার কোন প্রয়োজন না থাকে, তবে এই নারীর সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দিন।’ তিনি বললেন, ‘‘তোমার কাছে কি (মোহর দেওয়ার মতো) কিছু আছে?’’ সে বললো, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কসম! কিছুই নেই।’ তিনি বললেন, ‘‘তুমি তোমার পরিবারের কাছে ফিরে যাও এবং দেখো কিছু পাও কি না!’’ এরপর লোকটি চলে গেলো এবং ফিরে এসে বললো, ‘আল্লাহর কসম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কিছুই পেলাম না।’ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘দেখো, একটি লোহার আংটি হলেও!’’ তারপর সে চলে গেলো এবং ফিরে এসে বললো, ‘আল্লাহর কসম! একটি লোহার আংটিও পেলাম না। কিন্তু এই যে আমার লুঙ্গি আছে।’ সাহল (রা.) বলেন, তার কোন চাদর ছিলো না। অথচ লোকটি বললো, ‘এটাই আমার পরনের লুঙ্গি; এর অর্ধেক দিতে পারি।’ এ কথা শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তোমার লুঙ্গি দিয়ে সে কি করবে? তুমি পরিধান করলে তার গায়ে কোনো কিছু থাকবে না। আর সে পরিধান করলে তোমার গায়ে কোনো কিছু থাকবে না।’’ তখন লোকটি বসে পড়লো এবং অনেকক্ষণ সে বসেছিল। তারপর উঠে গেলো। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ফিরে যেতে দেখে ডেকে আনলেন। যখন সে ফিরে আসলো, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘‘তোমার কতটুকু কুরআন মুখস্থ আছে?’’ সে গুণে বললো, ‘অমুক অমুক সূরা মুখস্থ আছে।’ তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘‘তুমি কি এ সকল সূরা মুখস্থ তিলাওয়াত করতে পারো?’’ সে বললো, ‘হ্যাঁ!’ তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘যাও, তুমি যে পরিমাণ কুরআন মুখস্থ করেছো, এর বিনিময়ে এ মহিলার সাথে তোমার বিবাহ দিলাম।’’ [সহিহ বুখারি: ৫০৩০, সহিহ মুসলিম: ১৪২৫] . অথচ, এখন ছেলেকে এস্টাবলিশড হতে হয়, ক্যারিয়ার গঠন করতে হয়, বিয়ের আগেই টাকাওয়ালা হতে হয়, সরকারি চাকরিজীবী হতে হয়! কত পরিকল্পনা! সেই সোনালী যামানায় এত কিছু চিন্তা করতে হতো না। যদি বুঝা যেতো, ছেলে পরিশ্রম করে বউয়ের চাহিদা পূরণ করতে পারবে এবং এবং সে এ ব্যাপারে আন্তরিক থাকবে, তাহলে সহজেই কণেকে এমন ছেলের হাতে তুলে দেওয়া হতো। তাই বলে কি তারা না খেয়ে থাকতো? জি না, আল্লাহই তাদের রিযিকের ব্যবস্থা করতেন। আবার বর্তমানে যেভাবে ‘আগুন সুন্দরী’ খোঁজা হয়, ৫ ফুট ৩/৪ ইঞ্চি খোঁজা হয়, দুধেআলতা দেখা হয় এগুলো তখন ছিলো না। কিংবা এখনকার মতো তখন যৌতুকের জন্য ছেলেপক্ষ দিওয়ানা ছিলো না। . আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসউদ (রা.) বলেন: ‘‘আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে কিছু যুবক ছিলাম, যাদের কিছুই ছিলো না। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘হে যুব সমাজ! তোমাদের মধ্যে যারা সামর্থ্য রাখো, তাদের উচিত বিয়ে করে ফেলা। কেননা বিয়ে দৃষ্টি অবনতকারী ও লজ্জাস্থানকে হেফাযতকারী। আর যার সামর্থ্য নেই, তার উচিত রোজা রাখা। কেননা রোজা যৌন-উত্তেজনা প্রশমনকারী।’’ [সহিহ বুখারি: ৫০৬৬, সহিহ মুসলিম: ১৪০০] . মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই কথা। কারণ ছেলেদের যৌন-চাহিদার কথা অনেক সময় দৃশ্যমান হলেও মেয়েরা লজ্জায় কিছু বলতে পারে না। আবার মেয়েদের যতটা-না যৌন চাহিদার প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন এমন একজন উত্তম জীবনসঙ্গী, যার সাথে সে একান্তে সময় কাটাতে পারে। এজন্য মেয়েরা যখন বিয়ের মাধ্যমে এই সুযোগটি লাভ করতে পারে না, তখন হারাম রিলেশনে জড়ায়। কিন্তু দিনে দিনে তার থেকে লাজুকতা ও কোমলতা হারিয়ে যেতে থাকে। অনেক সময় সে ছেলে বন্ধুর প্ররোচনায় অশ্লীল চ্যাট করে, ন্যুডিটি আদান-প্রদান করে আবার অনেক সময় নিজেই এসবে অভ্যস্ত হয়ে যায়, ট্রেন্ডে গা ভাসিয়ে দেয়। তাই, শুধু ছেলেদেরই নয়, মেয়েদেরও সঠিক সময়ে বিয়ে দেওয়া জরুরি। . রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘তোমরা যে ছেলের দ্বীনদারি ও চরিত্রের ব্যাপারে সন্তুষ্ট হতে পারবে, সে যদি প্রস্তাব দেয়, তাহলে তার কাছে (তোমাদের মেয়েকে) বিয়ে দিয়ে দাও। যদি তা না করো, তবে পৃথিবীতে মহা-বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।’’ [তিরমিযি: ১০৮৪, হাদিসটি হাসান] . সম্মানিত অভিভাবক, আপনি বাস্তবতায় আসুন। নিজের অবিবাহিত (ব্যাচেলর) জীবনকে স্মরণ করুন। আপনার সন্তান এখন সেই সময়টি অতিবাহিত করছে। আপনি সেই সময়টিতে যা কামনা করতেন, আপনার সন্তান এখন সেটি কামনা করে। আপনি তখন যেভাবে মন খারাপ করে থাকতেন, আপনার সন্তান এখন তেমনটা করে। আশা করি, বুঝেছেন। না বোঝার তো কিছু নেই। দয়া করে সমাজের দোহাই দিয়ে নিজের সন্তানকে হারামে জর্জরিত করে রাখবেন না। সন্তানের প্রতি এই অবহেলায় সন্তানের গুনাহের দায় আপনি এড়াতে পারবেন না। ভালোবাসা অবিরাম


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৮৮৯ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • Shariful Islam
    User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    জাযাকাল্লাহু খইরান

  • Mehedi Hasan Prova
    User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    শরিফুল ভাই, ভুল বলেছেন। বলা উচিত ছিল, "যারা লেখাটা পড়েছেন আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।"❤️❤️❤️

  • Shariful Islam
    User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    যারা কমেন্ট করেছেন আল্লাহ আপনাদের কে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

  • তানিম
    User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    বেশ! ভালো একটা পোস্ট!!

  • Mehedi Hasan Prova
    User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    আমরা এই আদেশগুলো তখনই মানতে পারব যখন আমাদের দেশ-সমাজ-পরিবার ইসলামী শরীয়ত মেনে চলবে। তাছাড়া এটা মানা খুব কঠিন। কারণ এক-দুইজন মুমিন হলে শুধু তারাই ইসলাম মেনে চলতে পারে। বাকিরা ইসলাম পাত্তাই দেবে না। প্রমাণ আমার মধ্যে, আপনার মধ্যে, আমাদের সবার মধ্যে।

  • Mehedi Hasan Prova
    User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    তবে আমাদের হাদীসের রোজা রাখার আদেশটা ভুললে চলবে না। এখনকার সময়ে বিয়ে করা ঝামেলার মতো হয়ে গিয়েছে। এটা মানছি। তবে এর সুন্দর একটা সমাধানওতো হাদীসে দেওয়া আছে। রোজা রাখা। কোনো বাবা-মাই এখন চায় না যে তার মেয়ে কষ্টে থাকুক(অর্থকষ্টের কথা বলছি। যদিও এটাই সব নয়।)। এজন্য তারা তথাকথিত স্টাবলিশড ছেলে খুঁজেন। কেউ তার ঈমান-আমল দেখে না। আসলে দেখতে চায় না। আর বয়সের ব্যাপারটাও আছে। আমাদের দেশে ছেলেদের বিয়ে করার বয়স ২১ আর মেয়েদের ১৮। কিন্তু ২১ বছরের একটা ছেলে কতটা সামর্থ্যবান সেটাও একটা কথা। এসময় সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকে। তখন তার জন্য কোন চাকরি বা ব্যবসার সহজ পথও খোলা থাকে না। তবে ধনী পরিবারের হলে ভিন্ন কথা।

  • Mehedi Hasan Prova
    User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    হুমমমমমমমgjgj

  • Lutfun Nahar (Sabira)
    User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    ☺☺☺☺☺

  • ♥♥Samir♥♥
    User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    ঠিক কথা বলেছেন,,,,,,,,,,,ভালো হয়েছে বিশেষ করে হাদিসগুলো

  • The White Tiger {Siam}
    User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    খুব ভালো লাগলgj