বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

গল্পঃ হৃদয়ের কথা

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান অরণ্য (০ পয়েন্ট)

X হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে আঁতকে উঠলাম। অন্ত বিছানায় নেই! আমি দিশেহারা হয়ে গেলাম। এই মাঝরাতে ছেলেটা কোথায় গেল! এদিক- সেদিক ছুটে ব্যালকনির দিকে চোখ পড়তেই লক্ষ্য করলাম ব্যালকনির দরজা ভেজানো। অন্ত দু'হাত ব্যালকনির রেলিং এ দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কাছে গিয়ে পিঠে হাত রেখে বললাম, "কি ঘুম আসছে না! " - তুমি আবার উঠে আসলে কেন? - তুমি অনেক টায়ার্ড। এসো, শোবে চলো। - আমার ঘুম আসছে না, তুমি শুয়ে পড়ো। আমি কথা না বাড়িয়ে চলে আসি। সপ্তাহখানেক ছুটি পেয়ে সমুদ্রে বেড়াতে আসি আমি আর অন্ত। দু'দিনের মাথায় সমুদ্রে নেমে নিঁখোজ হয় অন্ত। আত্মীয়- স্বজনকে জানাতে সাহস পাইনি। পুলিশের সহায়তায় ৩ দিন সমুদ্রে খুঁজেছি হন্যে হয়ে। অন্ত আমার জীবন থেকে কখনো হারিয়ে যেতে পারে স্বপ্নেও ভাবিনি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল সে ফিরে আসবে। গতকাল হঠাৎ কোথা থেকে অন্ত এসে হাজির হয়। যেন কিছুই ঘটেনি এমন ভাব করে বলে, "প্রিয়তা আমার ঘুম পাচ্ছে, ঘুমালাম। ডাকবা না কিন্তু! " আমি হতবাক হয়ে যাই। কিন্তু আমাকে কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ না দিয়েই অন্ত ঘুমিয়ে পড়ে। - প্রিয়তা - হ্যাঁ, বলো। - এক কাপ চা খাওয়াবে? কতদিন তোমার হাতের চা খাইনা! - তুমি তো এত রাতে চা খাওনা! - আজ খাবো! - ব্যালকনির দরজাটা লাগিয়ে দাও। আমি আসছি! রুম থেকে বেরিয়েই আমার মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠল। অন্ত কি জানে না আমরা হোটেলে? তবে চা বানানোর কথা বলল কেন! নিচ থেকে চা এনে দেখি অন্ত ঘুরে বসে আছে। চা বাড়িয়ে দিতেই আমার হাতটা খপ করে ধরে ফেলল। কি ঠান্ডা হাত! আমি এক ঝটকায় হাত সরিয়ে দিলাম। অন্ত কাছে আসতে আসতে বলল, "প্রিয়তা, আমাকে একটু জড়িয়ে ধরো। আমার অনেক শীত করছে। " এবার আমি সরাসরি অন্তর মুখের দিকে তাকালাম। ঠোঁট নড়ছে না, বুকের বামপাশটা শুধু কাঁপছে। অন্তর বুকের বাম পাশ থেকে বারবার শুধু ভেসে আসছে, " আমাকে জড়িয়ে ধরো প্রিয়তা! জড়িয়ে ধরো প্লিজ!" আমি চিৎকার করতে করতে বাহিরে বেরিয়ে আসলাম। হোটেলের বেশকিছু কর্মচারী করিডোরে পায়চারি করছিল। আমাকে দেখে সবাই থমকে গেল। এমনিতেই কয়েকদিন তাদের বেশ জ্বালিয়েছি, নতুন করে আমাকে নিয়ে তারা হ্যাপায় পড়ুক চাইনা বলেই রুমে ফিরে আসলাম। অন্তর অস্তিত্ব ওর পরিত্যক্ত জামা-কাপড় ছাড়া আর কোথাও টের পেলাম না। আমি পাগলের মত অন্তকে খুঁজতে লাগলাম। জানালা দিয়ে দেখলাম অন্ত সমুদ্রের দিকে হেঁটে যাচ্ছে, ফিরে ফিরে আমাকে হাত নাড়ছে। কি সজীব, প্রানবন্ত সে! আমিও হাত নাড়লাম, শেষবারের মত। গুড বাই অন্ত, ভালো থেকো।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৬১৭ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন