বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আমি নিলয়।ভালোবাসা দিবস এর দিন পড়ন্ত বিকেলে পার্কে হাতে একটা গোলাপ ফুল আর কিছু চকলেট নিয়ে কাঠের একটি বেঞ্চিতে বসে আছি।এক বছর পর আমার ভালোবাসার মানুষ নিলিমার সাথে দেখা হবে আজ।তাই আমি আজ অনেক খুশি।আজ ওর সাথে দেখা হবে এই উত্তেজনায় গত রাতে ভালো করে ঘুমও হয় নি।যাই হোক আপনারা হয়তো মনে করতে পারেন ভালোবাসার মানুষ তাহলে এক বছর পর দেখা হচ্ছে কেন?আসলে আমাদের পরিচয়টা হয়েছিল ফেসবুকে।একবছর আগে একদিন রাতে খাবার খাওয়ার পর ঘুমনোর আগে একটু ফেসবুকে ঢুকে দেখি ডানাকাটা পরী নামে একটা ফেসবুক আইডি থেকে রিকুয়েস্ট আসছে।প্রফাইলে পিকচার এ আবার একটা পুতুলের ছবি।আমি মেয়েদের রিকুয়েস্ট তেমন একটা একসেপ্ট করি না।তাই পাত্তা দিলাম না।তারপর হঠাৎ ওই আইডি থেকে একটা ম্যাসেজ আসলো।ম্যাসেজটা ছিল এমন
"লেখকদের ভাবটা একটু বেশি হয় মনে হচ্ছে।রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করেন না কেন শুনি"।
বলে রাখা ভালো আমি ফেসবুকে টুকটাক গল্প লিখি।যাই হোক আমিতো পুরা হতবাক এই ম্যাসেজ দেখে।কারণ আমাক এর আগে কেউ এভাবে ম্যাসেজ দেয় নি।তখন আমি বললাম কে আপনি?
ওই আইডি থেকে ম্যাসেজ আসলো আমি আপনার গল্প পড়ি।আপনার লিখা গল্প আমার খুব ভালো লাগে।তাই আমরা কি ফ্রেণ্ড হতে পারি।
তারপর আমি রাজি হয়ে গেলাম ফ্রেণ্ড হতে।ওর দেওয়া রিকুয়েস্ট টাও একসেপ্ট করে নিলাম।এভাবেই আমরা অনেক রাত জেগে ফেসবুকে কথা বলতাম।কথায় কথায় জানতে পারি ওর আর আমার বাসা একই শহরে।আর ওর নাম নিলিমা।আর এক শহরে বাসা হওয়া সত্তেও নিলিমা দেখা করতে চাইতো না।ওর ছবি চাইলেও দিতো না।কিন্তু ওর নাম্বার দিয়েছিল।আমরা ফোনে কথা বলতাম সবসময়।এভাবে তিন মাস চলে গেল।আমি আস্তে আস্তে ওর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়লাম।আমি নিলিমাকে ভালোবাসে ফেললাম।এখন এই কথা ওরেহ জানাতেও সাহস পাচ্ছি না বন্ধুত্ব নষ্ট হওয়ার ভয়ে।তারপরও সাহস করে আমার মনের কথা জানিয়ে দিলাম।নিলিমাও রাজি হয়ে গেল।
সে আমাকে বললো আমিও তোমাকে ভালোবাসি অনেকদিন থেকে।কিন্তু বন্ধুত্ব নষ্ট হওয়ার ভয়ে বলতে পারি নি।ভাবছিলাম তুমি যদি নিজের মুখে ভালোবাসার কথা জানাও।সেই অপেক্ষাতেই ছিলাম।
তারপর আমরা আরেকটা নতুন সম্পর্কের দিকে ধাবিত হলাম।রাত জেগে কথা বলা।একে অপরের খেয়াল রাখা এভাবে ভালই চলছিল আমাদের জীবন।কিন্তু তারপরেও সে আমায় তার ছবি দেয় নি।পরে দিবে বলতো শুধু।কিন্তু আমাকে সে দেখেছে।কারণ আমার ছবি আমার ফেসবুক প্রফাইলে দেওয়াই ছিলো আর আমি নিজেও আমার ছবি নিলিমাকে দিয়েছিলাম।এভাবে চলে গেলো আরো কয়েক মাস।তারপর একদিন নিলিমা আমাকে জানালো ওহ আমার সাথে দেখা করতে চায়। ভালোবাসা দিবসের দিন সে আমার সাথে দেখা করবে।এবং আমাকে একটা নিল পাঞ্চাবী পড়ে যেতে বলেছিলো এবং সেও একটা নিল শাড়ি পড়ে যাবে বললো।নিল রং নিলিমার আবার খুব প্রিয়।
কখন থেকে আমার ফোন বাজছে খেয়ালই করি নি।অতীত এর কথা মনে করতে করতে ফোন বাজার শব্দ খেয়ালই করি নি।তাকিয়ে দেখি নিলিমা ফোন করেছে।ফোন ধরার পর.....
নিলিমা:-কখন থেকে ফোন দিচ্ছি ধরছো না কেনো?আর কই তুমি আমি চলে আসছি তো।
আমি:-তুমি কই আছো এখন পার্কের?
নিলিমা:-নিজে যেখান বসে আছো। সেখান থেকে ডান দিকে তাকাও।
আমি ডান দিকে তাকালাম।তাকিয়ে দেখি চোঁখে কাজল,নিল শাড়ি,হাতে নিল চুড়ি,কপালে নিল টিপ পড়ে যেন একটা পড়ি আমার দিকে এগিয়ে আসছে।এটাই তাহলে আমার নিলিমা।এত সুন্দর একটা মেয়ে আমার ভালোবাসার মানুষ।আমি তো হা করে তাকিয়ে আছি ওর দিকে।
নিলিমা এবার আমার কাছে এসে বললো।এতক্ষণ ধরে ফোন দিচ্ছি ধরলে না কেন।আমি তোমার দিকে লক্ষ করে ফোন দিচ্ছিলাম।আর তুমি কি এতো ভাবছিলে যে ফোন ধরছিলে না।
আমি:-আরেহ আমাদের অতীত এর কথাগুলো মনে করছিলাম।তাই ফোনের শব্দ শুনতে পাই নি।
নিলিমা:-অতীত এর কথা না কোনো মেয়ের কথা।আমায় ছেড়ে অন্য মেয়ের কথা ভাবা তাই না।যাও আরি তোমার সাথে।
মুখ ফুলিয়ে নিলিমা কাঠের বেঞ্চিতে গিয়ে বসলো।নিলিমা খুব অভিমানি।একটু তেই অভিমান করে।আবার তাড়াতাড়ি অভিমান ভেঙ্গেও যায়।এবার তো ওর অভিমান ভাঙ্গাতে হবে।চকলেট নিয়ে আসছি।নিলিমা চকলেট খেতে খুব পছন্দ করে।তারপর ওর কাছে গিয়ে চকলেট ধরলাম ওর সামনে।চকলেট দেখে ওর সকল অভিমান ভেঙ্গে গেল নিমিষেই।আমার হাত থেকে চকলেট নিয়ে খেতে লাগলো একাবারে ছোট বাচ্চাদের মতো।আমার দিকে দেখি নজর ই নাই ওর।ওহ দেখি চকলেট খাওয়াতেই ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে।
তারপর আমি গোলাপ ফুলটা বের করে জোরে নিলিমা বলে ডাক দিলাম।ওহ আমার দিকে তাকালো।
তারপর আমি বলা শুরু করলাম...........
তোমার ওই কাজল মাখা চোঁখ,কপালে নিল টিপ,নিল শাড়িতে আমার চোঁখ দেখছে না আর অন্যদিক।এই দুই চোঁখ এখন শুধু তোমাকেই দেখছে।সারাজীবন এভাবেই তোমাকে দেখতে চাই আর হারিয়ে যেতে চাই তোমার ওই কাজল মাখা দুই চোঁখের মাঝে।দায়িত্ব নিতে চাই তোমাক চকলেট খাওয়ানোর।ধরতে চাই তোমার ওই দুই হাত আর থাকতে চাই দুজন একসাথে সারাজীবন।এই অধিকারটুকু কি আমায় দিবে তুমি?থাকবে তো আমার সাথে?
তারপর নিলিমা আমার হাত থেকে গোলাপ ফুল নিয়ে জরিয়ে ধরলো আমাকে।আর বলতে লাগলো থাকবো আমি তোমার সাথে সারাজীবন আমার পাগলটা।আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি নিলয়।
আমার কাছে যেন আজ সব স্বপ্নের মত লাগছে।একবছর পর আমি আমার ভালোবাসাকে কাছে পেয়েছি তাকে দেখতে পাচ্ছি সত্যি আমি অনেক খুশি আজ।
সূর্য পশ্চিম দিগন্তে আস্তে আস্তে হেলে যাচ্ছে।পাখিরা যে যার ঘরের দিকে ফিরে যাচ্ছে।চারিদিকে যেন শুনশান নিরবতা।তারই মাঝে কাঠের একটি বেঞ্চিতে নিলিমা আমার কাধে মাথা রেখে বসে আছে।আর আমি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি আর ভাবছি এভাবেই যদি কাটিয়ে দিতে পারতাম আরো কিছুটা সময়।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
SIAM The Deadman☠
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেMH2 (Mysterious Some one)
GJ Writer ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেLutfun Nahar (Sabira)
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেSushmita
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেsafaet hossen
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেMehedi Hasan Prova
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে