বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

নাইন-ইলেভেন

"ভিন্ন খবর" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান (০ পয়েন্ট)

X নাইন ইলেভেন এ কী হয়েছিল এ নিয়ে একটি দারুন বিশ্লেষণ | পড়লে ভালো লাগবে আশাকরি বুশের ‘৯-১১’ সুপার ড্রামা মুহাম্মাদ আলী রেজা বিষয়টি আপাত-দুর্বোধ্য ও জটিল মনে হলেও বাস্তবতা হচ্ছে তদানীন্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশের সুদূর পরিকল্পিত ৯-১১ সুপার নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার প্রাক্কালে যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়ায় প্রচণ্ড তোলপাড় শুরু হয়ে যায় : [সর্বনাশ!] ইসলাম এ দেশে দ্রুত সম্প্রসারণশীল ধর্ম। এটি আরো তীব্র হয়ে ওঠে যখন কিনটন সরকার হোয়াইট হাউজে স্থায়ীভাবে ইসলামের প্রতীক চাঁদ-তারা পতাকা ওড়ায়। যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতার পর থেকে দু’টি ধর্মীয় পতাকা হোয়াইট হাউজে উঠানো হতো। দেখতে দেখতে মুসলমানদের সংখ্যা ইহুদিদের টপকিয়ে যেতে দেখা যায়। এখন তিন ধর্মের পতাকা হোয়াইট হাউজে উড়ছে। জন্স হপকিন্স যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় মেডিক্যাল রিসার্চ ইউনিভার্সিটি। বাল্টিমোরে এর দু’টি ক্যাম্পাস। হোমউড ক্যাম্পাসের লাইব্রেরির নিচ তলার দেয়ালে পরিবেশিত একটি নিউজ আমার নজরে পড়েছিল : প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে এক লাখ মানুষ ইসলাম গ্রহণ করছে। মিডিয়ায় দেখি : এই ধর্মান্তরিতদের মধ্যে বেশির ভাগ মহিলা। এ সময় একটা বই হাতে পাই : ‘ডটার অব অ্যানআদার পথ’। লিখেছেন একজন খ্রিষ্টান মা। বইটিতে বিবৃত হয়েছে লেখিকা মিসেস অ্যানওয়ের অভিজ্ঞতাসহ নিজ কন্যা ও আমেরিকান অন্যান্য রমণীর মুসলমান হতে চাওয়ার কাহিনী। বইটি এত জনপ্রিয়তা পায় যে, প্রকাশের পরপরই ফরাসি ভাষায় ছাপা হয় ফ্রান্স থেকে। পরে বাংলাদেশে এসে এর বাংলা অনুবাদ ‘অন্য পথের কন্যারা’ দেখতে পাই। তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এতে আল গোরের প্রতিদ্বন্দ্বী বুশ। নির্বাচনের বিতর্ক প্রতিযোগিতাটি ছিল রোমাঞ্চকর। বিতর্কের একটি বিষয় থেকে এটা স্পষ্ট। পরবর্তীকালে কেন বুশ সেই বিতর্কিত ক্রুসেডের ঘোষক এবং নাইন-ইলেভেনের পরিকল্পক হলেন? ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোর ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বেছে নিলেন গোঁড়া ইহুদি লিবারম্যানকে। বুশের কাছে স্পষ্ট হলো, ইহুদি ভোট আল গোর পাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদি লবি খুবই সক্রিয় ও সুসংগঠিত। সে দেশে সাধারণত খ্রিষ্টান ভোট দুই ভাগে প্রায় সমানভাবে বিভক্ত হয়ে ভোটের ভারসাম্য বজায় রাখে দুই দলের মধ্যে। ব্যতিক্রম হচ্ছে, ইহুদি ভোট যে দিকে মোড় নেয়, তারাই বিজয়ের হাসি হাসে। ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো ইহুদি (অখ্রিষ্টান) হোয়াইট হাউজের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। বুশ জয়ের বিকল্প পথ খোলা না পেয়ে দিশেহারা হয়ে মুসলমানদের দ্বারস্থ হন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই প্রথম একজন প্রার্থী সরাসরি মুসলমানদের কাছে ভোট চাইলেন। সেই সময়ে মুসলমানদের প্রাণের দাবি ছিল, জননিরাপত্তা আইনে সংযুক্ত ‘সিক্রেট এভিডেন্স’ রহিত করা। আইনটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংযুক্ত হয়েছিল মুসলমানদেরকে সামাজিকভাবে জব্দ এবং কোণঠাসা করার জন্যই। এই সিক্রেট এভিডেন্সের দোহাই দিয়ে বা এর ফাঁকফোকড় তৈরি করে শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকদের জেলে পাঠানো হতো। বুশ দেখলেন, এ বিষয়ে কথা বললে সব মুসলমান ভোটারের ভোট বাগানো সম্ভব হবে। বিতর্কের সময় তিনি সরাসরি বললেন : ‘নিরাপত্তা আইনে সিক্রেট এভিডেন্সকে বৈষম্যমূলক মনে করি। ক্ষমতায় গেলে এটি বাতিল করব।’ জবাবে আল গোর বলেছিলেন : ‘আমি এটাকে বৈষম্যমূলক মনে করি না।’ মুসলমান ভোটারদের মনে হলো, বুশ তাদের পক্ষ নিয়েছেন। এই প্রথম মুসলমানেরা জোটবদ্ধভাবে একদিকে ভোট প্রয়োগ করেন। এমনকি বুশের পক্ষে সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী প্রচারে জড়িয়ে পড়েন। শেষে ইহুদি লবির সাথে প্রতিযোগিতায় বিজয় ছিনিয়ে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন, মুসলমানেরাও মার্কিন মাটিতে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে দাঁড়াতে সক্ষম। মুসলিম ভোট ব্যাংকের শক্তির মহড়াÑ এটাকে দেখা হলো যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে। প্রচারমাধ্যম এটা লুফে নিলো। ইনভেস্টরস বিজিনেস ডেইলি এক নিবন্ধে লিখেছিলÑ ‘আমেরিকান মুসলমানদের জন্য এটা ছিল বিজয়ের চেয়ে অনেক বেশি।’ এর কপি বিভিন্ন মসজিদে বিলি করা হয়, যার একটি কপি আমার কাছেও আছে। ‘নয়-এগারো’তে ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম হামলা হলেও এর নীলনকশা শুরু হয়েছিল ১৯৯৩-এর ২৬ ফেব্রুয়ারি এই একই প্রতিষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে। এভাবে তখন এটা প্রমাণ করার চেষ্টা চলে যে, জাতি হিসেবে মুসলমানরাই সন্ত্রাসী। তখন রিডার্স ডাইজেস্ট এক নিবন্ধে লিখেছিল, হামলার জন্য বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্র বাছাই করার লক্ষ্য হলো, বিশ্ব সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ চালানো। কারণ, এখানে সব দেশের লোকেরা অবস্থান করে। সিএনএন-এর প্রথম রিপোর্টে স্বীকার করা হয়Ñ যদি বোমা হামলাকারীরা বাণিজ্যকেন্দ্র সমূলে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করত, তাহলে বিস্ফোরক রাস্তার সমতলে বসাত। ফলে শত শত মানুষ নিহত বা জখম হতো। বাল্টিমোর নিউট্রেন্ড পত্রিকা লিখেছে, বোমা হামলাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়, যার ফলে সবচেয়ে কম ক্ষতি হয় এবং এর আওতার মধ্যে পড়ে সবচেয়ে কম লোক। সামগ্রিকভাবে বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রে প্রথম হামলাটি আসলেই ছিল এক আগাম কৌশল। এর একমাত্র লক্ষ্য ছিল, প্রচারমাধ্যমে স্পর্শকাতর অনুভূতি সৃষ্টির মাধ্যমে মুসলমানদের ‘সন্ত্রাসী’ ব্রান্ডে চিহ্নিত করে তাদের ব্যাপারে আমেরিকানদের সতর্ক ও উত্তেজিত করা। ১৯৯৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত চলতে থাকে বিরামহীন মিডিয়াক্রুসেড, যার লক্ষ্য ছিল মুসলমানদেরকে ‘সন্ত্রাসী জাতি’ হিসেবে চিহ্নিত করা। নাইন-ইলেভেনে মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দু’টি যাত্রীবাহী বিমান আছড়ে পড়েছিল নিউ ইয়র্কের বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রে। অতঃপর আগুন, ধোঁয়া; তাসের ঘরের মতো দু’টি টাওয়ার ভেঙে পড়ে। ‘নয়-এগারো’র ভয়াল সন্ত্রাসী হামলার দশক পূর্তির পরেও বিবিসি, রয়টার, এএফপি পরিবেশিত সংবাদে প্রশ্ন করা হলো : আসলে কী ঘটেছিল ২০০১-এর এই দিনে? সত্যিই কি আলকায়েদা মার্কিন শৌর্যে আঘাত হেনেছিল, নাকি সবই পাতানো? বিষয়টি রহস্যময় রয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক স্টিভেন জোন্সের নেতৃত্বে ৭৫ জন শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীর অভিযোগÑ নিউইয়র্ক ও পেন্টাগনে সে হামলা যাত্রীবাহী বিমানের নয়, এটা ছিল ভেতর থেকেই সংঘটিত। নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে অধ্যাপক স্টিভেন বলেন, ভেঙে পড়া টুইন টাওয়ারে ধ্বংসস্তূপ পরীক্ষার পর নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গেছে সেখানে ভবন ধসিয়ে দেয়ার বিস্ফোরক ব্যবহারের। জোন্স বলেন, আফগান গুহায় বসে কিছু লোক এবং ১৯ জন বিমান ছিনতাইকারী এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমরা মনে করি না। সরকারের এই তত্ত্বের বিরুদ্ধে আমরা চ্যালেঞ্জ করছি। ‘ওপেন’ হলো ক্যালিফোর্নিয়ার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এর সদস্যদের মধ্যে আছেন নোয়াম চমস্কি, পিট সিগার, আছেন সাংবাদিক, সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সফটওয়্যার, সন্ত্রাসবাদ ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা। সিএনএন-এর ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ‘ওপেন’ দাবি করেছেÑ বিমানের নাক টাওয়ারে স্পর্শের মুহূর্তেই বিশাল বিস্ফোরণ ঘটেছে ককপিটে। বিমানের ককপিটে কী এমন থাকতে পারে যার ফলে সেখানে এ রকম বিস্ফোরণ ঘটতে পারেÑ ‘ওপেনের’ প্রশ্ন। ট্রেড সেন্টারের দু’টি টাওয়ারে প্রতিটি বিমানের ধাক্কা লাগার ঠিক আগমুহূর্তেই একই ধরনের আগুনের ঝলকানি দেখা গেছে। ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়া কোনোমতেই এ রকম নিয়ন্ত্রিতভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব নয়। বিমানে কি তাহলে ক্ষেপণাস্ত্র ছিল? গোটা বিশ্ব টিভিতে দেখেছে, গল গল করে ঘন সাদা ধোঁয়ার আস্তরণের মধ্যে ভেঙে পড়েছে ট্রেড সেন্টারের টাওয়ার। ‘ওপেন’-এর প্রশ্নÑ সাদা ধোঁয়া কেন? তাদের দুই বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ কানাডার কারবেল এবং ক্যালিফোর্নিয়ার ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ফ্রেডি সি¤প্যাকসান জানাচ্ছেন, বিস্ফোরকের মধ্যে নিশ্চিতভাবেই অ্যামোনিয়াম হাইড্রেট, কার্বন ও সালফারের মিশ্রণ ছিল। তা না হলে এই পরিমাণ ছাইবিহীন সাদা ধোঁয়ার জন্ম হতে পারে না। তাহলে কি দূরনিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল টাওয়ারে? একটি অত্যাধুনিক নজরদারি ক্যামেরায় তোলা একটি ছবির প্রতিটি ফ্রেম এক সেকেন্ডের ৮০০ ভাগে ভাগ করে ‘ওপেন’ দেখাচ্ছে, নীল আকাশ আর তার পরেই পেন্টাগনের এক বাহুতে বিশাল বিস্ফোরণের শব্দ; ভয়াবহ আগুন। কিন্তু বিমানের কোনো চিহ্ন নেই। তা হলে বিমান ভেঙে পড়ল কোত্থেকে? কিউবার নেতা ফিদেল কাস্ট্রোর মতে, ৯-১১ ঘটনাটি ছিল একটি ষড়যন্ত্র। পেন্টাগনে আসলে বিমান নয়, রকেট বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছিল। কারণ, বিমানের যাত্রীদের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, যাত্রী ও ক্রুদের মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। যাত্রী ও ক্রুদের মৃত দেহ পাওয়া গেলে DNA পরীক্ষা দ্বারা অবশ্যই তাদের শনাক্ত করা হতো। জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে ইরানের তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘নয়-এগারো’ হামলা ছিল গোয়েন্দা সংস্থার জটিল দৃশ্যকল্প ও কর্মকাণ্ড। এ হামলায় তিন হাজার মানুষের প্রাণহানির কথা বলা হলেও তাদের নাম ও তালিকা কখনো প্রকাশ করা হয়নি।’ মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ টুইন টাওয়ার হামলার দশক পূর্তিতে বলেন, ুব্ধ আরব মুসলমানদের পক্ষে গোয়েন্দা সংস্থাকে ফাঁকি দিয়ে একসাথে চারটি বিমান ছিনতাই করে হামলা চালানো কোনো পরিস্থিতিতেই সম্ভব হতে পারে না।’ টুইন টাওয়ার বিধ্বস্ত হওয়ার দৃশ্য বর্ণনা করে তিনি বলেন, এ দু’টি দালান আশপাশে হেলে বা কাত হয়ে পড়ার বদলে ভেঙে নিচের দিকে দেবে গেছে। বিমানের আঘাতেই ধসে পড়েছে বলে মনে হয়নি। বরং মনে হয়েছে, পরিকল্পিতভাবে ভবন দু’টি ধসিয়ে দেয়া হয়েছে। তৃতীয় একটি ভবন একই কায়দায় ধসে পড়লেও এই ভবনে কিন্তু কোনো বিমানই আঘাত হানেনি। আশপাশের ভবনগুলোর কোনো ক্ষতি ছাড়া কিভাবে তৃতীয় ভবনটি ধসে পড়ল? আর পেন্টাগনে যে বিমানটি হামলা করেছিল, তার ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পাওয়া গেল না’ কিংবা আরোহীদের ছিন্নভিন্ন মৃতদেহের খোঁজ মিলল না কেন? একই দিনে আর একটি বিমান যুক্তরাষ্ট্রের একটি খেলার মাঠে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে দাবি করা হলেও তার কোনো ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নিÑ এর উল্লেখ করে মাহাথির বলেন যে, বিমানটি কি শেষ পর্যন্ত হাওয়ায় মিলিয়ে গেল? মার্কিন গণমাধ্যম ‘৯-১১’ ঘটনায় রহস্যজনক নীরবতা বজায় রাখে। এর উদ্দেশ্য কী? ২৮-৯-২০০১ করাচির দৈনিক উম্মতের সাথে এক সাক্ষাৎকারে উসামা বিন লাদেন বলেছিলেন : ইতঃপূর্বে বলেছি, ‘যুক্তরাষ্ট্রে সঙ্ঘটিত ৯-১১ হামলায় জড়িত নই। মুসলিম হিসেবে যথাসম্ভব মিথ্যাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। এ হামলাগুলো সম্পর্কে কোনো কিছুই জানতাম না। তা ছাড়া নিরীহ মহিলা, শিশু ও অন্যান্য মানুষের হত্যাকাণ্ডকে প্রশংসনীয় বিষয় বলে মনে করি না। নিরীহ মহিলা, শিশু ও অন্য লোকজনকে ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকার জন্য ইসলামের কঠোর নির্দেশ রয়েছে। যুদ্ধের ক্ষেত্রেও এই নীতি প্রযোজ্য। যুক্তরাষ্ট্রই মহিলা, শিশু ও সাধারণ মানুষের সাথে সব ধরনের দুর্ব্যবহার করছে।’ অনেকেই মনে করেন, বিন লাদেনকে আটক না করে হত্যা করা হয়েছে শুধু এ জন্য যে, তার বিচার হলে অনেক তথ্য বা রহস্য ফাঁস হয়ে যেত, যা কখনো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সুখকর হওয়ার নয়। অনেকের অভিমত, বুশের নির্বাচনী আশ্বাস পেয়ে মুসলিম আমেরিকানরা একজোটে ভোট দিয়ে বুশকে ক্ষমতায় আনে বিধায় তারা আর কখনো যাতে আমেরিকার মাটিতে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন করতে না পারে, তা চিরস্থায়ীভাবে নিশ্চিত করার জন্য ঘটানো হয় ৯-১১ নারকীয় তাণ্ডব। কানাডার দি গেজেট পত্রিকায় ডেভিড গোল্ডস্টেইন টুইন টাওয়ার ধ্বংসের জন্য খোদ বুশকে দায়ী করে একাধিক বাস্তবসম্মত যুক্তি দিয়ে বলেছেনÑ এ কাজ কোনোভাবেই বিন লাদেনকে দিয়ে সম্ভব নয়। লেখক : সাবেক শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৩৭৮ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • AI Omar Faruk
    User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    ধন্যবাদ @মেহেরাজ

  • মেহেরাজ হাসনাইন
    Golpobuzz ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    জানার মত অনেক কিছুই জানলাম , ভালো লাগলো...

  • AI Omar Faruk
    User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    ধন্যবাদ #মাহিন

  • Mr.Mahin
    User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    ভালো লাগল,অনেক কিছু জানতে পারলাম।।

  • AI Omar Faruk
    User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    ধন্যবাদ @রনি @আরাফাত @সামিয়া আর আরেকটু বেশী ধন্যবাদ @মেহেদী ভাইকেও ।

  • AI Omar Faruk
    User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    ধন্যবাদ @রনি @আরাফাত @সামিয়া আর আরেকটজ বেশী ধন্যবাদ @মেহেদী ভাইকেও ।

  • Mehedi Hasan Prova
    User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    ধন্যবাদ ফারুক ভাই। এটা দেওয়ার জন্য।

  • Mehedi Hasan Prova
    User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    স্যার, ধন্যবাদ আপনাকে। মাত্র সামান্যই এর আগে জানতাম।

  • SM Samiya Mahejabin
    User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    কঠিন ভাষায় লেখা বুজিনি

  • AI Omar Faruk
    User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    gj

  • সাইম আরাফাত(হিমু)
    User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    মুসলিমদের ধ্বংস করা কী এতই সোজা!huhইসলামের ক্ষতি করা তো দূরের কথা, ইসলামকে নিয়ে কটূক্তি করলে জিহ্বা টেনে ছিঁড়ে ফেলব।

  • M.H.H.RONI
    Golpobuzz ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    হুম এই ৯-১১ ঘটনার পর থেকেই জোর করেই ইসলাম ধর্মের সাথে জঙ্গীবাদ শব্দটি যোগ করা হয়েছে যেন এই একটা অজুহাত দাড় করে মুসলীমদের ধ্বংস করা যায়।