বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

সভ্য সমাজ কই আজ? এই দায়ভার কে নেবে??

"সত্য ঘটনা" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান মরিয়ম (guest) (০ পয়েন্ট)

X শরীয়তপুরে চায়না আক্তার (২৫) নামের মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণী প্রসব করেছেন এক কন্যা সন্তান। নিজেই তাঁর বাচ্চার নাম দিয়েছেন ছিনথিয়া। রাতভর সেবিকাদের পাশাপাশি তাঁর বাচ্চার দেখাশুনা করেন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রুপা আক্তার। উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তর দায়িত্ব নিয়েছে বাচ্চা ও তার মায়ের। বাচ্চা ও মা সুস্থ আছে। তাঁকে নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসক ও নার্স। জেলার নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর বাজারে দীর্ঘদিন ধরে থাকতেন চায়না আক্তার নামের ওই মানসিক ভারসাম্যহীন নারী। গতকাল রাতে তাঁর প্রসববেদনা উঠলে নড়িয়া উপজেলার প্রশাসনের মাধ্যমে অ্যাম্বুলেন্সে করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আনা হয়। এরপর রাত ১১টা ৪০ মিনিটে তিনি বাচ্চা প্রসব করেন। সেখানে জন্ম নেয় ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান। জন্মের পর থেকেই তাঁর বাচ্চাকে রেখে তিনি বের হয়ে যেতে চাচ্ছিলেন। তাঁকে কয়েকবার হাসপাতালের নার্সরা জোর করে বেডে নিয়ে আসেন। তাঁকে নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসক ও নার্সরা। এদিকে চায়না আক্তার মা হলেও তার সন্তানের বাবার সন্ধান পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের ধারণা, কোনো ব্যক্তির ধর্ষণের ফলে চায়না মা হয়েছেন। যে বা যারা এ রকম অমানবিক কাজ করেছে তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা। স্কুলছাত্রী রুপা আক্তার বলে, ‘তাঁর পাশের বেডে আমার বোনকে ভর্তি করেছি। ওই নারীর সন্তান জন্ম হওয়ার পর কেউ তাঁর পাশে আসেনি। আমি তাঁর সন্তানকে পরিষ্কার করেছি। রাতে আমার পাশে মেয়েকে রেখেছি...।’ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মনির আহমেদ খান বলেন, ‘গতকাল রাতে নড়িয়া থেকে আমাদের হাসপাতালে একজন নারীকে নিয়ে আসে। তাঁর একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়। এখন সুস্থ আছে তাঁরা। আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছি, আমরা তাঁর দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছি। আমরা সমাজসেবার মাধ্যমে তাঁর বাচ্চার সুরক্ষা এবং তাঁকে চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা করতেছি।’ সদরের ইউএনও মাহবুর রহমান বলেন, ‘এ নারী মানসিক ভারসাম্যহীন। গতকাল মধ্যরাতে তিনি ব্যথায় কাতরানোর পরে বিষয়টি আমার নলেজে আসে। পরে আমি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করি এবং তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।’ সদর উপজেলা সমাজসেবা প্রবেশন অফিসার তাপস বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে বাচ্চা ও তার মায়ের সব ধরনের দায়িত্ব নিয়েছি।’ ~=÷×✓সমাজের বুকে ঘটে যাওয়া অহরহ ঘটনা থেকে একটি ঘটনা এটা। ‍‍"সভ্য সমাজ" এই শব্দটা এখনো মানায় না আমাদের। কারণ প্রতারক,ঠকবাজ,ধুর্ত,বিবেকহীন মানুষ গুলো ও যে সমাজের অন্ত্রে অন্ত্রে বিরাজমান। এটা পড়ে হয়তো অনেকেই সেই লোকটাকে ঘৃণার মন্ত্র ছুড়ে দিবে। আমার প্রশ্ন কে জানে হয়তো আমার পাশের জনই এমন কি না?? মৃত্যুর ভয় হয়তো এসব জঘণ্য কার্যকলাপ থেকে দূরে রাখতে পারে। সংগৃহিত।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৩০৯ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now