এটাকে বলে মজা।

X এ্যাকজুয়েলি মজা কখনও কখনও পেইন হয়ে যায়। আমার কাছে তো এটা সিম্পুল তাই হৃদয়,মফিজুল আর ঐশিকে বলছি সামলাতে না পাড়লে পড় না তুমরাওহ হ্যা গল্পটা কিন্তুু কেউ আনসিরিয়াসলি নিবেন না সিরিয়াসলি নিবেন কেমন? ** আমি হাটছি সকালের রোদ্রমাখা দিনে। চারদিকে পাখির সুমধুর কন্ঠে প্রকৃতিকে সুন্দর করে তুলেছে। কিছুক্ষন পরেই দেখলাম রমনার বটমূলে তিনজন বসে আছে চিনলাম না দূর থেকে আবার চেনা চেনাও লাগছে। তাদের মধ্যে একজন আবার মেয়ে। চেনা চেনা লাগছে তাই চিনতেই সামনে এগুলাম। একটু কাছে যেয়েই দেখি আরে এত মফিজুল,হৃদয়, আর ঐশি তারা তখনও দেখে নি আমায়। তাদের তিনজনকেই ভালোবাসি আমি ঐশিকে নিজের বোন ভাবি তখন মনে মনে ভাবলাম জিজেতে তো আমি খুব মজা করি আজকে রিয়েল লাইফে মজা করে দেখি কেমন লাগে।কিন্তুু কোন এক টপিক লাগবে তো। কোন টপিক পাওয়ার আশায় তাদের কাছে গিয়েই বললাম হাই গাইস তুমরা এখানে? কেমন আছ? আমাকে দেখে হৃদয় আর মফিজুল মিলে দুজনে একসাথে জড়িয়ে ধরল। আমিও খুব খুশি হলাম তাদের দেখে। আবারও বললাম কেমন আছ তুমরা? মফিজুল মুখ কালো করে বলল আর ভালো থাকা জীবনডা তামা তামা হয়েগিয়েছে আজপর্যন্ত কোন গার্লফ্রেন্ড জুটাতে পারলাম না। হৃদয় বলল থাম তো মফিজুল আমি তুমার বড় অথচ এই আমার পোড়া কপালে একটা গার্লফ্রেন্ডই জুটল না আর তুমার? মেয়েদের সাথে কতো ভাব নিয়ে কথা বললাম কিন্তুু না কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। ঐশি কিছু বলছে না। আমি বললাম কী হয়েছে আমার ছোট বোনটার? ঐশিও মুখ কালো করে বলল কী আর বলব ভাইয়া! বান্ধবীদের কাছে লজ্জায় মুখই দেখাতে পারি নি। সবারই তিন চারটা করে বয়ফ্রেন্ড আছে আর আমার একটাও নেই। আমি মনে মনে বলছি পেয়েছি টপিক। মনে মনে প্রচুর হাসি পাচ্ছে আমার। তা লুকিয়ে বললাম ওহ তুমাদের সমস্যাটা দেখছি খুবই মারাত্নক। আসলে এসব তো এখন করা উচিৎ নয়। হৃদয় বলল দেখেন ভাই আমি পাগলা গ্রুপের সেক্রেটারি জ্ঞান দিবেন না পারলে সাহায্য করেন কিছু সাজেশন দিয়ে। আমি বললাম সাজেশনের কী দরকার আমি তুমাদের জন্যে বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড খুজে এনে দিচ্ছি একটু অপেক্ষা কর। তারা আনন্দ চিওে বলে উঠল তাই নাকি ভাইয়া। এই না হলে আমাদের রনি ভাই। ঠিক আছে তারাতারি আসবেন। আমি বললাম ওকে। আমি তাদের বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ডের খুজে বের হলাম। কিছুক্ষন পরেই তিনজন লোক নিয়ে ফিরলাম একজন ছেলে ঐশির জন্যে, বাকি দুজন মেয়ে। আমি তাদের কাছে যেতেই বললাম তুমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। এই ইনি হলেন রমনা বটমূলের বিখ্যাত পাগল আক্কাস আলী। ঐশি এই তুমার বয়ফ্রেন্ড। আর ইনি হলেন শাহবাগের ওয়ান এন্ড অনলি ফুলবানু বেগম। প্রতিদিন রাস্তার কাগজ কোড়ানোই তার কাজ। হৃদয় এই নাও তুমার গার্লফ্রেন্ড। আর ইনি হলেন গুলিস্তানের সবচেয়ে নামী-দামী ভিক্ষুকা পারুমতি দেবি। দেবি হলো তার টাইটেল এমনিতে মুসলীম। মফিজুল এই নাও তুমার গার্লফ্রেন্ড। এদিকে আমার আনা তিনজয় ভদ্র মহাশয়রা তাদের নতুন গার্ল আর বয় ফ্রেন্ড পেয়ে হাসি মারল। তাতে আরও ঝামেলা হলো হাসিতে তাদের যে সামনের দুটো করে দাত নেই সেটা দেখা গেল। আমি বললাম ঐ ঠোট বন্ধ কর। এদিকে তারা তিনজন করুন দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কথায় আছে না অল্প শোকে কাতর অধীক শোকে পাথর। এরা মনে হয় অধীক শোক করে ফেলেছে তাই কিছু বলছে না। অবশেষে হৃদয় বলল ভাই এটা কী করলেন আপনি? এরা আমাদের গার্লফ্রেন্ড হবে? মফিজুল কাদো কাদো সুরে বলল না কখনই না। ঐশি বলল ভাইয়া গো ভাইয়া আমার বয়ফ্রেন্ড লাগবে না সামনে থেকে সড়াও এটাকে। ছিঃ কী বিশ্রি। আমি বললাম দেখ বাংলায় একটা প্রবাদ আছে নাই মামার চেয়ে কানা মামাও ভালো। এক্ষেএে তোমাদের মামা নয় বয় আর গার্লফ্রেন্ড হবে। দেখ তুমাদের কোন বন্ধু-বান্ধবী যখন তুমাদের জিজ্ঞাস করবে তুমার গার্লফ্রেন্ড আছে তুমার বয়ফ্রেন্ড আছে? তুমাদের কিন্তুু বলতে হবে না। আর তুমরা যদি তাদের গ্রহন কর তবে তুমরা কিন্তুু বলতে পারবে হুম আছে। মফিজুল এটা শুনে বলল ঠিকই তো। হৃদয় বলল যখন কেউ জিজ্ঞাস করে তারা কী করে কী বলব? লেখা-পড়াও তো করে না। আমি বললাম বলবে বিজনেস করে। এতে তুমাদের স্ট্যাটাসটাও আরও বাড়বে যে তুমরা এই বয়সে বিজনেস ম্যান বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড জুটিয়ে ফেলেছ সো লাকি! তারা বলবে। ঐশি বলল মিথ্যা বলব আমরা? আমি বললাম মিথ্যা কেন হবে? ভিক্ষা,কাগজ কোড়ানো তো বিজনেসের মধ্যেই পরে। মফিজুল বলল আচ্ছা আমি রাজি সেই সাথে হৃদয় বলল আমিও রাজি। তখন ঐশি বলল মরি মরি একসাথেই মরি। তারা দুজনেই যখন রাজি তাহলে আমিও রাজি। আমি বললাম তো তুমাদের নতুন বয় আর গার্লফ্রেন্ডকে বুঝে নাও আর চকলেট,বাদাম খাও ঘুরে ঘুরে এখানে তাদের জন্যে তুমরাও সব ফ্রি পাবে। মফিজুল বলল ওয়াও। আমি বললাম তো এখন আমি আসি। তারা অশ্রু চোখে আমাকে বিদায় জানাল। তার কয়েকমাস পরেই আবারও কোন কারনে সে দিক দিয়েই যাচ্ছিলাম। আমাকে দেখেই দাতদুটু কিড়মিড় করে মফিজুল বলল রনি ভাই এদিকে আস কথা আছে। আমি গিয়ে তাদের সাথে বসলাম। কেউ কিছু বলছে না সবাই মাথা নিচ দিক করে বসে আছে। আমি বললাম কি হয়েছে? সেখান থেকে মফিজুল মাথা তু্লে বলল ভাই আগে তো জীবনডা তামা তামা ছিল এখন তুমি জীবনডা আগুন বানিয়ে দিয়েছ। এই বলে মফিজুল আবার নিচ দিকে যথারিতি মাথা দিল। কেউ কিছু বলছে না। বুঝলাম শান্ততা ঝড়ের আগাম লক্ষন এক্ষেএে দ্রুতই আমাকে এখান থেকে কেটে পরতে হবে নাহয় আমার মতো অবুঝ শিশুকে এরা যা ইচ্ছা করে ফেলতে পারে। আমি বললাম আচ্ছা বস আমি তুমাদের জন্যে পানি কিনে নিয়ে আসি তারপর কথা বলি এই বলে কেটে পরলাম আমি। আর মনের সমস্ত হাসি এবার উর্ধ্ব আকাশের দিকে ছেড়ে দিলাম আর ভাবলাম বুঝ এবার গার্লফ্রেন্ড আর বয়ফ্রেন্ডের মজা। আচ্ছা জব্দ হয়েছে ছোট ভাই-বোনগুলো। ...............................সমাপ্ত......................... সিরিয়াসলি নিয়েছেন তো সবাই? সিরিয়াসলি না নিলে খবর আছে