বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
"ঈদ মানে খুশির দিন,ঈদ মানে ব্যাপক আনন্দের দিন।।""ছোটবেলায় এই ঈদ আসলেই ইচ্ছে করতো সারাদিন ধেই ধেই করে নাচি।।উফফ চারিদিকে আনন্দ আর আনন্দ।।।আমরা প্রতিবছর ঈদ দাদুবাড়ি তে করি।।দাদাভাই আর দাদুর নির্দেশ হলো তারা যতদিন বেচে আছে ততদিন ঈদ দাদুবাড়িতেই করতে হবে।।।ঈদের আগেরদিন বিকেলে আমরা দাদুবাড়ি চলে যেতাম।।।বাড়িতে পৌছুতেই কাজিনরা, পাশেরবাড়ির সবাই এসে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরতো।।আর চিৎকার করে বলতো যে ""তুবারা চলে আসছে""।এই শব্দ টা এখনো কানে বাজে।।এখনো শুনি দাদুবাড়ি গেলে।।।লাফাতে লাফাতে বাড়িতে ঢুকতাম।। তারপর সবাইকে একটু দেখা দিয়েই সব কাজিনরা হইহই করে রাস্তার পাশে চলে যেতাম চাঁদ দেখতে।।ওখানে অনেক বড় একটা বিল আছে।।সেখানে দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখতাম।।চাঁদ দেখা গেলেই কাল ঈদ হবে বলে চিল্লাতে চিল্লাতে বাড়ি আসতাম।।
সন্ধ্যার পর সবাই মিলে মেহেদী দিতে বসতাম।।।ছোটবেলায় তো নিজে দিতে পারতাম না তাই আমার ছোট ফুপু দিয়ে দিতো।।কারন আমার কোন বড় বোন নেই।।আর আমি আমাদের বংশের একমাত্র মেয়ে।।।আমাদের বংশে ছেলে বেশি।।আমি ছাড়া সব গুলোই ছেলে।।আমার আব্বুরা ও সাত ভাই।।।।তাই সবার খুব আদরের ছিলাম আমি।।।
আমার দাদুবাড়ির একটা বিষয় আমাকে খুব মুগ্ধ করে।।আমার দাদুবাড়িতে চারটা ঘর।।। একটা আমার দাদুদের বাকি গুলো আমার দাদাভাইয়ের ভাইদের।।কিন্তু সব এক পরিবারের মত।।যেমন নতুন কেউ গেলে বুঝতেই পারবেনা যে সব আলাদা ঘরের নাকি এক ঘরের।।সবার মাঝে এত ভালো সম্পর্ক।।আমার চাচাতো দাদুরা, কাকীরা আমাকে এত ভালোবাসে মনে হয় যেন আমি তাদের ই মেয়ে।।।আমি গেলে তো টানাটানি বেধে যায় যে আমি কোন ঘরে থাকবো।।।পাশের ঘরের দাদুরা বলবে তুবা আমাদের ঘরে থাকবে আমার দাদু বলবে আমার ঘরে থাকবে,,,,,কি এক কান্ড!!!আর আমিও ঘুম পেয়েছে তো ঘুম কোন ঘরে আছি সে খেয়াল নেই।।।যে ঘরে ইচ্ছা ঘুমিয়ে পড়ি।।তারপর ক্ষিধে পেলে যদি দেখি আমাদের ঘরে সবাই ব্যস্ত তাহলে পাশের ঘরে কাকীদের বা দাদুকে গিয়ে বলি ক্ষুধা লেগেছে কি দিবে দাও।।।মাঝে মাঝে বলিও না সোজা গিয়ে খাওয়া শুরু করে দেই।।।আবার তারাও এমন করে।।।এই ব্যাপার টা আমার খুব ভালো লাগে।।এমন টা সচরাচর দেখা যায়না কোথাও।।।যাইহোক সন্ধ্যার পর মেহেদী দেয়া শুরু হয়ে যায়।।।যখন মেহেদী দেব সব ভাইয়ারা চাচ্চুরা চারপাশ দিয়ে এসে বসে থাকবে।।মেহেদী দিতে দিতে গল্প করবে।।ছোটবেলায় ফুফি আমাদের কে মেহেদী দিয়ে দিত।।।আমার দুইটা চাচ্চু জমজ।।।তো আমার তাদের মধ্যে একজনের নাম মুজাহিদ।।। ওনার জীবনের একটা পন মনে হয় আমার গালে মেহেদী লাগিয়ে দেয়া।।।একটু হলে ও লাগাবে।।যেমন বসে মেহেদী দিচ্ছি এর মধ্যে গালে একটু মেহেদী লাগিয়ে দিয়ে যাবে।।আর আমি চোখ মুখ ফুলিয়ে বাচ্চাদের মত কান্না করবো।।।সবাই মিলে এর জন্য চাচ্চুকে বকা দেবে।।তারপর আবার আমার পক্ষ থেকে শাস্তি তো আছেই।।শাস্তির মধ্যে আছে যেমন,, চিপস, চকলেট, আইস্ক্রিম কিনে দেয়া,,রাতের রাস্তায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়া,,চাচ্চুকেও মেহেদী লাগিয়ে দেয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।।।।মেহেদী পড়া শেষ হলে খুশি খুশি ভাব নিয়ে অই হাত নিয়েই ঘুমিয়ে পড়তাম যাতে রঙ ভালো হয় সে জন্যে,,,,,,।।।।
তারপর ভোর বেলা আম্মু জাগিয়ে দিতো।।আমিও উঠে পড়তাম।।।একটা অন্যরকম অনুভুতি হত।।উঠে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে কিছু না খেয়েই বাইরে চলে আসতাম,,,তারপর হাত চাওয়াচাওয়ি,,,, কারটা কেমন হয়েছে।।।সৌভাগ্যবশত আমারটাই সবসময় ভালো হতো।।।না হলে ওখানেই এক পশলা কান্না জুড়ে দিতাম,,,,,হা হা হা।।।
তারপর ঘরে ঘরে এসে গোসল করে নতুন জামা পড়ে সেজেগুজে নিতাম।।অন্য কাজিনরা সবাই নিতে আসতো আমায়।।তারপর সবাইকে সালাম করতাম,, সালামি পেতাম।।।। আমার মনে হয় ঈদে সবচেয়ে আনন্দের মুহুর্তই এটা,, সালামি নেয়া।।সবাই মিলে পাল্লা দিতাম কার আগে কে সালাম দিতে পারে।।। সবাই সালামি দিত,,,,,কি মজা হতো!!!
বড়দের সাথে ঈদের মাঠে যেতাম।।সেখানে অনেক খেলনার দোকান বসতো।।।।ছেলেরা সবাই নামায পড়তে চলে যেত।।। আর আমরা দোকানে ঘুরে খেলনা কিনতাম।।।
তারপর বাড়ি এসে আবার গুনার পালা।।কার টাকা বেশি হয়েছে।।।তবে সবসময় আমারই বেশি হতো।।।ইসস কি আনন্দ লাগতো।।।আর যদি আমার কম হত তাহলে আবার কান্না,,,,,,,,,,,
আমার দাদুবাড়ির একটা ঐতিহ্য আছে।।সেটা হলো ঈদের দিন দুপুরে পুরো বাড়ির সবাই আমাদের ঘরে খাবে।।সবার দাওয়াত আমাদের ঘরে।।।কবে থেকে এটা চলছে আমি জানিনা।।। তবে এটা আমি সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি।।।
দুপুরে খেয়েই বিকেলে ঘুরতে যেতাম আমরা।।।
""ঈদের আনন্দটা হচ্ছে আমার জন্য অন্যরকম একটা আনন্দ।।। বছরে হয়তো এই একটা দিন অনেক আনন্দের ছিলো।।।এখন সবই স্মৃতি,,,,,স্মৃতি হলেও এখনো সেসব মনে করে আনমনে হাসি।।।কতই না ছোট ছিলান তখন,,,,,,,!!!তবে স্বভাব গুলো এখনো যায়নি।।।এখনো মজা হয় ঈদে তবে ছোটবেলার মত হয়না।।। এখন সবাইকে হাতে মেহেদী দিয়ে দেয়া,নতুন জামা পড়া।।তবে এখন আর আগের মত হইহই করা লাফালাফি করা,,কিছু হলেই কান্না করে দেয়া,,ঈদের মাঠে যাওয়া এসব হয়না।।।সময়ের সাথে সাথে সেগুলোও হারিয়ে গেছে।।।খুব মিস করি সেই দিনগুলোকে,,সেই আনন্দ গুলোকে,,,সেই খুশি গুলোকে।।।আসলেই ছোটবেলাটা খুব মজার।।।যেগুলো এখন শুধুই স্মৃতি।।।এখন আবার ছোট হয়ে যেতে ইচ্ছে করে,,,সেই আনন্দগুলোকে ফিরে পেতে ইচ্ছে করে।।।যদি আবার ছোট হতে পারতাম।।।।কিন্তু তা তো আর সম্ভব নয়,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,!!!!
না জানি এতক্ষন ধরে কি সব বকবক করলাম।।।গুছিয়ে হয়তো কিছুই বলতে পারিনি।।।তবুও কিছু আনন্দ শেয়ার করলাম,,,কিন্তু স্মৃতি শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে।।।সবার জীবনেই এমন কিছু আনন্দময় স্মৃতি আছে,,কিছু ভালোবাসাময় স্মৃতি,,মধুময় স্মৃতি।।।সময়টা চলে গেলেও স্মৃতি গুলো থেকে যায়।।
যাইহোক সবাইকে অনেক অনেক ঈদ শুভেচ্ছা♥……দোয়া করি সবার জীবন ভালো কাটুক আনন্দে কাটুক।।।সবাই ভালো থাকবেন দোয়া,, করবেন।।।
♥♥♥ ঈদ মোবারক♥♥♥
********আল্লাহ হাফেজ**********
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Eshrat Jahan
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTuba Rubaiyat
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTuba Rubaiyat
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTuba Rubaiyat
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTuba Rubaiyat
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTuba Rubaiyat
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTuba Rubaiyat
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTuba Rubaiyat
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTuba Rubaiyat
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTuba Rubaiyat
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTuba Rubaiyat
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTuba Rubaiyat
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেSIAM The Deadman
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTuba Rubaiyat
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTuba Rubaiyat
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTuba Rubaiyat
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTuba Rubaiyat
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেMH2 (Mysterious Some one)
GJ Writer ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেPartho
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTuba Rubaiyat
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTuba Rubaiyat
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেPartho
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTuba Rubaiyat
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেLE K H ON(way of light)
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTuba Rubaiyat
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেLE K H ON(way of light)
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTuba Rubaiyat
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেLE K H ON(way of light)
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেLE K H ON(way of light)
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেমোহাম্মদ মফিজুল হোসেন
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেমেহেরাজ হাসনাইন
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেPartho
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTuba Rubaiyat
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেMH2 (Mysterious Some one)
GJ Writer ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে