অপর্যাপ্ত ঘুম মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করে

X সম্প্রতি জার্নাল স্লিপ-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রবন্ধে দেখা গেছে অপর্যাপ্ত ঘুম শিক্ষার্থী ও ক্রীড়াবিদদের মধ্যে উদ্বেগ, আত্মঘাতী কর্মকাণ্ড, আত্মহত্যার পরিকল্পনা ইত্যাদি বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রতিটি নিদ্রাহীন রাত মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাকে ২০ শতাংশের ও বেশি বাড়িয়ে দেয় যার মধ্যে রয়েছে ২১ শতাংশ বিষণ্নভাব,২৪ শতাংশ হতাশা, ২৪ শতাংশ রাগ,২৫ শতাংশ উদ্বেগ, ২৫ শতাংশ আত্মঘাতী কর্মকাণ্ড, ২৮ শতাংশ স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে জটিলতা এবং ২৮ শতাংশ আত্মহত্যার প্রবণতা। এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন সিম্পলি কিছু অভ্যাস বদলে ফেলার মাধ্যমে।তাহলে জেনে নিন কি কি অভ্যাসগুলো আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে ভালো ঘুমের জন্য। ★ গ্যাজেট এড়িয়ে চলুন: একটা সময় ছিলো যখন মানুষ ঘুমানোর আগে বই পড়তে পছন্দ করতো।সময় পাল্টেছে।এখন আমরা বই পড়ার চেয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় কাটাতেই বেশি পছন্দ করি।কিন্তু ঘুমাতে যাবার অন্তত ১ঘন্টা আগে আপনাকে মোবাইল,ল্যাপটপ বা অন্যান্য গ্যাজেটে কাজ করা শেষ করতে হবে যদি আপনি ভালো ঘুম চান। ★দিনে কোন ঘুম নয়: দুপুরে ভারী খাবার খাওয়ার পর ঘুমাতে কার না ভালো লাগে!!কিন্তু দিনের বেলা ঘুম আপনার রাতে ঘুমের প্যাটার্নকে বদলে দেবে।তাই দিনে ঘুমকে না বলুন। ★রাতে ভারী খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন: ঘুমাতে যাবার কমপক্ষে ৩ ঘন্টা আগে রাতের খাবার সেরে নিন যাতে আপনার ঘুমের জন্য দায়ী হরমোনগুলো কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পায় এবং আপনার শরীরের তাপমাত্রাও ঘুমানোর জন্য অনুকূলে থাকে। ★চা-কফি এড়িয়ে চলুন: চা এবং কফি দুটোতেই ক্যাফেইন থাকে যা আপনাকে রাতে জাগিয়ে রাখবে। তাই ঘুমাতে যাবার ৪-৫ ঘন্টা আগেই চা-কফি খেয়ে নিন। ★ঘুমানোর আগে বেশি পানি খাবেন না: রাতে ঘুমাতে যাবার আগে বেশি পানি পান করলে এটি আপনার গভীর ঘুমে বাধা হয়ে দাঁড়াবে অধিক মূত্র বিসর্জন দেবার জন্য। ★অ্যালকোহল এবং ধূমপান: অনেকেই ভেবে থাকেন অ্যালকোহল ঘুম আনতে সাহায্য করে।প্রকৃতপক্ষে অ্যালকোহল খেলে তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে ঠিকই কিন্তু এটি ঘুমের কোয়ালিটি দারুনভাবে কমিয়ে দেয়। সিগারেটও ঘুমের জন্যে খারাপ কারণ এতে নিকোটিন থাকে যা ভালো ঘুমে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।★ ★অতিরিক্ত চিন্তা করা বাদ দিন: প্রচন্ড কাজের চাপে আপনার মনকে কিছু সময়ের জন্য বিনোদিত করার কোন বিকল্প নেই।অফিস থেকে এসে পরবর্তী সময়ে মানসিক চাপ কমানোর জন্য আপনার পছন্দের কাজগুলো করুন যেমন এটি হতে পারে আপনার পছন্দের কোন গেমস খেলা বা গান শোনা,যেটাতে সরাসরি আপনার অংশগ্রহণ থাকে।ফলে রাতে আপনি একটি মানসিক চাপমুক্ত ও স্বস্তির ঘুম দিতে পারেন। Collected