বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

জনম জনমের স্পর্শ!

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Roshni hima (০ পয়েন্ট)

X আপনি রোজ সুজি খান? না কি মাঝে মাঝে ল্যাকটোজেনও? - মানে? আমি এসব কেন খাব? সুজি? ল্যাকটোজেন? এগুলো কেন খাব? - এগুলো কেন খাবেন মানে? বাচ্চারাতো এগুলোই খায়, তাই না? - বাচ্চা? আপনার ধারণা আমি বাচ্চা? - নয়তো কী? কত আর বয়স আপনার, এই ধরেন... - আপনি জানেন, আমি এবার ঊনিশে পড়লাম, ঊনিশ!!! ছেলেটা এবার ফিক করে হেসে ফেলল, তারপর চোখ টিপে বলল 'না মানে, মেয়েদের বয়সতো সরাসরি জিজ্ঞেস করতে নেই, তাই এই উপায়'! মেয়েটা জ্বলে উঠল, 'এটা কী ধরনের কথা? আমার বয়স দিয়ে আপনি কী করবেন?' ছেলেটা বলল, 'অংক করব'। মেয়েটা বলল, 'অংক? কীসের অংক?' ছেলেটা বলল, যোগ- বিয়োগ, জীবন ও মৃত্যুর'। মেয়েটা হঠাৎ থমকে গেল, 'মানে?' ছেলেটা আচমকা আপনি থেকে তুমিতে নেমে এল, বলল, 'আমার মৃত্যুর পর আর কত বছর তোমায় সাদা শাড়ির বিধবা হয়ে একা একা থাকতে হবে, সেই অংক!' দ্বিধান্বিত, দিশেহারা মেয়েটি কোন কথা বলল না। কিন্তু ছেলেটির অদ্ভুত নিষ্কম্প চোখের দিকে তাকিয়ে তার শরীর হঠাৎ ঝিমঝিম করতে লাগল। ছেলেটা বলল, 'যোগ বিয়োগের হিসেবে, আমি তোমার ন'বছরের বড়... আমাদের পরম্পরায় পুরুষের আয়ু খুব একটা না, আমার বাবা বেঁচেছিলেন... সে হিসেবে আমি হয়তো... দিশেহারা, দ্বিধান্বিত মেয়েটি পরের কথাগুলো আর শুনতে চাইল না, সেদিন আর বলা হল না কিছুই। বলা হল আরও বহু বহু বছর বাদে। সেই দ্বিধান্বিত, দিশেহারা মেয়েটি তখন পক্বকেশ বৃদ্ধা। আর সেই ভীষণ অংকের ছেলেটি বৃদ্ধ শরীরে শুয়ে আছে হাসপাতালের ধবধবে সাদা বিছানায়। সে হঠাৎ বলল, 'আচ্ছা, আমার বয়স কত হল, বলতো?' পক্ককেশ মেয়েটা বলল, 'জগতে বয়স বলতে কিছু নেই'। ছেলেটি বলল, 'নেই?' 'না'। 'তাহলে কী আছে?' 'তাহলে যা আছে, তার নাম স্পর্শ'। 'স্পর্শ?' মেয়েটি বলল, 'হু, স্পর্শ! কেউ কেউ একজনমেও কাউকে ছুঁয়ে দিতে পারে না, কেউ কেউ ছুঁয়ে দিয়ে যায় এক মুহূর্তে, সেই এক মুহূর্তের স্পর্শে কেটে যায় জনম জনম'। ছেলেটা হাসল, 'অংকরা কী অদ্ভুত!'। মেয়েটা হাসল, 'স্পর্শরা তারচেয়েও অদ্ভুত! সাদা দেয়ালের গা ঘেঁসে, স্তব্ধ করিডোর কিংবা ফিনাইলের গন্ধ বেয়ে হয়তো তখনও মৃত্যু, হয়তো এগিয়ে আসছে ধীরে, কিন্তু তাতে কার কী! মৃত্যুর সাধ্য কী কেড়ে নিতে পারে জনম জনমের স্পর্শ! ~ সাদাত হোসাইন


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৯৪৩ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • SHUVO SUTRADHAR
    Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    nice.