বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

সীরাহ কেন পড়া উচিৎ? রাসূল (সাঃ) জীবনীর শিক্ষা – পঞ্চম পর্ব

"ইসলামিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান মোঃ আনিছুর রহমান লিখন (০ পয়েন্ট)

X মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী পড়ার উদ্দেশ্য শুধু ঐতিহাসিক ঘটনাবলী জানা নয় কিংবা চটকদারও রসালো গল্পগাথা বলা নয়। তাই, আমরা রাসূল(সাঃ) এর জীবনী পড়াকে কোনো প্রাগৈতিহাসিক যুগের পর্যালোচনা অথবা খলিফাদের জীবনী পড়া হিসেবে বিবেচনা করা উচিত না, কারণ মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী পড়ার উদ্দেশ্য হল তাঁকে আদর্শ হিসেবে গ্রহন করে তাঁর জীবনীর মাধ্যমে ইসলামের বাস্তবতাকে বুঝা এবং তারপর ইসলামের মৌলিক নীতিমালা ও নিয়ম-কানুনসমূহ বুঝা। তাই, রাসূল(সাঃ) এর জীবনী পড়ার উদ্দেশ্য ব্যবহারিক জীবনে তার প্রয়োগ বৈ আর কিছু নয় যা ইসলামের সঠিক বাস্তবতাকে প্রতিরূপ দান করে সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ মুহাম্মদ (সাঃ) এর মাধ্যমে। আমরা যদি এই উদ্দেশ্যকে কতগুলো শ্রেণীতে ভাগ করতে চাই, তাহলে আমরা নিম্নে বর্ণিত কতগুলো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর দিকে দৃষ্টিপাত করতে পারিঃ মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবন এবং তিনি কিভাবে দিনযাপন করতেন, এর মাধ্যমে তাঁর ব্যক্তিত্ব বুঝে এটা নিশ্চিত করা যে তিনি তাঁর নিজস্ব প্রতিভা দ্বারা তাঁর জাতির নেতৃত্ব লাভ করেনি নি বরং তিনি মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের তত্ত্বাবধানে অনুপ্রাণিত একজন রাসূল মাত্র। প্রত্যেক মানুষকে তার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অনুকরণীয় আদর্শ খুঁজে পেতে সাহায্য করা যাতে করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সে তার জীবনকে সুনিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং রাসূল(সাঃ) ব্যতীত আর কোনো আদর্শ তার জীবনে না থাকে কারণ আল্লাহ্ তাআলা সমগ্র মানবজাতির জন্য রাসূল (সাঃ)কে উত্তম আদর্শ হিসেবে সৃষ্টি করেছেনঃ “(হে মুসলমানরা), তোমাদের জন্য অবশ্যই আল্লাহর রাসূলের জীবনীতে অনুকরণযোগ্য উত্তম আদর্শ রয়েছে, (আদর্শ রয়েছে) এমন প্রতিটি ব্যক্তির জন্যে যে আল্লাহর সাক্ষাৎ পেতে আগ্রহী এবং যে পরকালের (মুক্তির) আশা করে, (সর্বোপরি) সে বেশি পরিমাণে আল্লাহকে স্মরণ করে।” [সূরা আহযাব:২১] রাসূল(সাঃ) এর জীবনী মানুষকে আল-কোরআন সঠিকভাবে বুঝতে সাহায্য করে কারণ অনেক আয়াত রয়েছে যেগুলোর তাফসীর করা হয়েছে রাসূল(সাঃ) এর চারপাশে ঘটিত বিভিন্ন অবস্থা এবং এগুলোর প্রতি তাঁর প্রতিক্রিয়া দেখে। রাসূল(সাঃ) এর জীবনী পর্যালোচনা ও গবেষণা মুসলিম সমাজকে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন ও ইসলাম সম্পর্কে তথ্যাবলী (সেটা ধর্ম নিয়েই হোক অথবা ইসালিমক নিয়মকানুন, আচরণবিধিই হোক) জানতে সহায়তা করে। রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর জীবনী ইসলামের মৌলিক নীতিমালা ও নিয়ম-কানুনসমূহের সর্বোৎকৃষ্ট প্রতীক। আমরা রাসূল(সাঃ) এর জীবনী থেকে পাঁচটি উদ্দেশ্যের সবকটিকেই টেনে বের করতে পারি কারণ তাঁর জীবদ্দশায় তিনি(সাঃ) মানবিক ও সামাজিক সবধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছেন যেগুলো আমরা যে কোনো একজন স্বাধীন ব্যক্তি অথবা সমাজের যে কোনো সক্রিয় সদস্যের মধ্যে খুঁজে পাই। তাঁর(সাঃ) জীবনী একজন যুবকের জন্য উত্তম আদর্শ স্থাপন করে যা তার সঙ্গীদের ও মানুষদের সাথে সৎ আচরণ করতে উদ্বুদ্ধ করে এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় মানুষকে বিচক্ষণতা ও বিনয়ের সাথে ডাকে ও ন্যায়ের সাথে তার দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে, তার জন্যও রাসূল(সাঃ) এর জীবনী উত্তম আদর্শ স্থাপন করে এবং একজন প্রতিভাবান নেতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যে বিচক্ষণতা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে। একজন আদর্শ স্বামী এবং ব্যবহারে কোমল দয়ালু পিতা হিসেবেও তিনি(সাঃ) সর্বোত্তম আদর্শ স্থাপন করেছেন। একজন বিচক্ষণ সেনাপ্রধান, সৎ রাজনৈতিক এবং একজন মুসলিমের জন্যও তিনি(সাঃ) সর্বোত্তম আদর্শ স্থাপন করেছেন যে সঠিকভাবে তার ইবাদাতের দায়িত্বসমূহ ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি ভদ্র আচরণের মধ্যে দারুণ সামঞ্জস্য বিধান করে। চলবে...


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৯৭ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now