বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
-----গ্যী দ্য মোপাসা
---বাংলা অনুবাদঃ-পূর্ণেন্দু দস্তিদার
(সংক্ষিপ্ত ভাবে কাহিনী তুলে ধরে হলো)
নেকলেস গল্পের প্রধান চরিত্রে দেখা যায় “মাদাম মাতিলদা” নামের এক ভদ্র মহিলাকে। সে অত্যন্ত লোভী ও বিলাসী প্রকৃতির একজন মানুষ ছিল। সে নিজেকে সবার সামনে সুন্দর ও ধণীত্ব-ভাব প্রকাশ করতে চাইতো। মাদাম মাতিলদার বিবাহ হয়েছিল শিক্ষা পরিষদের এক সামন্য কেরানির সঙ্গে তার স্বামী নাম লোইসেল।
একদিন সন্ধায় জনশিক্ষা মন্ত্রী ও মার্দাম জর্জ লোইসেল ও তার স্ত্রীকে তাদের বাসায় বল নাচের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করে। কিন্তু মাদাম লোইসেল তার স্বামীর পাওয়া এই আমন্ত্রণে যেতে অস্মতি জানাই। তার কারণ ছিল অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য তার কোনো ভালো পোষাক নেই। এজন্য সে এই বল নাচের অনুষ্ঠানে যেতে পারবে না।
লোইসেল কষ্ঠ করে কিছু টাকা জমিয়েছিল। গ্রীস্মের ছুটিতে বন্ধুদের সাথে পাখি শিকারে যাওয়ার জন্য বন্দুক কিনবে বলে। যে পরিমাণ টাকা জমিয়েছিল ঠিক সেই পরিমাণ টাকা দিয়ে তার স্ত্রীকে বল নাচের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য পোশাক কিনে দিলো।
তারপর, অনুষ্ঠানের দিন যত এগিয়ে আসতে থাকে, ততই মাদাম লোইসেলের মধ্য অনুষ্ঠানে যেতে না চাওয়ার ভাব ভঙ্গি প্রকাশ পেতে থাকে। এবার যেতে না চাওয়ার কারণ তার কোনো মনি-মুক্তা নেই। অবশেষে তার স্বামীর পরামর্শে মাদাম লোইসেলের বান্ধবী ফোরসটিয়ারের কাছ থেকে একটি হিরার কন্ঠ হার ধার নিয়ে অনুষ্ঠানে যেতে সম্মত হয়।
বল নাচের অনুষ্ঠানে মাদাম লোইসেল তার সৌন্দর্যের অনেক প্রশংসা লাভ করে। অনুষ্ঠান শেষে তারা ভোর বেলা বাসার উদ্দেশ্য রইনা দেয়। মাদাম লোইসেল বাসায় ফিরে আয়নার সামনে দাড়াতেই লক্ষ করে তার গলায় হিরার হারটি নেই। মাদাম লোইসেল আঁতকে উঠে ঘটনাটি তার স্বামীকে জানাই। তার স্বামী সেই মাত্রই হারটি খুঁজতে বাহির হয়ে যায়।
এরপর অনেক খোঁজা-খুজি তারপর পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার পরও আর হারটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। হারটি খুঁজে না পাওয়ায় লোইসেলে ৩৬ হাজার ফ্রাঁ দিয়ে একটি হিরার হার ক্রয় করে। এই হারটি লোইসেল তার বাবার মৃত্যুর পর পাওয়া ১৮ হাজার ফ্রাঁ ও বাকি টাকা ধার নিয়ে ক্রয় করে। হারটি ক্রয় করতে গিয়ে তাদের অনেক ধার দিনাশ পড়েতে হয়।
বিশাল ধার দিনার বোঝা মাঁথায় নিয়ে তারা তাদের বাসাটি ছেড়ে অন্যত্রে একটি কম টাকার ছোট বাসা ভাড়া নেয়। এবং তারা দুইজন কাজ শুরু করলো। মাদাম লোইসেল আগে যে কাজ করত না সে কাজ গুলো এখন করতে শুরু করলো। অবশেষে, তারা ১০ বছর পরিশ্রম করার পর তাদের সকল ধার দিনা পরিশোধ করলো। এবং ধার দিনা পরিশোধ করার পাশাপাশি তার কিছু সঞ্চয়ও করলো।
দশ বছর পরে এমতাবস্থায় একদিন ঘটনা ক্রমে মাদাম লোইসেলের তার বান্ধবী ফোরস্টিয়ারের সাথে দেখা হয়। প্রথমে তার বান্ধবী তাকে চিনতে পারেনি কারণ তার চেহারায় এখন আর আগের মত সৌন্দর্য নেই। সে তার বান্ধবীর সাথে গত দশ বছরের ঘটে যাওয়া ঘটনা বর্ণনা করলো। ঘটনা শুনে মাদাম ফোরস্টিয়ার বলল, ‘হায়, আমার বেচারী মাতিলদ! আমারটি ছিল নকল হার। তার দাম পাঁচশত ফাঁর বেশি হবে না।’ – “নেকলেস” গল্পের এই অপ্রত্যাশিত শেষের জন্য বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে ছিল।
গল্পটির মূলভাব ও শিক্ষা:
“নেকলেস” গল্পটিতে দেখা যায় উচ্চবিলাসী ও লোভী এক নারীর চরিত্র। বিলাসীতার কারণে মুহূর্তেই নির্ষ হয়ে যেতে। এবং পরিশ্রমে ফলে ধার-দিনা পরিশোধ করার মাধ্যমে “পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি” উক্তিটি প্রকাশ পেয়েছে। আবার গল্পের শেষ অপ্রত্যাশিত বাক্য থেকে শিক্ষা পাওয়া যায়, একটু অসাবধানতা জীবনে কীরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। ”
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
ইতুর দুষ্টু জেরি(প্রমি)
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেমেহেরাজ হাসনাইন
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেহিমু আমি হবই!!
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেইতুর দুষ্টু জেরি(প্রমি)
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেSHUVO SUTRADHAR
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেহিমু আমি হবই!!
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে