বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

অবনীল(পর্ব-৪)

"সাইন্স ফিকশন" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান S O F I Y A (০ পয়েন্ট)

X এই গ্রহে কোনো এক ধরনের প্রাণের বিকাশ ঘটেছে। বুদ্ধিহীন, ভয়ংকর এবং নৃশংস প্রাণী। রিরা একটা নিশ্বাস ফেলল, বলল, আমার জীবনে যেন যথেষ্ট উত্তেজনা নেই—এখন। বুদ্ধিহীন ভয়ংকর নৃশংস প্রাণীর সাথে সময় কাটাতে হবে! কপালটা দেখেছ? এর চাইতে ভালো কোনো গ্রহ আছে? না। অন্য গ্রহগুলো বড় এবং অস্থিতিশীল। জি-এর মান এত বেশি যে নিজের শরীরের ওজনেই মারা পড়বে। বেশ, তা হলে বুদ্ধিহীন ভয়ংকর এবং নৃশংস প্রাণীর গ্রহটাতেই নামার ব্যবস্থা কর। কাজটি জটিল এবং বিপজ্জনক। আমি জানি। রিরা হাসার চেষ্টা করে বলল, বেঁচে থাকার প্রক্রিয়াটাই জটিল এবং বিপজ্জনক। তবুও কি আমরা বেঁচে থাকার চেষ্টা করি না? মহাকাশযানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নষ্ট হয়েছে—অবতরণ করাটি প্রায় দুঃসাধ্য। তুমি কিছু চিন্তা করো না রিরা মুখে হাসি ফুটিয়ে বলল, আমি তোমাকে সাহায্য করব। তুমি আমাকে সাহায্য করবে? হ্যাঁ। এত অবাক হচ্ছ কেন? মূল প্রসেসর শুষ্ক এবং ভাবলেশহীন কণ্ঠে বলল, আমি অবাক হচ্ছি না। সত্যি কথা বলতে কী, অবাক বা রাগ হওয়ার মতো মানবিক ক্ষমতাগুলো আমাদের নেই। তবে ঘোর অবাস্তব পরিকল্পনা আমরা নিরুৎসাহিত করি। আমরা করি না। রিরা গলায় খানিকটা উৎফুল্ল ভাব ফুটিয়ে বলল, মহাকাশ একাডেমিতে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে মহাকাশযান অবতরণের ওপরে আমার একটি কোর্স ছিল। দেখা যাক যেসব বিষয় শিখিয়েছে সেটা সত্যি কি না! মহাকাশযানের মূল প্রসেসর কোনো কথা না বলে শুধুমাত্র একটা যান্ত্রিক দীর্ঘশ্বাসের মতো শব্দ করল। প্রথমে মহাকাশযানটিকে গ্রহের কক্ষপথে আটকে নিতে হল, পুরো কাজটি ছিল অত্যন্ত বিপজ্জনক। নিউট্রন স্টারের পাশ দিয়ে যাবার সময় এটি যে বিশাল গতিবেগ সঞ্চয় করেছে, তার প্রায় পুরোটুকুই কমিয়ে আনতে হল। ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিন দিয়ে সেই কাজটি করা খুব কঠিন। প্রথম কক্ষপথটি হল বিশাল, খুব ধীরে ধীরে সেই কক্ষপথ ছোট করে আনতে শুরু করে। গ্রহের বায়ুমণ্ডলের ঠিক বাইরে পুরোপুরি বৃত্তাকার কক্ষপথে মহাকাশযানটিকে আবদ্ধ করে নেওয়ার পর রিরা গ্রহটির খুঁটিনাটির দিকে নজর দিল। উঁচু-নিচু পাথরে ঢাকা বিশাল একটি গ্রহ, একটা বড় অংশ সাদা বালু দিয়ে ঢাকা। মহাকাশযানটিকে নামানোর জন্য একটা সমতল জায়গা প্রয়োজন। শেষবার মানুষ যেখানে বসতি করেছিল, তার আশপাশে নামতে পারলে সবচেয়ে ভালো, অনেক ভাবনা-চিন্তা করে নিশ্চয়ই জায়গাটা ঠিক করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অবিশ্যি কোনো মানুষই বেঁচে থাকে নি—তবে সেটা ভিন্ন কথা। সেটা নিয়ে পরে দুশ্চিন্তা করলেও হবে। মহাকাশযানটি প্রতি ঘণ্টায় একবার পুরো গ্রহটি প্রদক্ষিণ করছে শক্তিশালী টেলিস্কোপ দিয়ে রিরা গ্ৰহটাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখল। বুদ্ধিহীন ভয়ংকর এবং নৃশংস প্রাণী থাকার কথা কিন্তু মহাকাশ থেকে সেগুলো চোখে পড়ল না। গ্রহটিতে বেশ লম্বা একটা সমতল জায়গা খুঁজে বের করে রিরা মহাকাশযানের মূল প্রসেসরের সাথে কথা বলতে শুরু করে। বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পর প্রচণ্ড ঘর্ষণে মহাকাশযানের বাইরের অংশ ভয়ংকর উত্তপ্ত হয়ে উঠবে, অন্য সময় সেটি একটি বড় সমস্যা, কিন্তু এখন রিরা সেটি নিয়ে মাথা ঘামাল না এই মহাকাশযানটিকে অক্ষত রাখার কোনো কারণ নেই, গতিবেগ কমিয়ে কোনোভাবে গ্রহটির শক্ত মাটিতে নামিয়ে স্থির করতে পারলেই হবে—তার ফলে মহাকাশযানের যে ক্ষতি হয় হোক! বিশাল মহাকাশযানের দুইতিনটি ছোট কেবিন অক্ষত থাকলেই সে দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকতে পারবে। এই মহাকাশযানটি নিয়ে সে এমনিতেই আর কখনো মহাকাশে উঠতে পারবে না। বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতে শুরু করার পর হঠাৎ রিরার নীলমানবটির কথা মনে পড়ল। পরবর্তী এক ঘণ্টা অত্যন্ত বিপজ্জনক সময় মহাকাশযানের মূল প্রসেসরের হিসেবে ঠিকভাবে অবতরণ করার সম্ভাবনা শতকরা মাত্র দশ ভাগ। এই সময়টিতে মহাকাশযান নানারকম ঝড়-ঝাঁপটার মাঝে পড়বে। মহাকাশচারীদের বিশেষ পোশাক পরে জীবন। সংরক্ষণ মডিউলে বসে থাকার কথা—রিরা নিজেও তার কিছু করে নি। নীলমানবটির অবস্থা আরো খারাপ; একটা ছোট ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় আছে। যদি বড় দুর্ঘটনা হয়, নীলমানবটি খাচায় আটকে থাকা ইঁদুরের মতো মারা পড়বে। রিরা জোর করে তার মাথা থেকে চিন্তাটি সরিয়ে দিল। বিশাল মহাকাশযানটি বায়ুমণ্ডলের ভেতরে ঢুকতে শুরু করেছে, বাতাসের ঘর্ষণে মহাকাশযানের বাইরের অংশ উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। রিরা মনিটরে দেখতে পেল, তাপমাত্রা বিপজ্জনক সীমার কাছে পৌঁছে গেছে। বাতাসের ঝাঁপটাটি এসে লাগছে মহাকাশযানের নিচের অংশে—বিশেষ তাপ অপরিরাহী পদার্থ দিয়ে তৈরি অংশটুকু আগুনের মতো গরম হয়ে উঠেও তাপকে ভেতরে যেতে দিচ্ছে না। রিরা মহাকাশযানের ভেতরে এখনো কোনো বাড়তি তাপমাত্রা অনুভব করছে না। মহাকাশযানটি থরথর কাঁপছে, রিরা মনিটরে দেখতে পায় আগুনের ফুলকির মতো ছোট ছোট ধাতব কণা মহাকাশযানের পাশ দিয়ে ছুটে যাচ্ছে। হঠাৎ একটা বিস্ফোরণের শব্দ হল, ভয়ংকর ঝাকুনি দিয়ে পুরো মহাকাশযানটি প্রায় উল্টে যেতে গিয়ে আবার স্থির হয়ে গেল সম্ভবত একটি এন্টেনা বাতাসের ঝাঁপটায় ভেঙে উড়ে গেছে, খুব সাবধানে সে বুকের ভেতরে চাপা থাকা একটা নিশ্বাস বের করে দেয়। রিরা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে মনিটরের দিকে তাকিয়ে গতিবেগ দেখতে থাকে, ধীরে ধীরে সেটি কমতে শুরু করেছে। ঘণ্টায় হাজার কিলোমিটারে নেমে আসার পর সে মহাকাশযানের দুটি পাখা বের করে দেবার চেষ্টা করবে। যেহেতু এখানে বায়ুমণ্ডল আছে সে সেখানে ভেসে থাকার সুযোগটা নিতে চায়। আবার একটা ভয়ংকর বিস্ফোরণের শব্দ হল, মহাকাশযানটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে যেতে শেষমুহূর্তে নিয়ন্ত্রণে চলে এল। ভয়ংকর ঝাঁকুনি দিতে শুরু করেছে, ভেতরে বিকট শব্দ হচ্ছে, মনে হচ্ছে বিশাল এই মহাকাশযানটিকে কেউ যেন দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙে টুকরো টুকরো করে ফেলছে। ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে শুরু করেছে, তার সাথে একটা পোড়া গন্ধ। এভাবে বেশিক্ষণ চলতে থাকলে পুরো মহাকাশযানটি জ্বলেপুড়ে শেষ হয়ে যাবে। রিরা নিশ্বাস বন্ধ করে মহাকাশযানের কন্ট্রোল স্টিয়ারিং ধরে রাখে, খুব ধীরে ধীরে গতিবেগ কমে আসছে, শব্দের গতিবেগের নিচে নেমে আসার পর ভয়ংকর শব্দে সনিক বুমটি শুনতে পেল—রিরা বুকের ভেতর আটকে থাকা নিশ্বাসটি বের করে দেয়, বিপদের প্রথম ধাক্কাটি শেষ হয়েছে বায়ুমণ্ডল ভেদ করে সে মহাকাশযানটিকে গ্রহের ভেতরে নিয়ে এসেছে। এখন দ্বিতীয় এবং সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মহাকাশযানটিকে শক্ত মাটির উপরে নামানো। একটু ভুল হলেই এটি মুহূর্তের মাঝে বিধ্বস্ত হয়ে যাবে। রিরা মনিটরের দিকে তাকাল, এটি দ্রুত নিচে নামছে—এই গতিতে নিচে নামতে থাকলে কোনোভাবেই মহাকাশযানটিকে রক্ষা করা যাবে না। রিরা কন্ট্রোলরুমের স্টিয়ারিং টেনে পাখা দুটো বের করার চেষ্টা করল, শক্ত স্টিয়ারিং নড়তে চায় না, পুরো শরীর দিয়ে ধাক্কা দিয়ে শেষ পর্যন্ত টেনে আনতে পারল, প্রায় সাথে সাথে সে ঘরঘর একটা শব্দ শুনতে পায়। মহাকাশযানের মূল ইঞ্জিন তার মোটর চালু করে পাখা দুটো বের করতে শুরু করেছে। রিরা নিশ্বাস বন্ধ করে তাকিয়ে থাকে, মোটরের ঘরঘর শব্দ বন্ধ হবার পর সে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল। মহাকাশযানটিকে রক্ষা করার সম্ভাবনা এখন আরো কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। বিশাল পাখা মেলে অতিশয় একটা পাখির মতো এই মহাকাশযানটি নিচে নেমে আসতে শুরু করেছে। পাখার নিচে ছোট ছোট জেট ইঞ্জিন রয়েছে, থেমে যাবার আগের মুহূর্তে সেগুলো চালু হয়ে মহাকাশযানটিকে সাবধানে নিচে নামিয়ে আনার কথা। কতগুলো জেট চালাতে পারবে সেটি রিরা জানে না, নীলমানদের সাথে সংঘর্ষের সময় তাদের অনেক জ্বালানি নষ্ট হয়েছে। রিরা তীক্ষ্ণ চোখে মনিটরের দিকে তাকিয়ে থাকে—এতক্ষণ পর্যন্ত সবকিছু পরিকল্পনা মতো কাজ করেছে—যদিও একেবারে শেষ অংশটুকু হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন এবং সবকিছু পরিকল্পনা মতো কাজ করা পুরোপুরি অর্থহীন হয়ে যাবে, যদি শেষটুকু ঠিকভাবে সমাপ্ত না হয়। রিরা এই দীর্ঘসময় একটিবারও মূল প্রসেসরের সাথে কথা বলে নি—এই প্রথম সে খানিকটা সময় পেয়েছে। চাপা গলায় সে ডাকল, প্রসেসর। বলো রিরা। সবকিছু কি ঠিক আছে? প্রায়। প্রায় কেন বলছ? মহাকাশযানের দুটি পাখা অনেকটুকু জায়গা নিয়ে নিয়েছে। সে তো নেবেই। এত বড় মহাকাশযানকে ভাসিয়ে রাখতে হলে কয়েক কিলোমিটার লম্বা পাখা লাগার কথা। মূল প্রসেসর শান্ত গলায় বলল, আমি এবোডিনামিক্স নিয়ে প্রশ্ন করছি না। তা হলে কী নিয়ে প্রশ্ন করছ? মহাকাশযানটিকে সফলভাবে নামার ব্যাপারে প্রশ্ন করছি। রিরা নিশ্বাস বন্ধ করে বলল, সফলভাবে নামার ব্যাপারে তোমার কী প্রশ্ন? এটি একটি পাথুরে গ্রহ। পুরো গ্রহটিতে উঁচু-নিচু পাথর। তার একটা বড় সমস্যা আছে। রিরা দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ে ধরে বলল, পাথরের আঘাত খেয়ে পাখা ভেঙে যাবে? হ্যাঁ। কত উঁচুতে ভাঙবে? একেবারে নিখুঁতভাবে বলা যাচ্ছে না। গ্রহটাতে এক ধরনের ঝড়ো হাওয়া বইছে, মহাকাশযানটা ঠিক কোথায় নামবে বলা যাচ্ছে না। রাডার জ্বলেপুড়ে গেছে—কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই নিশ্চয়ই জান। রিরা একটা নিশ্বাস ফেলে বলল, তুমি এটা আমাকে আগে কেন বলো নি? বলে লাভ কী? শুধু শুধু তুমি পুরো সময়টা দুশ্চিন্তা করতে। এখন দুশ্চিন্তা করবে শেষ কয়েকটি মুহূর্ত। শেষ মুহূর্ত কি চলে এসেছে? হ্যাঁ। আমার সুপারিশ হবে তুমি এখন মহাকাশযানের নিরাপত্তা পোশাক পরে নাও। আর সময় নেই। রিরা উঠে দাঁড়াল। মনিটরের দিকে তাকিয়ে হঠাৎ সে আতঙ্ক অনুভব করে। গ্রহটির অনেক নিচে নেমে এসেছে। যে গ্ৰহটাকে মহাকাশ থেকে মোটামুটি সমতল মনে হয়েছে মাটির কাছাকাছি এসে দেখা যাচ্ছে সেটা মোটেও সমতল নয় বড় বড় পাথর ছড়িয়েছিটিয়ে আছে। হঠাৎ হঠাৎ অনেক পাথর উঁচু হয়ে আছে। নিয়ন্ত্রণহীন একটা বড় পাখির মতো মহাকাশযানটি নিচে নেমে আসছে। ঠিক সোজাসুজি নামছে না, দুলতে দুলতে নামছে। মহাকাশযানের মাঝে আর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছে না। রিরা সাবধানে দেয়াল ধরে অগ্রসর হতে শুরু করে। মূল প্রসেসর বলল, তুমি উল্টোদিকে যাচ্ছ রিরা, নিরাপত্তা পোশাকগুলো অন্যদিকে রাখা। আমি জানি। তা হলে? একটা নীলমাকে একটা ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা আছে। তালাটা খুলে দিই। কেন? মহাকাশযান বিধ্বস্ত হয়ে গেলে সে খাঁচায় আটকে পড়া ইঁদুরের মতো মারা যাবে। তাতে কী আসে যায়? নীলমানব মানুষ নয়—তাদের জীবন রক্ষা করার দায়িত্ব তোমার নয়। তা ছাড়া– তা ছাড়া কী? তা ছাড়া সে মুক্ত হতে পারলে নিশ্চিত তোমাকে হত্যা করবে। রিরা কয়েক মুহূর্ত দ্বিধা করে বলল, তোমার তা-ই ধারণা? এটি আমার ধারণা নয়। আমি নিশ্চিতভাবে জানি। আমি চাই তুমি সুযোগ। থাকতেই তাকে গুলি করে হত্যা কর। সরাসরি মস্তিষ্কে আট পয়েন্টের একটি গুলি। করা হলে হত্যাকাণ্ডটি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তুমি স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রটি নিয়ে যাও। স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রটি নিয়ে যাব? হ্যাঁ। মহাকাশযানের মূল প্রসেসর তার যান্ত্রিক কণ্ঠে খানিকটা ব্যস্ততার ভাব ফুটিয়ে বলল, কোনো একটা উঁচু পাথরে আঘাত লেগে মহাকাশযানটি বিধ্বস্ত হয়ে গেলে বন্দি নীলমানবটির ঘরের দরজা বা দেয়াল ভেঙে যেতে পারে, সে তখন বের হয়ে আসতে পারে। রিরা দ্বিধান্বিতভাবে বলল, কিন্তু— কিন্তু কী? মানুষকে যেসব জিনিস শেখানো হয়, তার একটি হচ্ছে কখনো বন্দি মানুষকে হত্যা না করা। তার চাইতে বড় কোনো কাপুরুষতা হতে পারে না। নীলমানব মানুষ নয়। তাকে ভিন্ন কোনো প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করতে পার। রিরা মাথা নাড়ল, বলল, বন্দি হচ্ছে বন্দি। মানুষ কিংবা অন্য যে কোনো প্রাণীই হোক কেন। মহাকাশযানের মূল প্রসেসব কঠোর কণ্ঠে বলল, তোমার এই ছেলেমানুষি যুক্তির কারণে তুমি ভয়ংকর বিপদগ্রস্ত হবে। রির উত্তরে কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল কিন্তু হঠাৎ করে প্রচণ্ড আঘাতে পুরো মহাকাশযানটি কেঁপে উঠল। ভয়ংকর শব্দে তার কানে তালা লেগে যায়, মহাকাশযানটি পাক খেয়ে উল্টে যেতে থাকে প্রচণ্ড আঘাতে রিরা ছিটকে পড়ে। বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেল সে—মহাকাশযানটি দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙেচুরে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে। রিরার মনে হতে থাকে সে কোথাও পড়ে যাচ্ছে হাত বাড়িয়ে কিছু একটা ধরার চেষ্টা করে কিন্তু কিছুই ধরতে পারে না সে। কেউ একজন চিৎকার করছে অমানুষিক গলায়, কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে মহাকাশযানটি, পোড়া গন্ধে নিশ্বাস নিতে পারছে না রিরা। কিছু একটা প্রচণ্ড শব্দে ভেঙে পড়ল, আগুনের হলকার মতো কিছু একটা অনুভব করল রিরা। ভয়ংকর অমানুষিক যন্ত্রণায় শরীরের ভেতরে কুঁকড়ে উঠতে থাকে। মহাকাশযানের আলো নিভে গেল হঠাৎ রিরা ওঠার চেষ্টা করতে থাকে কিন্তু উঠতে পারে না। কোনো একটা ধাতব বিমের নিচে আটকা পড়ে গেছে। প্রাণপণে বের হতে চেষ্টা করছে কিন্তু বের হতে পারছে না, শরীরের একটা অংশ আটকা পড়ে গেছে তার। ঘুটঘুটে অন্ধকারে দেখার চেষ্টা করছে রিরা কিন্তু সে কিছুই দেখতে পারছে না। খানিকটা বাতাসের জন্য বুকের ভেতরটা ফেটে যাচ্ছে কিন্তু সে নিশ্বাস নিতে পারছে না। অমানুষিক যন্ত্রণায় চিৎকার করতে চেষ্টা করে কিন্তু তার গলা থেকে কোনো আওয়াজ বের হয় না। রিরা হঠাৎ করে অনুভব করে, গাঢ় অন্ধকারে সে তলিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। মনে হতে থাকে আর কখনোই সে এই অন্ধকার থেকে বুঝি উঠে আসতে পারবে না। খুব ধীরে ধীরে রিরার জ্ঞান ফিরে আসে। মহাকাশযানের ভেতর সব সময়ই অল্প কম্পনের একটা শব্দ হতে থাকে। সেই শব্দটা এখন নেই। যে শক্তিশালী কুরু ইঞ্জিনটি মহাকাশযানটিকে উড়িয়ে নিয়ে এসেছে, এই প্রথমবার সেই ইঞ্জিনটি বন্ধ হয়ে গেছে, হঠাৎ করে পুরো মহাকাশযানে একটি বিস্ময়কর নৈঃশব্দ্য নেমে এসেছে। রিরা মনে করতে চেষ্টা করে সে কোথায়, তার কী হয়েছে। সে মহাকাশযানটিকে অবতরণ করানোর চেষ্টা করছিল, মহাকাশযানের বিশাল দুটি পাখা বের হয়ে এসেছিল, খুব ধীরে ধীরে সেটি নেমে আসছিল, ঠিক তখন এক ভয়ংকর বিস্ফোরণের শব্দ হল– হঠাৎ রিরার সব কথা মনে পড়ে যায়, লাফিয়ে উঠে বসে সে। চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে ক্যাপ্টেনের ঘরে নরম বিছানায় শুয়ে আছে সে। কে এনেছে তাকে এখানে? রিরা বিছানা থেকে নামার চেষ্টা করে হঠাৎ মুখ থুবড়ে নিচে পড়ে গেল, অবাক হয়ে আবিষ্কার করল তার দুই পা শেকল দিয়ে বাধা। রিরা হতচকিত হয়ে নিজের পায়ের দিকে তাকিয়ে থাকে, কে তাকে বেঁধে রেখেছে এখানে? রিরা কাপা গলায় ডাকল, প্রসেসর… প্রসেসর…। ক্যাপ্টেনের ঘরে প্রসেসর শুষ্ক গলায় উত্তর দিল, বলো রিরা। আমাকে কে বেঁধে রেখেছে? তুমি যথেষ্ট বুদ্ধিমতী মেয়ে, তোমার এটি জানার কথা। নীলমানব? হ্যাঁ। আমি বলেছিলাম তাকে হত্যা করতে তুমি রাজি হলে না। এখন তার মূল্য দিচ্ছ। সে কেমন করে বের হল? মহাকাশযানটি যখন বিধ্বস্ত হয়েছে, তখন তার ঘরের দরজা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সে তখন তার দরজা ভেঙে বের হয়ে এসেছে। কিন্তু… তার পায়ে গুলি লেগেছিল? মূল প্রসেসর একমুহূর্ত অপেক্ষা করে বলল, সে খুঁজে খুঁজে মেডিক্যাল কিট বের করে পায়ে ব্যান্ডেজ করেছে। যন্ত্রণা কমানোর জন্য নিথিলিন ইনজেকশন নিয়েছে, তারপর খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে হেঁটে সবকিছু করেছে। রিরা বড় বড় দুটি নিশ্বাস ফেলে বলল, আমাকে টেনে বের করে এনেছে? হ্যাঁ, তুমি একটা বিমের নিচে আটকা পড়েছিলে, অনেক কষ্ট করে সেই বিমের নিচে থেকে টেনে বের করে এনেছে। তুমি বলেছিলে সে আমাকে গুলি করে মারবে। মূল প্রসেসর ধাতব গলায় বলল, তার সময় এখনো শেষ হয়ে যায় নি। তুমি ভুলে যেও না তোমার দুই পা শিকল দিয়ে বাধা। তোমাকে হত্যা করতে তার এক সেকেন্ড সময়ও লাগবে না। কিন্তু— মূল প্রসেসর রিরাকে বাধা দিয়ে বলল, নীলমানব এদিকে আসছে। রিরার গলার স্বর কেঁপে উঠল, সে কি সশস্ত্র? হ্যাঁ। তার হাতে একটা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র। রিরা একটা বড় নিশ্বাস নিয়ে তার বিছানায় গিয়ে বসে। একটু আগেই নীলমানব ছিল তার হাতে বন্দি, এখন সে নীলমানবের হাতে বন্দি। খুট করে একটা শব্দ হল, তারপর খুব ধীরে ধীরে দরজা খুলে গেল। রিরা তাকিয়ে দেখল ঘরের দরজায় দীর্ঘদেহী নীলমানবটি পাথরের মতো মুখ করে তাকিয়ে আছে। তার ডান হাতে আলগোছে একটা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ধরে রাখা। রিরা তীব্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, তুমি আমাকে কেন শেকল দিয়ে বেঁধে রেখেছ? নীলমানবটি তার কথা বুঝতে পারল কি না বোঝা গেল না, কিন্তু সে উত্তর দেবার কোনো চেষ্টা না করে স্থিরদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। রিরা উচ্চকণ্ঠে ডাকল, প্রসেসর… প্রসেসর… বলো। তুমি কি নীলমানবের ভাষা জান? জানি। তুমি আমার প্রশ্নটি অনুবাদ করে দাও। রিরা শুনতে পেল কোনো একটি বিজাতীয় ভাষায় প্রসেসর তার প্রশ্নটি অনুবাদ করে দিচ্ছে। প্রশ্নটি শুনে নীলমানব খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকল, তারপর কিছু একটা উত্তর দিল। রিরা জিজ্ঞেস করল, কী বলেছে সে? প্রসেসর বলল, সে বলেছে তুমি যে কারণে আমাকে বন্দি করে রেখেছিলে, আমি ঠিক সেই কারণে তোমাকে বন্দি করে রেখেছি। রিরা চিৎকার করে বলল, তাকে বলল এটা আমাদের মহাকাশযান তার না। আমার তাকে বন্দি করে রাখার অধিকার আছে। তার নেই। মূল প্রসেসর রিরার কথাটির অনুবাদ করে শুনিয়ে দিল এবং তখন প্রথমবার নীলমানবটিকে হাসতে দেখল। নীলমানবটির চেহারা নিষ্ঠুর কিন্তু হাসার সময় এটা রিরা স্বীকার না করে পারল না সে অত্যন্ত সুদর্শন। নীলমানবটি কিছু একটা বলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে উদ্যত হল। রিরা জিজ্ঞেস করল, কী বলেছে সে? তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। কিন্তু আমি শুনতে চাই। সে বলেছে তোমার কথাবার্তা অল্পবয়সী শিশুর মতো। রিরা নিশ্বাস আটকে রেখে বলল, তাই বলেছে? হ্যাঁ। তাকে বলে এই মুহূর্তে আমার পায়ের শেকল খুলে দিতে। বলে কোনো লাভ হবে না রিরা। লাভ না হলে নাই। তাকে বলো। মূল প্রসেসর নীলমানরটিকে তার ভাষায় শেকল খুলে দিতে বলল। সাথে সাথে নীলমানবের মুখমণ্ডল কঠোর হয়ে ওঠে, হাতের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ঝাঁকিয়ে কিছু একটা বলে, সে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। রিরা জিজ্ঞেস করল, কী বলেছে নীলমানব? বলেছে অর্থহীন কথা বলে শক্তিক্ষয় না করতে। তাই বলেছে? হ্যাঁ। তারপর বলেছে এই মুহূর্তে তোমাকে হত্যা করার তার কোনো পরিকল্পনা নেই। কিন্তু তুমি যদি বাড়াবাড়ি কর, তা হলে সে তার মত পরিবর্তন করতে পাবে। রিরার ভেতরে এক ধরনের অক্ষম ক্রোধ পাক খেতে থাকে। সে দাতে দাঁত ঘষে বলল, সে এখন কোথায় যাচ্ছে? কী করছে? সব সময় যা করে। সব সময় কী করে? মহাকাশযানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। যত জায়গা ভেঙেচুরে গেছে সেগুলো বন্ধ করছে। অস্ত্র হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেন? কেউ যেন ঢুকতে না পারে। রিরা নিশ্বাস বন্ধ করে বলল, কে ঢুকবে এখানে? তোমাকে আগেই বলেছি, এখানে বুদ্ধিহীন নৃশংস ভয়ংকর এক ধরনের প্রাণী থাকে। রিরা মাথা নাড়ল, বলল, হ্যাঁ, তুমি বলেছিলে। এখন সেটা খুব কাছের ব্যাপার হয়ে গেছে। রিরা বিষদৃষ্টিতে তার পায়ের শেকলের দিকে তাকিয়ে থাকে, তারপর দুই হাতে ভর দিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে। ক্যাপ্টেনের ঘরের ছাদের দিকে তাকিয়ে থেকে বলল, প্রসেসর। বলো। এই গ্রহের কি কোনো নাম আছে? আগে ছিল। এখন নেই, এখন শুধু একটি সংখ্যা। এই গ্রহের প্রাণীগুলো কী রকম তুমি জান? না, জানি না। কিছুই জান না? না, কিছুই জানি না। মহাকাশযানটা যখন বায়ুমণ্ডলের ভেতর দিয়ে নামিয়ে এনেছ, তখন প্রচণ্ড উত্তাপে বাইরের দিকের সবকিছু জ্বলেপুড়ে শেষ হয়ে গেছে। সেখানে আমাদের সব সেন্সর ছিল। সেন্সরগুলো থাকলে আমি এই গ্রহটাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে পারতাম। এখন আমি কিছু করতে পারি না, কিছু দেখতে পারি না।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৪৫৮ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • তুহিন
    Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    মনে আছে, ১বার বিরক্তসূচক অনুভূতি প্রকাশ করতে আমাকে 'যত্তসব' বলেছিলেন।আমার সুযোগে আপনাকে পাগল, আবাল, বেকুব ইত্যাদি বললাম।ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়।

  • তুহিন
    Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    আজকের কথাগুলো শ্রুতিপথে ঢোকার পর আশা করা যায়, কেউ আমার সাথে ঘাড়তেরামি করবেন না।

  • তুহিন
    Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    কিছু পাগল মানুষ আছে, যারা বলে আমরা আজাইরা ঝগড়া করি।আসলে এ আবালগুলোতে বেকুবের মতো কথা বলেই ঝগড়া তৈরি করে।আবার মাঝে মাঝে ডরে পালায়।

  • তুহিন
    Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    আপনার ২ কাল (শিশুকাল ও বয়ঃসন্ধিকাল) গেছে ২ কাল আছে।।এ বয়সে ফালতু কথা বললে সম্মান জুটবে না। angry

  • তুহিন
    Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    কেউ খারাপ কাজ করলে নিষেধ করা দোষ? আপনিই তো মন্দ নামে ডাকা গল্পে আমাকে উদ্দেশ্য করে পুষ্পিতার নামের কথা বলেছেন।এখন, দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিলাম।

  • Tuba Rubaiyat
    User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    আচ্ছা আমি তো আপনাকে উল্টাপাল্টা নামে ডাকিনি,,,,আমি যাকে ডেকেছি সেটা তার আর আমার ব্যাপার,,আপনার না।।নিজের চরকায় তেল দিন,,,,আর আমার গল্পে এই বিষয় নিয়ে কোন কমেন্ট না করলেই খুশি হবো,,,,,,আমার আপনার সাথে তর্ক করার কোন ইচ্ছে নেই।।।

  • তুহিন
    Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    পাগল কোথাকার! ছোট ভাইয়ের সাথে তর্কে ভয় পায়। angry

  • তুহিন
    Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    শোনেন, পুষ্প হলো ফুল।মানে নির্দিষ্ট কোনো ১টি ফুল।আর পুষ্পিতা হলো ফুলের মালা।মানে যেটা অনেকগুলো ফুল একত্রে গেঁদে মালা তৈর হয়েছে।তাহলে অর্থ তো বিকৃত হয়ই।

  • তুহিন
    Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    শোনে, পুষ্প হলো ফুল।মানে নির্দিষ্ট কোনো ১টি ফুল।আর পুষ্পিতা হলো ফুলের মালা।মানে যেটা অনেকগুলো ফুল একত্রে গেঁদে মালা তৈর হয়েছে।তাহলে অর্থ তো বিকৃত হয়ই।

  • তুহিন
    Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    বাবা রে! তেজ কত! মনে হয়, ক্ষেতে কাজ করে এসেছে।

  • তুহিন
    Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    GPA5 পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।অথচ বিচার করে কিছু বলা ক্ষমতাই নেই।জেনে রাখুন, নৈতিকতার উন্নয়নই শিক্ষার মূর উদ্দেশ্য! আবালের দল!

  • Tuba Rubaiyat
    User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    আমি কেন ভয় পাবো,,আজব!!angry আমার এসব ফালতু বিষয় নিয়ে যুদ্ধে যাওয়ার কোন শখ নেই,,,হুহ!!

  • তুহিন
    Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    ভয় পেয়েছেন বললেই তো মাফ করে দেব।

  • তুহিন
    Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    যদি ভয় পান, তাহলে কমেন্টে 1 লিখলেই হবে @তুবা আপু । angry

  • তুহিন
    Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    আজ যদি নাম নিয়ে যুদ্ধ লেগে যায়, তাও আমি যুদ্ধে যেতে রাজি।