বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

যীশু বা ঈসা (আঃ) কি সত্যিই ক্রশব্রিদ্ধ হয়েছিল?

"ইসলামিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান অনিক আহমেদ (০ পয়েন্ট)

X হযরত ঈসা আঃ যাকে খ্রিস্টানরা বলে থাকে যীশু। আমি যখন ঈসা আঃ এর জীবন কাহিনী পড়ি তখন তার প্রতি জানার আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। কেন খ্রিষ্টানরা তাকে ঈশ্বরের পুত্র মনে করেন? কেন খ্রিষ্টানরা তাকে উপাসনা করেন? যাই হোক খ্রিস্টানরা মনে করেন যীশু ক্রশব্রিদ্ধ হয়েছিল এবং এবং যীশুই তাদের ঈশ্বর। যে যীশুকে গ্রহন করবে সে সর্গে যাবে এগুলা সাধারণত খ্রিস্টানদের বিশ্বাস। আমরা যারা মুসলিম তারা সবাই হযরত ঈসা আঃ এর জীবন কাহিনী জানি আর জানি তিনি মহান আল্লাহ তায়ালার একজন প্রেরিত নবি রাসুল। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সব নবী ও রাসুল দের কিছু কিছু মজেজা দিয়েছিলেন তেমনি ঈসা আঃ বা যীশু কেও দিয়েছিলেন। তিনি অন্ধ কে আল্লাহ'র হুকুমে চক্ষু দান করতে পারতেন, আল্লাহ'র হুকুমে মৃত কে জীবিত করতে পারতেন, আল্লাহ'র হুকুমে কুষ্ঠ রোগীকে সুস্থ করে দিতে পারতেন। আমরা সবাই জানি ঈসা আঃ এর উপর আল্লাহ তায়াল ইঞ্জিল নাযিল করেছিলেন যা এখন বাইবেল নামে পরিচিত। ঈসা আঃ এর মৃত্যুর পর বাইবেল বিকৃত হয়ে যায়। তবে একটা বাইবেল ছিল যেটার নাম ছিল গোস্পেল অফ বার্নাবাস। এই বাইবেলে যীশু কে আল্লাহ'র প্রেরিত নবি বলা হয়েছে এবং এটাও বলা হয়েছে যীশু ক্রুশবিদ্ধ হয়নি। ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার আগে আল্লাহ তায়ালা তাকে আসমানে উঠিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু এই বাইবেলটি খ্রিস্টান ধধর্মগুরুরা তখনি ব্যান বা নিষিদ্ধ করে দেয় কারন এতে ইসলাম এর ঈসা আঃ এর মিল রয়েছে। তো যাই হোক এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে যীশু যদি ক্রুশবিদ্ধ না হন তাহলে কে ক্রূশবিদ্ধ হয়েছেন সে কে? হ্যা এই প্রশ্নটা আমার ও আসছিল। একজন তো সত্যিই ক্রুশবিদ্ধ হয়েছেন তাহলে সে কে? এই প্রশ্নটা আমরা কোরআন এ ও পেয়ে যাই। কোরআন এ বলা হয়েছে ঈসা আঃ কে ক্রুশবিদ্ধ করার জন্য যখন সেনারা ধরতে আসেন। তখন মহান আল্লাহ তায়ালা ঈসা কে আসমানে তুলে নেন এবং যারা তাকে ধরতে আসে তাদের মধ্যে একজন কে ঈসা আঃ এর মত বানিয়ে দেন এবং সবাই তাকে ঈসা বা যীশু ভেবে ক্রুশবিদ্ধ করে। তো চলুন ব্যাপার আরো খোলাসা করা যাক। আমি এখন এটা গোস্পেল ওফ বার্নাবাস থেকে বলতেছি। হযরত ঈসা আঃ এর সবচেয়ে প্রিয় এবং বিশ্বাসযোগ্য ১২ জন সাহাবি ছিল। এই বারো জনের মধ্যে একজন ছিল বিশ্বাসঘাতক ও বেইমান। যিনি ঈসা আঃ বা যীশুর সাথে থাকতেন এবং ইহুদি ধর্মগুরুদের কাছে গোপন তথ্য ফাস করতেন। যীশু জানতেন ইনি বিশ্বাসঘাতক ও ইহুদিদের কাছে গোপন তথ্য ফাস করেন। যীশু জানতেন তাকে নিয়ে ইহুদিরা চক্রান্ত করছেন মেরে ফেলার জন্য। এবং এটাও জানতেন এই বিশ্বাসঘাতক তাকে ধরিয়ে দিবেন মাত্র কিছু রুপার মুদ্রার বিনিময়ে। এই বিশ্বাসঘাতক এর নাম ছিল জুডাস ইস্কারিয়ট। একদিন যীশু বা ঈসা আঃ তার ১২ জন সাহাবিদের বল্লেন তোমাদের মধ্যে একজন আছেন যিনি বিশ্বাসঘাতক ও বেইমান যিনি তাকে কিছু মুদ্রার বিনিময়ে ইহুদিদের কাছে ধরিয়ে দিবেন। তখন সাহাবিরা এটা শুনার পর বল্লেন কে সেই বিশ্বাসঘাতক শুধু নামটা বলুন কিন্তু যীশু বল্লেন না। একদিন যীশু বা ঈসা আঃ এবং বাকি সাহাবিরা ঘুমিয়ে ছিলেন। তখন জুডাস ইস্কারিয়ট সেই বিশ্বাসঘাতক এই সুযোগে ইহুদিদের খবর দেয় যীশু কে এখনি ধরিয়ে দিবে কিছু মুদ্রার বিনিময়ে। তখন জুডাস ও সাথে সৈন্য আসে যীশু বা ঈসা আঃ কে ধররা জন্য সৈন্যদের আসার আওয়াজ বুঝতে পেরে সাহাবিরা লুকিয়ে যায় আর তখন যীশু বা ঈসা আঃ কে আল্লাহ তায়ালা আসমানে তুলে নেন। যখন বাসার সামনে আসে জুডাস ও সৈন্যদল তখন জুডাস যীশুকে ধরার জন্য ভিতরে যায় গিয়ে দেখে কেউ নেই আর তখনি আল্লাহ তায়ালা জুডাস এর চেহারা একদম অবিকল যীশুর মত করে দেয় যখন জুডাস বের হয় তখন সৈন্যরা জুডাস কে যীশু মনে করে তুলে নিয়ে যায়। জুডাস অনেকবার বলতে থাকে তোমরা ভুল করছো আমি যীশু নই আমি জুডাস কিন্তু সবাই ভাবে যীশু মৃত্যু ভয়ে উল্টা পাল্টা বলছে। আর এভাবেই জুডাস ইস্কারিয়ট কে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়। আর খ্রিস্টানরা একেই যীশু ভেবে উপাসনা করে এবং মনে করে যীশু আল্লাহ'র পুত্র এবং মুক্তিদাতা। আমরা সবাই যানি হযরত ঈসা আঃ একদিন পৃথিবীতে আসবেন এবং দাজ্জাল কে হত্যা করবেন। তখন খ্রিস্টানরা সত্যিটা বুঝতে পারবেন।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৬৩১ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • অনিক আহমেদ
    User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    Hmm bhai

  • M.H.H.RONI
    Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    হুম ভালো লাগল। যে সত্যে আজ তুমরা বলতে ভয় পাচ্ছ যে ইমান তুমরা অন্ধকার কুঠরিতে শিখেছ একদিন তা প্রতিটি বাড়ির ছাদে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হবে। হয়েছিল।