বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

ভয়ের জগত

"ভৌতিক গল্প " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Mujakkir Islam (০ পয়েন্ট)

X বিকেল বেলা আকাশটা খুব পরিস্কার ছিল। আকাশে ছিটে ফোটা মেঘও ভাসতে দেখিনি। লাল হতে হতে সূর্যটা যখন বিদায় নিলো তখনো ছিল মেঘ মুক্ত স্বচ্ছ আকাশ। আমার ঘরে বিদুৎ নেই মাস খানেক যাবৎ। বিদুৎ অফিসের লোকজন মিটার খুলে নিয়ে গিয়েছে। তাদের দাবী আমি নাকি গত পাঁচ মাস বিদুৎ বিল দিচ্ছি না। তাদের এতো করে বললাম যে আমার কাজের ছেলে ( ) মিয়া প্রতি মাসে বিল দিয়েছে, তারা আমার কথা বিশ্বাস করলো না। বাধ্য হয়ে ভাই ( ) কে ডাকলাম। অবাক কান্ড ভাই ( ) কোথাও খুঁজে পেলাম না। অথচ গত চার বছর সে আমার কাছেই ছিল। ভাই ( ) বিশ্বস্তা প্রশ্নাতিত ছিল। সে কি শুধু বিদুৎ বিল মেরেছে, নাকি আরো কিছু করেছে? ডজন খানেক মোমবাতি কিনে ছিলাম। সাথে হারিকেন আর কেরোসিন তেল। মোমবাতি শেষ, তাই হারিকেনের লাল আবছা আলোয় বসে তিন দিনের বাসি পেপার পড়ছি। ভূতেরপাড়া গাঁ না হলেও এই গ্রামটা থানা সদর থেকে অনেক দুরে। রাস্তা ঘাট তেমন সুবিধের না। কাঁচা মাটির রাস্তার উপর ইট বিছিয়ে দেওয়া হয়ে ছিল। তবে সেই ইট এখন আর তেমন একটা নেই, আছে কেবল মাটি। আমার বাবা কবি ছিলেন। তিনি শেষ জীবনটা গ্রামে কাটাবেন বলে এই সেমিপাকা বাড়িটা করে ছিলেন। কিন্তু তিনি শেষ জীবনটা কাটাতে পারেন নাই। কারন বাড়ির কাজ শেষ হবার আগেই তিনি এই বাড়িতে আসার পথে বাস দুঃর্ঘটনায় মারা যায়। তখন আমি স্কুলে দশম শ্রেনীতে পড়তাম। বাবার সরকারী চাকুরি ছিল। মা পেনশন আর জমানো টাকা দিয়ে আমাদের বড় করেন। আমরা তিন ভাই। সবাই ভাল চাকুরি করছি। ছোট দু’ভাই শহরে বেশ ভাল রোজগার করছে। তবে বাবার ইচ্ছে পুরন করার জন্য আমি এই গ্রামে পড়ে আছি। আমার শহরের বন্ধুরা আমাকে পাগল ভাবছে। ওদের ধারনা আমার মাথার স্কু ঢিলা আছে। তবে আমি স্কু নিয়ে ভাবছি না। আমার মায়ের ধারনা বাবার সব কিছু আমি পেয়েছি। সে আমাকে নিয়ে বেশ বিচলিত। তবে আমার খুব ভাল লাগছে এখানে থাকতে। স্থানীয় কলেজের বাংলায় অধ্যাপনা করছি। প্রতিদিন পুরো পত্রিকা পড়া আমার নেশা। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার এখানে সঠিক সময় পত্রিকা পৌছায়না। পিয়নটাও বজ্জাত কখনো কখনো তিন চার দিনের পত্রিকা এক সাথে দিয়ে যায়। দু’দিন পর আজ বিকেলে পিওন পত্রিকা দিয়ে গেল। বাসি পত্রিকাই মনোযোগ দিয়ে পড়তে ছিলাম। হঠাৎ করেই ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করলো। ধপাস করে জানালার কবাট আছড়ে পড়ল। বিকট শব্দ হল। খোলা জানালা দিয়ে প্রবল বাতাস ঘরে ঢুকে সব কিছু উড়িয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছে যেন। আমি দ্রুত জানালা বন্ধ করে ফেললাম। আশে-পাশে কোথাও ব্যাপক শব্দে বাজ পড়ল। বিদুৎ চমকাচ্ছে খুব। বাইরে নিকষ কালো অন্ধকার। আকাশে মেঘ জমার ফলে অন্ধকার এত গভীর। আঁধার আমার ভাল লাগে। গভীর রাতে আমি জানালা খুলে আঁধার দেখি। ইচ্ছে হয় আধারে হারিয়ে যেতে। ভাই ( ) অবশ্য আঁধার খুব ভয় পায়। ওর ধারনা এ বাড়িতে একটা মেয়ে ভুত আছে। যে সাদা শাড়ি পড়ে সারা বাড়ি ঘুরে বেড়ায়। ওর বর্ননায় ভূতটার বয়স বেশি না। উনিশ কুড়ি বছর হবে। তবে সে ভয়ানক সুন্দরী। পুকুর ঘাটে প্রায়ই রাতে তাকে দেখা যায়। ভাই ( ) সেই ভয়ানক সুন্দরী ভূতের ভয়ে অস্থির! আমি ছোট বেলায় মায়ের মুখে অনেক ভূতের গল্প শুনেছি। তাই ভাইয়ের গল্প বেশ পরিচিত মনে হয়েছে। আমি জানি ভূত বলতে কিছু নেই। সবি দূর্বল চিত্তের মানুষের কল্পনা মাত্র। ভাই ( ) এই গল্প সারা গ্রাম ভরে শুনিয়েছে কিনা কে জানে ? পরশু সন্ধায় চায়ের দোকানদার ( ) মিয়া আমাকে ডাকলো। কাছে যেতেই মোলায়েম স্বরে বললো – বাবাজি ভালো আছোনি ? – জ্বি। ভালো। – বসো, চা খাও। না চাচা, আমার হাতে সময় নেই। এবার তিনি সিরিয়াস ভংঙ্গিতে বললেন, কি দরকার বাবা ঐ অভিশপ্ত বাড়িতে একলা পড়ে থাকার ! তুমি শহরের মানুষ তোমার কি এতবড় রিস্ক নেওয়া ঠিক হইতাছে? ভূত-পেত্নী কি বাবা শিক্ষিত দেইখা তোমারে সুযোগ পাইলে ছাইড়া দিবো? এ ব্যাপারে অন্যদিন কথা বলবো আজ আমার হাতে সময় নেই। আমি মুচকি হেসে চলে আসায় ( ) কাকা বেশ আহত হল। ( ) কাকা খুব সুন্দর করে গল্প বলে। তার চায়ের দোকানের কাষ্টমারগণ খুব ভাল শ্রোতা । ভুত-পেত্নী নিয়ে তার নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া দু’একটা গল্প সে হয়ত আমাকে শুনাতে চেয়েছিল। কিন্তু বিকেল বেলা আমার কফি খাওয়ার নেশায় ধরে তাই তাকে রেখে চলে এসেছি। ( ) মিয়া বিরবির করে কি যেন বললো। বেশ অস্বস্তি হচ্ছিল আমার। কিন্তু পিছন ফিরে তাকাইনি। পত্রিকা থেকে চোখ সরিয়ে আমার রুমে পূর্ব দিকের কোনায় তাকালাম। বাতাস প্রবেশের জন্য যে ফাঁকা জায়গা রয়েছে সেখানে একটা চড়–ই পাখিপাখি বাসা বেধেছে। পাখিটা প্রতিদিন আমার কাজ কর্ম মনোযোগ সহ লক্ষ করে আসছিল। আজ চড়–ই পাখিটাকে দেখছি না। সে হয়ত তার কোন আত্মীয়র বাড়ি বেড়াতে গিয়েছে। আচ্ছা পাখিদের কি আত্মিয়র বাড়ি আছে ? নাকি সেও ভুতের ভয়ে চলে গিয়েছে! আমার বাবা বাড়িটা বেশ বড় করেই তৈরী করে ছিলেন। সামনে পুকুর ঘাট। আর উত্তরের দিকে ফুলের বাগান। দক্ষিনে ফাঁকা মাঠ। সূযোগ পেলে আমি মাঠে গিয়ে বসি। তেমনি গতকালও বসে ছিলাম। তখন ছেলে ( ) এসে আমার সামনে দাঁড়ালো। ( ) এই গ্রামেরই ছেলে। বয়স ১৭ বছর হবে। সে কৃষি কাজ করে। আমি বললাম কি কেমন আছো ( ) ? ছেলে ( ) বললো আপনি অনেক সাহসী,না ? হেসে বললাম না, আমি একটা ভীতুর ডিম! ছেলে ( ) বললো আমি অনেক দিন ধরে গরু চরাই কিন্তু আপনাদের মাঠে এত ঘাস থাকলেও গরু বাঁধতে পারি না। আমি অবাক হয়ে বলি কেন ? ছেলে ( ) নিচু স্বরে বলে, যত বারই গরু বাঁধি এসে দেখি রশি ছিড়ে গরু পলাইছে। এমন কি আপনাগো বাড়ির সামনে দিয়ে গরু নিয়ে যাবার সময় গরু গুলি দৌড় দেয় ! আমি হেসে বললাম তোমার গরুর দৌড় দেয় কেন ? ও অবাক হয়ে বললো, কেন দেয় আপনি জানেন না ? আমি মাথা দুলিয়ে বললাম নাতো ? কেন দেয় ? ও আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে এসে বললো, আপনাদের বাড়িতে ভূত - পেত্নী আছে। গরুরা ভূত দেখতে পায়, তাই ওরা দৌড় দেয়। আমি বললাম এমন আজব তথ্য তুমি কোথায় হতে পেলে ? ও আহত হয়ে বলে ,আমার দাদা বলেছে। দাদা ভূতের ওঝা সে সব জানে। ওর দাদা ওঝা বলে ছেলে ( ) চোখে খুব অহংঙ্কার। কিন্তু আমি তার বা দাদার সর্ম্পকে কোন আগ্রহ না দেখানোয় সে খুব আহত হয়। আমার উপর রাগ করে চলে যায় ছেলে ( )। আমি ছেলেটার রেগে চলে যাওয়া দেখে ভাবি সত্যি পৃথিবীতে সবাই তাদের কাঙ্খিত মূল্যায়নটুকু চায়, না পেলে আহত হয়। ধপ করে হারিকেন নিভে গেল। ভাবনায় ছেদ পড়ল। টেবিলের ড্রয়ারে আমি নিজ হাতে ম্যাচটা রেখেছি কিন্তু এখন খুঁজে পাচ্ছিনা। কালো অন্ধকারে চারপাশ ছেয়ে গিয়েছে। দু’চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছি না। কে যেন আমার রুমে প্রবেশ করল। হাটা চলার শব্দ পাচ্ছি। পায়ের নুপুরের রিনিঝিনি শব্দ শুনছি। কিন্তু কাউকে দেখছি না। বুকের ভেতর আচমকা শূন্যতা অনুভব করছি। ভয় লাগছে। আমি জানি এই ভয়কে প্রশ্রয় দেওয়া ঠিক হবেনা। ভয়কে মন হতে দুর করতে হবে। কিন্তু পারছিনা। গলা শুকিয়ে আসছে। কে যেন আমার কাধে হাত রাখল। ভয়ানক ঠান্ডা সেই হাত। ভাবছি দরজা খোলার শব্দ পেলাম না কিভাবে ঢুকলো আগন্তুক!! হটাৎ করে কেউ একজন আমার কাধে হাত রাখলো ভয় পেয়ে আতকে উঠে বললাম, কে কে আপনি ? বেশ গম্ভীর স্বরে এক নারী কন্ঠ বলল ভয় পেওনা আমি মেয়ে ( ) । এই নাও তোমার দিয়াসলাই। ম্যাচ দিয়ে দ্রুত হারিকেন জ্বালালাম। হারিকেন জ্বালাতেই খেয়াল করলাম আমার সামনের চেয়ারে সাদা সালোয়ার পড়া এক নারী বসে আছে। তার মুখটা মায়াবী তবে চোখের নিচে কালি জমেছে। চোখে মুখে বিষণতা। তার এই আচমকা ঘরে প্রবেশ দেখে ভীষণ ভয় পেয়ে ছিলাম। তবে এখন কিছুটা সাহস পাচ্ছি। আমি মেয়ে ( ) দিকে তাকিয়ে বললাম, আপনি কি করে ঘরে ঢুকলেন ? আমিতো ঝড়ের রাতে আপনাকে এভাবে আচমকা প্রবেশ করতে দেখে ভয় পেয়েছি। ভেবেছি আপনী একটা পেত্নী ! হাঃ হাঃ করে ঘর কাপিয়ে হেসে উঠল মেয়ে ( ) । শ্লেষমাখা কন্ঠে বললো, তুই ঠিকই ভেবেছিস, আমি একটা পেত্নী ! কিন্তু আমি একটা ভাল মানুষ ছিলাম। একটা লক্ষী মেয়ে ছিলাম। আমার বুকে কত স্বপ্ন ছিল। কিন্তু আমি জীবনে কিছুই পেলাম না। ডুকরে কেঁদে উঠে নিজেকে পেত্নী দাবী করা মেয়েটি ( ) আমার দিকে তাকিয়ে বলে তোর বাবা একটা খুনি! আমাকে মেরে ফেলেছে তোর বাবা বিখ্যাত কবি ( ) । কথা শেষ করে আমার দিকে ক্রোদ্ধভরা দৃষ্টিতে তাকায় মেয়েটি ( ) । ওর দৃষ্টি আগুনের মত আমার শরীরে সিদ্ধ হয়। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবিহব্বল হয়ে পড়ি আমি। হৃদয়ে সুনামীর মত তোলপাড় শুরু হয়। কি বলছে এই নারী ( ) ! পাগলের প্রলাব নয়তো ? আমি শুধরে দেবার চেষ্টায় বললাম, দেখুন আমার বাবা ১৬ বছর হল মারা গিয়েছে। কেন তাকে নিয়ে এমন বাঁজে কথা বলছেন ? কেন আমাকে আহত করছেন ? আমার বাবা আমার জীবনের সব, তার দেখানো পথে চলছি আমি। সে আমার কাছে চাঁদের মতই নিস্পাপ। এক নিঃশ্বাসে কথা গুলো বলে বুকটাকে হালকা করার চেষ্টা করি আমি। তবে মেয়েটির ( ) কোন ভাবান্তর হয়না। সে তাকিয়ে আছে শূন্যে। তার চোখে জ্বল। হারিকেনের লাল আলোতে তার মুখটা ভারি মায়াবী মনে হয়। মেয়েটি ( ) দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়ে। আমার দিকে তাকিয়ে বলে তুমি কি তোমাদের বাড়ির পূর্ব দিকের কোনর ঘরটা কোন দিন খুলে দেখেছো ? না। ওটাতো বোধহয় ষ্টোর রুম। কোথাও চাবি খুঁজে পাইনী। কেন ? শীতল গলায় মেয়েটি ( ) বলে ওখানে আমার কঙ্কাল ঝুলে আছে। ভয়ে আমার শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যায়। শুকনো গলায় আমতা আমতা করে বলি, এ কি বলছেন ? তা হবে কেন ? এই তোমার বাবা আমাকে ঐ রুমে তালাবদ্ধ করে রেখে ছিল। কেন ? এ জানিনা তুমি বিশ্বাস করবে কি না তারপরও বলছি, তোমার বাবা যখন বদলী হয়ে আমাদের ( ) শহরে এল তখন সে আমাদের পাশের বাসা ভাড়া নিয়ে ছিল। একদিন কলেজে যাবার পথে তার সাথে পরিচয় হল। জানলাম সেই আমার প্রিয় কবি ( ) । তার লেখা কবিতা গুলো ছিল অসাধারন! সে আমাকে তার স্বরচিত কবিতা আবৃতি করে শুনাতো। কিছুদিন তার সাথে চলার পর দেখলাম তার কবিতার চেয়েও সে বেশি অসাধারন। আমিই প্রথম তার প্রেমে পড়ে ছিলাম। বড় অসম ছিল সেই প্রেম। তোমার বাবা আমাকে বুঝাতে চেয়েছে অনেক। কিন্তু আমি জানতাম সেও ভালবেসে ফেলেছে আমাকে।কথা থামিয়ে উড়নায় চোখ মুছে মেয়েটি ( ) । দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে চুপ করে অন্ধকারে তাকিয়ে থাকে। আমার শরীর অবশ হয়ে আসতে ছিল। মনে হচ্ছে ভয়ানক কোন দুঃস্বপ্ন দেখছি আমি, তারপর কি হল ? সে কিছুটা ক্লান্ত যেন। তারপর বিষণ কণ্ঠে উত্তর দেয় আর কি হবে ? তোমার বাবা এক সময় আমার কাছে স্বিকার করলো যে সেও আমাকে ভালবাসে। তারপর সে গ্রামে বাড়ি বানালো। সে জানতো তোমার মা শহরের মেয়ে সে কোনদিন গ্রামে আসবে না। গ্রামে থাকবো আমরা দু’জন। বাড়ি বানানো যখন শেষ তখন সে আমার জোড়াজুড়ির কারনে নিয়ে আমাকে এই অভিশপ্ত বাড়িতে নিয়ে আসলো। সারা রাত ট্রেন জার্নি করে বেশ ক্লান্ত ছিলাম। সে তাই আমাকে বললো তুমি ঘুমাও আমি এখন যাচ্ছি বিকেলের আগেই ফিরবো। তারপর বিকেল গড়িয়ে রাত। সে আর এলনা। বন্দি আমি না খেয়ে দুশ্চিন্তায় কাটিয়ে দিলাম আরো একটা দিন। কেউ এল না। তৃতীয় দিন এত বেশি দূর্বল হলাম যে নড়তে পারলাম না। ভারি অভিমান হল আমার। মনে হল তোমার বাবা আমাকে খুন করার জন্যই এখানে নিয়ে এসেছে। সে আমাকে না খাইয়ে মেরে ফেলার জন্যই আমাকে রেখে ভেগেছে। তখন চারদিক ছিল জনশূন্য। এখনের মত এত বাড়ি ঘর ছিলনা। চিৎকার করে ছিলাম অনেক কিন্তু কেউ সাড়া দেয়নি। তাই ধুকে ধুকে না মরে অভিমান করে উড়না দিয়ে আত্মহত্যা করলাম। মেয়েটি ( ) কথা থামিয়ে আমার দিকে তাকালো। কষ্টে আমার বুক ভেঙে যাচ্ছিল। নিয়তির নির্মমতায় একটি তাজা প্রাণের অপমৃত্য মানতে পারছিলাম না। আমি বললাম আপনি এখন হয়ত জানেন বাবা সেই রাতে বাস এ্যাকসিডেন্টে মারা গিয়ে ছিলেন। মেয়েটি ( ) ফ্যাকাসে হেসে বললো এসব জেনে আর লাভ কি? আমি বোধহয় ঘুমিয়ে পড়ে ছিলাম। যখন উঠলাম তখন সকাল হয়ে গিয়েছে। রাতের ঘটনা মনে পড়ল। ধড়মড় করে বিছানায় উঠে বসলাম। তারমানে আমি স্বপ্ন দেখে ছিলাম ? হাফ ছেড়ে বাচলাম ! কৌতুহলের কারনে বিছানা থেকে উঠে শাবল দিয়ে পূর্বের রুমের তালাটা ভেঙে ফেললাম। দরজা খুলতেই আতকে উঠে চিৎকার দিলাম! ফ্লোরে-রে পড়ে আছে একটা কংঙ্কাল।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৬৯৫ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • safaet hossen
    User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    ওয়াও খুব ভালো লাগলো গল্পটা।

  • SIAM The Deadman
    User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    অ অসাধারনgj

  • Nishita Fahmeem
    User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    তবুও ভালো লাগল

  • Nishita Fahmeem
    User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    গল্পটা কাল্পনিক

  • Mujakkir Islam
    User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    আমি কখনো ভূত বিশ্বাস করি না। এটা শুধু মজা করে লিখা

  • Mujakkir Islam
    User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    ধন্যবাদ তুহিন

  • নামাজের কথা মনে আছে? [তুহিন]
    Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    আমি বিশ্বাস করলাম না। মানুষের মৃত্যুর পর তার আত্মা কখনোই ঘুরে-বেড়াবে না। যাইহোক, পড়ে ভালো লাগল।