বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
#তুমি_আর_আমি_কে !
#পর্ব_১
লেখা: রাকিব আহমেদ (রিহান)
^^
·
পুলিশ: এই মেয়ে' এতো রাতে এই ওভার ব্রিজে কি করছো আজব তো! কে তুমি?
.
মিহু: (চুপ করে আছে)
পুলিশ: আরে বাবাহ্! তুমি কি বুবা নাকি কথা বলতে চাচ্ছো না? তোমার ঠিকানা দাও, নাহলে মা_বাবার নাম্বার দাও যাতে তারা তোমাকে এসে নিয়ে যেতে পারি।
.
মিহু: (মাথা নিচু করে ব্রিজের নিচে নদীর নোনা জলের স্রোতের দিকে তাকিয়ে আছে আর চোখঁ থেকে অজস্রে কান্না জড়ছে)
.
পুলিশ: কার পাল্লায় যে পড়লাম, কোন কথা বলে না শুধু পাগলের মতো কান্না করে ইয়া আল্লাহ!
.
সহকারী পুলিশ: স্যার কি হয়েছে,, মেয়েটি কি কিছু বললো কোথায় থাকে?
.
পুলিশ: না রে অভিন্দ্র! কিছুতেই কথা বলছে না বরং কেদেঁই চলেছে। এতো রাতে কীভাবে মেয়েটিকে এই নিষ্ঠুর পৃথিবীর নিকৃষ্ট মানবীয় প্রাণীর মায়া জালে ফেলে চলে যাই বলো তো!
.
সহকারী পুলিশ: জ্বী স্যার এই মেয়েটিকে একাকী ফেলে যাওয়া ঠিক হবে না নাহলে নরপশুরা একে রাতের নিঃস্তব্দ অন্ধকারে ছিড়ে হেচড়ে খাবে। দেখে তো বড়লোক বাড়ির মেয়ে বলে মনে হচ্ছে স্যার!
.
পুলিশ: তাইতো মনে হচ্ছে! হয়ত তার স্মৃতি শক্তি দূর্বল অথবা ভয় পেয়েছে। চলো তাকে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাই
.
সহকারী পুলিশ: হুম এটাই উওম কাজ হবে।
^^
ঠাস!
- কেন পানির এতো বিকট শব্দ হলো?
দুজনেই পিছু ফিরে তাকাতেই দেখে মিহু সেখানে নেই। তার মানে সে পানিতে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করলো নাকি।
দুই পুলিশের পায়ের নিচ থেকে মাটি সড়ে যাচ্ছে মনে হতে শুরু করলো।
তারা ভাবতেই পারে নি মেয়েটি এমন কিছু করে বসবে কারণ মাত্র কিছু সময়ের ব্যাবধানে কি থেকে কি হয়ে গেল।
তারা নিজেদের দোষী ভাবতে শুরু করলো কারণ তারা কেমন নাগরিকদের প্রতিনিধি যে তাদের চোখেঁর সামনেই একটি নিঃষ্পাপ জীবন অচিরেই সমাপ্ত ঘটালো।
তাড়াতাড়ি হেড অফিসে ফোন দিয়ে আরও লোক ও ডুবুরির ব্যবস্থা করলো।
সবাই বোর্ড নিয়ে নেমে পড়লো নদীর নোনা জলের স্রোতের বুকে,,
অনেক খোজাখুজির পর ভোরবেলা মেয়েটির লাশ নদীর গভীর প্রান্ত থেকে উদ্ধার করা হলো।
সারা রাত অফিসার অভ্র ঘুমায় নি কারণ তাকে মিহুর মৃত্যু অনেক কষ্ট দিয়েছে।
অ্যাম্বুলেন্সে মিষ্টার অভ্র লাশটির দিকে একনজরে তাকিয়ে আছে,,
- কী নিষ্পাপ মেয়েটি কেন এমন করলো! কি এমন হয়েছিল যে আত্মহত্যার পথ তাকে বেছে নিতে হলো।
মিহুর নিথর দেহ বেডে পড়ে আছে, পুরো শরীর সাদা হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে শরীরের রক্তগুলো কেউ শুসে নিয়েছে।
অফিসার অভ্র যখনি মিহুর দিকে তাকাচ্ছে তখনি তার মেয়ে নওশিনের মুখটি ভেসে আসছে।
বুকে ব্যাথা হচ্ছে
ব্যাথাগুলো আস্তে আস্তে মনের গহীনে প্রবেশ করছে,,
নওশিনকে তাড়াতাড়ি ফোন দিচ্ছে মিষ্টার অভ্র! কিন্তু রিং বেজেই চলেছে কেউ ফোন ধরছে না। তার মনে ভয়গুলো আতঙ্কে পরিণত হতে লাগলো! সারা শরীর ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে
- হ্যালো আব্বু! (নওশিন)
- কিরে মামনি কই ছিলি তুই? ফোন ধরতে এতো দেরি হলো কেন? জানিস কতোটা ভয় পেয়ে গেছিলাম
[বলেই কাদঁতে শুরু করলেন মিষ্টার অভ্র]
- আব্বু কাদছো কেন। কিছু হয়েছে কি? আমার জন্য কষ্ট পেয়েছো নাকি? আমি মেডামের সাথে কথা বলছিলাম তাই ফোনটা ধরতে পারি নি। আমি আসলে বুঝতে পারিনি তুমি কষ্ট পাবে সরি,, সরি,, সরি আব্বু (নওশিন)
- নারে মামনি কষ্ট পায়নি রে! একটা লাশকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছি। জানিস মেয়েটি দেখতে তোর মতো মায়াবিনী। তাকে দেখলেই তোর চেহারা ভেসে ওঠে। পৌরসু রাতে মেয়েটি আমার চোখেঁর সামনেই আত্মহত্যা করেছে তো তাই অনেক অসস্ত্বি লাগছে। ভাবলাম তোর কিছু হলো নাকি তাই ফোন দিলাম।
- আব্বু তাই আমি তোমাকে ছেড়ে পড়ালেখা করতে এত দূর হস্টেলে আসতে চাইনি কিন্তু জোড় করে পাঠিয়ে দিলে। এখন তোমাকে সামলাবে কে হুম। আজ যদি আম্মু থাকতো...
- থাক বাদ দে তো!
- হুম। আচ্ছা শোন মন খারাপ করে থেকো না তো। আমি খুব শিঘ্রই ঢাকা আচ্ছি তোমাকে সাহায্য করতে,,,,,,
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now