বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
গল্পঃ ডিয়ার শাশুড়ি মা
পর্বঃ-১
লেখাঃ সানিয়াত আহম্মেদ
বাসরঘরে অদ্রি বসে আছে, অদ্রির আজ বিয়ে হয়েছে। যদিও বিয়ের ইচ্ছে ছিলো না। আসলে অদ্রি অসল স্বভাবের মেয়ে, তার বিয়ে কি, বোতলের ভরা পানিও নিজে ভরে খেতে মনে চায় না।
আশেপাশে নিরব, পুরোপুরি নিরব না ফ্যানের ক্যার্ক ক্যার্ক শব্দ হচ্ছে। বিয়ে বাড়িতে কত গান-বাজনা বাজে। আর অদ্রির বিয়েতে বাজছে না, ঘড়িতে তাকিয়ে দেখলো রাত দুটো। বর-মশাই আসবে। অদ্রি পেটে মোচড় দিল। তখন কমিউনিটি সেন্টারে এত লোকের সামনে খাওয়া যায় নাকি, একগাদা লোক ক্যামেরা নিয়ে বর-বউ এর খাবার দেখে। বাজে নিয়ম। অদ্রি বালিশ কয়েকটা নিয়ে উঁচু করে হেলান দিলো। সারাদিনের ক্লান্তি চোখ অফ করে দিল। মিষ্টি একটা ঘ্রাণ ফুলের।
অদ্রি তাকিয়ে দেখলো ফুল গুলোকে। এইগুলো যদি ফুল না হয়ে চকলেট হতো, অদ্রি খেতে পারতো। অদ্রির পেটে আবারও মোচড় দিলো, প্রচন্ড খাদ্যের অভাব অনুভব হচ্ছে। অদ্রি মনে মনে বলছে,
- দূর শালা, এই রকম বিয়ে করে কি লাভ, কেউ খাবার দেয় না। শালার বর কই গেলো? ওই না আমার সব দায়িত্ব নিয়েছে। কচুর দায়িত্ব, প্রথম রাতেই বউ খাবার না খেয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে, আসুক শালা গায়ে বিচুটি পাতা ঢেলে দেবো।
কখন যে অদ্রি ঘুমিয়ে গেছে, খেয়াল নেই। অদ্রি লাল ওড়না, গোলাপী শাড়ি আর সোনালী রঙের ভারী গয়না। হাতে বালা, কপালে কালো টিপ। টিকলি টা সরে গেছে এক পাশে বাকা হয়ে। ইমতি এসে দাঁড়িয়ে দেখছে কিছুক্ষণ অদ্রিকে। কালো টিপ কেউ পরে বউ সেজে? অথচ ঘুমন্ত অবস্থায় সুন্দর লাগছে। ইমতির ডাকতে মন চাইছে না। বিয়ে টা হুট করেই করা, ইমতির মা প্রথমে রাজি ছিলো বিয়েতে, কিন্তু সব কিছু ঠিকঠাক হওয়ার পর বেঁকে বসলো। ফেসবুকে অদ্রি টুকটাক লিখালিখি করে, কিছু লিখা বেশ বাচ্চামো।
অদ্রির লাস্ট স্টাটাস ছিলো,
" ডিয়ার, শ্বাশুড়ি আপনি আমার বাচ্চাকে দেখবেন, আর আমি আপনার বাচ্চাকে।"
এই স্ট্যাটাস ইমতির এতটুকু অভিযোগ নেই। হেসে মাকে বলেছিলো,
" বাচ্চা মেয়ে, এমনি বলেছে।"
নাক ফুলিয়ে অনেকটা অভিমান নিয়ে ইমতির মা বলেছিলো,
" বিয়ের আগেই বউয়ের পক্ষ নিচ্ছো না, মেয়ে কি নির্লজ্জ সেটা দেখেছো? এইরকম নির্লজ্জ মেয়েকে আমার ভালো লাগে না। এরপর ঢাকার শিমুলকে দেখবি? বড় ভালো মেয়ে, আর এইসব ফেসবুক টেসবুক কিচ্ছু বুঝে না। "
ইমতি আসলে প্রথমে বিয়েতে রাজি হচ্ছিলো না, এখন এতদূর এগিয়ে বিয়ে ভাঙ্গার ও কারণ পাচ্ছিলো না। মায়ের সাথে ইমতির বড় বোন ইরা কিছুদিন ধরে অদ্রিকে বিয়ের ব্যাপারে সায় দিচ্ছিলো না। ইমতি রাগ হয়ে যে বিয়ে দুই মাস পরের কথা ছিলো, এক সপ্তাহেই করে ফেলেছে। অদ্রির ছবি আঁকা যেতে পারে এই সময়ে। কলম তুলি বের করবে কিনা ভাবছে। কই রাখা আছে সেগুলো মনে পরছে না।
অদ্রি খাটের মাঝখানে বালিশ নিয়ে যেভাবে ঘুমিয়ে আছে, ওকে না ডেকে বালিশ টাও নেয়া যাচ্ছে না। আবার ডাকতেও মন চাইছে না। ইমতি হেসে দিলো, ফোন বের করে অদ্রির একটা ছবি তুললো। এরপর ওয়াশরুমে গিয়ে চেঞ্জ করে এলো। ল্যাপটপ নিয়ে সোফায় বসলো, ফেসবুকে লগ ইন করলো।
অনেক দিন পরে লগ ইন করেছে। ফেসবুকের চেয়ে মেসেঞ্জারেই দিন কাটে, এইসব সোশ্যাল সাইট গুলো ইমতির কেন যেন ভালো লাগে না, আবার খুব খারাপ লাগে এমনও হয়। ইমতি অদ্রির একাউন্টে ডুকলো, নামটা একবার ইরা সার্চ দিয়ে দেখেয়িছিলো। তাই সার্চ লিস্টে সবার প্রথমে। এড ফ্রেন্ড এর অপশন টায় ক্লিক করবে কিনা ভাবছে। প্রোফাইল এর ছবি একটা বিড়াল ছানা। উপরে লিখা,
" আমার ছোট্ট বাচ্চাটা, ওর আমার ছাড়া কেউ নেই। আমিই ওর মা। "
ইমতি বিড়াল ছানাকে দেখছে, সাদার উপরে কালো ছোপ ছোপ বিড়ালটির চোখ বেশ মায়াবী। কিন্তু অদ্রির চোখ কেমন? ভালো মতো তাকানোই হয় নি। প্রতি বার দেখতে লজ্জাবোধ কাজ করে। এতোটা লজ্জাজনক ব্যাপার নয়। তবুও হৃদপিন্ড এর চলাচল এর গতি বেড়ে যায়। হাত-পা থেকে প্রতিটা শিরায় একটা শিহরণ চলে আসে।
হঠাৎ ইমতির ফোনে কল, ইমতির বন্ধু রাহাদ ফোন করেছে৷ রাহাদ হেসে বললো,
- কিরে ব্যাটা, তুই অনলাইনে কি করিস?
- এমনি বসে আছি।
- সেটা তো আমিও জানি, বল না কি কি করলি? ভাবী কই?
- ঘুমায়।
- শালা, কিরে! মজা নিচ্ছিস! বিড়াল টিড়াল মার।
- বিড়াল!
- হ্যাঁ দাঁড়া বলছি কি করে মারবি।
- না, বিড়াল টাকে ফেরত আনা লাগবে রে। রাখি।
ইমতির এই ধরনের কথায় রাহাদের মাথায় কিচ্ছু গেলো না। শুধু দু-মিনিট নিরবতা ছিলো। আসলেও মানুষ বিয়ের পর পাগল হয় ইমতি কে দেখে মনে হচ্ছে।
ইমতি, অদ্রির মাকে ফোন করতে চাইলো। এত রাতে তাদের ফোন দিয়ে জ্বালানোর দরকার নেই। তবে বিড়াল টা আনা দরকার। অদ্রির ছোট বোন আছে, ওরা কি ঘুমিয়েছে, ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো রাত তিনটা বেজে পঞ্চাশ, কিছুক্ষণ পর আজান দেবে।
সোফায় হেলান দিয়ে শুয়ে পরলো ইমতি। চশমা টা নিয়ে মাথায় এক হাত দিয়ে ঘুমিয়ে পরলো।
চলবে.....?
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
TaNeem
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেSushmita
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTaNeem Rabby
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেMH2 (Mysterious Some one)
GJ Writer ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTaNeem Rabby
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেMH2 (Mysterious Some one)
GJ Writer ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTuba Rubaiyat
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTaNeem Rabby
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেMH2 (Mysterious Some one)
GJ Writer ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেMH2 (Mysterious Some one)
GJ Writer ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTaNeem Rabby
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেমোঃ আনিছুর রহমান লিখন
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেTaNeem Rabby
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেSaniat Ahmed
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেMH2 (Mysterious Some one)
GJ Writer ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেSaniat Ahmed
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেFahMiDa SulTaNa (OboNti )
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে